অপসাংবাদিকতা, সরকার বিরোধী অপপ্রচার, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিরর লক্ষ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রদ্রোহি সংবাদ পরিবেশন করে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বিবৃতি প্রদান করিয়ে বার বারই পার পেয়ে যায় প্রথম আলো। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের সংখ্যায় রাষ্ট্রবিরোধী, রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নিয়ে কটুক্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করে আবারও সেই বিবৃতির ছকে বাঁধা ক্ষমতা প্রদর্শন করছে প্রথম আলো।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকেই প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ বিশ্লেষনে দেখা যায়, সেই বিবৃতির ধারাবাহিকতার চীরচেনা ছক। এই ছকে বাঁধা দেশী-বিদেশী সংস্থা বা ব্যক্তিদের বিবৃতি ছাপিয়ে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান প্রমাণ করতে চাইছেন তিনি ক্ষমতাধর।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল ওশোনোগ্রাফিক কমিশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে বিদেশিদের মন্তব্য, বিবৃতি, হস্তক্ষেপ কখনোই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি, হবেও না। এগুলো আমলে নেওয়া জরুরি নয়।’
অন্যদিকে প্রথম আলোর এসব কর্মকাণ্ডকে অপসাংবাদিকতা ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করছেন সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ মহল। সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ মহল বলছেন, যখনই তাদের (প্রথম আলোর) বিরুদ্ধে কোনো আইনী ব্যবস্থা বা অন্য কোনো কিছু করা হয়। তখনই তাদের সহযোগিতায় থাকা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে বিবৃতি দেওয়ায় প্রথম আলো ও এর সম্পাদক মতিউর রহমান। যার কারণ হচ্ছে, এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিবৃতির মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করানো।
জানা গেছে, ২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদনে প্রথম আলো ইচ্ছাকৃত এবং পূর্বপরিকল্পিতভাবে ‘গ্রাফিক কার্ড’-এ একটি শিশুর ছবি দিয়ে ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করে। ওই সংবাদে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে- যা একটি দেশের ভাবমূর্তি ও অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এই অভিযোগে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং সংবাদ সংশ্লিষ্ট সাভার প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এ সংক্রান্ত দুটি মামলা হলেও একটি মামলায় ওই প্রতিবেদক সামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সর্বশেষ কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞ মহল বলছেন, প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধিকে সিআইডি আটক করার পর থেকেই দৈনিকটির সেই চীরচেনা বিবৃতির ছক প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। গত দু’দিন থেকে প্রথম আলো পত্রিকায় যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার অধিকাংশই এসব বিবৃতির সংবাদ এবং সরকারের প্রতি আক্রোসমূলক।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা এবং শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ, ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। তারা বলেছে, এ ধরনের মামলা ও সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করবে। এছাড়া, প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তার সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন সম্পাদক পরিষদ, নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (নোয়াব) বিভিন্ন মানবাধিকার, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহ্ফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সংবাদকর্মীরা ক্রমাগতভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সাংবাদিক গ্রেফতার, নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনায় বিদেশীদের মন্তব্য বা বিবৃতি সরকারের জন্য বাঁধার কারণ নয়। এ ধরনের ঘটনায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তিতে ন্যূনতম আঁচড়ও পড়বে না। আদালতের রায়ে যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগের দিন বা পরেরদিন একটি করে ফ্যাক্স পেতাম আমরা। তারা পাঠিয়ে এটাও বলতেন যে, এটা তাদের পলিসিতে নেই। কিন্তু পাঠাতে হয়। আমরা তোমাদের (বাংলাদেশ) ‘গ্রাউন্ড রিয়ালিটি’ (বাস্তব অবস্থা) বুঝি। সুতরাং এটা আমাদের গ্রাউন্ড রিয়ালিটি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান- এটি এত ঠুনকো নয় যে, যে কোনো কিছুর সঙ্গে এটির তুলনা করা যাবে। আমাদের সবার দায়িত্ববান হওয়ার প্রয়োজন আছে।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় সবারই কমবেশি চ্যালেঞ্জ আছে। যে দেশগুলো বিবৃতি দেয়, সেখানে আইন করা হয়েছে যে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ির পথরোধ করে দাবি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হলে সাত বছরের জেল হবে। সে দেশেও আইন পরিবর্তনের জন্য মানুষ রাস্তায় নামছে।’
প্রথম আলো বিবৃতি দায় রাষ্ট্রদ্রোহী
মন্তব্য করুন
বুম বাংলাদেশ প্রথম আলো ভুয়া খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিডিনিউজ দুদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী
মন্তব্য করুন
বিটিভি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও বাংলা ইনসাইডারের স্টাফ রিপোর্টার প্রতিনিধি মোঃ মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে শেরপুর প্রেসক্লাবের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে।
এর আগে ক্লাবের বিপুল সংখ্যক সদস্যসহ জেলার প্রায় পৌনে দুইশ সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ইতিপূর্বে সম্পূর্ন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি ক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও ব্যর্থতার অভিযোগে ক্লাবের সদস্যদের দাবীর মুখে শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। এতে ক্লাবের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য সর্বসম্মত সমর্থন প্রদান করেন।
এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে শেরপুরের প্রবীন সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযুদ্ধা আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপ নেতা ও শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-১ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ছানুয়ার হোসেন, শেরপুর-৩ আসনের এমপি এডিএম শহিদুল ইসলাম, শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, জেলা জাসদের সভাপতি শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, শেরপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বায়েযীদ হাসানসহ আরো অনেকে।
এসময় বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাধীনভাবে খবর প্রচার করে আসছে। আমরা শেরপুরের সাংবাদিকদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমি নতুন নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই।’
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সদস্যরা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে। পরে সর্বসম্মতিক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের কাছে দায়িত্ব অর্পন করা হয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করার জন্য। উপদেষ্টা পরিষদ সভাপতি হিসেবে বিটিভি ও দৈনিক সমকালের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির স্টাফ রিপোর্টার মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করা হয়।
মন্তব্য করুন
প্রথম আলো স্কয়ার গ্রুপ মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ একাত্তর টিভি মিডিয়া স্টার লিমিটেড
মন্তব্য করুন
দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে ২০২৩ সালে ছড়ানো ভুয়া খবর পরিসংখ্যানের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুম বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৪৪টি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর চিহ্নিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে রেটিংয়ের মুখে পড়েছে। আগের তিন বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।
মিডিয়া স্টার লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রথম আলো বিক্রির জন্য মালিকপক্ষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা প্রথম আলো বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের সাথে কথাবার্তা বলছেন। প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান নিজেই দু একটি শিল্প গ্রুপের সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও মালিকপক্ষের অন্যরা সিমিন রহমান শাজরেহ হক দুজনই প্রথম আলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ করছেন বলে জানা গেছে।