ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়া-ইউক্রেন: সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail রাশিয়া-ইউক্রেন: সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে?

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছে রাশিয়া। আর এর মাধ্যমেই ইউরোপের মাটিতে আধুনিক যুগের যুদ্ধের দামামা বাজলো দুই সাবেক সোভিয়েত প্রতিবেশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মাঝে। সামরিক শক্তিতে পৃথিবীর দ্বিতীয় শক্তিধর দেশ রাশিয়া। অন্যদিকে, সেই তালিকায় ২২তম দেশ ইউক্রেনের লড়াইটা শুনতেও যেমন অসম তেমনি সত্যিকার অর্থে বেশ অসামাঞ্জস্যও। পারমাণবিক শক্তিধর দেশ রাশিয়া অর্থনীতি, প্রযুক্তিগত এবং সামরিকসহ সবদিক থেকেই প্রতিবেশী ইউক্রেন থেকে যোজন-যোজন এগিয়ে। দুটো দেশের সৈন্য সংখ্যা, যুদ্ধবিমান, রণতরী বা সামরিক সরঞ্জামেও ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে, রয়েছে ভূ-রাজনৈতিক সক্ষমতার বিস্তর ফারাক। 

১৯১৭ সালে রুশ সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। পরের বছর গড়ে ওঠে সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯২২ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত টিকে ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংযুক্ত প্রজাতন্ত্র সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৯২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ১৫টি নতুন প্রজাতন্ত্রের জন্ম দেয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন হলো রাশিয়া। নতুন প্রজাতন্ত্রের একটি এখন পূর্ব ইউরোপের দেশ-ইউক্রেন। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে ইউক্রেন। ইতিহাস বলছে, ইউক্রেন ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ।

২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের মাধ্যমে শুরু হয় ইউক্রেন, ন্যাটোর সাথে রাশিয়ার দ্বন্দ্ব। রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহীদের সাথে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ। যুদ্ধ বন্ধে একটি আন্তর্জাতিক মিনস্ক শান্তিচুক্তি হয়েছিল। যদিও এ চুক্তি কাজে আসেনি। এ কারণে ইউক্রেন ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে চাইছিল। আর ইউক্রেনের এই ন্যাটোতে যোগদান করতে চাওয়ায় দেশটির জন্য সবচেয়ে বড় কাল হয়েছে। কারণ ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান রাশিয়া তাদের নিজেদের নিরাপত্তায় সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে। 

প্রতিবছর সামরিক ব্যায়ের নিরিখেও দেশদুটির মাঝে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। সামরিক খাতে রাশিয়া প্রতি বছর ব্যয় করে যেখানে প্রায় ১৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার সেখানে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেনের সামরিক ব্যয় মাত্র এক হাজার একশো ৮৭ কোটি ডলার। 

সৈন্য সংখ্যার দিক থেকেও দেশ দুটির মাঝে রয়েছে বিস্তর ফারাক। রাশিয়ার সৈন্য সংখ্যা যেখানে আট লাখ ৫০ হাজার সেখানে ইউক্রেনে সৈন্য সংখ্যা মাত্রা দুই লক্ষ। রাশিয়ার আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা আড়াই লাখ, তবে ইউক্রেনের রয়েছে মাত্র ৫০ হাজার।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেখে নেওয়া যাক যুদ্ধরত দুই প্রতিবেশী শক্তির পার্থক্য, 

সেনাবাহিনী



ট্যাঙ্ক: যুদ্ধ ক্ষেত্রের রাজা হিসেবে পরিচিত ট্যাঙ্ক। অসম্ভব শক্তিশালী সামরিক এই যানটি রাশিয়ার কাছে রয়েছে ১২ হাজার ৪২০টি, ইউক্রেনের ২,৫৯৬টি।

আরমার্ড পার্সোনাল ভেহিক্যাল: যুদ্ধক্ষেত্রের সৈন্য পরিবহণে আরমার্ড পার্সোনাল ভেহিক্যালের গুরুত্ব অপরিসীম। রাশিয়ার কাছে রয়েছে ৩০,১২২টি, ইউক্রেনের ১২,৩০৩টি।

স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি: রাশিয়ার কাছে রয়েছে ৬,৫৭৪টি, ইউক্রেনের আছে ১,০৬৭টি। এছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের ঘুম হারাম করার জন্য ব্যবহৃত হয় মোবাইল রকেট প্রজেক্টর। রাশিয়ার কাছে রয়েছে ৩,৩৯১টি, ইউক্রেনের আছে মাত্র ৪৯০টি। 


বিমানবাহিনী



যুদ্ধক্ষেত্রে বিমান থেকে আক্রমণ পরিচালনা করার ক্ষেত্রেও রাশিয়ার সাথে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে ইউক্রেনের। রাশিয়ার কাছে যুদ্ধ করার উপযুক্ত বিমান রয়েছে ৪ হাজার ১৭৩টি, ইউক্রেনের মাত্র ৩১৮টি।

রাশিয়ার কাছে যেখানে যুদ্ধবিমান রয়েছে ৭৭২টি যেখানে ইউক্রেনে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ৬৯টি। জঙ্গি বিমান বা শুধুমাত্র আক্রমণ পরিচালনা করার জন্য রাশিয়ার কাছে বিমান রয়েছে ৭৩৯টি, ইউক্রেনের মাত্র ২৯টি। 

যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্য ও সামরিক সরঞ্জাম পরিবহণে ব্যবহৃত পরিবহণ বিমানের দিক থেকেও ইউক্রেন থেকে এগিয়ে রয়েছে প্রতিবেশী বড় ভাই রাশিয়া। রাশিয়ার কাছে পরিবহণ বিমান রয়েছে রাশিয়ার রয়েছে ৪৪৫টি এবং ইউক্রেনের পরিবহন বিমান মাত্র ৩২টি। 

রাশিয়ার মোট হেলিকপ্টার রয়েছে ১,৫৪৩টি, যেখানে অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৫৪৪টি। অন্যদিকে ইউক্রেনের হেলিকপ্টার রয়েছে ১১২টি, অ্যাটাক কপ্টার ৩৪টি।

আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রতিরক্ষাবাহিনীর জুড়ি মেলাভার। দেশটির কাছে রয়েছে এস২০০, এস৩০০, এস৪০০ সহ খুব দ্রুত রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে এস৫০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। 

ইউক্রেনের ক্ষেত্রে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বেশিরভাগ অস্ত্র সমূহ পুরোতন রাশিয়ান।  
এছাড়া উভয় দেশের কাছে রয়েছে নানামুখী যুদ্ধ ও পর্যবেক্ষণকারী আধুনিক ড্রোণ ব্যবস্থা। 

নৌবাহিনী 



নৌবাহিনীর সক্ষমতার বিচারেও রাশিয়ার প্রতিপক্ষ কেবলই তাদের প্রধান শত্রু আমেরিকা। রাশিয়ার কাছে রয়েছে পারমাণবিক শক্তিধর সাবমেরিন থেকে শুরু করে বিমানবাহী রণতরী।    

রাশিয়ার মোট নৌসামরিক যান রয়েছে ৬০৫টি। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের রয়েছে ৩৮টি নৌযান।

রাশিয়ার কাছে একটিমাত্র বিমানবাহী রণতরী থাকলেও ইউক্রেনের কাছে কোন বিমানবাহী রণতরী নেই। যদিও রাশিয়ার বানানো একমাত্র বিমানবাহী রণতরীটি সোভিয়েত আমলে ইউক্রেনের যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুতকারী সংস্থা থেকেই তৈরি করা ছিলো। 

এছাড়া, রাশিয়ার ৭০টি সাবমেরিন থাকলেও ইউক্রেনের কোন সাবমেরিন নেই।

রাশিয়ার দখলে রয়েছে ১৫টি ডেস্ট্রয়ার সেখানে ইউক্রেনের একটিও নেই। অন্যদিকে রাশিয়ার ১১টি ফ্রিগেটের বিপরীতে ইউক্রেনের দখলে রয়েছে মাত্র ১টি ফ্রিগেট। 

মাইন ওয়ারফেয়ার নৌযান ইউক্রেনের একটা থাকলেও রাশিয়ার রয়েছে ৪৯টি। রাশিয়ার করভেট রয়েছে ৮৬টি, যেখানে ইউক্রেনের আছে মাত্র একটি। পেট্রোল ভেসেল রাশিয়ার রয়েছে ৫৯টি, ইউক্রেনের রয়েছে ১৩টি।

এছাড়া, রাশিয়ার যেখানে ১,২১৮টি বিমান বন্দর রয়েছে, ইউক্রেনের রয়েছে ১৮৭টি। বাণিজ্যিক জাহাজ রাশিয়ার ২,৮৭৩টি থাকলেও ইউক্রেনের আছে ৪০৯টি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সব সময় বিশ্বাস করেন ইউক্রেন আসলে ‘প্রাচীন রুশ ভূখণ্ড।’ পুতিনের দাবি ১৯৯৭ সালের পর যেসব দেশ ন্যাটোর সদস্য হয়েছে সেসব দেশ থেকে সৈন্য এবং সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নিতে হবে। এ ছাড়া রাশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি কোনো আক্রমণকারী অস্ত্র মোতায়েন করতে পারবে না ন্যাটো। মধ্য ইউরোপ, পূর্ব ইউরোপ এবং বাল্টিক সাগরের তীরের দেশগুলো থেকে ন্যাটোর সৈন্যদের সরাতে হবে। আর এই সকল দাবি দাওয়া মিটলেই কেবল ন্যাটোর সাথে শান্তিতে যুক্ত হতে পারে রাশিয়া, তথা ভ্লাদিমির পুতিন। 

রাশিয়া   ইউক্রেন   যুদ্ধ   যুক্তরাষ্ট্র   ন্যাটো   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচনে ভোটের হার কেন এত কম?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ হচ্ছে না। কম ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপির নেতারা।   

দেশটিতে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য। অথচ অধিকাংশ ভোটারদেরই কোনো আগ্রহ নেই নির্বাচন নিয়ে। কিন্তু কেন নির্বাচন নিয়ে দিন দিন এত অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন ভারতের ভোটাররা? বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশেই কেন ভোট নিয়ে এত অনীহা জনগণের মাঝে?

টানা ৭৫ বছর ধরে গণতান্ত্রিক শাসনে থাকা দেশটিতে এবারের নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিল মাত্র ৬৪ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার ছিল ৬৩ শতাংশ। যা আগের বছরের নির্বাচন গুলোর তুলনায় অনেক কম। 

নির্বাচন কমিশন দাবি করছে, অসময়ের গরম আবহাওয়া এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হচ্ছে। অবশ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যু নেই মোদির কাছে। তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভোটাররা আত্মতুষ্টি বা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে কেন্দ্রে আসছেন না। ফলে ভোটার সংখ্যা কম। 

দ্বিতীয় ধাপে দেশটির ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর উত্তরবঙ্গের তিনটি আসন দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটের ভোটের হার দেখা গেছে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বালুরঘাটে ভোটদানের হার ছিল ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। অথচ ২০১৯ সালে বালুরঘাটে ভোট পড়েছিল ৮৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশের মতো, যা প্রথম দফার ভোটের চেয়েও ৬ শতাংশ কম। বিহারেও ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে আরও কম, সাড়ে ৫৪ শতাংশের মতো। মধ্যপ্রদেশে সামান্য বেশি, সাড়ে ৫৭ শতাংশ। ফলে কম ভোটের এই হার সকল মহলকে কিছু হলেও উদ্বিগ্ন করছে। 

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের দিখৌলী নামের একটি গ্রামে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ভোটদানে উৎসাহ নেই বেশির ভাগ গ্রামের মানুষের। অনেকেই আবার কৃষিকাজে ব্যস্ত।

ভারতের বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, নরেন্দ্র মোদি টানা ১০ বছর ধরে ভারত শাসন করছেন। এবারের নির্বাচনে আবারও তিনিই জয়লাভ করবেন এবং তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করবেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনের ব্যাপারে জনগণের একটি বড় অংশ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যুও সামনে আনতে পারেননি এনডিএ বা ইন্ডিয়া জোটের কেউই। তাছাড়া এবারের লোকসভা নির্বাচনে আবহাওয়া একটা বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তীব্র গরমের কারণে অনেক ভোটার ভোট দিতে বের হচ্ছেন না। ফলে সব কিছু মিলিয়ে এবার উল্লেখযোগ্য হারে নির্বাচনে ভোটের হার কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করছেন ভারতের নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা।

ভারতের নির্বাচন   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত সফর স্থগিতের পর চীনে গেলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক ভারতে তার নির্ধারিত সফর স্থগিত করেন এবং এই সফর স্থগিতের কয়েকদিন পরই হঠাৎ করে চীন সফরে গেছেন তিনি। 

রোববার(২৮ এপ্রিল) টেসলার একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে অনেকটা আকস্মিকভাবেই রোববার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন তিনি। টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চীন সফরের বিষয়ে অবগত দুই ব্যক্তি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।  

২১ এপ্রিল ভারত সফরে যাবার কথা ছিল ইলন মাস্কের। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার বৈঠক ও ভারতে টেসলার বিনিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করার কথা ছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে এক্সে দেওয়া বার্তায় টেসলার এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত টেসলায় ব্যাপক কাজ জমে যাওয়ায় ভারত সফর পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে আমি চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত মুখিয়ে আছি।' 

টেসলার সিইওর ভারত সফর স্থগিতের এক সপ্তাহ পর চীন সফরের তথ্য এলো। চীনে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টেসলার স্বচালিত (এফএসডি) বৈদ্যুতিক গাড়ির যাত্রা শুরুর বিষয়ে আলোচনার জন্য বেইজিংয়ে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন। স্বচালিত ড্রাইভিং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অ্যালগরিদম প্রশিক্ষণে চীনে সংগৃহীত ডাটা বিদেশে স্থানান্তর করার অনুমতির বিষয়েও চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মাস্ক বলেছেন, চীনে শিগগিরই ব্যবহারকারীদের জন্য এফএসডির সরবরাহ শুরু করবে টেসলা। রয়টার্স বলছে, ২০২১ সাল থেকে চীনা নিয়ন্ত্রকদের শর্ত অনুযায়ী সাংহাইতে টেসলার চীনা বহরের সংগৃহীত সব ডাটা সংরক্ষণ করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা স্থানান্তর করেনি।


ভারত   সফর   স্থগিত   চীন   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। আর সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বাত্মক কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। 

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে আইসিসি।

নিউজ সাইট ওয়ালায় বিশ্লেষক বেন কাসপিট লিখেছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে হেগের বিশ্ব আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কায় ‘অস্বাভাবিক চাপে’ রয়েছেন। নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অর্থ হল- ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সুনামে বড় ধরনের আঘাত।

কাসপিট লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধে নেতানিহুয়া ‘বিরতিহীনভাবে টেলিফোনে চেষ্টা করে’ যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের বিশ্লেষক অ্যামোস হারেল লিখেছেন, ইসরায়েলি সরকার এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে যে আইসিসির প্রসিকিউটর করির খান চলতি সপ্তাহেই নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

হারেল জানিয়ছেন, আমেরিকা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আইসিসির রোম চুক্তিতে ১২৪টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাতে স্বাক্ষর করেনি। যুদ্ধের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারি বিবৃতিতে দাবি বলা হয়েছে, আইসিসির আসন্ন সিদ্ধান্ত ‘বিপজ্জনক নজির’ সৃষ্টি করতে পারে।


গ্রেফতার   নেতানিয়াহু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গরমে ট্রাফিক পুলিশকে স্বস্তিতে রাখতে ‘এসি হেলমেট’

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমে টানা রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। সড়কে দায়িত্বরত পুলিশদের কিছুটা শীতল ও স্বস্তিতে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের লখনৌর ট্রাফিক বিভাগ। ‘ঠান্ডা উদ্যোগ’ নামে পরিচিত এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেশকিছু ‘এসি হেলমেট’ উন্মোচন করা হয়েছে। লখনৌতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক পর্বের অংশ হিসেবে চারটি এসি হেলমেট চালু করা হয়। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) হজরতগঞ্জের অটল চক মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মীদের এসব হেলমেট দেয়া হয়। 

এই হেলমেটগুলোতে একটি স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ঢালসহ মাথায় শীতলতা নিশ্চিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসি ভেন্ট রয়েছে। চোখকে সূর্যের প্রখর আলো ও উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে এটি গগলস হিসেবে কাজ করে। হেলমেটটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কোমরে বাঁধা একটি বড় ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে এলে উপরে থাকা একটি লাল আলো সতর্ক বার্তা দেবে।

এ বিষয়ে লাখনৌ পুলিশের এডিসিপি অজয় কুমার সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘এই প্রকল্প সফল হলে হায়দরাবাদভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে পাঁচশ এমন এসি হেলমেট প্রস্তুতের দায়িত্ব দেয়া হবে। এই হেলমেটের ওজন সাধারণ হেলমেটের প্রায় অর্ধেক এবং আমাদের ট্র্যাফিক পুলিশ এটি ব্যবহার ও পরিধানে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।’


ট্রাফিক   পুলিশ   প্রকল্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের পর এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে না পারা, হামাসের হাত থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধার করতে না পারা, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করতে পারেন সামরিক বাহিনীর প্রধান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে ইসরায়েলজুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান   হামাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন