নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪২ পিএম, ০৬ জুন, ২০১৮
মোটামুটি জনপ্রিয় টেক ব্র্যান্ড আসুস এবার তাদের নতুন দুটি চমক নিয়ে এসেছে। বেশ চমকপ্রদ ল্যাপটপের টাচপ্যাডেই পাওয়া যাচ্ছে ডিসপ্লে সুবিধা। আর নতুন শক্তিশালী গেমিং ফোনে থাকছে বিশাল সব আধুনিক ফিচার। জেনে নেবো বিস্তারিত:
টাচ প্যাডেই ডিসপ্লে
যা থাকছে এতে
এই ল্যাপটপে ইনটেল ৮ম প্রজন্মের প্রসেসর থাকছে, আরও থাকছে ১ টেরাবাইট এসএসডি, ১৫ দশমিক ৬ ইঞ্চি, ফোরকে রেজুলেশনের টাচস্ক্রিন, উঁচু করে রাখার জন্য হিঞ্জ, জোরালো স্পিকার আর এনভিডিয়া জিটিএক্স ১০৫০ টিআই গ্রাফিক্স।
১০ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ থাকছে এই ল্যাপটপে। সঙ্গে থাকছে ১৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে সংস্করণ। আসুসের জানিয়েছে, কিবোর্ড অংশটি উঁচু করার ফলে লিখতেও সুবিধা হবে। এতে করে ল্যাপটপে বাতাস চলাচলও ভালো হবে। এতে থাকছে পর্যাপ্ত পোর্ট। আরও থাকছে ২টি ইউএসবি পোর্ট, ২টি ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট, হেডফোন জ্যাক আর মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট। ইউএসবি সি পোর্ট দিয়ে চার্জ দেওয়া যাবে ল্যাপটপে। টাইপ-সি পোর্ট দুটি থান্ডারবোল্ট ৩ সমর্থিত, চাইলে আলাদা করে গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা যাবে।টাচ প্যাডের ডিসপ্লেটি লঞ্চার মোডে টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে হিসেবে কাজ করবে। দ্বিতীয় ডিসপ্লে হিসেবে কাজ করার সময় ডেস্কটপের সবকিছু দেখালেও, কাজ করবে টাচপ্যাডের মত কারসর নাড়িয়ে। ল্যাপটপটির মূল্য শুরু হবে দুই হাজার ২৯৯ ডলার থেকে।
গেমিং ফোন
এই চমকদার ল্যাপটপ ছাড়াও একটি গেমিং ফোন আসুস। নতুন এই ফোনটির নাম ‘রিপাবলিক অফ গেইমারস’বা (আরওজি)। প্রফেশনাল গেমারদের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন, হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি অ্যাক্সেসরিজ তৈরি করা হয়েছে। এর ডিজাইন অনেকটা আরওজি সিরিজের ল্যাপটপের মতো। পিছনে আরওজি লোগো থাকছে, আর থাকছে আরজিবি এলইডির মাধ্যমে রং বদলানোর সুবিধা।
যা থাকছে এই ফোনে
এতে রয়েছে অ্যামোলেড প্রযুক্তির ডিসপ্লে, ৬ ইঞ্চি নচযুক্ত ৯০ হার্জ রিফ্রেশরেট প্যানেল যেটি ১০৮ শতাংশ ডিসিআই-পি৩ কালার সাপোর্ট করবে। এর প্রসেসর দেওয়া হয়েছে ওভারক্লক করা স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫। সঙ্গে থাকছে ১২৮ বা ৫১২ গিগাবাইট স্টোরেজ আর ৮ গিগাবাইট র্যাম।
গেম খেলার সুবিধার জন্য ফোনে রাখা হয়েছে ডুয়াল স্পিকার, অ্যাম্পসহ হেডফোন জ্যাক, ৪০০০ এমএএইচ ব্যাটারি। ফোনের পাশে দেয়া হয়েছে আরও একটি টাইপ সি পোর্ট। ফোনটি বেশি সময় ব্যবহার করলে যাতে গরমে সমস্যা না হয় তাই ঠাণ্ডা রাখতে লাগানো যাবে কুলিং ফ্যান। অতিরিক্ত প্রয়োজনে আরও একটি ৬ ইঞ্চি ডিসপ্লে লাগানো যাবে। আর ডেস্কটপ হিসেবে মনিটর কিবোর্ড ও মাউসের সঙ্গে ব্যবহার করার জন্য থাকছে ডক ব্যবহারের সুবিধা। ফোনের মধ্যে দেয়া হয়েছে তিনটি আলাদা প্রেশার বাটন, যা গেমের মধ্যে প্রোগ্রাম করে ব্যবহার করা যাবে। শক্তিশালী ফোনটির দাম বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।