নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩১ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
ভাষার মাস একুশ। এই মাসে যেন ভাষার প্রতি আলাদা এক মমতা দেখা যায় সবার মধ্যেই। বাংলা ভাষাকে আরও বেশি সবার কাছে সহজ আর ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে দেশে রয়েছে বিভিন্ন জনপ্রিয় অ্যাপ। এগুলো মূলত ভাষা শেখা, মেসেজ পাঠানো, ভাষা খোঁজার কাজে মূলত ব্যবহার করা হয়। এমনই কিছু অ্যাপের কথা জানব আজ:
রিদমিক কিবোর্ড:
নানান ভাষায় টাইপ করা, অন্তত বাংলা আর ইংরেজি তো নিত্য দিনের প্রয়োজন। ফ্রি এই অ্যপটি দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জন্য বেশ উপকারী। সহজ এবং প্রাঞ্জলভাবে লিখতে পারবেন বাংলা আর ইংরেজি। বাংলা লেখা এবং মেসেজিং এর জন্য এই কিবোর্ড অ্যাপটি বেশ জনপ্রিয়। অ্যাপটি পাওয়া যাবে এই ঠিকানায়: http://bit.ly/29s1JdL
বাংলা ডিকশনারি:
বহুল জনপ্রিয় একটি বাংলা অ্যাপ। এর মাধ্যমে বাংলা এবং ইংরেজি উভয় শব্দই খোঁজা যায়। এছাড়াও শেয়ারিং বিকল্প ব্যবহার করে সরাসরি ইন্টারনেট ব্রাইজার অথবা অন্য অ্যাপ্লিকেশন থেকে শব্দ অনুসন্ধানের সুযোগ আছে এই অ্যাপে। ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াও এই অ্যাপটি ব্যবহার করা যায়। এই অ্যাপে অটোসাজেশনের অপশন আছে তাই সম্পূর্ণ শব্দটি টাইপ করা লাগে না। এই অ্যাপে ভয়েজের মাধ্যমে অনুসন্ধানের অপশন আছে। বাংলা ডিকশনারিতে শব্দের অর্থ জানার পাশাপাশি প্রতিশব্দ এবং বিপরীত শব্দও অনুসন্ধান করা যায়। জনপ্রিয় একটি বাংলা ডিকশনারির ঠিকানা: http://bit.ly/1eQNJDQ
ইজি বাংলা টাইপিং:
এটি একটি খুবই জনপ্রিয় বাংলা লেখার অ্যাপ। এতে অভ্র ফোনেটিক স্টাইল ব্যবহার করে বাংলায় লেখা যায়। এই অ্যাপে কোনো আলাদা কীবোর্ডের ব্যবহার করতে হয় না। এই অ্যাপের সাহায্যে খুব সহজেই যুক্তবর্ণ লেখা যায়। অ্যাপটি পাওয়া যাবে এই ঠিকানায়: http://bit.ly/2EVS9Ah
হাতে খড়ি:
স্মার্টফোন এখন সব বয়সের মানুষের কাছেই খুব জনপ্রিয়। ছোটদের বাংলা বর্ণমালা এবং সংখ্যা শেখানোর একটা সুন্দর অ্যাপ হলো হাতে খড়ি। এই অ্যাপের সাহায্যে যে কেউ সঠিক উচ্চারণসহ সংযুক্ত অক্ষর এবং সংখ্যার সাথে বাংলা বর্ণমালা শিখতে পারে। ছোটরা এই অ্যাপের মাধ্যমে মজার এবং ইন্টারেক্টিভ উপায়ে ভাষা শিখতে পারে। এই অ্যাপে অডিও, গ্রাফিক্স, অ্যানিমেশন যুক্ত রয়েছে। অ্যাপটি পাওয়া যাবে এই ঠিকানায়: http://bit.ly/2HwKVkj
সেই বই:
বই প্রেমিকদের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। মূলত এই অ্যাপটি একটি ই-বুক রিডার। আপনি এখানে খুব সহজেই বিনামূল্যে অথবা অর্থের বিনিময়ে যেকোনো বই পড়তে পারেন। তাছাড়া এতে পাঠকদের সুবিধার্থে বিভিন্ন পাঠ উপযোগী ফিচার যুক্ত রয়েছে । বইয়ের যেকোনো জায়গায় বুকমার্ক , নোট এবং হাইলাইট তৈরি করা যায়। নিজের পছন্দ মত ফন্টের আকার , ফন্টের রং , পটভুমির রং এবং উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রন করা যায়। অ্যাপটি পাওয়া যাবে এই ঠিকানায়: http://bit.ly/2onH5l9
বাংলা লিখি
মোবাইল ফোনে সহজে বাংলা লেখার সুযোগ দেবে ‘বাংলা লিখি’। ফেসবুক, টুইটারেও বাংলা লেখা শেয়ার করা যায় এই অ্যাপ দিয়ে। অ্যাপটি পাওয়া যাবে এই ঠিকানায়: http://bit.ly/2BF46YT
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।