নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ২৯ জুন, ২০২০
বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে গত ৮ মার্চ থেকে। এর আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করছেন, করোনা মোকাবেলায় নানারকম নির্দেশনা দিচ্ছেন। একদিকে তিনি যেমন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দিচ্ছেন, অন্যদিকে মানুষ যেন জীবিকা নির্বাহ করে খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। এই পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোট ৭৪ টি নির্দেশনা দিয়েছেন, এই ৭৪ টি নির্দেশনাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই নির্দেশনাগুলোর মধ্যে দশটি নির্দেশনা অত্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী এবং যে নির্দেশনাগুলো প্রমাণ করে যে শেখ হাসিনা কিভাবে বহুমাত্রিক নেতা এবং একটি দেশের জনকল্যাণের চুলচেড়া বিষয়গুলোর দিকেও তিনি নজর রাখেন। জনকল্যাণের জন্য তিনি সর্বদা সজাগ এবং কোনকিছুই তাঁর নজর এড়ায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪ টি নির্দেশনার ভেতরে বাছাইকৃত ১০ টি নির্দেশনা নিয়ে এই প্রতিবেদন।
১. নদীবেষ্টিত জেলাগুলোতে নৌ-এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে।
পহেলা এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। সেদিন ৩১ দফা যে নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তাঁর মধ্যে সপ্তম নির্দেশনা ছিল এটা। অর্থাৎ এর মাধ্যমে নদীবিধৌত দেশের সব স্থানে যে এ্যাম্বুলেন্স দেওয়া যাবেনা, নৌ-এ্যাম্বুলেন্সও দিতে হবে এই বোধটি প্রধানমন্ত্রীকে ব্যতিক্রমধর্মী এবং সংবেদনশীল এক নেতা হিসেবে পুনরায় প্রমাণ করে।
২. অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন স্থবির না হয় সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে।
পহেলা এপ্রিল শেখ হাসিনার দেওয়া ৩১ দফা নির্দেশনার মধ্যে ১৪তম নির্দেশনা ছিল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে। যেসময় করোনায় সবকিছু স্থবির হয়ে গেছে সাধারণ ছুটির কারণে, তখনো প্রধানমন্ত্রী বুঝেছিলেন যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং করোনা সঙ্কট মোকাবেলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকট-ও প্রকট হবে এবং এখন থেকেই সেজন্য কাজ করতে হবে।
৩. খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে, জমি পতিত না রেখে অধিক ফসল উৎপাদন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতার আরেক নিদর্শন হচ্ছে এটা। এটাও পহেলা এপ্রিল দেওয়া ৩১ দফা নির্দেশনার মধ্যে ১৫ তম নির্দেশনা। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই বুঝেছিলেন যে, করোনা পরবর্তী বিশ্বে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে এবং এখন থেকেই বাংলাদেশ যেন এই খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলার প্রস্তুতি নেয়। এবং সম্প্রতি এফএও বলেছে যে, করোনা পরবর্তী বিশ্বে যে দেশগুলোতে খাদ্য সঙ্কট হবেনা সেই দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
৪. যে সকল চিকিৎসক এবং নার্স কোভিড-১৯ এর শুরু থেকে কাজ করেছেন তাঁদের তালিকা প্রস্তুত করে পুরস্কৃত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনাটি দিয়েছিলেন ৭ এপ্রিল এবং সেদিন যে ১০ দফা নির্দেশনা তিনি দেন তাঁর মধ্যে ষষ্ঠ নির্দেশনা ছিল এটা। এর মাধ্যমে তিনি বুঝেছিলেন যে, করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে চিকিৎসক এবং নার্সরা হচ্ছেন সম্মুখ সমরের যোদ্ধা এবং তাঁদেরকে আলাদাভাবে পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা না করলে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করার ক্ষেত্রে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন।
৫. জীবনে চলার জন্য কাজ করতে হবে, তবে নিজেকে সুরক্ষিত রেখে কাজ করতে হবে।
১৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দশ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন তাঁর মধ্যে তৃতীয় দফা ছিল এই নির্দেশনাটি এবং এর মাধ্যমে তিনি করোনা মোকাবেলার কৌশল সুস্পষ্ট করেন। অর্থাৎ একদিকে মানুষকে কাজ করতে হবে, অন্যদিকে নিজেকে স্বাস্থ্য সচেতন থাকতে হবে, সুরক্ষিত থাকতে হবে। মূলত শেখ হাসিনাই প্রথম একসঙ্গে অর্থনীতিকে সচল রাখা এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখার কৌশল দিয়েছিলেন, যে কৌশলটি এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো অনুসরণ করছে।
৬. খাদ্য উৎপাদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারো এক খণ্ড জমিও যেন অনুতপাদিত না থাকে।
২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই ১৩ দফার ভেতরে এটা ছিল চতুর্থ দফা নির্দেশনা। এর মাধ্যমে তিনি আরো বেশি করে খাদ্য উৎপাদন এবং জমি যেন খালি পড়ে না থাকে সে ব্যাপারে নজর দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টিতা এবং বিচক্ষণতার প্রমাণ হলো এটা যে, তিনি বুঝেছিলেন যে আমরা যদি খাদ্য উৎপাদন করতে পারি তাহলে করোনা পরবর্তী বিশ্বে আমরা একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে দাঁড়াতে পারবো।
৭. গাজীপুর শেখ ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালটিকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য যে, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালটি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে নির্মিত এবং এই ট্রাস্টটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার উদ্যোগে গঠিত হয়েছে। কাজেই শেখ হাসিনা যে নিজে কাজ করে নেতৃত্ব দেন সেটি আরেকবার প্রমাণ করেছিলেন। তাদের যে হাসপাতাল, সেই হাসপাতালটি তিনি কোভিড ১৯ হাসপাতালে পরিণত করে প্রমাণ করেছেন, তিনি যেটি বলেন সেটি করেন। শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বঙ্গবন্ধু ভবনটি জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন। সেখানে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর হয়েছিল। নিজেদের যে সম্পদের লোভ নেই, জনগনের জন্য যে তারা উৎসর্গকৃত সেটা এই নির্দেশনা দিয়ে আরেকবার প্রমাণ করলেন।
৮. সুরক্ষা সামগ্রী যারা সরবারহ করে তারা সঠিকভাবে তা দিচ্ছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে।
বাক্সের মধ্যে কি আছে তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ২০ এপ্রিল যে ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম নির্দেশনা ছিলো এটি। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করেছিলেন।
৯. দুধ ফেলে না দিয়ে কাউকে দিন, আপনার প্রতিবেশী বা দরিদ্র মানুষদের দিন।
করোনা সংক্রমণের পরই বাংলাদেশে ডেইরী শিল্পে একটা সঙ্কট শুরু হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ উদ্যোগের কারণে এই সঙ্কট থেকে বাংলাদেশ উত্তরণ করতে পেরেছে। এই সময় মানুষ দুধ বিক্রী না করতে পেরে ফেলে দিচ্ছিলো। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনাটি ম্যাজিকের মতো কাজ করেছিল। এরপর ডেইরী এবং পশু সম্পদে যারা কাজ করেন তাদের বিভিন্ন রকম উৎসাহ এবং প্রণোদনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই খাতটিকে সুরক্ষিত করেছিলেন।
১০. প্রতি জেলায় আইসিইউ ব্যবস্থা নিতে হবে।
২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী যে ১০টি নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার মধ্যে অষ্টম নির্দেশনা ছিলো এটি। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো এবং সারাদেশে মানুষ যেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনাই বলে দেয় যে তার সবদিকে খেয়াল। তার রাজনৈতিক দুরদৃষ্টি, প্রজ্ঞা এবং মানুষের জন্য ভালোবাসা অনন্য অসাধারণ।
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।