নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩১ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০১৮
প্রতিবছর জুলাইয়ের মধ্যবর্তী সময়ে ‘ফার্নবারো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারশো’র আয়োজন করে ব্রিটেন। এই এয়ারশো’তে বিভিন্ন দেশের তৈরিকৃত নতুন নতুন বিমান নিয়ে আসে কর্তৃপক্ষ। বিশ্বের উল্লেখযোগ্য বিমানগুলোই এখানে আনা হয়। তবে এই উল্লেখযোগ্য বিমানগুলোর মধ্যেও কিছু বিমান থাকে যেগুলো ‘অতি উল্লেখযোগ্য’। তেমনই একটি বিমান ‘লিবার্টি’।
বলছিলাম, পাল-ভি কোম্পানির তৈরি বিশ্বের প্রথম ‘উড়ন্ত গাড়ি’র কথা। একে ‘গাড়ি বিমান’ বা ‘উড়ন্ত গাড়ি’ও বলা যেতে পারে। একটু বিস্ময়কর মনে হলেও, ঘটনা সত্য। গাড়িটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, চাইলেই এর চালক রাস্তায় স্বাভাবিক গাড়িগুলোর মতো চালাতে পারবে। আবার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী বিমানের মতো আকাশ পথে উড়িয়ে নিতে পারবে। সম্প্রতি ব্রিটেনের ইন্টারন্যাশনাল এয়ারশোতে এই গাড়িই নিয়ে গিয়েছিল পাল-ভি কেম্পানি। আর এই ‘উড়ন্ত গাড়ি’ ২০২০ সাল নাগাদ বাজারে আসবে বলেও জানায় তারা।
বিশ্বে প্রথম ‘উড়ন্ত গাড়ি‘ হিসেবে এটি পরিচিতি পেলেও এর ধারণা বহু আগে থেকেই এসেছে বলে জানা যায়। ১৯৩১ সালে আমেরিকান বিমান চালকদের অগ্রদূত এবং লেখক অ্যামিলিয়া ইয়ারহার্ট প্রথম এমন ধারণা দিয়েছিলেন। এর তিন বছর পর ‘ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট’ সিনেমায় এমন একটি ‘উড়ন্ত গাড়ি’র দেখা পাওয়া যায়। এরপর ১৯৬৭ সালে জেমস বন্ড সিরিজের মুভি ‘ইউ অনলি লিভ টুয়াইস’ সিনেমায় এমন উড়ন্ত গাড়ির দেখা মেলে।
লিবার্টি দেখতে কিছুটা ছোট বিমানের মতো। তবে এর পাখাগুলো দেখতে জেমস বন্ডের ০০৭ সিনেমার ‘উড়ন্ত গাড়ি’র মতো। পাল-ভি এর মতে, মাত্র ৯০ মিটার রানওয়েতেই গাড়িটি উড়তে ও অবতরণ করতে সক্ষম। উড়ন্ত অবস্থায় গাড়িটি সর্বোচ্চ দুই জনকে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে ৪০০-৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে। এটি নামার পর ১০ মিনিটের মধ্যে পুনরায় গাড়ির মোডে চলে আসতে পারে। গাড়িটি পেট্রোলে চলে, তাই সহজেই জ্বালানি সরবরাহ করা সম্ভব। তাছাড়া গাড়িটির ইঞ্জিন ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাও কম। কারণ এর দুটি ইঞ্জিনই একে অপরের বিপরীতে কাজ করে। এর পাশাপাশি ‘উড়ন্ত গাড়িটিতে’ সেফটি মোডও রয়েছে।
পাল-ভি কোম্পানির পাইলট টাইলেন বলেন, এই উড়ন্ত গাড়িটি বিমানবন্দর বাদেও যেকোনো রানওয়েতে অবতরণ করা সম্ভব। ইচ্ছা হলে এটা সমুদ্রের কিনারা থেকে শুরু করে ফাঁকা কোনো মাঠেও অবতরণ করানো সম্ভব। এর জন্য শুধু ৯০ মিটার রানওয়ে প্রয়োজন। তবে এটি নিজের করে পেতে হলে একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার ব্যয় করতে হবে। আর এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে কয়েয়’শ বার বিমান ও উবার ভাড়া করা যায় বলেও তিনি জানান।
সূত্র: বিবিসি
বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।