প্রেস ইনসাইড

দায় এড়াতে ফের প্রথম আলোর পক্ষে বিবৃতির ছক!


Thumbnail দায় এড়াতে ফের প্রথম আলোর পক্ষে বিবৃতির ছক!

অপসাংবাদিকতা, সরকার বিরোধী অপপ্রচার, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিরর লক্ষ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রদ্রোহি সংবাদ পরিবেশন করে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বিবৃতি প্রদান করিয়ে বার বারই পার পেয়ে যায় প্রথম আলো। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সংখ্যায় রাষ্ট্রবিরোধী, রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নিয়ে কটুক্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে আবারও সেই বিবৃতির ছকে বাঁধা ক্ষমতা প্রদর্শন করছে প্রথম আলো।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকেই প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ বিশ্লেষনে দেখা যায়, সেই বিবৃতির ধারাবাহিকতার চীরচেনা ছক। এই ছকে বাঁধা দেশী-বিদেশী সংস্থা বা ব্যক্তিদের বিবৃতি ছাপিয়ে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান প্রমাণ করতে চাইছেন তিনি ক্ষমতাধর। 

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল ওশোনোগ্রাফিক কমিশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে বিদেশিদের মন্তব্য, বিবৃতি, হস্তক্ষেপ কখনোই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি, হবেও না। এগুলো আমলে নেওয়া জরুরি নয়।’

অন্যদিকে প্রথম আলোর এসব কর্মকাণ্ডকে অপসাংবাদিকতা ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করছেন সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ মহল। সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ মহল বলছেন, যখনই তাদের (প্রথম আলোর) বিরুদ্ধে কোনো আইনী ব্যবস্থা বা অন্য কোনো কিছু করা হয়। তখনই তাদের সহযোগিতায় থাকা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বিবৃতি দেওয়ায় প্রথম আলো ও এর সম্পাদক মতিউর রহমান। যার কারণ হচ্ছে, এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিবৃতির মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করানো। 

 

জানা গেছে, ২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদনে প্রথম আলো ইচ্ছাকৃত এবং পূর্বপরিকল্পিতভাবে ‘গ্রাফিক কার্ড’-এ একটি শিশুর ছবি দিয়ে ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করে। ওই সংবাদে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে- যা একটি দেশের ভাবমূর্তি ও অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এই অভিযোগে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং সংবাদ সংশ্লিষ্ট সাভার প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এ সংক্রান্ত দুটি মামলা হলেও একটি মামলায় ওই প্রতিবেদক সামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সর্বশেষ কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। 

বিজ্ঞ মহল বলছেন, প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধিকে সিআইডি আটক করার পর থেকেই দৈনিকটির সেই চীরচেনা বিবৃতির ছক প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। গত দু’দিন থেকে প্রথম আলো পত্রিকায় যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার অধিকাংশই এসব বিবৃতির সংবাদ এবং সরকারের প্রতি আক্রোসমূলক।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা এবং শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ, ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। তারা বলেছে, এ ধরনের মামলা ও সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করবে। এছাড়া, প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তার সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন সম্পাদক পরিষদ, নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (নোয়াব) বিভিন্ন মানবাধিকার, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহ্ফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সংবাদকর্মীরা ক্রমাগতভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। 


বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সাংবাদিক গ্রেফতার, নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনায় বিদেশীদের মন্তব্য বা বিবৃতি সরকারের জন্য বাঁধার কারণ নয়। এ ধরনের ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তিতে ন্যূনতম আঁচড়ও পড়বে না। আদালতের রায়ে যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগের দিন বা পরেরদিন একটি করে ফ্যাক্স পেতাম আমরা। তারা পাঠিয়ে এটাও বলতেন যে, এটা তাদের পলিসিতে নেই। কিন্তু পাঠাতে হয়। আমরা তোমাদের (বাংলাদেশ) ‘গ্রাউন্ড রিয়ালিটি’ (বাস্তব অবস্থা) বুঝি। সুতরাং এটা আমাদের গ্রাউন্ড রিয়ালিটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান- এটি এত ঠুনকো নয় যে, যে কোনো কিছুর সঙ্গে এটির তুলনা করা যাবে। আমাদের সবার দায়িত্ববান হওয়ার প্রয়োজন আছে।’

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় সবারই কমবেশি চ্যালেঞ্জ আছে। যে দেশগুলো বিবৃতি দেয়, সেখানে আইন করা হয়েছে যে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ির পথরোধ করে দাবি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হলে সাত বছরের জেল হবে। সে দেশেও আইন পরিবর্তনের জন্য মানুষ রাস্তায় নামছে।’


প্রথম আলো   বিবৃতি   দায়   রাষ্ট্রদ্রোহী  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

ভুয়া খবর প্রকাশের তালিকায় প্রথম আলো!

