ইনসাইড গ্রাউন্ড

রাশিয়া বিশ্বকাপে আন্ডারডগ যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ১৩ জুন, ২০১৮


Thumbnail

অনেকেই বিশ্বকাপে ছোট এবং অচেনা দলগুলোর সঙ্গে লড়তে চায় না। ড্র’য়ের আগে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে এমন কোনো দল যেন তাঁদের গ্রুপসঙ্গী না হয়। মোদ্দাকথা বিশ্বকাপে আন্ডারডগ মানেই যেন মূর্তিমান আতঙ্ক। প্রায়ই দেখা যায় যে আন্ডারডগ দলগুলো পাল্টে দেয় খেলার ছক। ওলটপালট করে দেয় ফেবারিট দলগুলোর বিশ্বকাপ মিশন।

রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল, বেলজিয়ামসহ বেশকিছু দেশের দিকে সবার নজর থাকবে। কেননা দলগুলো বেশ বড় তারকায় ঠাসা। তবে প্রতিবারই হিসেবের বাইরে থাকা আন্ডারডগ দলগুলো অসাধারণ নৈপুণ্যে চমকে দেয় ফুটবলবিশ্বকে। চলুন দেখা নেয়া যাক এমন কয়েকটি দল: 

মিশর
ফুটবল বিশ্বে বর্তমান সময়ের আলোচিত নাম মোহাম্মেদ সালাহ। লিভারপুলের হয়ে ইউরোপীয় ফুটবলে আলো ছড়াচ্ছেন এই মিশরীয় ফুটবলার। আর সালাহ’র হাত ধরেই বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার আশা বুনছে মিশর। এর অবশ্য অনেক যৌক্তিক কারণ আছে। কেননা ইউরোপীয় ফুটবলে রোনালদো-মেসি- নেইমারদের পাশ কাটিয়ে ছড়ি ঘুড়াচ্ছেন মোহাম্মেদ সালাহ। এই দলে সালাহ ছাড়াও বেশ কয়েকজন ভালো মানের খেলোয়াড় আছে।

২০১৫ সালে মিশরের কোচের দায়িত্ব পান হেক্টর কুপার। কোচিং ক্যারিয়ারে ভ্যালেন্সিয়া, ইন্টার মিলান, রিয়াল বেতিসের মতো ক্লাবে কোচের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া ২০০৮-২০০৯ মৌসুমে জর্জিয়ার ফুটবলকে নতুন মাত্রা দেন হেক্টর। তবে হেক্টর কুপার মিশরের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাঁর অধীণে এখন পর্যন্ত ৩০টি ম্যাচ খেলেছে সালাহরা। আর এই ৩০ ম্যাচে মাত্র একবার একটির বেশি গোল হজম করেছে মিশর। এ সব কিছুকে পাশ কাটিয়ে মিশরের শক্তির জায়গা তাদের আক্রমণভাগ এবং দুর্বলতা হলো অভিজ্ঞতা।

প্লেয়ার টু ওয়াচ: মোহাম্মেদ সালাহ (লিভারপুল)।

আইসল্যান্ড
প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলছে আইসল্যান্ড। মাত্র ৩ লাখ ৩৪ হাজার জনসংখ্যার দেশটি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করা সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ। ইংল্যান্ডকে ২০১৬ ইউরো থেকে ছিটকে দিয়ে নিজেদের সামর্থের প্রমাণ তারা আগেই দিয়েছে। সেবার ইউরোতে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিলো তাঁরা। বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে আয়ারল্যান্ড খুব ভালো খেলেছে এবং প্রমাণ করেছে যে শুধুমাত্র হাইপ দিয়ে তারা এই পজিশনে আসেনি। তাই এবার পালা বিশ্বকাপে নিজেদের প্রমাণের।

প্লেয়ার টু ওয়াচ: আইসল্যান্ডের সবচেয়ে বড় তারকা নিঃসন্দেহে গিলফি সিগারসন। তবে তাঁর সঙ্গে বিরকির বায়ারসন(এ্যস্টন ভিলা), এ্যারন গুনারসন(কার্ডিফ সিটি) এবং আলফ্রেড ফিনবোগাসন(এফসি আউসবুর্গ)রা আছে যথেষ্ঠ সাহায্যের জন্য। গ্রুপ ডি’তে আর্জেন্টিনা, ক্রোয়েশিয়া আর নাইজেরিয়ার সাথে পড়া আইসল্যান্ড কতোদূর যেতে পারবে সেটা সময় বলে দিবে তবে তারা যে জান দিয়ে খেলবে এই ব্যাপার সন্দেহ নাই।

ডেনমার্ক
ডেনমার্ককে নিয়ে আলোচনা কম হয় কিন্তু তাঁরাও অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া একটি দল। ডেনমার্ক সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলেছিলো ২০১০ সালে। তবে বিশ্বকাপে তাদের সেরা সাফল্য আসে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে। সেবার কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল ড্যানিশরা। তবে এবারের ডেনমার্কের শক্তি মাঝমাঠ। ইউরোপীয়ান বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘ই’-তে পোলান্ডের পেছনে থেকে রানার্স আপ হয় ডেনমার্ক। এরপর আয়ারল্যান্ডকে প্লে-অফে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপে পা রাখে তারা। কোচ এরিকজ হারিদা ৪-৩-৩ ফরমেশনে খেলতে পছন্দ করেন। অর্থাৎ খেলার ধরন আক্রমণাত্মক। তবে দলটির মূল সমস্যা ভালো স্ট্রাইকারের অভাব, অর্থাৎ ফরোয়াড লাইনে সমস্যা আছে। বাছাইপর্বে ডেনমার্ক ২৫টি গোল করে, যার মধ্যে স্ট্রাইকাররা করে ৬টি গোল।

প্লেয়ার টু ওয়াচ: ডেনমার্ক দলে আছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন (টটেনহ্যাম)। ২০১০ সাল থেকে বিশ্বকাপ খেলছেন এই খেলোয়াড়। সেবার ছিলেন কনিষ্ঠতম সদস্য এবার অভিজ্ঞ। বাছাইপর্বের ১২ ম্যাচে ১১ গোলই তাঁর সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়।

নাইজেরিয়া
আফ্রিকার ‘সুপার ঈগল’রা এবার সবাইকে চমকে দিতে পারে। বিশ্বকাপের আসরে নাইজেরিয়ার জার্সিতে নামার অপেক্ষায় থাকা খেলোয়াড়দের গড় বয়স ২৪.৯ বছর। এত কম গড় বয়স নিয়ে আর কোন দল মাঠে নামছেনা এবারের বিশ্বকাপে। এই নিয়ে যষ্ঠবারের মত বিশ্বকাপ খেলবে নাইজেরিয়া। তরুণ এই দলকে নিয়ে বেশ আশাবাদী তাদের কোচ গারনট রোর ও অধিনায়ক জন ওবি মিকেল। তাছাড়া এই দলটিই কয়েক মাস আগে এক প্রীতি ম্যাকচে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে। সেই সঙ্গে নাইজেরিয়া সুশৃঙ্খল ও শান্ত একটি দল। সবাই সবার কাজ জানে এবং সেভাবেই করে যাচ্ছে। গত নভেম্বরে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ৪-২ গোলে জেতা ম্যাচটিতে তাঁরা তাঁরা কতটা ভয়ংকর হতে পারে। তাঁদের অ্যাটাক গ্রুপের অন্য তিন দিল- আর্জেন্টিনা, আইসল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়াকে সমস্যায় ফেলতে পারে। আর এই চার দল নিয়ে গড়া গ্রুপ ডি হলো এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে  কঠিন গ্রুপ।

প্লেয়ার টু ওয়াচ: জন ওবি মিকেল (তাইনজিন টেডা), অ্যালেক্স ইয়োবি (আর্সেনাল) এবং কেলেচি ইহিয়ানাচো(লেস্টার সিটি)।

অস্ট্রেলিয়া
২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপ থেকে নিয়মিত ফুটবলের এই বড় আসরে খেলছে অস্ট্রেলিয়া। জানলে অনেকেই অবাক হতে পারেন বাছাই পর্ব পেরোতে সকারুজদের প্রায় ২৫০০০০ মাইল ভ্রমন করতে হয়েছে। তবে এবার তারা অনেক কাঠখোড়ন পেরিয়ে বিশ্বকাপে এসেছে। বাছাইপর্বে জাপান এবং সৌদি আরবের পেছনে ছিল তারা। যার কারনে দু’দুটি প্লে-অফ খেলতে হয়েছে তাদের। প্রথমে সিরিয়া এবং এরপর হন্ডুরাস। অস্ট্রেলিয়ায় দলেরও মূল শক্তির জায়গা টিম স্পিরিট। আর দুর্বলতার জায়গা ভালো স্ট্রাইকারের অভাব, অর্থাৎ ফরোয়াড লাইনে সমস্যা আছে। ৩৮ বছর বয়সেও আক্রমণভাগের প্রাধান টিম কাহিল। সেই সঙ্গে সকারুজদের দীর্ঘদিনের কোচ এঙ্গু পোস্তগলু পদত্যাগ করার পর এখনও কোচের দেখা পায়নি তারা। অথচ বিশ্বকাপের আছে মাত্র একমাস।

প্লেয়ার টু ওয়াচ: অ্যারন মোই। ইপিএলের দল হাডার্সফিল্ডে খেলা এই মিডফিল্ডার হতে পারে অজিদের মূল ভরসা।

বাংলা ইনসাইডার/ডিআর



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইনজুরি কাটিয়ে শীঘ্রই মাঠে ফিরছেন কোর্তোয়া

প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লা লিগা থেকে শুরু করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের গোলবার সামলানোর দায়িত্বে একবারও দেখা যায়নি থিবো কোর্তোয়াকে। কারণ মৌসুম শুরুর পূর্বেই চোটে পড়েছিলেন তিনি। তবে লম্বা সময় পর আবারও মাঠে ফিরবেন বেলজিয়ান এই তারকা, এমনটাই জানিয়েছেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

গত বছরের আগস্টে অনুশীলনের সময় ইনজুরিতে পড়েন কোর্তোয়া। পরবর্তীতে টেস্ট করানোর পর জানা যায় বাঁ হাঁটুর এন্টিরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্টে (এসিএল) চিড় ধরা পড়ে। দীর্ঘ পুনর্বাসনের পর ওই চোট কাটিয়ে গত মাসে অনুশীলনে ফিরেছিলেন তিনি। তবে মাঠে ফেরার আগেই অনুশীলনে আবারও চোট পান। এমআরআই স্ক্যানে তার হাঁটুর মেনিসকাসে চিড় ধরা পড়লে আবারও ছিটকে যান।  

ফের চোট কাটিয়ে এবার মাঠে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে কোর্তোয়ার। এই ব্যাপারে রিয়াল কোচ আনচেলত্তি বলেন, ‘সামনে আমাকে দল সাজানো নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে ভাবতে হবে। দলে অনেক চোট সমস্যা আঘাত হেনেছে। কোর্তোয়া ভালো আছে। আগামী সপ্তাহে সে প্রস্তুত হয়ে উঠবে এবং কাদিসের (আগামী ৪ মে) বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারে। ’

বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের পাশাপাশি কোর্তোয়ার চোটে বড় ধাক্কা খায় রিয়াল। তবে আন্দ্রে লুনিন তার অনুপুস্থিতি একদমই বুঝতে দেননি। তার নৈপুণ্যে লিগের শীর্ষস্থানের পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।


বেলজিয়াম   কোর্তোয়া   রিয়াল মাদ্রিদ   কার্লো আনচেলত্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোপার আগে আলবিসেলেস্তেদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ

প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail এনজো ফার্নান্দেজ

চলতি বছরের জুলাইয়ে মাঠে গড়াবে এবারের কোপা আমেরিকার আসর। বাকি নেই দুই মাসও। তবে এমন সময়ে বড় ধরনের ধাক্কা খেলো গতবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতার আগে ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হয়েছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজকে। তবে এখন প্রশ্ন তিনি কোপার আগেই সেরে উঠতে পারবেন কি না! আর তাতেই কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আলবিসেলেস্তেদের।

অনেকদিন ধরেই এনজো কুঁচকির নিচের অংশে ব্যথা অনুভব করছিলেন, যাকে স্পোর্টস হার্নিয়া বলে। কোপা আমেরিকার আগে সেই সমস্যা সারিয়ে তুলতে ইংলিশ ক্লাব চেলসি এবং আর্জেন্টিনা টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে সার্জারি করতে পাঠায়। যাতে করে কোপা আমেরিকার আগে পূর্ণ ফিটনেসে ফিরতে তিনি পর্যাপ্ত সময় পান। অবশেষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) তার হার্নিয়া সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে।

যদিও চেলসির চাওয়া ছিল চলতি মৌসুম শেষেই এনজো ফার্নান্দেজ যেন চিকিৎসকের ছুরির নিচে যান। কিন্তু ঐ সময় সার্জারি করালে বিশ্বকাপজয়ী এই মিডফিল্ডারকে ছাড়াই কোপা আমেরিকায় খেলতে হতো আলবিসেলেস্তেদের। যে কারণে চেলসির ম্যাচ উপেক্ষা করেই সার্জারি করাতে চান এনজো। শেষ পর্যন্ত তিনি সফলও হয়েছেন।

এদিকে এনজোর সফল সার্জারি শেষে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি দিয়েছেন জীবনসঙ্গীনি ভ্যালেন্টিনা কার্ভান্তেস। যার ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘সুস্থ হয়ে ওঠো, ভালোবাসা।’

আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস বলছে, হার্নিয়ার সমস্যা কাটিয়ে উঠে বিশ্বজয়ী এই আর্জেন্টাইনের শারিরীক ফিটনেস ঠিক হতে মাসখানেক সময় লাগবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কোপা আমেরিকার আসর শুরু হবে। যেখানে আলবিসেলেস্তেরা উদ্বোধনী ম্যাচেই খেলবে কানাডার বিপক্ষে।


এঞ্জো ফার্নান্দেজ   আর্জেন্টিনা   খেলাধুলা   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কোহলির ব্যাটিংয়ে ধীরগতি, কঠোর সমালোচনায় গাভাস্কার

প্রকাশ: ০১:৫২ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের এবারের আসরে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই র‌য়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। পর পর টানা ৬ ম্যাচ হেরেছে তারা। তবে গতকাল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ৩৫ রানে জিতেছে তারা। কিন্তু জেতার পরেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্যাঙ্গালুরুর  বিরাট কোহলি।

ম্যাচটিতে কোহলি ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা পেলেও তার ইনিংসটি ছিল ধীরগতির। ম্যাচটি হারলে যার দায়টা হয়তো নিতে হতো তাকে। আর একারণেই ভারতীয় তারকা ব্যাটারের মন্থর ব্যাটিং নিয়েই চলছে সমালোচনা। তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন দেশটির কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাস্কারও।

৩৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করার পর, ৪৩ বলে ৫১ করে আউট হয়ে যান কোহলি। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল চারটি চার এবং একটি ছক্কার মারে। কোহলির রান দলের জন্য মূল্যবান হলেও, তিনি যে গতিতে রান তুলেছেন, সেটা উদ্বেগের বিষয় বলে দাবি করেছেন গাভাস্কার। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে। সাবেক ভারতীয় এই ব্যাটার স্ট্রাইক রেটকে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি তুলেছেন।

প্রথম ১৮ বলে ৩২ রান করেছিলেন কোহলি। কিন্তু তার পরের ১৯ রান করতে তিনি খরচ করেন ২৫ বল। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ে গাভাস্কার বলেন, ‘বিরাট কোহলি মাঝের ওভারে তার ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলেন। আমার ঠিক মনে নেই, তবে কোহলি ৩১-৩২ রান করার পর একটি বাউন্ডারিও মারেননি। আপনি যখন ওপেন করতে নামছেন এবং ১৪-১৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করছেন, তখন আপনার ১১৮ স্ট্রাইক রেট আশা করা যায় না। দল আপনার থেকে এমনটা আশা করে না। বরং আরও ভালো কিছু আশা করে।’

কোহলির মন্থর ব্যাটিংয়ের দিনে ঝড় তুলেছেন রজত পাতিদার। আরসিবির এই ব্যাটার মাত্র ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। পাতিদার ও শেষ দিকে ক্যামেরন গ্রিনের ইনিংসের সুবাদে ব্যাঙ্গালুরুর পুঁজি দুইশো ছাড়ায়। আগে ব্যাট করতে নেমে ২০৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় স্বাগতিক হায়দরাবাদকে। যার বিপরীতে ট্রাভিস হেড, হেনরিখ ক্লাসেনরা ঝড় তুলতে না পারায় কামিন্সের দল থেমে যায় ১৭১ রানে।


সুনীল গাভাস্কার   আইপিএল   ভিরাট কোহলি   ভারত   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ব্রাইটনকে উড়িয়ে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলল ম্যানসিটি

প্রকাশ: ০১:২১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জুলিয়ান আলভারেজ

কিছুদিন পূর্বেই রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসর থেকে বিদায় নিয়েছে গতবারের ট্রেবল জয়ী ম্যানচেস্টার সিটি। তবে এতে করে ভেঙে পড়েনি আলভারেজ-ফোডেনরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সুযোগ পেয়েই ব্রাইটনকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

এদিন ব্রাইটনের মাঠেই খেলতে নেমেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। কেভিন ডি ব্রুইনার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দুটি গোল করেন ফিল ফোডেন। এরপর চতুর্থটি করে সিটির বড় জয় নিশ্চিত করেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন জুলিয়ান আলভারেজ। বল দখল, চাপ তৈরি করা থেকে শট– সর্বত্র ইতিহাদের ক্লাবটিরই দাপট ছিল।

মাত্র তিন মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম সুযোগটি তৈরি করে ব্রাইটন। তবে সিটি গোলরক্ষক এডারসন মোয়ারেস ব্রাইটনের ড্যানি ওয়েলবেকের শট ফিরিয়ে জাল অক্ষত রাখেন। পরবর্তীতে সপ্তদশ মিনিটে লিড নেয় সিটি। সতীর্থের বাড়ানো কিছুটা নিচু বলে ডি ব্রুইনা ডি বক্সের মাঝামাঝি থেকে হেড দেন, চমৎকার সেই প্রচেষ্টায় বল জালে জড়িয়ে যায়। পরের গোলটি হয়েছে দারুণ, ২৬তম মিনিটে ফিল ফোডেনের ফ্রি-কিক শট ব্রাইটনের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। এটি প্রিমিয়ার লিগে ফোডেনের ৫০তম গোল।

বিরতির আগে ব্যবধান আরও বাড়ান ফোডেন। ব্রাইটনের গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৩৪তম মিনিটে ইংলিশ মিডফিল্ডার নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। বক্সে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ফলে ৩-০ লিড নিয়ে বিরতিতে যায় সফরকারীরা।

একইভাবে দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে ধরে রাখে সিটি। তাদের হয়ে শেষ গোলটি করেন আর্জেন্টাইন তারকা আলভারেজ। প্রথমে ওয়াকারের প্রচেষ্টা রুখে দেন ব্রাইটনের আগুয়ান গোলরক্ষক। তবে ফাঁকা জায়গায় থাকা আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ফিরতি বল পেয়ে যান। সেখান থেকে ফাঁকা জালে বল জড়াতে তিনি ভুল করেননি। দীর্ঘদিন পর প্রিমিয়ার লিগে গোল পেলেন আলভারেজ। এর আগে সর্বশেষ ৩১ জানুয়ারি বার্নলির বিপক্ষে ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন। এই সময়ে অন্যান্য প্রতিযোগিতায় তিনি গোল করতে পারেন কেবল একটি।

এই জয়ে ৩৩ ম্যাচে ২৩ জয় ও ৭ ড্রয়ে সিটির পয়েন্ট এখন ৭৬। এক ম্যাচ কম খেলেই তারা দুই নম্বরে অবস্থান করছে। ৩৪ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। সমান ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অবস্থান লিভারপুলের।


ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ   ম্যানসিটি   রিয়াল মাদ্রিদ   উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ   ব্রাইটন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হেড-ক্লাসেনদের তাণ্ডব নেই, ৬ ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখল বেঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৯:০৬ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঠিক ১০ দিন আগে এই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ওপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ২০ ওভারে আইপিএল রেকর্ড ২৮৭ রান তুলেছিলেন ট্রাভিস হেড–হাইনরিখ ক্লাসেনরা। এবার সেই বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিজেদের মাঠেই আটকা পড়ল হায়দরাবাদ। ফাফ ডু প্লেসিদের ৭ উইকেটে ২০৬ রান তাড়া করতে নেমে প্যাট কামিন্সের দল থেমেছে ৮ উইকেটে ১৭১ রানে। 

হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়ে টানা ৬ হারের পর জয়ের মুখ দেখল বেঙ্গালুরু। ৯ ম্যাচে ডু প্লেসিদের পয়েন্ট ৪, আর ৮ ম্যাচে হায়দরাবাদের পয়েন্ট ১০।

টানা হারের মধ্যে থাকা বেঙ্গালুরু শুধু জয়েই ফেরেনি, হায়দরাবাদের তাণ্ডবও থামিয়েছে। ১৫ এপ্রিল বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২৮৭ রান তোলার পরের ম্যাচেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২৬৬ রান তুলেছিল কামিন্সের দল। সেটি ছিল এবারের আইপিএলে হায়দরাবাদের ৮ ম্যাচে চতুর্থ দ্বিশতক আর তৃতীয় ২৬০‍+ ইনিংস।

আজ নিজেদের মাঠে রান তাড়ায় আরেকবার দুই শ পার করার সুযোগ ছিল কামিন্সদের সামনে। কিন্তু হেড–ক্লাসেনদের 'হাত খোলা'রই সুযোগ দেয়নি বেঙ্গালুরু। উইল জ্যাকসের বলে হেড ফেরেন প্রথম ওভারেই, করেন ৩ বলে ১ রান। পাঁচে নামা ক্লাসেন নিজের দ্বিতীয় বলে স্বপ্লিল সিংকে ছয় মারলেও পরের বলেই ক্যাচ তোলেন। 

অন্যদের মধ্যে ওপেনার অভিষেক শর্মা ১৩ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩১ রান করে ফেরেন যশ দয়ালের বলে। পাওয়ার প্লেতে ৬২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা হায়দরাবাদ শেষ পর্যন্ত শাহবাজ আহমেদ (৩৭ বলে ৪০) ও কামিন্সের (১৫ বলে ৩১) সৌজন্যে দেড় শ পার করে।

এর আগে বেঙ্গালুরুর রান দুই শ পার করাতে বড় ভূমিকা রাখেন রজত পাতিদার ও ক্যামেরন গ্রিন। বিরাট কোহলি ৪৩ বলে ৫১ ও ডু প্লেসি ১২ বলে ২৫ রান করে ফিরে যাওয়ার পর এ দুজনই বেঙ্গালুরুকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নেন। পাতিদার ২০ বলের ইনিংসে ২ চার ও ৫ ছয়ে করেন ৫০ রান। আর গ্রিন ২০ বলে ৫ চারে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।


বেঙ্গালুরু   হায়দরাবাদ   আইপিএল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন