ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক থেকে শুরু করে সম্প্রতি শিশুরাও এই ইন্টারনেট ব্যবহারে নিয়মিত হচ্ছে। যুগের সাথে সম্পৃক্তে আধুনিকতার ফলে জানা অজানা অনেক মানুষই ইন্টেরনেটে আসক্ত হচ্ছে। কিন্তু এই ইন্টারনেট ব্যবহারে আপনি কি আসলেই সুরক্ষিত?
মূলত সাইবারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় এবং প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় তথ্য সহজেই শেয়ার করা বা বিতরণ হয়। সাইবার কার্যক্ষমতা সাধারণত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত হয়ে থাকে, যাতে তথ্য সহজেই শেয়ার ও অ্যাক্সেস করা যায়।
সাইবার ব্যবহার হয় মূলত কমিউনিকেশনের বা যোগাযোগের জন্য, যা সুস্থ এবং তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সরবরাহ করে জীবন যাত্রা সহজ করে তুলে। কিন্তু কিছু দুষ্ট প্রকৃতির এবং অপরাধ জগতের মানুষ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল করে।
এই অপরাধ কম্পিউটার বা ইন্টারনেট মাধ্যমে অনেক ভিন্ন ধরনের কার্যকর হতে পারে। এটি আমাদের দৈনন্দিন ডিজিটাল জীবনের বিভিন্ন দিকে একাধিক ধরনের হামলা, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, ডোস হামলা, সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, আইডেন্টিটি চুরি, বৃহত্তর বা কম্পিউটারের সিস্টেমে অনুপ্রবেশ, সাইবার স্থলান্তর, এবং একাধিক অন্যান্য ধরনের হামলা হতে পারে।
ফিশিং করে মিথ্যা ওয়েবসাইট, ইমেইল বা অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করে পাসওয়ার্ড, ব্যক্তিগত তথ্য, সংরক্ষণ করে তা ভুক্তভোগীকে প্রদান করে। অনেক সময় একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অজানা ভাবে কম্পিউটারে ক্ষুদ্র প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার ইনস্টল করে আর তাতেই চুরি হয়ে যেতে পারে মূল্যবান সব তথ্য। ব্যক্তির নামে কোন অবৈধ কাজ বা ক্রাইম করার জন্য তার সাথে ভিন্ন উপাধি বা তথ্য ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, সাইবার অপরাধীরা সামাজিক কৌশলের ব্যবহারের মাধ্যমে ও ব্যক্তির ভালবাসা, আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয় যাকে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়।
সাইবার সুরক্ষা এমন কার্যক্ষমতা যা ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল উপাদানের সুরক্ষা করে এবং যে সাইবার অপরাধ করে থাকে কোন প্রমাণ, বা দৃশ্যমান দেখায়না। সাইবার দিয়ে অপরাধ করাকে সাধারণত সাইবার বুলিং বলা হয়। যাতে শিকার হয় বর্তমান জেনারেশনের স্মার্ট বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস অসচেতন ব্যবহারকারীরা।
বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ নিধনের জন্য কিছু উপায় এবং উদ্যোগ সম্পন্ন হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলি সাইবার সিকিউরিটি ক্যাপাসিটি তৈরি করতে চেষ্টা করছে, যাতে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান নিজেদের তথ্য রক্ষা করতে পারে।
জনগণের নিরাপত্তা এবং সিকিউরিটি কথা বিবেচনা করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই বিষয়টি আমলে নিয়ে সাইবার বুলিং বা সাইবার অপরাধ দমনের জন্য ‘সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন চালু করার নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ পুলিশ কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম এর অধীনে এটি পরিচালিত করছে।
এর আগে এর নাম করণ ছিলো সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম বিভাগ। আর এতে করে বাংলাদেশ পুলিশ এবং অন্যান্য কর্মকর্তা সাইবার অপরাধের নিরসনের তাদের প্রতিরোধ ক্যাপাবিলিটি উন্নত করছে, যাতে অপরাধীদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী লড়াইতে যাত্রার অবসান করা যায়। সরকার আইন এবং নীতি তৈরি করেছে যাতে সাইবার ইনসিডেন্ট রিসপন্স ক্যাপাবিলিটি তৈরি করে এই অপরাধের শাস্তি দেওয়া যায় এবং অপরাধীদের প্রতি একটি প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হতে করতে পারে।
১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে প্রথম ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হওয়ায় মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার যাত্রা শুরু করে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়ছে ১০ কোটিরও বেশি। ইন্টারনেট এবং সাইবারের কার্যক্ষমতা আমাদের ডিজিটাল জীবনে সহায়ক হতে সাহায্য করে।
আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক, যেমন ইন্টারনেট চ্যাট রুম, ইমেইল, নোটিশ বোর্ড ও গ্রুপ এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, অপরাধমূলক অভিপ্রায়ে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে সম্মানহানি, কিংবা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, বা ক্ষতির কারণ হওয়া।
এ ধরনের অপরাধ একটি জাতির নিরাপত্তা ও আর্থিক স্বাস্থ্য হুমকি হতে পারে। এই ধরনের অপরাধের ধরনগুলির মাধ্যমে অপরাধীরা ব্যক্তিগত এবং আধিকারিক তথ্যের ব্যবহারের মাধ্যমে লাভ করতে চেষ্টা করতে পারে। সাইবার সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য অভিজ্ঞতা, সচেতনতা, এবং সুরক্ষার উপায়গুলি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্টারনেট হ্যাকার সতর্কতা s সাইবার
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।