প্রেস ইনসাইড

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত সংবাদকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকার শাহবাগে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রথম আলো এবং মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হবে, ততক্ষণ আমাদের এই আন্দোলন চলতে থাকবে। 

শনিবার (১ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান নিয়ে তারা যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’- ব্যানারে এই কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে।


এদিকে শনিবার (১ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিয়ে তামাশা করা কোনো ভুল নয়, এটি ফৌজদারি অপরাধ। দেশি- বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা আরও একটি পঁচাত্তর তৈরি করতে চাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য আগামী নির্বাচন ভণ্ডুল করে অনির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত করা। স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর সংবাদ সে ষড়যন্ত্রেরই অংশ।’

যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের উপস্থিতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইফতারের দাওয়াত দিয়ে সাংবাদিকদের বেধড়ক পিটিয়ে বিএনপি দোষ চাপায় আওয়ামী লীগের ওপর। প্রথম আলো আর বিএনপি একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। তাদের টার্গেট হলো সরকার।’


অন্যদিকে, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত ‘শিশুর নামে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে অসত্য সংবাদ পরিবেশন’র বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং দেশের টিভি চ্যানেল, বেতার, সংবাদপত্র ও অনলাইন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সম্মিলিত সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ। শুক্রবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা এবং এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু ও সাধারণ সম্পাদক ইনাম আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক দু’টি  বিবৃতি দেন।

এছাড়াও, প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রতিবেদক ও পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর একাধিক বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিদেশি এ সমস্ত গণমাধ্যম বলছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রতিবেদক শামসুজ্জামান এবং মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে এবং এই সংবাদের প্রতিবেদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, প্রথম আলো প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়- ভুল, অসত্য এবং ‘পলিটিক্যালি মোটিভেটেড’, উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রতিবেদন করার কারণে। যে বিষয়টি বিদেশি গণমাধ্যমগুলো উল্লেখ করেনি। কেননা রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজারের প্রগতি ভবনে অবস্থিত প্রথম আলো অফিস থেকে এ সকল বিদেশি গণমাধ্যমে ‘সংবাদ বিজ্ঞপ্তি’ পাঠানো হয়েছে এবং এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সূত্র ধরেই বিদেশি গণমাধ্যমগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে সূত্র। সূত্রটি বলছে, প্রথম আলো অফিস থেকে বিদেশি গণমাধ্যমুগলোতে ‘সংবাদ বিজ্ঞপ্তি’ পাঠানোর কাজে সহযোগিতা করেছেন প্রথম আলোর বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন সংবাদকর্মী। 

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, মূলত একটি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের সাবেক সংবাদকর্মী, এখন প্রথম আলোতে কর্মরত; তিনি এবং তার বেশ কিছু সহযোগী মিলে প্রথম আলো অফিস থেকে এ সকল বিদেশি সংবাস মাধ্যমে এবং কূটনৈতিক পাড়ায়, বিশেষ করে সরকার বিরোধী বিভিন্ন মহলে চিঠি ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন। এছাড়াও দেশিয় বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিকে দিয়ে বিবৃতি প্রদান করানো এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা যেমন জাতিসংঘ, বিভিন্ন বিদেশি হাই কমিশনার, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার, পশ্চিমা দেশগুলোর বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সরকার বিরোধী চিঠি এবং সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে তাদেরকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুল বোঝানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন তারা। এসব করে সরকারকে একটি চাপে ফেলার চেষ্টা করছেন তারা। এ ধরনের রাাষ্ট্রবিরোধী, সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ড ফৌজদারি ও রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধ। যার মূলনায়ক হচ্ছেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।          

এদিকে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এএফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামান সামিসহ বেশ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবারও একই দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সে সময় উপস্থিত হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চে প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক সংবাদ প্রতিবেদনের জেরে গত বুধবার ভোররাতে সিআইডি পরিচয়ে ওই প্রতিবেদনের প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে তার সাভারের বাসা থেকে আটক করা হয়। পরে ওই প্রতিবেদনে ‘মিথ্যা ও জাতির জন্য মানহানিকর’ তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ ও প্রচারের অভিযোগে সেই রাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয় শামসের বিরুদ্ধে। পরে আরেকটি মামলা হয়, সেই মামলায় শামসের সঙ্গে প্রথম আলোর সম্পাদককেও আসামি করা হয়।

সেই মামলায় শামসকে কারাগারে পাঠানোর পর এখন মতিউর রহমানকেও গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’- ব্যানারে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। শনিবারের এই কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ নেতা জামান সামি বলেন, ‘তারা (প্রথম আলো) সব সময়ই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এসব দেখে আমরা বসে থাকতে পারি না। আমরা এর বিচার চাই।’

শাহরিয়ার শহিদ শুভ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রথম আলো পাবলিক সেন্টিমেন্টকে ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত করতে গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের দাবি, প্রথম আলোর লাইসেন্স বাতিল ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা।’

সমাবেশে অংশ নেওয়া আরেক শিক্ষার্থী শাহ ইবনে সোয়াদ বলেন, ‘স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এই কাজ করা হয়েছে। এটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।’

তানভীর মাহতাব নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রথম আলো বারবার এ ধরনের মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। আমরা প্রথম আলোর এই মিথ্যা সংবাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি। আমরা প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।’

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিবৃতিতে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, ‘করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের সংকট মোকাবিলা করে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর সংবাদ যে মুহূর্তে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, সেই মুহূর্তে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে সরকারের বিরোধিতার নামে রাষ্ট্রকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষকরা বিবৃতিতে বলেন, ‘এ ধরনের সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি এবং সেইসঙ্গে উক্ত সংবাদপত্রসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায়  ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

এডিটরস গিল্ডের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত প্রথম আলোর বিতর্কিত প্রতিবেদনটি মহান স্বাধীনতাকে হেয় করার শামিল। এটি সাংবাদিকতার নামে এজেন্ডা বাস্তবায়নের ধারাবাহিক চেষ্টার অংশ। বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ সাংবাদিকতা নয়, অপসাংবাদিকতা। এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।’

এদিকে দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলা এবং শামসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং সাংবাদিক শামসকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে আসছে। এই প্রসঙ্গ ধরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ অবিলম্বে স্থগিত করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ফোলকার টুর্ক।


প্রথম আলো   সম্পাদক   মতিউর রহমান   গ্রেপ্তার   বিচার  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

ভুয়া খবর প্রকাশের তালিকায় প্রথম আলো!

প্রকাশ: ০৩:৩১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে ২০২৩ সালে ছড়ানো ভুয়া খবর পরিসংখ্যানের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বুম বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে প্রকাশিত খবরের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৪৪টি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর চিহ্নিত হয়েছে এবং গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে রেটিংয়ের মুখে পড়েছে। আগের তিন বছরের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।

বুম বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে সর্বোচ্চসংখ্যক ভুয়া খবর প্রচার করেছে সময় টিভি, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আরটিভি ও বাংলানিউজ। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তালিকায় স্থান পেয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আস্থাভাজন দৈনিক গণমাধ্যম প্রথম আলো।

বুম বাংলাদেশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভুয়া খবর প্রচারে টানা চতুর্থবারের মতো শীর্ষে রয়েছে বেসরকারি টেলিভিশন ‘সময় টিভি’। ২০২৩ সালে গণমাধ্যমটি এককভাবে সর্বোচ্চ ৯টি ভুয়া খবর প্রচার করেছে। এ ছাড়া ৭টি ভুয়া খবর প্রচার করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আরেক বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভি এবং ৬টি ভুয়া খবর প্রকাশ করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজ২৪।

এ ছাড়া ৫টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে ঢাকা পোস্ট, আজকের পত্রিকা, সমকাল, আমাদের সময় ও দৈনিক ইত্তেফাক। ৪টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে চ্যানেল ২৪, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, বাংলা ট্রিবিউন ও প্রথম আলো। ৩টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে ডিবিসি নিউজ, বিডিনিউজ২৪, জাগোনিউজ২৪, জুম বাংলা, ডেইলি বাংলাদেশ, যমুনা টিভি, রাইজিং বিডি, একাত্তর টিভি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন। ২টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে চ্যানেল আই, নাগরিক টিভি, ইনকিলাব, নয়া দিগন্ত, মানবকণ্ঠ, কালবেলা, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, নিউজ ২৪, মানবজমিন, বাংলা ভিশন, সংবাদ প্রকাশ, সারাবাংলা ডট নেট ও বাংলাদেশ জার্নাল। ১টি করে ভুয়া খবর প্রচার করেছে বৈশাখী টিভি, দৈনিক আমাদের সময়, সাম্প্রতিক দেশকাল, ঢাকা মেইল, দেশ টিভি, নিউ ন্যাশন, দেশ রুপান্তর, বাংলাদেশ টুডে, ভোরের কাগজ, সময়ের আলো, নিউজবাংলা, দৈনিক বাংলা, যায়যায়দিন, দৈনিক সংগ্রাম, ভোরের ডাক, প্রতিদিনের বাংলাদেশ, এনটিভি, নয়া শতাব্দী, বায়ান্ন টিভি ও বিবিএস বাংলা।

বুম বাংলাদেশের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে দেশীয় মূলধারার গণমাধ্যমে মোট ৪৪টি ঘটনায় ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার হতে দেখা গেছে। এই ৪৪টি ঘটনার মধ্যে কোনো ঘটনায় একটি গণমাধ্যমে ভুয়া খবরটি প্রচার হয়েছে, আবার কোনো কোনো ঘটনায় একটি ভুয়া খবর একাধিক গণমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে। এমনও দেখা গেছে, তথ্য যাচাই না করে অন্যের খবর কপি করে প্রকাশের কারণে কোনো কোনো ঘটনায় ১৫ এর অধিক মূলধারার গণমাধ্যম একই ভুয়া খবরের ফাঁদে পা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ফেসবুকের ফ্যাক্ট চেক পার্টনার হিসেবে বুম বাংলাদেশ দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেসব ভুয়া খবর নিয়ে কাজ করেছে, যেসব ভুয়া খবর গণমাধ্যমগুলো তাদের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে প্রচার করেছে। পরিসংখ্যানে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সেসব ভুয়া খবরের হিসেবই উঠে এসেছে, যেসব ভুয়া খবরকে খণ্ডন করে বুম বাংলাদেশ প্রতিবেদন তৈরি করেছে এবং গণমাধ্যমগুলোর সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পোস্টকে রেট করেছে। তাই এই পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভুয়া খবরের পুরো চিত্র ফুটে উঠবে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বুম বাংলাদেশ   প্রথম আলো   ভুয়া খবর  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

সাব এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি অনিক, সম্পাদক জাওহার

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন ডিবিসি নিউজের মুক্তাদির অনিক। আর সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের আলোর জাওহার ইকবাল।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।

ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে ৩৫৯ ভোট পেয়ে মুক্তাদির অনিক বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কে এম শহীদুল হক ২৩২ ভোট এবং আবুল কালাম আজাদ পান ২২৮ ভোট।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে জাওহার ইকবাল খান ৪৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কবীর আলমগীর পেয়েছেন ৩১৬ ভোট। 

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শহীদ রান ৪৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৌফিক অপু পেয়েছেন ৩২৯ ভোট।

নির্বাচনে সহসভাপতি পদে আলী ইমাম সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মনির আহমাদ জারিফ, কোষাধ্যক্ষ পদে নাজিম উদ-দৌলা সাদি, দফতর সম্পাদক পদে জাফরুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আরিফ আহমেদ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক পদে তারেক হোসেন বাপ্পি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নাহিদ হাসান, কল্যাণ সম্পাদক পদে মীম ওয়ালী উল্লাহ এবং নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে ফারজানা নাজনীন ফ্লোরা বিজয়ী হয়েছেন।

এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে শামসুল আলম সেতু, আনজুমান আরা শিল্পী, আজুমান আরা মুন, জেসমিন জাহান, তানজিমুল নয়ন, মাশরেকা জাহান ও মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বিজয়ী হয়েছেন।

সাব এডিটরস কাউন্সিল  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

বিডিনিউজ সম্পাদক খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট দাখিল

প্রকাশ: ০৬:৪৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আদালত আগামী ১০ জুন অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন রেখেছেন। দুদকের উপপরিদর্শক আক্কাস আলী এ তথ্য জানান।

গত ১৮ এপ্রিল তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলার চার্জশিটে অনুমোদন দেয় দুদক। 

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ওই মামলা করেন। 

এতে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের বৈধ উপার্জন ছাড়াই তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট্র ব্যাংক লিমিটেডের চারটি ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি এসব টাকা অর্জন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এর আগে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত বিডিনিউজের ৯টি ও তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নিজ নামে ১৩টি স্থায়ী আমানতের মোট ৪২ কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছিলেন। তার আগে একই বছরের ২৬ নভেম্বর খালিদীকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিডিনিউজ প্রধান সম্পাদক। অভিযোগপত্র অনুমোদনের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘এ অভিযোগ এতটাই হাস্যকর, যুক্তিহীন ও ভিত্তিহীন যে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকে এটা গভীরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এক্ষেত্রে তদন্তের যে দীর্ঘসূত্রতা হলো, আর তার যে ফল এ পর্যন্ত এল, তাতে কার্যত ন্যায়বিচার থেকেই বঞ্চিত রাখা হলো। এ ধরনের প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সাধারণ মানুষের মনে আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে। তারপরও আমরা এর নিষ্পত্তিতে বিচার ব্যবস্থা এবং বিচারকদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে চাই। আমি আত্মবিশ্বাসী, ন্যায়বিচার আমি পাব।’

বিডিনিউজ   দুদক   তৌফিক ইমরোজ খালিদী  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

শেরপুর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিটিভি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও বাংলা ইনসাইডারের স্টাফ রিপোর্টার প্রতিনিধি মোঃ মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে শেরপুর প্রেসক্লাবের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে।

 

এর আগে ক্লাবের বিপুল সংখ্যক সদস্যসহ জেলার প্রায় পৌনে দুইশ সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ইতিপূর্বে সম্পূর্ন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি ক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও ব্যর্থতার অভিযোগে ক্লাবের সদস্যদের দাবীর মুখে শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। এতে ক্লাবের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য সর্বসম্মত সমর্থন প্রদান করেন।   

 

এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে শেরপুরের প্রবীন সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযুদ্ধা আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় ভার্চুয়ালী যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপ নেতা ও শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-১ সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ছানুয়ার হোসেন, শেরপুর-৩ আসনের এমপি এডিএম শহিদুল ইসলাম, শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার কামাল, জেলা জাসদের সভাপতি শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, শেরপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বায়েযীদ হাসানসহ আরো অনেকে।

 

এসময় বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাধীনভাবে খবর প্রচার করে আসছে। আমরা শেরপুরের সাংবাদিকদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমি নতুন নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই।’ 

 

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সদস্যরা উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে। পরে সর্বসম্মতিক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের কাছে দায়িত্ব অর্পন করা হয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করার জন্য। উপদেষ্টা পরিষদ সভাপতি হিসেবে বিটিভি ও দৈনিক সমকালের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্রাচার্যকে সভাপতি ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির স্টাফ রিপোর্টার মেরাজ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত করা হয়। 


প্রেসক্লাব   নতুন কমিটি  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

প্রথম আলো বিক্রি: দর কষাকষিতে চারটি শিল্প গ্রুপ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মিডিয়া স্টার লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রথম আলো বিক্রির জন্য মালিকপক্ষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা প্রথম আলো বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের সাথে কথাবার্তা বলছেন। প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান নিজেই দু একটি শিল্প গ্রুপের সাথে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও মালিকপক্ষের অন্যরা সিমিন রহমান শাজরেহ হক দুজনই প্রথম আলো বিক্রির জন্য বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ করছেন বলে জানা গেছে। 

বিষয়ে বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, প্রথম আলো বিক্রির জন্য যে দর হাঁকা হয়েছে সেটি অনেক বেশি এবং একারণে আলাপ আলোচনা শুরু হলেও দর কষাকষি চলছে বেশ ভালোভাবেই। সাবের হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন কর্ণফুলী গ্রুপ প্রথম আলো কিনতে আগ্রহী ছিল। কিন্তু প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যে দাম চাওয়া হয়েছে সেই দামে কর্ণফুলী গ্রুপ প্রথম আলো কিনতে রাজি নয় বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। 


বিভিন্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে, কর্ণফুলী গ্রুপের দর কষাকষির প্রেক্ষাপটে আরও কয়েকটি বড় বড় শিল্প পরিবার প্রথম আলো কেনার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে এবং তারাও মিডিয়া স্টারের পরিচালকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শুরু করেছে। 

যে সমস্ত শিল্প গ্রুপ প্রথম আলো কেনার ব্যাপারে আগ্রহ উঠেছে তাদের মধ্যে এখন সবার শীর্ষে রয়েছে এস আলম গ্রুপ। এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এক সময় প্রথম আলোতে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি মতিউর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ প্রিয় ভজন হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক ভাবেও তারা এক সময়ে কমিউনিস্ট রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার মাধ্যমেই এস আলম গ্রুপ এখন প্রথম আলো গ্রুপের সঙ্গে পত্রিকা বিক্রির বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু করেছেন। 

প্রথম আলোর বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এখন এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তারা এই বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে দর কষাকষি করছে বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। দর কষাকষিতে পিছিয়ে নেই দেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ স্কয়ারও। স্কয়ার গ্রুপের সঙ্গে প্রথম আলোর একটি আলাদা সম্পর্ক রয়েছে। মতিউর রহমানের সঙ্গে স্কয়ার গ্রুপের মালিক দুই ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে স্কয়ার গ্রুপের অর্থায়নে প্রতি বছর প্রথম আলো মেরিল প্রথম-আলো উৎসব করে থাকে, যেখানে তারকাদেরকে পুরস্কার দিয়ে প্রথম আলোর একান্ত অনুগত করে রাখা হয়। স্কয়ার গ্রুপের পক্ষ থেকেও পত্রিকাটি কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। 


উল্লেখ্য, স্কয়ারের মালিকানাধীন মাছরাঙা টেলিভিশন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্কয়ার গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার অঞ্জন চৌধুরী পত্রিকা কেনার ব্যাপারে প্রথম আলোর মালিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও একাত্তর টেলিভিশনের মালিক প্রতিষ্ঠান এমজিআই বা মেঘনা মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজও প্রথম আলো কিনতে আগ্রহী। এমজিআই অন্যতম দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং একাত্তর টেলিভিশনের মালিকানায় রয়েছে। তারা প্রথম আলো কেনার ব্যাপারে ইতোমধ্যে কথাবার্তা বলছে বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

একাধিক সূত্র বলছে, প্রথম আলো বিক্রির জন্য যে দাম চাওয়া হচ্ছে সেটি অনেক বেশি। আর এ কারণেই এখন দর দামের বিষয়টি মূখ্য হয়ে উঠেছে। তবে প্রথম আলো যে শেষ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে সেটি এখন পর্যন্ত মোটামুটি নিশ্চিত।

প্রথম আলো   স্কয়ার গ্রুপ   মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ   একাত্তর টিভি   মিডিয়া স্টার লিমিটেড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন