নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
কাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র দ্বিতীয় দফা সিরিজ বৈঠক। দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে গত ১৪ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর বৈঠকের পর এবার ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর মাঠ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বসতে যাচ্ছে বিএনপি। বৈঠকে প্রত্যেক জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে কথা বলবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পলাতক তারেক রহমান। সিরিজ বৈঠকের পর দলের অবস্থান তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে দলের নির্বাহী কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেও আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। কিন্তু প্রশ্ন হলো জেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে কি করবে বিএনপি?
বিএনপি জেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবে বলছে কিন্তু বাস্তবতা হলো তাদের তৃণমূল নেতৃত্ব একযুগ ধরে স্থবির। বর্তমানে ৮০ ভাগ জেলায় কমিটি ছাড়াই চলছে দলটি। ২০০৯ সালের পর অধিকাংশ জেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি তারা। এরপর ২০১৯-২০২০ সালে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কমিটি পুনর্গঠনে নিজের পছন্দমতো কিছু নেতাকে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা দুই চারটি জেলা ছাড়া সবগুলোতেই ব্যর্থ হন। এর পর ২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে কার্যত বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। বর্তমানে নামকাওয়াস্তে দলটির সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম ভার্চুয়াল মাধ্যমে চলছে। কার্যত এক যুগ ধরেই কমিটিজটের ধাধাঁয় আটকে আছে বিএনপি। ফলে এ প্রশ্ন মোটেই অমূলক নয় যে, বৈঠকে কোন নেতারা অংশগ্রহণ করবেন এবং তারা আসলেই তৃণমূল নেতা তো?
বৈঠক প্রসঙ্গে বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কিছু নিজস্ব পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু আমাদের পরিকল্পনাই নেই। যেখানে অধিকাংশ জেলায় কমিটিই হচ্ছে না, আর হলেও পকেট কমিটি, সেখানে এ সব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে কি পাবে বিএনপি? ক্ষমতাসীন সরকারের কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দরকার। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবেন দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল নেতারা। এ ধরণের গুচ্ছ গুচ্ছ কর্মকাণ্ড একটা সময় বৃহৎকারে রুপ নেবে। এসব কর্মকান্ড ঘিরে চাঙ্গা থাকেন মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এই কর্মকাণ্ডেই ধীরে ধীরে জনমত গড়ে উঠবে। জনমতের ভিত্তিতে সরকার পতনের আন্দোলনে যাবে দল। দলের নেতাকর্মী, সমর্থকসহ জনগনের সমর্থনে সফল হবে সেই আন্দোলন। কিন্তু আমরা বৈঠক করছি। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।
এ দিকে বিএনপিতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের যথার্থ মূল্যায়ন না হওয়ায় সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিসহ কেন্দ্রীয় কমিটি, নির্বাহী কমিটির বেশকিছু পদ খালি। সবশেষ স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে আরো একটি পদ শূন্য হলো। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন সদস্য অসুস্থ। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাদের উপস্থিতি খুবই কম। এমতাবস্থায় দলের ত্যাগী, অভিজ্ঞ নেতাদের দিয়ে স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলো পূরণের কথা বারবার বলা হলেও তা কোনো এক অদৃশ্য কারণে হচ্ছে না।
অবশ্য দলটির অনেকেই মনে করেন, দলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন অভিজ্ঞ ও প্রবীণ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখেন না। আর সে কারণেই তিনি এই শূন্য পদগুলো পূরণ করতে মনোযোগী নন। বর্তমানে ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটির পাঁচটি পদ শূন্য। স্থায়ী কমিটিতে শূন্যপদগুলো চাইলেই পূরণ করতে পারেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। এছাড়া দলে আরও বেশ কিছু শূন্য পদও রয়েছে। সেগুলোও পূরণ করতে পারেন। কিন্তু কেন করছেন না, তা কারো কাছেই পরিষ্কার নয়।
প্রবীণ নেতারা প্রকাশ্যে এ নিয়োগের বিরোধিতা না করলেও তারা আর আগের মতো দলের কার্যক্রমে থাকেন না। এদের মধ্যে একেবারেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন কেউ কেউ। আবার সুযোগ পেলে দলের বর্তমান নেতৃত্বের সমালোচনা করতেও কেউ কেউ ছাড়েন না। আবার দু-তিনজন বাদ দিলে দলের স্থায়ী কমিটিতে এখন যারা আছেন তাদের যোগ্যতা ও অবস্থান নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।
কমিটি জটের ঘূর্ণিপাকে নিষ্ক্রিয় বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলোও। দলটির ৯টি অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠন দুটিরও একই অবস্থা। ফলে এখন পদহীন পরিচয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন ছাত্রদলের সাবেক ৫ শতাধিক নেতা। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদেরও পদ নেই। এ ছাড়া এ দল দুটির বেশ কিছু সাবেক নেতাও এখন পদহীন। অঙ্গসংগঠনের কমিটি-জট না কাটায় বিএনপির হাইকমান্ডও তাদের বিষয়ে কোনো ফয়সালা দিতে পারছেন না। আর পদবঞ্চিত সাবেক ছাত্রনেতারা বলছেন, নিজেদের নিজের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতেই অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা কমিটি নিয়ে ভাবছেন না। এদিকে, কাউন্সিল করে ছয় মাসেও কমিটি দিতে পারেনি কৃষক দল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি না করে এ ধরণের বৈঠক দিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন করতে পারবে না বিএনপি। দলের শীর্ষ নেতারা আলোচনার টেবিলে অনেক বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু আন্দোলন-সংগ্রাম-কর্মসূচিতে তারা থাকেন না। এখন বিএনপির আন্দোলন বা কর্মসূচি প্রেসক্লাব নির্ভর হয়ে গেছে। কমিটিহীন, কর্মসূচীহীন একটা দল কি চলতে পারে? খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত স্থায়ী কমিটির যে বৈঠকগুলো হত সেগুলো এখনকার তুলনায় কিছুটা হলেও কার্যকরী ছিল। কিন্তু এখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে আলোচনা হলেও সিদ্ধান্ত হয় না। আবার সিদ্ধান্ত হলেও তার বাস্তবায়ন নেই। অনেক সময় উল্টো সিনিয়র নেতাদের মধ্যে কাদাছোড়াছুরি চলে। এনিয়ে দলের ভিতরে ও বাইরে এবং সমগ্র রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা আছে। ফলে সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা ছাড়া দলটির হাতে বিশেষ কিছু নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
মন্তব্য করুন
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার
মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ফোরামের সিদ্ধান্তের
বাইরে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র
সহ-সভাপতির পদ থেকে খোকনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি।
উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিষ্পত্তি করেছে বিএনপি।
তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি
পদে খোকন দায়িত্ব পালন করবেন কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দলটির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি
চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের
উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা বলেন, একটি
সুষ্ঠু সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এ ইস্যুতে এখন থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের
কথা বলতে বারণ করা হয়েছে।
সূত্রমতে, বৈঠকে ব্যারিস্টার মাহবুব
উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল (বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব) নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেন। বৈঠকের
শেষ পর্যায়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন ও কায়সার কামাল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আপাতত কোন্দ্বল নিরসন হয়েছে
বলে মনে করছেন বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বৈঠকের
সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একজন আইনজীবী নেতা আরও বলেন, এখন মাহবুব উদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক
ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এবং তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব
পালন করবেন কি-না সে সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবেন।
এদিন বিকাল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু
মাহমুদ চৌধুরী, ড. আবদুল মঈন খান এবং আইনজীবীদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই
রায় চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আযম খান উপস্থিত ছিলেন।
মাহবুব উদ্দিন খোকন ইস্যুতে বিএনপির
উচ্চপর্যায়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটিতেও দুই ধরনের ভাষ্য
পাওয়া গেছে। বিএনপির সিনিয়র নেতা ও সিনিয়র আইনজীবীদের একাংশ খোকনকে জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় বিব্রত।
তারা মনে করেন, খোকনের মতো জনপ্রিয়
আইনজীবী নেতা এখন আর দলে নেই। তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে যাদের উৎসাহিত করা হয়েছে
তাদের আইন অঙ্গণে গ্রহণযোগ্যতা কম। আবার কারো কারো মত ছিল, দলের কেউ দলীয় স্বার্থের
ঊর্ধ্বে নয়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনসহ যেকোনো বিষয়ে দলের সিদ্ধান্ত যারা
অমান্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খোকনের বিরুদ্ধে কেনো
ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের একটি অংশ খোকনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নিতে জনমত গঠনে আদালত পাড়ায় কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গত বুধবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
তারেক রহমান আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে ওয়ান টু কথা বলেন। আইনজীবী নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে
বৃহস্পতিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে মহাসচিব সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক
করেন। এ বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি এতোদিন ছিল জাতীয়তাবাদী
আইনজীবী ফোরামের, এখন তা বিএনপি টেকওভার করেছে। এই ইস্যুতে এখন সিদ্ধান্ত দেবেন দলের
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার
মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘ফোরামের তো গঠনতন্ত্রই নেই। সে (কায়সার কামাল) কীভাবে বহিষ্কার
করে? তার ক্ষমতা আছে বহিষ্কার করার? যে পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে, সে পর্যন্ত কাউকে
বহিষ্কার করা যাবে না। যত বহিষ্কার করা হয়েছে, তা আইনত কার্যকর নয়।’
এ সময় তিনি কায়সার কামালের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেও কথা বলেন। এর আগে গত শনিবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেয় সংগঠনটি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে তিনি দলের সার্বিক বিষয়ে দলীয় প্রধানকে অবগত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
(২৫ এপ্রিল) রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা
২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাসভবনে প্রবেশ করেন বিএনপির মহাসচিব। রাত সোয়া ৯টার দিকে
তিনি বের হয়ে আসেন।
বিএনপির
মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেই মির্জা ফখরুল ফিরোজায় গিয়েছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে ফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে খোকনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি। উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিষ্পত্তি করেছে বিএনপি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।