নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ০২ অক্টোবর, ২০১৭
গুগল সার্চ এঞ্জিনে ওয়ার্ল্ড সোসালিস্ট ওয়েব সাইটের কনটেন্ট খোঁজার প্রক্রিয়া ব্যহত হয়েছে, হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন এর সম্পাদকমণ্ডলীর পরিচালক ডেভিড নর্থ। তিনি বলেন, গুগল সার্চ এঞ্জিন আগে যেসব কি-ওয়ার্ড তথ্য দিত এখন সেসব ফাঁকা দেখায়। এটা দুর্ঘটনা নয়। গুগল এটা ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।
এর আগেও গুগলের বিরুদ্ধে সার্চ এঞ্জিনে তথ্য দেওয়া ও খোঁজার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ এসেছে। যা এখনো চালু আছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে অসেতনভাবে হোক আর অসচেতনভাবে হোক, গুগল এটা নিয়ন্ত্রণ করছে।
এ বছরের এপ্রিল মাসে গুগল ঘোষণা দেয়, এ সমস্যা সমাধানে ওডব্লিউএল নামে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে তথ্য যাচাই বা নির্বাচনের গাণিতিক প্রক্রিয়া হালনাগাদ করা হবে বলে জানায় গুগল। একই সঙ্গে ভুয়া ও ভুল সংবাদ বা তথ্যগুলো সার্চ এঞ্জিন থেকে মুছে ফেলার আশ্বাসও দেয় গুগল কর্তৃপক্ষ। অনেক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এটাকে গুগলের একটা ভুল পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন। কারণ, তথ্যবহুল সঠিক সংবাদ বা কন্টেন্টের নির্বাচন প্রক্রিয়া কী, সে সম্পর্কে গুগল এখনো কিছুই জানায়নি। ফলে এটা ধোঁয়াশার মতো!
এ বিষয়ে গুগল গোঁ ধরলেও তাদেরকেই বাছাইকৃত সংবাদের পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে হবে। পাশাপাশি গুগল কীভাবে কোনো সাইটের পদক্রম ও অনুসন্ধানের ফলাফল নির্ধারণ করে, সেটা অধিকাংশ ব্যবহারকারীর জানার সুযোগ থাকতে হবে। এছাড়া অনুসন্ধানের ফলাফল বাছাইয়ের কাজে গুগলকে কঠোর হতে হবে। যেন সার্চ এঞ্জিনে প্রাপ্ত ফলাফলকে বিশ্বের সকল ব্যবহারকারীই পক্ষপাতহীন হিসেবে মানতে পারে।
এ নিয়ে ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য আইন বিভাগের অধ্যাপক ফ্রাঙ্ক পাসকুয়েল বলেন, সার্চ ইঞ্জিনের পদক্রম ও চিহ্নিত বা নির্ণয় করার জটিলতা সব সময়ই প্রতিষ্ঠানের বাইরের কিছু লোকের বোঝাপড়াকে প্রভাবিত করে। অনেক লোক সার্চ এঞ্জিনগুলোর ফলাফল বাছাই প্রক্রিয়াকে সন্দেহের বাইরে গিয়ে দেখতে পারছেন না। ‘দ্য ব্লাক বক্স সোসাইটি’ বইয়ে পাসকুয়েল সতর্কতার সঙ্গে বলেছেন, বিষটা খুবই সমালোচনামূলক, আমরা কী দেখব আর কী দেখব না, একটি লুকায়িত গাণিতিক পদ্ধতি সেটা নির্ধারণ করে দিচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ করছে।
২০১৬ সালে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকালীন সময় ডান ও বাম পক্ষের রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা গুগল প্রচণ্ড রকম সমালোচিত হয়। ওই সময় একটি ভিডিও ক্লিপ ও নির্বাচন পরবর্তী একটি সংবাদ নিয়ে গুগল বেশ জটিলতায় পড়ে। এপ্রিলে চালু হওয়া গুগলের ওডাব্লিউএল প্রকল্পের তথ্য বলছে, দৈনিক অনুসন্ধানের ক্ষুদ্র অংশ, প্রায় শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে গুগল সার্চ এঞ্জিন ট্রাফিক জটিলতায় পড়ে। একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গুগল সব সময় অনুসন্ধানকারীর চাওয়া অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক ফলাফল দেখানোর চেষ্টা করে।
বাংলা ইনসাইডার/আরজে/জেডএ
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী বলেছেন, সাধারণ মানুষ গোপনীয়তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের সকল বার্তা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা হয়। এই এনক্রিপশন ভাঙলে তা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের সামিল হবে।
ভারতের ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায়কে কোন তথ্য দিচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ কোনো তথ্যের মূল উৎস কিংবা কোন মেসেজ কোথা থেকে শুরু হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জায়গা রাখতে হবে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে মেসেজের তথ্য চিহ্নিত করার সুযোগ রাখতে হবে। এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। যার শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী ১৪ আগস্ট। তার আগেই হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিলো।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, এই ধারা মানতে গেলে বিপুল সংখ্যক মেসেজ নির্দিষ্ট কিছু বছরের জন্য স্টোর করে রাখতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এর জন্য মেসেজের কমপ্লিট চেন রাখতে হবে কারণ কখন কোন মেসেজ নিয়ে জানতে চাওয়া হবে তার ঠিক নেই। এমন পদ্ধতি বিশ্বের কোথাও নেই।
এদিকে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ব্যবহারকারীদের মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘন করছে। মন্ত্রণালয়টির দাবি, যদি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য ভুয়া তথ্যের উৎস খোঁজার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে।
উল্লেখ্য, মোদি সরকার ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে
ইন্টারনেট পরিষেবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ সাবমেরিন
কেব্লস (বিএসসিপিএলসি)-এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসিপিএলসির সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো
যাচ্ছে, কুয়াকাটায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেব্ল রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কেব্লের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা
বন্ধ থাকবে।
বিএসসিপিএলসি জানিয়েছে, এতে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটে ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে অন্য সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমে ব্যান্ডউইডথ সেবা যথারীতি চালু থাকবে।
মন্তব্য করুন
ইন্টারনেট সেবা সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড
মন্তব্য করুন
আবারও মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাট দেখা
দিয়েছে। ফলে বিশ্বজুড়ে থমকে গেছে এই দুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিষেবা। বার্তা
আদান-প্রদানে সমস্যার মুখে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা।
তবে কী কারণে এই বিভ্রাট, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি
মেটা। এক মাসের মধ্যেই দু’বার মেটার বিভিন্ন পরিষেবা বিভ্রাটের সম্মুখীন হলো।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সমস্যার শুরু হয়। অনেক ব্যবহারকারী
লক্ষ করেন তারা হোয়াটসঅ্যাপের ওয়েব সংস্করণে লগইন করতে পারছেন না। মোবাইল অ্যাপ থেকে
মেসেজ পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হন তারা।
এ ছাড়া সমস্যা দেখা দেয় ইনস্টাগ্রামেও। ব্যবহারকারীরা বার বার তাদের
ফিড রিফ্রেশ করলেও নতুন কোনো পোস্ট দেখতে পারছিলেন না। তবে ফেসবুকের পরিষেবা ঠিকই ছিল।
সেখানেই অনেকে জানান, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা বিভ্রাট সংক্রান্ত সমস্যার
কথা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বার্তা আদান প্রদানের জন্য বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি। সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ। তবে সম্প্রতি ভারত থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মেটার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই দাবি করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।