ইনসাইড গ্রাউন্ড

আপাতত পাশ ‘সাব্বির’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

নিষেধাজ্ঞা তুলে জাতীয় দলে ফেরানো প্রক্রিয়া নিয়ে কম সমালোচানা হয়নি। দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার উপর দায় চাঁপিয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। সে দায় আবার নিজের কাঁধে তুলে নেন টাইগার দলপতি। প্রশ্ন উঠে মাশরাফির ভালবাসার প্রতিদান কি দিতে পারবেন ‘ব্যাডবয়’ খেতাব পাওয়া সাব্বির রহমান?

সদ্য সমাপ্ত নিউজিল্যান্ড সিরিজ বলছে দলপতির আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসার প্রতিদান ঠিক মতোই দিতে পেরেছেন সাব্বির। বিশেষ করে তৃতীয় ওয়ানডেতে যেভাবে ব্যাট করলেন, তা একথায় অসাধারণ। তার উপর আস্থা রাখতে শুরু করেছেন ভক্তরা। আর কেউ কেউ এতে তাড়াতাড়ি ভরষা করতে চান না সাব্বিরের উপর।

নিষেধাজ্ঞা, ব্যাটে নেই রান, চারিদিকে সমালোচনা—সবকিছু মিলিয়ে ভীষণ চাপে ছিলেন সাব্বির রহমান। শুধু একটাই ভরষা তাঁর মাথার উপর ছাদ হয়ে আছেন দলের অধিনায়ক। যে অধিনায়কের পরশে বদলে যায় পুরো একটি দল, সে একজনকে বদলাতে পারবে না তা কি করে হয়? তাই তো নিউজিল্যান্ড যাবার আগে গণমাধম্যকে সাব্বির জানিয়েছিলেন, ‘প্রতিদান দিতে পারবো কিনা জানি না, তবে সাধ্য মতো ভালো খেলতে চেষ্টা করবো।’

নিউজিল্যান্ড সফরের প্রস্তুতি ম্যাচে সেই আভাস দিয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে ৪১ বলে ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন সাব্বির। সিরিজের প্রথম ওয়ানেডতে ৭১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন তিনি। প্রয়োজনের সময় ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও প্রত্যাশা মেটাতে ব্যর্থ হয় তাঁর ব্যাট। ব্যক্তিগত ১৩ রানে আউট হন তিনি।

দাবি ওঠে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাদ দেওয়ার। কিন্তু মাশরাফি যার উপর আস্থা রাখেন, তাকে সুযোগ দেন বারবার। দ্বিতীয় ওয়ানডেও জায়গা পান একাদশে সাব্বির। সেই ম্যাচেও ব্যর্থ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ৯৩ রানে দলকে বিপদে রেখে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজ ঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে থাকলেও ৬৫ বলে ৪৩ রানে দায়িত্বশীল এক ইনিংস খেলেন সাব্বির।

আর তৃতীয় ওয়ানেডের কথা নতুন করে বলার কিছুই নেই। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান অবশেষে দেখা পান সেঞ্চুরি। আর সেঞ্চুরিটা করলেন সময় মতো। আগের দুই ম্যাচের মতো তৃতীয় ওয়ানডেতেও বাংলাদেশের টপ অর্ডার। ৩৩১ রানের পাহাড় সম টার্গেট তাড়া করতে নেমে, দলীয় ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারিরা্

ছয় নম্বরে নেমে সাব্বির শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমাতে পারেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে সেটাই করলেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সাইফকে নিয়ে ১০১ রান তোলেন সাব্বির। আর অষ্টম উইকেটে মিরাজকে নিয়ে গড়েন ৬৭ রানের জুটি।

কিউই বোলারদের বিপক্ষে তো বটেই লড়াই করলেন নিজের সব অপকর্মের বিরুদ্ধে। সেঞ্চুরি পর বিতর্কিত হয়ে লক্ষচ্যুত হওয়া সাব্বির যেন সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলেন এই এক ইনিংসে।

নিজের ক্রিকেটীয় ব্যাকরণে সবটুকু দিয়ে খেললেন চমকপ্রদ এক ইনিংস। ১০২ রানের ইনিংসটি খেলতে খরচ করেন ১১০ বল। ১২টি চার ও ২টি বিশাল ছক্কার মার ছিল। এর আগে ৫৯ বলে অর্ধশতকের পর তিন অঙ্কের দেখা পান ১০৫ বলে।

