ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি শুরু হয়ে গেল?

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি শুরু হয়ে গেল?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে কখন শুরু হতে পারে এবং কি ইস্যুতে শুরু হতে পারে তা নিয়ে চলছে বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা, বিচার-বিশ্লেষণ এবং গবেষণা। ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়। ১৯৩৯ সালের আগেও এশিয়ায় সংগঠিত কয়েকটি সংঘর্ষকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। তৎকালীন বিশ্বে সকল পরাশক্তি এবং বেশিরভাগ রাষ্ট্রই এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং দুইটি বিপরীত সামরিক জোটের সৃষ্টি হয়; মিত্রশক্তি আর অক্ষশক্তি। সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং চীন নিয়ে গঠিত হয় মিত্রশক্তি। জার্মানি, জাপান, ইতালি, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া নিয়ে গঠিত হয় অক্ষশক্তি। ইউক্রেনে হামলা করে করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে হিটলার যেভাবে প্রতিবেশী দেশগুলো আক্রমণ করে নিজেদের দখলে নিয়েছিল, রাশিয়াও এখন সেই পথেই হাঁটছে কি না। সরাসরি যুদ্ধে না জড়িয়ে একে অপরের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্সি যুদ্ধও চালিয়ে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। এখন ঠিক যেমনটা দেখা যাচ্ছে ইউক্রেনের ক্ষেত্রে, যা এর আগে হয়েছে সিরিয়ায়। আর এই প্রক্সি যুদ্ধ লড়তে লড়তে এক সময় নিজেদের মধ্যেই যুদ্ধ শুরু করে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বৃহৎ শক্তিগুলো পরস্পরকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইউক্রেন সীমান্তে আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া। চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধের আবহ তৈরি হওয়ার সময় থেকেই রাশিয়াকে ইউক্রেন আক্রমণ থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল পৃথিবীর শক্তিশালী ক্ষমতাধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে হুংকার দিলেও একসময় তাদের যে দর্প ছিল তা এখন অনেকটাই ম্লান। যুক্তরাষ্ট্রের হুমকিকে পাত্তা না দিয়ে পুতিন আগেই ইউক্রেন সীমান্তে যুদ্ধের আয়োজন করে।

ইউক্রেন ইস্যুতে গোটা বিশ্ব এখন দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ছে বলেই স্পষ্ট হচ্ছে। ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমর্থন জানিয়ে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের (ন্যাটো) ৩০টি দেশ আগে থেকেই রাশিয়ার আক্রমণ রুখতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছিল। কিন্তু উভয়-সঙ্কটে রয়েছে রাশিয়া সীমান্তে থাকা জোটের দেশগুলি। ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত ৩০টি দেশের মধ্যে ১০টি দেশের অবস্থানই রাশিয়ার কাছাকাছি। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ২০০৪ সালে আমেরিকা এই দেশগুলোকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করে। তবে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হলেও তাদের পক্ষে রাশিয়ার বিরোধিতা করা বেশ কঠিন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি সামলাতে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়াতে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তবে আমেরিকাসহ ন্যাটোর অন্তর্গত অনেক দেশ রাশিয়ার নিন্দা করলেও, তাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংঘাতে জড়াবে না বলেও জানিয়েছে। তারা ইউক্রেনের অভ্যন্তরে নিজ সামরিক বাহিনী না পাঠালেও, বাইরে থেকে অস্ত্র ও ওষুধের মতো যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করবে। এমনকি ন্যাটো দেশগুলো থেকে বেশকিছু অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধবিমান ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যও। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য রাশিয়ার ৫টি ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

অন্যদিকে, রাশিয়াকে সমর্থন দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র চীন। গত দুই দশক ধরে রাশিয়া এবং চীনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক বজায় রয়েছে। দুই দেশই অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে একে অপরের সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত। এমনকি মহাকাশ গবেষণাতেও বহু দিন ধরে জোট বেঁধে কাজ করছে এই চীন-রাশিয়া। এদিকে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্যতার কথা কারও অজানা নয়। সেই বিবেচনায় রাশিয়াকে সমর্থন জানাবে পাকিস্তান সেটা বলাই বাহুল্য। তাই এই সঙ্কটে রাশিয়া সফরে গিয়েছেন ইমরান খান। এদিকে রাশিয়ার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে উত্তর কোরিয়াও। পরমাণু চুক্তি নিয়ে আমেরিকা এবং ইরানের দ্বন্দ্ব সারা বিশ্বের কাছে স্পষ্ট। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ইরানও রাশিয়াকেই সমর্থন করবে বলেই মনে করছে অনেক দেশ।

বর্তমান বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই চলছে অস্থিরতা। অনেক জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে ভয়াবহ সহিংস পরিস্থিতি। একের পর এক পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। কাশ্মীর ইস্যুতে আবার সীমান্তে গোলাগুলি শুরু করেছে ভারত-পাকিস্তান। পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার মধ্যবর্তী সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা সামরিক ঘাঁটি আবার নতুন করে চালু করছে রাশিয়া। আর সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ও জঙ্গিবাদ দমনের প্রশ্নে ক্রমেই বিভক্ত হচ্ছে দুই বৈশ্বিক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার এই সাম্প্রতিক অবস্থানগুলো ক্রমেই ঘনীভূত করছে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা। রাশিয়াকে বারবার সতর্ক করেছিলো আমেরিকা। কিন্তু যুদ্ধ যখন শুরু হয়েই গেছে তখন আমেরিকা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ফলে, বর্তমান এই রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে তাই এমন প্রশ্নই উঠেছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি শুরু হয়ে গেল?

বিশ্বযুদ্ধ   রাশিয়া   ইউক্রেন   যুদ্ধ   যুক্তরাষ্ট্র   ন্যাটো   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ঘুমিয়ে ছিলেন স্টেশন মাস্টার! সিগন্যালের অপেক্ষায় ট্রেন

প্রকাশ: ১২:১২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অনেক সময় চালকের ঘুমের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এবার ঘটেছে এক ভিন্ন ঘটনা। ডিউটির মধ্যেই ঘুমিয়ে গেছেন স্টেশন মাস্টার! এর ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা সিগন্যালের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন। এ ঘটনা ভারতের উত্তরপ্রদেশের। 

একটি স্টেশনে কর্তব্যরত অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন স্টেশন মাস্টার। এর ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা সিগন্যালের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে পাটনা-কোটা এক্সপ্রেস। 

গত ৩ মে (শুক্রবার) এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে ইটাওয়াহর কাছে উড়ি মোর রোড স্টেশনে। পরে অভিযুক্ত স্টেশন মাস্টারকে শোকজ করেছে রেল কতৃপক্ষ। 

জানা গেছে, পাটনা-কোটা এক্সপ্রেসের চালক বারবার হর্ন দিয়েও ঘুম ভাঙাতে পারছিলেন না স্টেশন মাস্টারের। শেষ পর্যন্ত ট্রেনটি প্রায় ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর স্টেশন মাস্টারের ঘুম ভাঙে এবং সেটি সবুজ সিগন্যাল পায়। 

ইতোমধ্যে দোষ স্বীকার করে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত। তিনি যুক্তি দেন, ঘটনার সময় পয়েন্টম্যান লাইন পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন। ঘুম ভাঙাতে পাশে কেউ ছিলেন না। তার ফলেই বিপত্তি ঘটে।

আগ্রা রেলওয়ে ডিভিশন পি আর ও প্রশান্ত শ্রীবাস্তব বলেন, গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বিষয়টিকে। ইতোমধ্যে স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


স্টেশন মাস্টার   ট্রেন   সিগন্যাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন

প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। সেখানে সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে। খাবার এবং আশ্রয়ের অভাবে দিন কাটছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনির। এ ধ্বংসযজ্ঞ যখন পুরো বিশ্বে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন সামনে এলো গাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করুণ চিত্র।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় দিন দিন পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজায় লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো নারী প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন না। তারা স্যানিটেশন সমস্যায়ও ভুগছেন। প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার নারী খুবই কঠিন সময় পার করছেন। তাদের বেশির ভাগই পানিশূন্যতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউ-এর তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীর প্রাণহানি হয়েছে। ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নারী আহত হয়েছেন। যেসব নারী মারা যাচ্ছেন তাদের অনেকেই সন্তানের মা। ফলে গড়ে প্রতিদিন মা হারাচ্ছে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পালটা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। অভিযানের নামে সেখানে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিশ্ব জুড়েই গাজা সংঘাত বন্ধের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং রাফা এবং অন্যান্য শহরে হামলার তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে প্রায় সাত মাস ধরে চলা সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে ৭৭ হাজার ৮৬৭ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। হতাহতের শিকার এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।


গাজা   অন্তঃসত্ত্বা   নারী   পানিশূন্যতা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেফতার ২৫

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া এই বিক্ষোভ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাইডেন প্রশাসন। চলছে ধরপাকড়।

সর্বশেষ শার্লটসভিলের ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শিবির ভেঙে দিয়েছে মার্কিন পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের তাদের ওপর পিপার (মরিচ) স্প্রে ব্যবহার করা হয়েছে। সেখান থেকে অন্তত ২৫ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট জিম রায়ান বলেন, বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসে তাঁবু স্থাপন করে আন্দোলন করতে থাকে। তারা অবস্থান থেকে সরে যেতে অস্বীকার করার পর তাদের ছত্রভঙ্গ করতে স্থানীয় পুলিশ বাহিনীকে ডাকা হয়।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে তাদেরকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা সংঘর্ষ বাঁধানো ও হামলার চেষ্টা করে। ফলে পুলিশ ওই সমাবেশকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং যারা সেখান থেকে সরে যেতে অস্বীকার করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ক্যাম্পাসভিত্তিক এই আন্দোলন থেকে ইতোমধ্যে দুই হাজার চার শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন প্রশাসন। তবে তারপরও দমে যাননি শিক্ষার্থীরা। তারা অবিলম্বে ইসরায়েলের সঙ্গে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন ও গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।  


ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ   ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যাল   গ্রেফতার ২৫  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মেক্সিকোতে তাঁবু গেড়ে অবস্থান শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, কানাডাসহ বিশ্বের আরও অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। লন্ডন, প্যারিস ও রোম থেকে সিডনি, টোকিও, বৈরুতসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই- ‘গণহত্যা বন্ধ হোক’। পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন সব কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলা হচ্ছে। সম্প্রতি ব্রিটেনের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ভবনের বাইরে তাঁবু গেড়ে অবস্থান নেয় শত শত শিক্ষার্থী। ফিলিস্তিনের সহমর্মিতায় বিক্ষোভ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডার মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়েও। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ-কারীদের হটাতে যে দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে, সেটাও তাদের প্রতিবাদে শামিলে উৎসাহিত করছে বলে জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন।

এদিকে, মেক্সিকোর বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিদাদ ন্যাসিওনাল অটোনোমা ডি মেক্সিকোতে তাঁবু খাটিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার থেকে কমপক্ষে ৪০টি তাঁবু খাটানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ‘গাজায় সাম্রাজ্যবাদী গণহত্যা’ বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বলে জানান। এসব বিক্ষোভে আরবের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইহুদি শিক্ষার্থীরাও অংশ নিচ্ছেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও মেক্সিকোর সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।


ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ   মেক্সিকো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানেও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১০:৫৬ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এরই মধ্যে দেশটির ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিক্ষোভ চলছে। মার্কিন প্রশাসনের ব্যাপক ধরপাকড় সত্ত্বেও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি- ‘গাজায় গণহত্যা বন্ধ হোক’। পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন সব কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলা হচ্ছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানস্থলেও মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থীরা। তবে এই বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। অন্যদিকে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের মুখোমুখি হতে হয়েছে বিক্ষোভকারীদের।

স্থানীয় সময় শনিবার এসব ঘটনা ঘটে। আগামী দিনগুলোয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অ্যান আরবর স্টেডিয়ামে বসেছিল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েক ডজন শিক্ষার্থী মাথায় ঐতিহ্যবাহী কেফিয়েহ আর স্নাতক টুপি পরে মঞ্চের সামনে দিয়ে হেঁটে যান। তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড ও ফিলিস্তিনের পতাকা ছিল। এ সময় দর্শকেরা উল্লাস করে বিক্ষোভকারীদের উৎসাহ দেন।

ক্যাম্পাস পুলিশ দ্রুত বিক্ষোভকারীদের ঘিরে ফেলে স্টেডিয়ামের পেছনের অংশে নিয়ে যায়। তবে কাউকে আটক করা হয়নি এবং অনুষ্ঠানেরও কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। বিশ্ববিদ্যালয়টির মুখপাত্র কলিন ম্যাসটনি এসব তথ্য জানান।

এক বিবৃতিতে কলিন বলেন, আগেও মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে।

তবে শনিবার চার্লটসভ্যালে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লনের ওপর দিয়ে টেনে আনতে দেখা যায় পুলিশকে।  


মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়   ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন