ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আজ জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষে ভাষণ দিবেন জেলেনস্কি

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ১৭ মার্চ, ২০২২


Thumbnail আজ জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষে ভাষণ দিবেন জেলেনস্কি

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর সর্বপ্রথম যে দেশগুলো ইউক্রেনকে সমর্থন জানায় তার মাঝে একটি জার্মানি। যুদ্ধ শুরুর পর এবার সেই জার্মানির সংসদে নিম্নকক্ষে ভাষণ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় এই ভাষণ দেবেন তিনি। এর আগে বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে ভিডিও কনফারেন্সে ভাষণ দেন জেলেনস্কি। 

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে এই অভিযান শুরু হয়। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ২২তম দিনে গড়িয়েছে অভিযান। বিগত ২১ দিনে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। 

উল্লেখ্য, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। এছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদান করে চলেছে।

রাশিয়া   ইউক্রেন   যুদ্ধ   যুক্তরাষ্ট্র   ন্যাটো   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিজ্জর হত্যা ইস্যুতে মুখ খুললেন জয়শংকর

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

খালিস্তান নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার ঘটনায় ৩ ভারতীয়কে গ্রেফতার করেছে কানাডা পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

তিনি বলেন, তিন ভারতীয়কে গ্রেফতারের বিষয়টি তিনি দেখেছেন। এখন কানাডা তাদের বিষয়ে আমাদের কোনো তথ্য সরবরাহ করবে কিনা তার জন্য অপেক্ষায় আছি। অভিযুক্তরা কোনো গ্যাংয়ের হয়ে কাজ করতে পারে। তবে পুলিশ কী বলে সে বিষয়ের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।

জয়শঙ্কর আরও বলেন, 'আমরা আমাদের অভিমত তাদের (কানাডা) জানিয়েছি। কারণ তারা ভারত থেকে সংগঠিত অপরাধ বিশেষ করে পাঞ্জাবের কর্মকাণ্ডকে কানাডা থেকে পরিচালিত করার সুযোগ দিয়েছে।' 

জয়শঙ্কর বরাবরই বলে আসছেন, কানাডায় শিখ সন্ত্রাসবাদীরা অনেক দিন থেকেই ভারতবিরোধী প্রচার চালিয়ে আসছে। ভারত তাদের আন্দোলনের বিরোধিতায় কানাডা সরকারকে সক্রিয় হতে অনুরোধ করেছে। কিন্তু ট্রুডো সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার দরুন তারা তা করছে না।

ভারতের অভিযোগ, নিজ্জর হত্যা সম্পর্কে কানাডা আজও কোনো তথ্য ভারতকে দেয়নি। অথচ ভারত বারবার তা জানানোর দাবি করে আসছে। কানাডার অভিযোগ, ভারত ওই হত্যায়  হাত থাকার খবর অস্বীকার করে চলেছে। তারা তদন্তে কোনো সহযোগিতাই করতে চাইছে না।

এর আগে, সম্প্রতি কানাডার এডমন্টন শহর থেকে ওই তিন ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন করণ ব্রার (২২), কমলপ্রীত সিং (২২) ও করণপ্রীত সিং (২৮)। আদালতের নথি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তারা তিন থেকে পাঁচ বছর সে দেশে রয়েছে।

তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয় ভার্মা বলেন, তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক তথ্য রাখছি। এটা কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের পুলিশ অবশ্যই স্বচ্ছতার মাধ্যমে তদন্তে সাক্ষেপে প্রতিবেদন তৈরি করবে। 

গত বছরের জুনে শিখ নেতা ৪৫ বছর বয়সী নিজ্জরকে কানাডায় হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ ঘটনায় ভারত সরকারকে দায়ী করেন। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। 


নিজ্জর   হত্যা   এস জয়শঙ্কর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের স্বীকার ফিলিস্তিনি নারী

প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

জার্মানির রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত উন্নয়ন সংস্থার একজন ফিলিস্তিনি নারী কর্মী এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে যে কারাগারে তাকে মারধর ও নির্যাতন করা হচ্ছে। রোববার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মান এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের জন্য কাজ করেন ৩৪ বছর বয়সী বারা ওদেহ। গত ৫ মার্চ কাজ থেকে ছুটি পেয়ে জার্মানি থেকে রামাল্লায় তার বাড়িতে ফেরার সময় ইসরায়েলি সীমান্তরক্ষীরা তাকে আটক করে। এরপর থেকে তাকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই তিন মাসের জন্য কারাগারে আটকে করে রাখা হয়।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন বন্দী অধিকার গোষ্ঠী ইসরায়েলি কারাগারে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, ইসরায়েলের পদ্ধতিগত নির্যাতনের বিষয়ে সতর্কতা বাড়িয়েছে।


ইসরায়েল   কারাগার   নির্যাতন   ফিলিস্তিনি নারী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের গুলি

প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এরই মধ্যে দেশটির ৪৫টি অঙ্গরাজ্যের ১৪০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন প্রশাসনের ব্যাপক ধরপাকড় সত্ত্বেও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। গত ১৭ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভের সূচনা হয়। এরই মধ্যে বিক্ষোভ আমেরিকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপ, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ চলছে।

এদিকে, আন্দোলনের সূচনা হওয়া কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের একজন সদস্য গুলি ছুড়েছেন। তবে এতে কেউ আহত হননি। ওই সময় সেখান থেকে আরও ১১২ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে গিয়ে ঘটনাচক্রে একজন পুলিশ সদস্য গুলি ছুড়েছেন। গুলিটি পরে পাশের একটি দেয়াল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সার্জেন্ট তারিক শেপার্ড বলেন, “প্রতি বছর গড়ে আটটি দুর্ঘটনাজনিত গুলির ঘটনা ঘটে থাকে। প্রতিটি ঘটনাই তদন্ত করে দেখা হয়।”

এদিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানহাটন ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষ পুলিশের সাহায্য চাওয়ার পর ওই ক্যাম্পাস থেকে ১১২ জন বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে শিক্ষার্থীরা বেরিকেড দিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার সময় একজন পুলিশ সদস্য কয়েক ফুট দূর থেকে দেয়ালে গুলি ছুড়েছেন। ওই দেয়ালের আশেপাশে কোনও শিক্ষার্থী ছিল না। তবু ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমাদের ধারণা, গুলি ছোড়ার ঘটনাটি দুর্ঘটনাবশত ঘটেছে।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা হ্যামিলটন হল নামের একটি স্কুলভবন দখল করে নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মিনোচে শফিক নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগকে তলব করেন। এরপর পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে সেখানে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্নাতক চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষার আর কয়েক সপ্তাহ বাকি রয়েছে। এই সময়ে সীমিত পরিসরে ক্যাম্পাস খোলা থাকবে এবং সকল পরীক্ষা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে নিউইয়র্ক পুলিশ হ্যামিলটন হলে অভিযানের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হ্যামিলটন হলের সিঁড়িতে বিক্ষোভকারীরা চেয়ার ও ডেস্ক ফেলে রেখেছে। সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছে পুলিশ।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিবিসিকে বলেছিলেন, পুলিশ তাদের ওপর আক্রমণাত্মক আচরণ করছে। তবে নিউইয়র্ক পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকার শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ। বিক্ষোভকারীদের হটাতে মারমুখী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতোমধ্যে দুই হাজার চার শতাধিক বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  


ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ   কলাম্বিয়া   বিশ্ববিদ্যাল   পুলিশ   গুলি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রচণ্ড পেট ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে, বের হলো মোবাইল ফোন!

প্রকাশ: ০৩:৩২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ এক মাস ধরে পেটে ব্যথায় ভুগছিলেন এক কারাবন্দি। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা তার পেটে আস্তো একটি মোবাইল ফোন দেখতে পায়। এরপর অস্ত্রোপচার করে সেটি বের করা হয়। 

ঘটনাটি ভারতের কর্ণাটকের শিবমোগা কেন্দ্রীয় কারাগারে এক বন্দির। বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করে সেই মোবাইল ফোন বের করেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে ওই কয়েদি সুস্থ রয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ৩৮ বছরের পরশুরাম কোনো উপায়ে একটি মোবাইল ফোন যোগার করেন। কিন্তু কারাগারের রুটিন তল্লাশির সময় মহাবিপদে পড়েন তিনি। কারারক্ষীদের থেকে বাঁচতে ফোনটিকে অন্য কোথায় লুকানোর বদলে গিলে ফেলেন এই কয়েদি।

কোনো ঝুঁকি না-নিয়ে ওই বন্দিকে বেঙ্গালুরুতে পাঠানো হয় গত ১ এপ্রিল। ভর্তি করা হয় পরশুরামকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে। ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক বুঝতে পারেন, পেটের ভেতরে আস্ত একটা মোবাইল ফোন রয়েছে। পরে গত ২৫ এপ্রিল পরশুরামের অস্ত্রোপচার হয় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে। দীর্ঘ ৭৫ মিনিট ধরে অপারেশন শেষ মোবাইলটি বের করা হয়। 

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চীনা ফোনটি আকারে ছোট হওয়ায় সেটি খাদ্যনালি দিয়ে পরশুরামের পাকস্থলীতে চলে গিয়েছিল। প্রায় ২০ দিন মোবাইল ফোনটি পেটের মধ্যে ছিল।

এদিকে কারাগারে মোবাইল রাখার অভিযোগে পরশুরামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তুঙ্গানগর থানার পুলিশ। 


হাসপাতাল   মোবাইল ফোন   কারাবন্দি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ক্ষমতায় আসতে মুসলিমদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে মোদি!

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনের ১ম দফায় আশানুরূপ ভোট না পরায় এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয় বিজেপি নেতাদের মধ্যে।  ভোটের হার বাড়াতে বিজেপি ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নেয়া শুরু করে দিয়েছে।

সম্প্রতি বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি হিন্দু ভোটারদের আকৃষ্ট করতে 'মুসলিম বিদ্বেষী' বক্তব্য রেখেছেন এবং দ্বিতীয় দফার ভোটে ট্রেন বাতিল করেন যেন মুসলিমরা  ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে।

হিন্দুদের মধ্যে যারা মোদির প্রতি আগ্ৰহ হারিয়েছেন বা যারা ধরেই নিয়েন বিজেপিই আবার ক্ষমতায় আসবে তাই অযথা ভোট কেন্দ্রে যাবার প্রয়োজন নেই, তাদের আগ্ৰহকে চাঙ্গা করতেই কি 'মুসলিম বিদ্বেষ' মনোভাবকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি??

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ১ম পর্বের ভোটের পর রাজস্থানে এক নির্বাচনী জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন,কংগ্রেসকে ভোট না দিতে।

তার বক্তব্য ছিল, 'কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবেন না। এদের ক্ষমতায় আনলে তারা আপনার সম্পদ নিয়ে অণুপ্রবেশকারীদের মাঝে বণ্টন করে দেবে। আপনার কঠোর পরিশ্রমের সম্পদ অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে দিক, সেটা কি আপনি চান? আপনি কি এটা মেনে নেবেন?'

এমনকি ওই বক্তব্যে ২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ড. মনমোহন সিং-এর একটি বক্তব্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ক্ষমতায় থাকার সময় তারা (কংগ্রেস) বলেছিল, দেশের সম্পদে প্রথম অধিকার মুসলমানদের। তারা আপনাদের সবার সম্পদ নিয়ে তাদেরকে দিয়ে দেবে, যাদের বেশি সন্তান। অণুপ্রবেশকারীদের বণ্টন করে দিয়ে দেবে এসব সম্পদ। কংগ্রেসের ইশতেহারেই বলা হচ্ছে যে মা-বোনদের স্বর্ণের হিসাব করা হবে। তারপর সেই সম্পদ বণ্টন করা হবে তাদের মধ্যে, যাদের দেশের সম্পত্তিতে সবচেয়ে আগে অধিকার বলে মনমোহন সিংয়ের সরকার জানিয়েছিল। শহুরে নকশালদের এই ভাবনা মা-বোনদের মঙ্গলসূত্রকে পর্যন্ত ছাড়বে না।'

অথচ এ ধরনের কোনো কথা মনমোহন সিং ক্ষমতায় থাকাকালে বলেননি বলে বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যম ফ্যাক্টচেক করে জানিয়েছে।

আসলেই কি ভারতে অন্য ধর্মের মানুষের চেয়ে মুসলিম পরিবারে সন্তান সংখ্যা বেশি? আসুন জেনে নেই পরিসংখ্যান কী বলছে?

২০১১ সালের আদমশুমারি থেকে জানা যায়, ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা ১৭ কোটি ২২ লাখ, যা তখনকার সময়ে ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। এর আগে ২০০১ সালের আদমশুমারিতে বলা হয়, ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা ১৩ কোটি ৮১ লাখ, যা তখনকার সময়ে ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ১০ বছরে ভারতের মুসলমানের সংখ্যা বেড়েছে ২৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর আগে এত কম বাড়েনি। আগের দশ বছরে (১৯৯১-২০০১) বেড়েছিল ২৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

এক পরিবারে কত সদস্য থাকেন, তা নিয়ে ২০১২ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতের জাতীয় নমুনা জরিপ কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, প্রতি মুসলমান পরিবারে গড়ে ৫ জন করে সদস্য রয়েছে। আর হিন্দু পরিবারের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৪ দশমিক ৩।

তবে, ভারতের শ্রমবাজারে মুসলমানদের অংশগ্রহণ কমে আসছে। এমনকি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মুসলিম কর্মীদের হার এখন অনেক কম। ভারতের সরকারি বিভিন্ন পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে।

ভারতে মুসলমানদের জন্মহার নিয়ে ২০২১ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে পিউ রিসার্চ সেন্টার। যেখানে বলা হয়, ভারতে মুসলমানদের জন্মহার সবচেয়ে বেশি। তবে ক্রমেই তা কমে আসছে। ১৯৯২ সালে নারীপ্রতি সন্তান জন্মহার ছিল ৪ দশমিক ৪ জন। ২০১৫ সালে এই হার কমে ২ দশমিক ৬ তে নেমে আসে। সেখানে হিন্দু নারীদের সন্তান জন্মহার ২ দশমিক ১। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস বলছে, সব ধর্মেই জন্মহার কমে এসেছে।

বর্তমানে ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ ভাগ মুসলমান। আর এই ২০ শতাংশ নেহাতই কম নয়। কেননা, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের চেয়ে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায় ভোট দানে বেশি আগ্ৰহী। আর একারণেই বিজেপি মুসলিমদের নিয়ে শঙ্কিত। 

নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে, মুসলিমরা যেন ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারে সেজন্য নির্বাচনের দিন ভারতের বেশ কয়েকটি ট্রেন বন্ধ করে দেন নরেন্দ্র মোদি। 

মূলত বিজেপি ৪০০ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু প্রথম দফার ভোটে বিজেপি এমন কিছু প্রত্যক্ষ করেছে, যা তাদের নেতিবাচক কিছুর আভাস দিয়েছে। এখন তারা ৪০০ আসন জয়ের হুঙ্কার ছেড়ে মেরূকরণ কৌশলে ভর করে নির্বাচনীয় বৈতরণী পার হতে চাইছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রথম দফার ভোটে প্রত্যাশামাফিক কিছু করতে না পেরেই দ্বিতীয় পর্বে আগ্রাসী কৌশল বেছে নিয়েছেন তারা।

তবে কি প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ নিয়ে শঙ্কা ও হতাশা থেকেই 'মুসলিম বিদ্বেষী' আচরণ করছেন নরেন্দ্র মোদি?

মোদি তার বক্তব্যে এতটুকু স্পষ্ট করা করেছেন যে, হিন্দুদের স্বার্থের সুরক্ষা মানে মুসলমানদের কাছ থেকে তাদেরকে সুরক্ষিত রাখা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপি হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষার ত্রাণকর্তা হিসেবে লড়ার কৌশল হিসেবেই কি তাহলে 'মুসলিম বিদ্বেষ' বেছে নিয়েছেন?


মুসলিম   বিজেপি   নির্বাচন   নরেন্দ্র মোদি   ভারত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন