নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ০৫ মার্চ, ২০২১
সরকার যদি বিদেশে যাবার অনুমতি দেয় এবং দণ্ড স্থগিত করে, তাহলে বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে অবসরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবেন। বিএনপির চেয়ারপারসন হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে তিনি বিদেশে যাবেন উন্নত চিকিৎসা করার জন্য। এমনটি বলেছেন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা। গত সপ্তাহে বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড হ্রাস এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া সংক্রান্ত একটি আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদনটি এখন আইন মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছেন বিবেচনার জন্য। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা এই আবেদনের অন্তত দুটি ভাগ যেন সরকার গ্রহণ করে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি দেন সেটির জন্য দেন-দরবার এবং তদবির করছে। এই দুটির মধ্যে রয়েছে প্রথমত, বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড অনির্দিষ্ট সময়ের স্থগিত করে দেওয়া। দ্বিতীয়ত, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রদান। আর বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন যে, এই দুটি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই করতে পারেন। আর এজন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, প্রথমবার গত বছরের ২৫ মার্চ যখন বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হয়েছিল তখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন শামীম এস্কান্দার এবং সেলিনা ইসলাম। এবারও বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের এই দুই সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। তাদের পক্ষ থেকে যে বিষয়টি সরকারের কাছে বলা হচ্ছে তা হলো বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। রাজনীতি করার মতো পরিস্থিতি তার নেই এবং রাজনৈতিক ব্যাপারে তার আগ্রহও নেই এবং বিদেশে গিয়ে তিনি কোন রাজনৈতিক বক্তব্য বিবৃতি ইত্যাদি দেবেন না বা কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াবেন না। তাদের পক্ষে সবচেয়ে বড় যুক্তি হচ্ছে যে, বেগম খালেদা জিয়া গত প্রায় এক বছর ধরে জামিনে আছেন। এসময় তিনি কোনো রকম রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেননি এবং কোনরকম কর্মসূচিতেও তিনি অংশগ্রহণ করেননি। এমনকি ভিডিও কনফারেন্স, টেলি কনফারেন্সে বিবৃতি প্রদান ইত্যাদি থেকেও তিনি বিরত ছিলেন। অর্থাৎ একজন অসুস্থ ব্যক্তি শুধুমাত্র চিকিৎসা নেওয়ার জন্য যা যা করে সে কাজগুলোই বেগম খালেদা জিয়া এ সময় করেছেন। এটিই বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বেগম জিয়ার পরিবারের সবচেয়ে বড় যুক্তি। তারা মনে করছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার আসলে তেমন কোনো চিকিৎসাই হয়নি। কারণ এই সময়ে দেশে এবং বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। যার ফলে কোন হাসপাতালে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা গ্রহণ তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা এটা মনে করছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার যে চিকিৎসাগুলো, সেই চিকিৎসাগুলো অধিকাংশ বিদেশেই হয়েছে। যার ফলে চিকিৎসার ফলোআপগুলো একমাত্র বিদেশেই সম্ভব। দেশে এই চিকিত্সা অসম্ভব। এজন্যই তারা মনে করছেন যে, এখন যেহেতু বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি একটু সহনীয় মাত্রায় এসেছে, এজন্য তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চান।
আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার যে আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদের কাছে এসেছে সেটি তারা পরীক্ষা করে দেখছেন। তবে এই আবেদনের মধ্যে বেশ কিছু প্রাথমিক অসঙ্গতি পেয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। যেমন তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আবেদন করেছেন অথচ তিনিই কোথায় চিকিৎসা করবেন, কেন তাকে বিদেশে চিকিৎসা করতে হবে, দেশে তার চিকিৎসার অসম্পূর্ণতা কোথায় সংক্রান্ত কোন কাগজ পত্র পাওয়া যায়নি। আইন মন্ত্রণালয় মনে করছে যে, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দেয়া হবে কি হবে না, এটি নির্ভর করবে তার চিকিৎসা সুযোগ-সুবিধার উপর। দেশে যদি তার চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা থাকে, তাহলে তাকে বিদেশে নেয়ার প্রশ্নই আসে না বলে মনে করছেন আইন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা। তবে তারা এটাও স্বীকার করেছেন যে, বিষয়টি রাজনৈতিক এবং শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে সরকারের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন যে, খালেদা জিয়া এখন যত কথাই বলুক না কেন বিদেশে যাবার অনুমতি পাওয়ার পর বিদেশে গিয়ে তিনি যে পাল্টে যাবেন না তার গ্যারান্টি কোথায়। এর আগেও তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়েই ২০০৮ সালে বিদেশে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার পর তিনি এখন দেশের আইন এবং বিচারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছেন। খালেদার ক্ষেত্রেও যেন সেটি না ঘটে, সেটি সরকারের প্রধান লক্ষণীয় ব্যাপার বলে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন ওবায়দুল কাদের শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি ও উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। বিএনপির শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বিশ্বে চলমান যুদ্ধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
বিএনপি আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।