প্রকাশ: ০৩:৩১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে ২০২৩ সালে ছড়ানো ভুয়া খবর পরিসংখ্যানের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুম বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৪৪টি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর চিহ্নিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে রেটিংয়ের মুখে পড়েছে। আগের তিন বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।

বুম বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে সর্বোচ্চসংখ্যক ভুয়া খবর প্রচার করেছে সময় টিভি, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আরটিভি ও বাংলানিউজ। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তালিকায় স্থান পেয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আস্থাভাজন দৈনিক গণমাধ্যম প্রথম আলো।

বুম বাংলাদেশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভুয়া খবর প্রচারে টানা চতুর্থবারের মতো শীর্ষে রয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন ‘সময় টিভি’। ২০২৩ সালে গণমাধ্যমটি এককভাবে সর্বোচ্চ ৯টি ভুয়া খবর প্রচার করেছে। এ ছাড়া ৭টি ভুয়া খবর প্রচার করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আরেক বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভি এবং ৬টি ভুয়া খবর প্রকাশ করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজ২৪।

এ ছাড়া ৫টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে ঢাকা পোস্ট, আজকের পত্রিকা, সমকাল, আমাদের সময় ও দৈনিক ইত্তেফাক। ৪টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে চ্যানেল ২৪, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, বাংলা ট্রিবিউন ও প্রথম আলো। ৩টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে ডিবিসি নিউজ, বিডিনিউজ২৪, জাগোনিউজ২৪, জুম বাংলা, ডেইলি বাংলাদেশ, যমুনা টিভি, রাইজিং বিডি, একাত্তর টিভি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন। ২টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে চ্যানেল আই, নাগরিক টিভি, ইনকিলাব, নয়া দিগন্ত, মানবকণ্ঠ, কালবেলা, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, নিউজ ২৪, মানবজমিন, বাংলা ভিশন, সংবাদ প্রকাশ, সারাবাংলা ডট নেট ও বাংলাদেশ জার্নাল। ১টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে বৈশাখী টিভি, দৈনিক আমাদের সময়, সাম্প্রতিক দেশকাল, ঢাকা মেইল, দেশ টিভি, নিউ ন্যাশন, দেশ রুপান্তর, বাংলাদেশ টুডে, ভোরের কাগজ, সময়ের আলো, নিউজবাংলা, দৈনিক বাংলা, যায়যায়দিন, দৈনিক সংগ্রাম, ভোরের ডাক, প্রতিদিনের বাংলাদেশ, এনটিভি, নয়া শতাব্দী, বায়ান্ন টিভি ও বিবিএস বাংলা।

বুম বাংলাদেশের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে দেশীয় মূলধারার গণমাধ্যমে মোট ৪৪টি ঘটনায় ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার হতে দেখা গেছে। এই ৪৪টি ঘটনার মধ্যে কোনো ঘটনায় একটি গণমাধ্যমে ভুয়া খবরটি প্রচার হয়েছে, আবার কোনো কোনো ঘটনায় একটি ভুয়া খবর একাধিক গণমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে। এমনও দেখা গেছে, তথ্য যাচাই না করে অন্যের খবর কপি করে প্রকাশের কারণে কোনো কোনো ঘটনায় ১৫ এর অধিক মূলধারার গণমাধ্যম একই ভুয়া খবরের ফাঁদে পা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ফেসবুকের ফ্যাক্ট চেক পার্টনার হিসেবে বুম বাংলাদেশ দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেসব ভুয়া খবর নিয়ে কাজ করেছে, যেসব ভুয়া খবর গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে প্রচার করেছে। পরিসংখ্যানে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেসব ভুয়া খবরের হিসেবই উঠে এসেছে, যেসব ভুয়া খবরকে খণ্ডন করে বুম বাংলাদেশ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এবং গণমাধ্যমগুলোর সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পোস্টকে রেট করেছে। তাই এই পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুয়া খবরের পুরো চিত্র ফুটে উঠবে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বুম বাংলাদেশ   প্রথম আলো   ভুয়া খবর  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

সাব এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি অনিক, সম্পাদক জাওহার

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন ডিবিসি নিউজের মুক্তাদির অনিক। আর সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের আলোর জাওহার ইকবাল।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।

ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে ৩৫৯ ভোট পেয়ে মুক্তাদির অনিক বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কে এম শহীদুল হক ২৩২ ভোট এবং আবুল কালাম আজাদ পান ২২৮ ভোট।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে জাওহার ইকবাল খান ৪৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবীর আলমগীর পেয়েছেন ৩১৬ ভোট। 

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শহীদ রান ৪৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৌফিক অপু পেয়েছেন ৩২৯ ভোট।

নির্বাচনে সহসভাপতি পদে আলী ইমাম সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মনির আহমাদ জারিফ, কোষাধ্যক্ষ পদে নাজিম উদ-দৌলা সাদি, দফতর সম্পাদক পদে জাফরুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আরিফ আহমেদ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক পদে তারেক হোসেন বাপ্পি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নাহিদ হাসান, কল্যাণ সম্পাদক পদে মীম ওয়ালী উল্লাহ এবং নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে ফারজানা নাজনীন ফ্লোরা বিজয়ী হয়েছেন।

এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে শামসুল আলম সেতু, আনজুমান আরা শিল্পী, আজুমান আরা মুন, জেসমিন জাহান, তানজিমুল নয়ন, মাশরেকা জাহান ও মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বিজয়ী হয়েছেন।

সাব এডিটরস কাউন্সিল  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

বিডিনিউজ সম্পাদক খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট দাখিল

প্রকাশ: ০৬:৪৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আদালত আগামী ১০ জুন অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন রেখেছেন। দুদকের উপপরিদর্শক আক্কাস আলী এ তথ্য জানান।

গত ১৮ এপ্রিল তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলার চার্জশিটে অনুমোদন দেয় দুদক। 

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ওই মামলা করেন। 

এতে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের বৈধ উপার্জন ছাড়াই তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট্র ব্যাংক লিমিটেডের চারটি ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি এসব টাকা অর্জন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এর আগে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত বিডিনিউজের ৯টি ও তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নিজ নামে ১৩টি স্থায়ী আমানতের মোট ৪২ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছিলেন। তার আগে একই বছরের ২৬ নভেম্বর খালিদীকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিডিনিউজ প্রধান সম্পাদক। অভিযোগপত্র অনুমোদনের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘এ অভিযোগ এতটাই হাস্যকর, যুক্তিহীন ও ভিত্তিহীন যে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকে এটা গভীরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এক্ষেত্রে তদন্তের যে দীর্ঘসূত্রতা হলো, আর তার যে ফল এ পর্যন্ত এল, তাতে কার্যত ন্যায়বিচার থেকেই বঞ্চিত রাখা হলো। এ ধরনের প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সাধারণ মানুষের মনে আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে। তারপরও আমরা এর নিষ্পত্তিতে বিচার ব্যবস্থা এবং বিচারকদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে চাই। আমি আত্মবিশ্বাসী, ন্যায়বিচার আমি পাব।’

বিডিনিউজ   দুদক   তৌফিক ইমরোজ খালিদী  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

শেরপুর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিটিভি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও বাংলা ইনসাইডারের স্টাফ রিপোর্টার প্রতিনিধি মোঃ মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে শেরপুর প্রেসক্লাবের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে।

 

এর আগে ক্লাবের বিপুল সংখ্যক সদস্যসহ জেলার প্রায় পৌনে দুইশ সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ইতিপূর্বে সম্পূর্ন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি ক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও ব্যর্থতার অভিযোগে ক্লাবের সদস্যদের দাবীর মুখে শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। এতে ক্লাবের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য সর্বসম্মত সমর্থন প্রদান করেন।   

 

এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে শেরপুরের প্রবীন সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযুদ্ধা আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপ নেতা ও শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-১ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ছানুয়ার হোসেন, শেরপুর-৩ আসনের এমপি এডিএম শহিদুল ইসলাম, শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, জেলা জাসদের সভাপতি শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, শেরপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বায়েযীদ হাসানসহ আরো অনেকে।

 

এসময় বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাধীনভাবে খবর প্রচার করে আসছে। আমরা শেরপুরের সাংবাদিকদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমি নতুন নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই।’ 

 

