নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০১৭
পলাশ চাকরি করেন রাজধানীর একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে। থাকেন ধানমণ্ডি এলাকায়। যে বেতন পান তা দিয়ে সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। কোনোভাবেই খরচের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে পারছিলেন না তিনি। পলাশ কম্পিউটারের সাধারণ কাজগুলো জানেন। এক বন্ধুর মাধ্যমে পলাশ প্রথম জানতে পারেন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা যায়। তিনি আউটসোর্সিংয়ের ওপর একটি প্রশিক্ষণনিয়ে কাজ শুরু করে দেন। শুরুর দিকে তেমন উর্পাজন না হলেও হাল ছাড়েননি পলাশ। এক পর্যায়ে তাঁর উপার্জন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। চাকরি ছেড়ে নিজেই ছোট একটা আউটসোর্সিং ফার্ম গড়ে তোলেন। কিছু লোকের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করেন পলাশ।
এভাবেই পলাশের মতো লাখো যুবক গৎবাঁধা চাকরিতে বসে না থেকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। আর এই তরুণদের ওপর ভর করেই দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এগিয়ে যাচ্ছে যুবসমাজ। ঘরে বসেই এখন স্বপ্নদেখছে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার।
আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যম মিলিয়ন ডলার আয় করার সম্ভব। আর এমন সম্ভাবনার কারণেই এর ওপর সব বয়সের মানুয়ের আগ্রহ দিন দিন বেড়ে চলছে। ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। এসব ফ্রিল্যান্সাররা আউটসোর্সিং কাজ করে জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশিদেশের মোট জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাচ্ছে লাখো চাকরি না পাওয়া শিক্ষিত বেকার।
আউটসোসিং এর সম্ভাবনা নিয়ে কয়েকজন সফল ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, বাংলাদেশেই এখন অনেক ফ্রিল্যান্সার তৈরি হচ্ছে। নিজ নিজ বিষয়ে কাজ করছে তারা। এটা ভালো দিক। দেশের চাকুরির যে অবস্থা তাতে বেকার তরুণ-তরুণীরা ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে।
বাংলাদেশে আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে কী রকম প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তাঁরা বলেন, দেশে এখনো দক্ষ ফ্রিল্যান্সারের বড্ড অভাব। এজন্য দরকার ভালমানের প্রশিক্ষক। তাহলেই গড়ে উঠবে বিশ্বমানের ফ্রিল্যান্সার। এ বিষয়ে সরকারি নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। তবেই দেশে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি হবে। আর ফলে দেশের অর্থনৈতিক আয় বাড়বে।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরির লক্ষে ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’নামর একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তারা জানান, ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৫৫ হাজার দক্ষ ফ্রিল্যান্স তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য দক্ষ ফ্রিল্যান্স তৈরির মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আউটসোর্সিং বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো। প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রম হবে, ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০ হাজার নারীকে বেসিক আইটি লিটারেসি প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে ২৫ হাজার মানুষকে আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্স হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বেসিক আইটি শিক্ষা দেওয়া।
প্রকল্পের আওতায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ১০ হাজার জনবলকে বিশেষায়িত আউটসোর্সিং কাজে ফ্রিল্যান্স হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উচ্চতর আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এখন স্বপ্ন নয়, এখন সত্যি। বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হবে। দক্ষ মেধাবী জনশক্তি, মানবসম্পদ আমাদের অহংকার। সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশরূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে অনলাইন আউটসোর্সিং প্রসারের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে এবং ইন্টারনেট ভিত্তিক কার্যক্রমের এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএ/ জেডএ
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।