নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৩ পিএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২১
রাত পেরোলেই অনুষ্ঠিত হতে হচ্ছে নানা তর্ক-বির্তকের চট্রগ্রাম সিটি করর্পোরেশন নির্বাচন (চসিক) । দেশের অন্যতম ওয়ান অফ দ্যা টপ লাইফ লাইন চট্রগ্রাম সিটি নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ও জনমনে ইতিমধ্যে উঠছে নানা প্রশ্ন , দেখা দিচ্ছে শঙ্কা । আসন্ন চসিক নির্বাচন হয়ে উঠেছে আস্থা ও বিশ্বাসের লড়াই । গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই । তবে কী হতে যাচ্ছে আগামীকাল এখনো বোঝা যাচ্ছে না । তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে আওয়ামী ঘরোয়ানার দলীয় কোন্দল , রাজনীতিতে শক্ত অবস্থানে ফেরার বিএনপির পায়তারা , বিদ্রোহ প্রার্থীদের ষড়যন্ত্র ও লাগাম টানা অবস্থা, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি মানুষের অনাস্থা সবকিছু মিলিয়ে এসবের একটা প্রভাব পড়বে আসন্ন চসিক নির্বাচনে । কী ঘটবে আগামীকাল ২৭ জানুয়ারিতে তা এখনো পরিস্কার করা যাচ্ছে না ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন , আওয়ামী দলের চেইন অব কমান্ডে বিশৃঙ্খলা ও দলের নিজ দলীয় নেতাদের কোন্দলের একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে চসিক নির্বাচনে । এছাড়া তারা আরও বলছেন যে আসন্ন এই চসিক নির্বাচন ইসির জন্যও একটি বড় পরীক্ষা । কারণ মানুষ এখন আর কম সংখ্যক ভোটারের সংস্কৃতি মানতে পারছে না বরং মানুষ এখন চায় ভোটার উপস্থিতিযোগ্য বিশ্বাসপূর্ণ নির্বাচন ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও বলছে , বিএনপি সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়লেও তাদের চসিক নির্বাচন প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেন ক্লিন ইমেজ পার্সন তিনি বেশ জনপ্রিয় চট্রগ্রামের । আবার আওয়ামী প্রার্থী রেজাউল করিম তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা , সুযোগ্য ও আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের মধ্যে একজন । সুতরাং কোন দিকে এই নির্বাচন মোড় নেবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না ।
এদিকে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে , চসিক নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহ প্রার্থীদের কঠোর অবস্থার পেছনে বিএনপি ইতিমধ্যে ইন্ধন যোগাচ্ছে । দলীয় দুর্বলতার ফয়দা নিয়ে বিএনপি নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে । নির্বাচনে নিজ দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহীদের নিয়ে বিএনপি রাজনীতিতে ফিরে এসে শক্ত অবস্থান যোগানের পায়তারা করছে বলে সূত্রগুলো বলছে । এসব নানান কোন্দল ও অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে বিশেষ টিম দিয়ে নিজে নির্বাচনগুলো নজরদারি করছেন । প্রধানমন্ত্রী চসিক নির্বাচন নিয়ে কঠোর অবস্থানে আছে বলে জানা গেছে ।
তবে , এতো নানান সংশয় কোন্দলের মধ্যে থেমে থাকবে না চসিক নির্বাচন । শত ষড়যন্ত্র ও বিবেদের মধ্যে আসন্ন এই চসিক নির্বাচনের ফলাফল এখন কোন রূপ নেয় সেটাই এখন অপেক্ষমাণ বিষয় ।
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।