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সদস্যরা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে। পরে সর্বসম্মতিক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের কাছে দায়িত্ব অর্পন করা হয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করার জন্য। উপদেষ্টা পরিষদ সভাপতি হিসেবে বিটিভি ও দৈনিক সমকালের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির স্টাফ রিপোর্টার মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করা হয়। 


প্রেসক্লাব   নতুন কমিটি  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

প্রথম আলো বিক্রি: দর কষাকষিতে চারটি শিল্প গ্রুপ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মিডিয়া স্টার লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রথম আলো বিক্রির জন্য মালিকপক্ষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা প্রথম আলো বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের সাথে কথাবার্তা বলছেন। প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান নিজেই দু একটি শিল্প গ্রুপের সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও মালিকপক্ষের অন্যরা সিমিন রহমান শাজরেহ হক দুজনই প্রথম আলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ করছেন বলে জানা গেছে। 

বিষয়ে বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, প্রথম আলো বিক্রির জন্য যে দর হাঁকা হয়েছে সেটি অনেক বেশি এবং একারণে আলাপ আলোচনা শুরু হলেও দর কষাকষি চলছে বেশ ভালোভাবেই। সাবের হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন কর্ণফুলী গ্রুপ প্রথম আলো কিনতে আগ্রহী ছিল। কিন্তু প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যে দাম চাওয়া হয়েছে সেই দামে কর্ণফুলী গ্রুপ প্রথম আলো কিনতে রাজি নয় বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। 


বিভিন্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে, কর্ণফুলী গ্রুপের দর কষাকষির প্রেক্ষাপটে আরও কয়েকটি বড় বড় শিল্প পরিবার প্রথম আলো কেনার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে এবং তারাও মিডিয়া স্টারের পরিচালকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শুরু করেছে। 

যে সমস্ত শিল্প গ্রুপ প্রথম আলো কেনার ব্যাপারে আগ্রহ উঠেছে তাদের মধ্যে এখন সবার শীর্ষে রয়েছে এস আলম গ্রুপ। এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এক সময় প্রথম আলোতে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি মতিউর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ প্রিয় ভজন হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক ভাবেও তারা এক সময়ে কমিউনিস্ট রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার মাধ্যমেই এস আলম গ্রুপ এখন প্রথম আলো গ্রুপের সঙ্গে পত্রিকা বিক্রির বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু করেছেন। 

প্রথম আলোর বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এখন এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তারা এই বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে দর কষাকষি করছে বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। দর কষাকষিতে পিছিয়ে নেই দেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ স্কয়ারও। স্কয়ার গ্রুপের সঙ্গে প্রথম আলোর একটি আলাদা সম্পর্ক রয়েছে। মতিউর রহমানের সঙ্গে স্কয়ার গ্রুপের মালিক দুই ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে স্কয়ার গ্রুপের অর্থায়নে প্রতি বছর প্রথম আলো মেরিল প্রথম-আলো উৎসব করে থাকে, যেখানে তারকাদেরকে পুরস্কার দিয়ে প্রথম আলোর একান্ত অনুগত করে রাখা হয়। স্কয়ার গ্রুপের পক্ষ থেকেও পত্রিকাটি কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। 


উল্লেখ্য, স্কয়ারের মালিকানাধীন মাছরাঙা টেলিভিশন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্কয়ার গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার অঞ্জন চৌধুরী পত্রিকা কেনার ব্যাপারে প্রথম আলোর মালিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও একাত্তর টেলিভিশনের মালিক প্রতিষ্ঠান এমজিআই বা মেঘনা মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজও প্রথম আলো কিনতে আগ্রহী। এমজিআই অন্যতম দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং একাত্তর টেলিভিশনের মালিকানায় রয়েছে। তারা প্রথম আলো কেনার ব্যাপারে ইতোমধ্যে কথাবার্তা বলছে বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

একাধিক সূত্র বলছে, প্রথম আলো বিক্রির জন্য যে দাম চাওয়া হচ্ছে সেটি অনেক বেশি। আর এ কারণেই এখন দর দামের বিষয়টি মূখ্য হয়ে উঠেছে। তবে প্রথম আলো যে শেষ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে সেটি এখন পর্যন্ত মোটামুটি নিশ্চিত।

প্রথম আলো   স্কয়ার গ্রুপ   মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ   একাত্তর টিভি   মিডিয়া স্টার লিমিটেড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন