ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ঝুঁকিতে আব্রামোভিচের সম্পদ, যুক্তরাজ্যেই আটকা পড়ছে অনেক

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১২ মার্চ, ২০২২


Thumbnail ঝুঁকিতে আব্রামোভিচের সম্পদ, যুক্তরাজ্যেই আটকা পড়ছে অনেক

রাশিয়ার ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ। ফুটবল ক্লাব চেলসির মালিকানায় রয়েছেন তিনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এরই মধ্যে ঝুঁকিতে পড়েছে আব্রামোভিচের সম্পদ। কারণ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার উপরে এরই মধ্যে নানা ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর ফলে দেশটির অর্থনৈতিকভাবে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে পশ্চিমা দেশগুলো। এর আঁচ লেগেছে আব্রামোভিচের সম্পদের ওপরও। 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতেই চেলসির মালিকানা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন আব্রামোভিচ। দেনা মাফ করে দিয়ে প্রিমিয়ার লিগের এ ফুটবল ক্লাবটি বিক্রিও করে দিতে চেয়েছিলেন রাশিয়ার এই ধনকুবের। তবে যুক্তরাজ্য সরকার সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কাছের লোক’ আব্রামোভিচের যুক্তরাজ্যে যত সম্পদ আছে, সব জব্দ করার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে চেলসির ওপর এটি একটি বড় ধাক্কা হিসেবেই এসেছে। যুক্তরাজ্যে আব্রামোভিচের সম্পদের তালিকাটা অবশ্য শুধু লন্ডনের এ ক্লাবেই সীমাবদ্ধ নয়। তার বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর তাই মোটা অঙ্কের ক্ষতিই হতে চলেছে চেলসি মালিকের।

বলা হয়, পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ততা আব্রামোভিচেরই। গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সে এক সাংসদ প্রথম বলেছিলেন, চেলসি ছাড়াও যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পদ বেশ কম দামেই বিক্রি করে দিচ্ছেন আব্রামোভিচ। চেলসিকে ৪ বিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি করা হবে বলেও মনে করা হচ্ছিল।  

গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেলসি ছাড়া এভরাজ ও নরিলস্ক নিকেল নামের দুটি স্টিল কোম্পানির মালিকানা আছে আব্রামোভিচের। দুটি কোম্পানিই লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে আব্রামোভিচ এভরাজের কোনো শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। গত বৃহস্পতিবার সকালেই এর শেয়ারের মূল্য প্রায় ১৩ শতাংশ কমেছে। এরপর ‘কোনো সমাধান না আসা পর্যন্ত’ শেয়ারটির বিক্রি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২১ সালের শেষে এভরাজে আব্রামোভিচের ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন পাউন্ড সমমূল্যের শেয়ার ছিল, গত বুধবার সন্ধ্যায় সেটি দাঁড়িয়েছে ৩২০ মিলিয়ন পাউন্ডে। গত বৃহস্পতিবার নরিলস্ক নিকেলের শেয়ার কেনাবেচাও বন্ধ করে দিয়েছে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ।

এ ছাড়া আব্রামোভিচ সেন্ট্রাল লন্ডনের কেনসিংটন প্যালেস গার্ডেনসে ১৫ বেডরুমের একটা ম্যানশনের মালিক। সেটি ২০০৯ সালে ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা। টেমস নদী দেখা যায়, এমন একটা চেলসি পেন্টহাউসও আছে তাঁর। ২০১৮ সালে আব্রামোভিচ এটি কিনতে ২২ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছিলেন। অবশ্য আব্রামোভিচের এসব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার তালিকায় থাকলেও যুক্তরাজ্য সরকার ছুঁতে পারবে না ব্রিটিশ রাজপরিবারের মালিকানাধীন ফ্রান্সের ভূমধ্যসাগর উপকূলে থাকা তাঁর বিলাসবহুল ভিলাকে। শাতো দো লা ক্রো নামের ওই ভিলার মূল্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরো।

ফোর্বসের অনুমান অনুযায়ী, আব্রামোভিচের মোট সম্পদের মূল্য প্রায় ৯.৪ বিলিয়ন পাউন্ড। যুক্তরাজ্য সরকার তাঁকে উল্লেখ করেছে ‘১৯৯০-এর দশক থেকে পুতিনের অধীনে থেকে খ্যাতি অর্জন করা স্বল্পসংখ্যক গোষ্ঠীশাসকদের একজন’ হিসেবে।

যুক্তরাজ্যে এসব সম্পদের বাইরে আব্রামোভিচের অন্য সম্পদও সম্ভবত ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম বড় সুপারইয়ট ১৪০এম সোলারিসের মালিকও আব্রামোভিচ। এ প্রমোদতরিতে প্রায় ৩৬ জনকে আতিথ্য দেওয়া যায়। সুপারইয়টফ্যান ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটি মার্কিন ডলার। এ ছাড়া এর চেয়েও বড় ১৬২এম একলিপ্স নামে আরেকটি প্রমোদতরির কথা শোনা যায়, যেটির দাম ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার।

এই প্রমোদতরিগুলো যাতে কোনো দেশের সরকার জব্দ করতে না পারে, সে জন্য গত দুই দিনে সেগুলো নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন আব্রামোভিচ। সোলারিস প্রমোদতরিটি গত মঙ্গলবার বার্সেলোনার বন্দরে ছিল, সেটিতে সংস্কারকাজ চলছিল। কিন্তু জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের ওয়েবসাইট ম্যারিন ট্রাফিকের তথ্য দিয়ে গার্ডিয়ান লিখেছে, বৃহস্পতিবার সকালে সেটি ছিল ইতালির সিসিলির দক্ষিণ উপকূলে। অন্য প্রমোদতরি একলিপ্স ক্যারিবিয়ান দ্বীপ সেন্ট মার্টেন থেকে পূর্ব দিকে যাত্রা করেছে, যাতে দ্রুতই আন্তর্জাতিক নৌসীমায় ঢুকে যেতে পারে। ভেসেলফাইন্ডার ডট কমের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দিনের মধ্যভাগের আগেই একলিপ্স আটলান্টিকের অনেকটা পাড়ি দিয়েছে, ক্যানারি দ্বীপের পশ্চিম দিকে দেখা গেছে সেটিকে। 

দ্রুত যাতায়াতের জন্য চেলসি মালিকের একটি ব্যক্তিগত বিমানও আছে। গত বছর প্রকাশিত ফোর্বস রাশিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ৩৫০ ইউএস ডলার খরচ করে একটা বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার কিনেছেন আব্রামোভিচ। এমনিতে যাত্রী পরিবহনে এ বিমান ব্যবহার করা হয়, ৩০০ জন মানুষ নেওয়া যায় এতে। তবে বিলাসবহুল ভ্রমণের জন্য আব্রামোভিচের এ বিমানকে বিশেষ সাজে সাজিয়ে নেওয়া হয়েছে, সক্ষমতা নামিয়ে আনা হয়েছে ৩০ জন যাত্রী ও ২০ জন স্টাফে। ফ্লাইটরাডার২৪-কে সূত্র হিসেবে জানিয়ে গার্ডিয়ান লিখেছে, ৪ মার্চ আব্রামোভিচের সেই বিমান মস্কো থেকে দুবাই গিয়ে আবার ফিরে গেছে মস্কোতে।

ফলে নিষেধাজ্ঞায় আব্রামোভিচের সম্পদ এখন অনেকটাই ঝুঁকিতে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য তার যে সম্পদগুলো রয়েছে সেগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতায়। ফলে আব্রামোভিচের এই সম্পদ এখন নিষেধাজ্ঞার খাতায়। কবে এই সম্পদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে তাও তিনি জানেন না। ফলে কার্যত বিপদেই পড়েছেন রোমান আব্রামোভিচ।

আব্রামোভিচ   রোমান আব্রামোভিচ   চেলসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাল্টে যাচ্ছে ইরানের পারমাণবিক নীতি

প্রকাশ: ০৮:৫৪ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

অস্তিত্ব রক্ষায় ইরান পারমাণবিক নীতি পরিবর্তন করতে পারে। দেশটি ঝুঁকতে পারে পরমাণু অস্ত্র বানানোর দিকে।  ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি এ কথা জানিয়েছেন।

ইরানের স্টুডেন্ট নিউজ নেটওয়ার্কে তিনি জানান, তাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনও সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু ইরানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে সামরিক মতবাদ পরিবর্তন করা ছাড়া তাদের কোনও উপায় থাকবে না।

খামেনির উপদেষ্টা খারজি ২০২২ সালে বলেছিলেন, ইরান প্রযুক্তিগতভাবে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে সক্ষম। তবে বোমা তৈরি করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের এক ঊর্ধ্বতন জেনারেল নিহত হওয়ার পর ঘটনাপ্রবাহ বিপজ্জনক দিকে মোড় নিয়েছিল। দুই দেশই নিজেদের মাটি থেকে সরাসরি একে অপরের ভূখণ্ডে পাল্টাপাল্টি হামলা করে।


ইরান   পারমাণবিক নীতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে এলেন পুতিন

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ রাশিয়া কেএইচ-১০১ নামে একটি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আধুনিকায়ন করেছে। এতদিন এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটি ওয়ারহেড থাকলেও এখন থেকে দুটি থাকবে। ফলে এই অস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বেড়েছে। এখন থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুঘাঁটি ও সেনার ওপর ভয়ংকর ও কার্যকরভাবে আঘাত হানতে পারবে পুতিন বাহিনী। 

বুধবার (৮ মে) যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে এসব তত্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম নিউজউইক।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ান অ্যারোস্পেস ফোর্সেস ভিকেএস-এর লং রেঞ্জ এভিয়েশন কমান্ড (এলআরএ) তাদের প্রধান দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটির বদলে দুটি ওয়ারহেড যুক্ত করেছে তারা।

এর আগে কেএইচ-১০১ ক্ষেপণাস্ত্রকে রাশিয়ার প্রধান নির্ভুল গাইডেড যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছিল যুক্তরাজ্য। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৪ হাজার কিলোমিটার উড়ে গিয়ে শত্রুশিবিরে আঘাত হানতে পারে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুরো ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের জ্বালানি অবকাঠামোতে বড় আকারের হামলা চালাতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে পুতিন বাহিনী। এ ছাড়া কম উঁচু দিয়ে উড়ায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র সহজে শত্রু দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে বলে উল্লেখ করেছিল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ সেন্টার।

পুতিনের নতুন অস্ত্রের সক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই ক্ষেপণাস্ত্রের একটি দুর্বল দিকও উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা বিশ্লেষণে দাবি করা হয়েছে, আধুনিকায়ন করায় কেএইচ-১০১ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানার পরিসীমা অর্ধেকে নেমে গেছে। তবে দূরত্ব সীমা কমলেও ইউক্রেনে হামলা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই রুশ বাহিনীর। কেননা ইউক্রেন ও রাশিয়া প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় খুব সহজে কিয়েভের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে রাশিয়ার সেনারা।

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য নিউজউইকের পক্ষ থেকে ইমেলের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে রুশ মন্ত্রণালয় কোনো জবাব দিয়েছে কিনা, তা জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি।


ক্ষেপণাস্ত্র   ভ্লাদিমির পুতিন   রাশিয়া   প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে শীর্ষ দেশ ভারত

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

২০২২ সালে ১১১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে ভারত। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ও ১১১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে ভারত। যার ফলে রেমিট্যান্সপ্রাপ্তির দিক থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে দেশটি। 

মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪ প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের মাইগ্রেশন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)। এই প্রতিবেদন থেকেই এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে শীর্ষ রেমিট্যান্স আয়কারী দেশ ছিল ভারত।  শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য দেশগুলো হচ্ছে- যথাক্রমে মেক্সিকো, চীন, ফিলিপাইন ও ফ্রান্স। 

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভারতের রেমিট্যান্স আয় বছর বছর বেড়েই চলছে। ২০১০ সালে ভারতের রেমিট্যান্স আয় ছিল ৫৩.৪৮ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫ সালে এই আয় দাঁড়ায় ৬৮.৯১ বিলিয়ন ডলারে।

২০২০ সালে আয় আরও বেড়ে হয় ৮৩.১৫ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২২ সালে দেশটির রেমিট্যান্স আয় ছিল ১১১.২২ বিলিয়ন ডলার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স গ্রহণে ২০২২ সালে বিশ্বে অষ্টম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। ২০২২ সালে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় ছিল ২১.৫০ বিলিয়ন ডলার আর পাকিস্তানের ছিল ২৯.৮৭ বিলিয়ন ডলার। এতে আরও বলা হয়, ভারতের এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ১.৩ শতাংশ প্রবাসী।

এর ফলে দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাসী শ্রমিক সরবরাহকারী দেশ। দেশটির সবচেয়ে বেশি শ্রমিক রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবে। ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এ সময় ভারত সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আয় করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

দেশটির মোট রেমিট্যান্সের ২৩.৪ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ১৮ শতাংশ আসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৬.৮ শতাংশ আসে যুক্তরাজ্য থেকে, চতুর্থ সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৫.৭ শতাংশ আসে সিঙ্গাপুর থেকে এবং পঞ্চম সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৫.১ শতাংশ আসে সৌদি আরব থেকে। 


রেমিট্যান্স   ভারত   আইওএম  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আরও তিন দেশে সৌদির ই-ভিসা পদ্ধতি চালু

প্রকাশ: ০৮:১৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত বছরের ডিসেম্বরে ই-ভিসা পদ্ধতি চালু করে সৌদি আরব। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন দেশকে ই-ভিসার অন্তর্ভুক্ত করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশিদের জন্য সৌদির এই ডিজিটাল ভিসা চালু হয় চলতি মাসের শুরুতে। এবার আরও ৩টি দেশকে ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশ। 

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, ক্যারিবীয় অঞ্চলের তিন দেশ বার্বাডোজ, বাহামাস ও গ্রেনাডাকে ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। 

এর আগে ৬৩ টি দেশকে ই-ভিসা সুবিধার আওতায় এনেছিল সৌদি আরব। ই-ভিসা সুবিধার আওতায় থাকা দেশগুলোর নাগরিকরা অনলাইনে সহজেই সৌদি আরবের ভিসার জন্য আবেদন করতে এবং সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর বা সমুদ্রবন্দরের মতো প্রবেশপথগুলো থেকেই এই ভিসাসংক্রান্ত সব সুবিধা নিতে পারেন।

নতুন এই সুবিধা চালুর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর বাসিন্দাদের জন্য সৌদি আরবের পর্যটক ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, উপসাগরীয় জোট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকরাও এই ই-ভিসা সেবা নিতে পারবেন। এই ভিসার আওতায় জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর বাসিন্দারা সৌদি আরবে পর্যটন, ওমরাহ, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুবিধা পেয়ে আসছেন।

এর বাইরে, সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা সৌদিয়া এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের যাত্রীদের জন্য ট্রানজিট ভিসাও চালু করেছে সৌদি আরব সরকার। এই ক্ষণকালীন ভিসার সাহায্যে এই সংস্থা দুটির যাত্রীরা চাইলে সৌদি আরবে ৯৬ ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করতে পারবেন।


ই-ভিসা   সৌদি আরব   মধ্যপ্রাচ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বেলজিয়ামে শিশুদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার আরেক শিশু

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেলজিয়ামে ১৪ বছরের এক মেয়ে শিশুকে সংঘবদ্ধ করেছে কয়েকজন ছেলে শিশু। যাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ১১ বছর।

বেলজিয়াম সংবাদমাধ্যম ব্রাসেলস টাইমস জানিয়েছে, যৌন নির্যাতনে জড়িত ছিল মোট ১০ শিশু। যাদের সবার বয়স ১৬ থেকে ১১ বছরের মধ্যে। তারা মেয়েটিকে লোভ দেখিয়ে বনের মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর তার ওপর ২ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত তিনবার নির্যাতন চালায়।

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নিরাপত্তার জন্য মেয়ে শিশুটির নাম প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ইস্টারের ছুটি চলার সময় শিশুটির এক ছেলে বন্ধুর বন্ধুরা তাকে লোভ দেখিয়ে বনের ভেতর নিয়ে যায়। ওই সময় তার একাধিক বন্ধু তাকে নির্যাতন করে। মেয়েটির ছেলে বন্ধুটি এতে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যম।

কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, মেয়ে শিশুটিকে দুইদিন সেখানে আটকে রাখা হয়। নির্যাতনকারী শিশুরা নিজেদের স্মার্টফোনে নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেগুলো প্রকাশ করে।

বেলজিয়ামের অপর সংবাদমাধ্যম নিউজব্লাড জানিয়েছে, ছেলে শিশুদের দলটির সবাই কম বা বেশি এই নির্যাতনে অংশ নিয়েছে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউই এই নির্যাতন থামানোর কথা বলেনি।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে অভিযুক্ত শিশুরা অভিবাসীদের সন্তান। তাদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে শিশু কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপর চারজনকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।  

ওয়েস্ট ফ্লেমিসের পাবলিক প্রসিকিউটর বলেছেন, সবচেয়ে কম বয়সী অভিযুক্তের বয়স ১১ বছর। যেহেতু অভিযুক্তরা খুবই কম বয়সী। তাই আমরা খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করছি না। তবে তাদের সবার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এখন তদন্ত করা হবে অভিযুক্ত শিশুরা কতটা নির্যাতন চালিয়েছে। এছাড়া আশপাশের কেউ এতে অংশ নিয়েছিল কিনা সে বিষয়টিও দেখা হবে।


বেলজিয়াম   শিশু   সংঘবদ্ধ ধর্ষণ   শিকার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন