নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৯ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
রাজস্ব আয় বাড়াতে এবং দেশীয় মোবাইল ফোন কোম্পানির স্বার্থ রক্ষায় অবৈধ মোবাইল ফোন অকেজো করতে কাজ করছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। আইএমইআই নম্বর না মিললে নেটওয়ার্ক সার্ভিস বন্ধ করে দিতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, অবৈধ মোবাইল ফোন প্রবেশের কারণে প্রতি বছর সরকারের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়। রাজস্ব আদায় বাড়াতে এবং দেশীয় মোবাইল ফোন নির্মাতাদের স্বার্থ রক্ষা করতে অবৈধ মোবাইল ফোনের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। টিআরসি এরই মধ্যে বৈধ মোবাইল ফোনের একটি ডেটাবেস তৈরি করেছে। এখন তারা দেশের প্রথম ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) স্থাপনের কাজ করছে। এই এনইআইআর ‘অবৈধ’ মোবাইল ফোনগুলোকে অকেজো করে দেবে। এরই মধ্যে বিটিআরসির পক্ষ থেকে মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছে এসএমএসও পাঠানো হচ্ছে— যাতে তাদের ফোনের বৈধতা যাচাই করে নেওয়া হয়। এনইআইআর প্রযুক্তি চালু হওয়ার পর বিটিআরসি মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে অবৈধ ফোন বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারবে। বিটিআরসিতে থাকা ডেটাবেসের সঙ্গে যদি কোনো ডিভাইসের আইএমইআই নম্বর না মেলে, তাহলে ডিভাইসটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন আমদানিকারক সমিতির (বিএমপিআইএ) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের বর্তমান বাজার প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রতি বছর প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ মোবাইল ফোন সেট বৈধভাবে বিক্রি হয়। আর অবৈধভাবে দেশের ভেতরে ঢোকে প্রায় এক কোটি মোবাইল সেট।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, দেশে ফোন উৎপাদন ও সংযোজনের জন্য নিবন্ধিত কোম্পানি মোবাইল ফোন কোম্পানি ১১টি । এর মধ্যে চালু রয়েছে নয়টি কোম্পানি। এসব কোম্পানি স্থানীয় চাহিদার ৭০ শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম। যদিও ফিচার ফোনের ৯০ ভাগই এখনও আমদানিনির্ভর।
বৈধ ফোনের ডেটাবেস
গত বছরের শুরুতে বিটিআরসি মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বরের প্রথম ডেটাবেস চালু করে। এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৩৫ লাখ মোবাইল হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর ওই ডেটাবেসে ঢোকানো হয়েছে। গ্রাহকরা শুধু এসএমএস পাঠিয়ে আমদানি করা হ্যান্ডসেটের বৈধতা পরীক্ষা করতে পারবেন এই ডেটাবেস থেকে।
মোবাইল ফোনের ক্রেতারা যে কোনো হ্যান্ডসেট থেকে *#০৬# ডায়াল করে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বরটি পেতে পারেন। এই নম্বরের সত্যতা যাচাই করতে গ্রাহককে KYD15-ডিজিটের IMEI নম্বর টাইপ করে এসএমএস পাঠাতে হবে ১৬০০২ নম্বরে। এরপর একটি ফিরতি এসএমএস নিশ্চিত করবে ডিভাইসটি বৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে কি না।
এনইআইআর প্রযুক্তি
প্রযুক্তি ও অবকাঠামোর অভাবে বিটিআরসি এখন পর্যন্ত অবৈধ কোনো ফোন বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। এখন পর্যন্ত তারা শুধু ক্রেতাদের জানাতে পারছে, তাদের ফোনটি বৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে কি না।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার বা এনইআইআর প্রযুক্তি সরবরাহের জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে বিটিআরসি। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়লে ওই সময়সীমা কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। শেষ পর্যন্ত ডজনখানেক কোম্পানি নিলামে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে চারটি কোম্পানিকে প্রাথমিকভাবে বাছাইও করা হয়েছে। বিটিআরসি এখন তাদের কাগজপত্র যাচাই করে দেখছে। খুব তাড়াতাড়ি এর মধ্যে একটি কোম্পানিকে এনইআইআর সরবরাহের জন্য বাছাই করা হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বর্তমানে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। কিন্তু আগামী ১০/১৫ বছরের মধ্যেই নাকি বিলুপ্ত হয়ে যাবে স্মার্টফোন। তখন এটি আর মানুষের হাতে হাতে দেখা যাবে না। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন মেটার শীর্ষ এআই বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন।
তিনি বলেন, শেষপর্যন্ত আমরা যেটা চাই, সেটা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাসিস্ট্যান্ট। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করবে। আর সেই কারণেই আমাদের পকেটে থাকে স্মার্টফোন। কিন্তু আজ থেকে দশ বা পনেরো বছরের মধ্যেই আমাদের আর স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে না। তখন এসে যাবে অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাসেস।
লেকুনের দাবি, ওই বিশেষ ধরনের চশমা আর ব্রেসলেটই সব কাজ করে দেবে। ফলে স্মার্টফোনের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে।
স্মার্টফোন নিয়ে এমন ভবিষ্যদ্বাণী লেকুনেরই প্রথম নয়। এর আগে নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) পেক্কা লান্ডমার্ক ২০২২ সালে বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই স্মার্টফোন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না। বরং শরীরেই বসানো থাকবে নানা যন্ত্র!
প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই ‘অসাধ্য সাধন’ করেছে ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরোলিঙ্ক। মানব মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে একটি ‘ব্রেইন ইন্টারফেস’ অর্থাৎ চিপ। যা মানব মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। সেই ব্যক্তি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করে অর্থাৎ ‘টেলিপ্যাথি’র মাধ্যমে ভিডিও গেম বা অনলাইন দাবা খেলতে পারছেন! এটি নিত্যনতুন উদ্ভাবনে আগের সবকিছুকেই টেক্কা দিচ্ছে। ফলে স্মার্টফোনের অবলুপ্তি সংক্রান্ত এমন ভবিষ্যদ্বাণীকে উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউ।
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।