সম্প্রতি এসএমএস-এর মাধ্যমে গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জানিয়েছিল আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে সর্বনিম্ন রিচার্জ অ্যামাউন্ট ৩০ টাকা করা হবে। এ সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রামীনফোন গ্রাহকদের জনমনে তৈরি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এরপর বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে কোম্পানিটির নতুন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয় বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফর্মে। এছাড়া গ্রামীনফোনের সিম বয়কটেরও ডাক দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘বয়কট গ্রামীণসিম’ নামে কয়েকটি ইভেন্টও খোলা হয়।
গ্রাহকদের এসব তোপের মুখে নিজেদের এ নতুন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে গ্রামীণফোন।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশন শরফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এটা এখনই বাস্তবায়ন করছি না। এ বিষয়ে বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনা হবে। সেই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সর্বনিম্ন ব্যালান্স রিচার্জ ৩০ টাকা করার বিষয়টি আমরা বিবেচনা করেছিলাম। তবে গ্রাহক সুবিধার্থে বর্তমানে আমাদের আরও বিভিন্ন ধরনের যে রিচার্জ অপশনগুলো রয়েছে। যেমন - ১৪ টাকা, ১৯ টাকা। একইসাথে ২৯ টাকা রিচার্জে মিনিট প্যাক, ২০ টাকার ব্যালান্স রিচার্জ কার্ড, ১৪ টাকা ও ১৯ টাকার মিনিট ও ডাটা কার্ড এবং ২৯ টাকার ডাটা কার্ড সেবা চালু রয়েছে।
সর্বনিম্ন ব্যালান্স রিচার্জ ৩০ টাকা হলেও, অন্যান্য এই অপশনগুলো গ্রাহকরা ব্যবহার করতে পারতেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০২২ সালের জুলাই থেকে সর্বনিম্ন রিচার্জের পরিমাণ ২০ টাকা করা হয়। বর্তমানে গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা সর্বনিম্ন ২০ টাকা রিচার্জ করতে পারেন। এর আগে সর্বনিম্ন ১০ টাকা রিচার্জ করা যেত। গতকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রিচার্জের সর্বনিম্ন সীমা ৩০ টাকা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হয়।
এসএমএস ও মাইজিপি অ্যাপের মাধ্যমে গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জানিয়েছিল, ‘ রিচার্জের পরিমান বাড়লেও ৩০ টাকার নিচের রিচার্জ অফার এবং স্ক্র্যাচকার্ড আগের মতো ব্যবহার করা যাবে।’ তবে রিচার্জের বিষয়টিতে মানুষ তীব্র আপত্তি ও প্রতিক্রিয়া জানায়। এসব সমালোচনার মুখেই এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে গ্রামীণফোন।
গ্রামীণফোন কোম্পানি ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে । এটি নরওয়েভিত্তিক কোম্পানি টেলিনরের মালিকানাধানী কোম্পানি যারা বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করে থাকে।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।