এই ইনিংস সাব্বিরকে যতটা না নির্ভার করছে তারচেয়ে বেশি স্বস্তি দিয়েছে মাশরাফিকে। তাই ম্যাচ পরবির্ততে সংবাদ সম্মেলনে দলের অধিনায়ক বলেন, ‘এমন পারফরম্যান্সে ছেলেরা হতাশ হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু সাব্বিরের ইনিংসটি আমাদের জন্য ইতিবাচক।’

বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিউজিল্যান্ড সফর ছিলো বাংলাদেশের পরীক্ষা-নিরীক্ষার। অনেকদিন ধরে লোয়ার অর্ডারে একজন মারকুটে ব্যাটসম্যানের সংকটে ভুগছিল বাংলাদেশ। সাব্বিরের সক্ষমতা জানা সবার। তাই একটা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে একটা ঝুঁকি নেন মাশরাফি। আপাতত দৃষ্টিতে সফল টাইগার দলপতি। কিন্তু টাইগার ভক্তটা এখনই এ-প্লাস দিচ্ছেন না সাব্বির রহমানকে। কারণ বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্য আছে ‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়’। সাব্বিরকে নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমিদের অবস্থা এখন অনেকটা এমনই। তাই তো নিউজিল্যান্ড সফরে তাঁর পারফরম্যান্সকে আপাতত পাশ মার্ক দিচ্ছেন দেশের ক্রিকেট পাগলমানুষেরা।

বাংলা ইনসাইডার/আরইউ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

পাঞ্জাবের বিপক্ষে কলকাতার সর্বোচ্চ সংগ্রহ

প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে রান পাহাড় গড়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুক্রবার রাতে ইডেন গার্ডেনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন ঝড়ে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে কেকেআর। যা আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জিততে পাঞ্জাবকে করতে হবে ২৬২ রান।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সুনীল নারিন এবং ফিল সল্ট। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৭৬ রান তোলে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। নারিন ২৩ বলে এবং ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন সল্ট। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ১৩৮ রান। ৩২ বলে ৭১ রান করে সাজঘরে ফেরেন নারিন। ১৩তম ওভারে স্যাম কারানের বলে বোল্ড আউট হন আরেক ওপেনার সল্ট। ৩৬ বলে ৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই ইংলিশ ওপেনার।

নারিন-সল্ট ফিরলেও ঝড় অব্যাহত রাখেন ভেঙ্কটেশ আয়ার, আন্দ্রে রাসেল ও শ্রেয়াস আয়ার। ভেঙ্কটেশ ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে আউট হন। রাসেল ১২ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রানে ফিরেন। আর অধিনায়ক আয়ারের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। মাত্র ১০ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় এই রান করেন তিনি।

বল হাতে পাঞ্জাবের আর্শদীপ সিং ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। স্যাম কারান ৪ ওভারে ৬০ রান দিয়ে নেন ১টি। রাহুল চাহার ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে পান ১টি উইকেট। আর হার্শাল প্যাটেল ৩ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।


আইপিএল   কলকাতা নাইট রাইডার্স   পাঞ্জাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে স্পেন ফুটবল

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার  কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।

দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।

নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’

স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’

গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই  অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।

আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।


স্পেন ফুটবল   ফিফা   আরএফইএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার নারী এশিয়া কাপে প্রথমবার আম্পায়ারিং করবেন সাথিরা

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি

এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জেসিকে বিষয়টি ইতোমধ্যেই মৌখিকভাবে অবগত করেছে।

এ বিষয়ে জেসি বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাইতে এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবো। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’

জেসির ঝুলিতে এর আগেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।

চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের নারী এশিয়া কাপ। গত এশিয়া কাপ বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও দেশি কোনো আম্পায়ার ছিল না।

বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। জেসি এখন নিজেকে প্রস্তুতি করছেন বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্ব পালনের জন্য।

তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছি নিয়মিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি। আমি প্রস্তুত বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের জন্য।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘লিওনেল মেসিই সর্বকালের সেরা ফুটবলার’

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।

বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।

সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'

জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।

তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অস্ট্রেলিয়ার সফল অধিনায়কের সংগ্রহে হাজার ব্যাট, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail রিকি পন্টিং

শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।

ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।

রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’

২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।

সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’


রিকি পন্টিং   অস্ট্রেলিয়া   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন