ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রধানমন্ত্রীত্ব হারাচ্ছেন ইমরান খান?

প্রকাশ: ১১:১২ এএম, ২১ মার্চ, ২০২২


Thumbnail প্রধানমন্ত্রীত্ব হারাচ্ছেন ইমরান খান?

এক তীব্র রাজনৈতিক ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। বিরোধীদল গুলোর রাস্তায় কঠোর আন্দোলন এবং দ্বিতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সব কিছু মিলিয়ে যেনো এক দোদুল্যমান শঙ্কায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গন। পাকিস্তানের ইতিহাস বলে, কোনো প্রধানমন্ত্রীই তার পূর্ণ মেয়াদ কখনোই পূরণ করতে পারেনি এবং এবারের অবস্থা অনেকটা সেই দিকেই মোড় নিতে চলেছে। 

যাকে ঘিরে পাকিস্তানে এই রাজনৈতিক সংকট তিনি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের একমাত্র ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের রূপকার তিনি। ক্রিকেট মাঠ ছাড়লেও তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি কখনই। আর তাই তো সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে ১৯৯৬ সালে নিজ হাতে গড়া নতুন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নিয়ে আস্তে আস্তে একটা দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়ে ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর গদিটি ঠিকই দখল করতে সক্ষম হন ইমরান খান। মানুষের আশা ছিলো হয়তো ৯২- এর সেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মত দেশের অর্থনীতি এবং রাজনীতির একটা পরিবর্তন আসবে ইমরান খানের হাত ধরে। তবে দিন যতই গড়িয়েছে সেই পুরনো রাজনৈতিক চেতনাও যেনো ভর করেছে ইমরান খানের ওপর।

দল ক্ষমতা গ্রহণের সাথে সাথে বিপক্ষ রাজনৈতিক দল এবং নেতাদের ওপর ধর পাকড় ছাড়াও মামলা এবং রাজনৈতিক নিগ্রহের নাম উঠে ইমরানের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলা ইমরান খানের খুব কাছের মানুষদের বিরুদ্ধেই উঠতে শুরু করে বিশাল অংকের বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ। আর এতেই যেনো তার বিরুদ্ধে আগুনটা লাগে আরো তীব্র করে। 

এতদিন যেখানে বিরোধীদলগুলোই শুধু তার বিরুদ্ধে কথা বলতো সেখানে এখন নিজ দলের ভিতর থেকেই ইমরান খানকে সরে যাওয়ার আবেদন উঠতে শুরু করেছে যা তাকে তীব্রভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতির ভেতর ফেলেছে। ইমরান খান আরো বিপাকে পড়ে যান যখন নিজ দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাজিব হারুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগই দেশের চলমান সংকট অবসানের একমাত্র উপায়। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং দলের অন্য কোনো সদস্যকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সামনে আনা উচিত। ‘এটাই সামনে এগিয়ে যাওয়ার এবং চলমান সংকট অবসানের একমাত্র উপায়’, বলেন তিনি।

দলের প্রতিষ্ঠাতা এই সদস্য আরো বলেন, ‘দেশ আর অস্থিতিশীলতা জিইয়ে রাখতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অবশ্যই একগুঁয়েমি ত্যাগ করতে হবে এবং দলের ভেতর থেকে অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আনতে হবে।’

এই ঘটনার পর ইমরান খানের পিঠ যেনো আরো দেয়ালে ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা। তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো লোকের সংখ্যাও যেনো দিন দিন আরো কমে যাচ্ছে দেশটিতে। এখনত নিজ দল থেকেই পদত্যাগ করার মতো কথা সরাসরি সামনে বেরিয়ে আসছে।  

অন্যদিকে পার্লামেন্টে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের দিন আরো ঘনিয়ে আসছে। এটি হতে যাচ্ছে ইমরান খানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অনাস্থা প্রস্তাব। গত বছর মার্চে বিরোধীদের দাবিতে প্রথমবারের মতো আস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইমরান খান, তবে সেবার খুবই অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। প্রথম আস্থা ভোটের এক বছর না গড়াতেই গত ৮ মার্চ পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি এবং আলোচনার জন্য পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে লিখিত আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৮ থেকে ৩০ মার্চের মধ্যে জাতীয় পরিষদে হতে পারে এই অনাস্থা ভোট। 

পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, ৩৪২ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় পরিষদে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাব পাসের জন্য ১৭২ ভোট প্রয়োজন। কিন্তু সংসদের নিম্নকক্ষে পিটিআইয়ের আসন রয়েছে মাত্র ১৫৫টি। 

অনাস্থা ভোটে পাস করতে এমনিতেই নিজ দলের আসন সংখ্যাই যেখানে কম সেখানে দলটির জাতীয় পরিষদের বেশ কয়েকজন অসন্তুষ্ট সদস্য বলেছেন, তারা ক্ষমতাসীন দলের সাথে আর থাকবেন না এবং আগামী নির্বাচনে পিটিআইয়ের টিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করবেন না। এসব ছাড়াও পিটিআইয়ের একজন এমপি দাবি করেছেন, ইতোমধ্যে তিনজন ফেডারেল মন্ত্রী পিটিআই থেকে পদত্যাগও করেছেন।

নিজ ঘরে আগুন লাগার সাথে সাথে আগুন লেগেছে শরিক দলগুলোতেও। পিটিআইয়ের সাথে শরিক অন্য ৪ দলের মাঝে ৩টি দলই এবার মন্ত্রীসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আর তার মানে দাঁড়াচ্ছে ইমরান খানের সামনে এখন একরাশ হতাশাই শুধু সঙ্গী। যদিও মন্ত্রীসভা ছাড়ার ঘোষণা দিলেও দল তিনটি এখনও জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। 

বিরোধীদল গুলোর লাগাতার আন্দোলন, দুর্নীতির অভিযোগ, স্বজন প্রীতিসহ পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে জরুরি অর্থনীতির কোনো প্রকার সার্বিক উন্নয়নে ইমরান খানের সরকার গত চার বছরে তেমন কোনো পরিবর্তনই ঘটাতে সক্ষম হয়নি। যে আশা ভরসা নিয়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনে পাকিস্তানের জনগণ ইমরানকে দেশের ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন সে ভরসার জায়গা এখন অনেকটাই ম্রিয়মাণ। তার উপর রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অনেকটা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের মতো করে সবাইকে নাকে দড়ি বেঁধে ঘোরানো যেনো ইমরান খানের জন্য এক কাল রাতে রূপ নিয়েছে। আর এই সব কিছুর শেষ রূপ নিতে যাচ্ছে আসন্ন আস্থা ভোটে। এই ভোটেই নির্ধারণ হয়ে যাবে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কি সাবেক প্রধানমন্ত্রীতে রূপ নিচ্ছেন কি নিচ্ছেন না। পাকিস্তানের ইতিহাসও বলছে কোনো প্রধানমন্ত্রীই এখন পর্যন্ত পারেনি তার পূর্ণ মেয়াদ পূরণ করতে। ইমরান খানের ক্ষেত্রেও সেই সত্যিই যেনো আবারো কঠিন সত্যি হিসেবে সামনে আসতে চলেছে।

ইমরান খান   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কংগ্রেসে বড় ধাক্কা, দিল্লি প্রধান অরবিন্দর সিংয়ের পদত্যাগ

প্রকাশ: ০২:১৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস দেশে লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে। দিল্লি প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দিল্লির কংগ্রেস প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি। তবে দল থেকে পদত্যাগ করেননি তিনি। লোকসভা নির্বাচনে ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের মধ্যে তার এই দল ছেড়ে যাওয়াকে কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। 

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ ছেড়েছেন অরবিন্দর সিং লাভলি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধার কারণেই ক্ষোভে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

রোববার সকালে অরবিন্দর সিং লাভলি জানান, তিনি কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থরক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাই দলের সভাপতির পদে থাকার আর কোনও কারণ দেখছেন না তিনি।

উল্লেখ্য, অরবিন্দর সিং লাভলি দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা। মাঝখানে ২০১৭ সালের দিকে একবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কয়েক মাসের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করেন কংগ্রেসে। আম আদমি পার্টির প্রবল বিরোধী হিসাবে পরিচিত লাভলি।

লোকসভা ভোটের মধ্যে লাভলির পদত্যাগে দিল্লি কংগ্রেসে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। পদত্যাগপত্রের পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লেখা চিঠিতে আম আদমি পার্টি তথা আপের সঙ্গে জোট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে অরবিন্দর লিখেছেন, ‘যে দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তৈরি হয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিল দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট। এরপরও দল সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে জোট গঠনের।’

এছাড়া দলের প্রদেশ পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লাভলি চিঠিতে বলেছেন, ‘এখন আমার কোনও কথাই গুরুত্ব পায় না। এমনকী দলের ব্লক সভাপতিদের নিয়োগেরও অনুমতি দেওয়া হয় না।’


কংগ্রেস   দিল্লি   অরবিন্দর সিং   পদত্যাগ   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনে টর্নেডোয় নিহত ৫, আহত ৩৩

প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চীনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী শহর গুয়াংজৌতে শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে ৫ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে টর্নেডোর আঘাতে হেনেছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, টর্নেডোটি শহরের বাইয়ুন জেলার ঝোংলুওটান শহরে আনুমানিক বেলা ৩টায় আঘাত হানে। এতে ১৪১টি কারখানা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কোনো আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এসময় টর্নেডোর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২.৮ কিলোমিটার দূরে লিয়াংতিয়ান গ্রামের আবহাওয়া কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ২০.৬ মিটার নিবন্ধিত হয়েছিল। 

প্রাদেশিক আবহাওয়া ব্যুরোর প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, টর্নেডোটি তৃতীয় স্তরের ছিল। টর্নেডোর সর্বোচ্চ তীব্রতার মাত্রা পাঁচ থেকে দুই স্তর নিচে।


চীন   টর্নেডো   নিহত   আহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পঞ্চম দফায় সৌদি যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবে সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি কয়েকদিনের এই সফরে গাজা যুদ্ধবিরতি এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাত প্রতিরোধের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় । ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সৌদি আরবের উদ্দেশে পাড়ি দেবেন ব্লিঙ্কেন। সাম্প্রতিক সময়ে ইরান এবং ইসরাইলের মধ্যকার দীর্ঘ ছায়া যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো তিনি ওই অঞ্চলে সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মন্ত্রীদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করার কথা।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির চলমান প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন ব্লিঙ্কেন। হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতের বিষয়েও আলোচনা করবেন তিনি।

ম্যাথিউ মিলার জানান, সংঘাত ছড়িয়ে না পড়ার গুরুত্বের বিষয়ে জোর দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনের জন্য চলমান প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করবেন তিনি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর হামাসের হামলার আগে সৌদি আরব এবং ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছিল। তবে হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর এই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। আলোচিত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন।


পঞ্চম দফা   সৌদি   মার্কিন   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য বন্ধ হচ্ছে ইউরোপের দরজা

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রস্তাবিত অভিবাসন আইন নিয়ে চার বছর ধরে চলছিল আলোচনা-পর্যালোচনা। শেষে এ আইন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ২৭ দেশের এ জোট। এতে মূলত অনিয়মিত, অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং মানব পাচার রোধে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীরা আগের মতো সুযোগ পাবেন না। সেইসঙ্গে বন্ধ হচ্ছে প্রতারণার মাধ্যমে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগও। এর ফলে বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের আবেদন আর আগের মতো অনির্দিষ্টকাল

ঝুলে থাকবে না, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই।

ইইউর নতুন আইনে সম্প্রতি রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় অভিবাসন নীতির সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন করা হয়েছে। এটি ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। যেখানে আছে ১০টি ধারা। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিউনিসিয়া, মরক্কো ও বাংলাদেশের মতো দেশের রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীদের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যাবে, যাদের দ্রুত বন্দি ক্যাম্পে পাঠানো হবে। এসব বন্দি ক্যাম্প করা হবে সীমান্ত, স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর এলাকায়। সেখান থেকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হবে। এসব বন্দিশিবির নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তারা বলছেন, এসব বন্দিশিবিরে পদ্ধতিগত বন্দিত্ব ও মানবাধিকারের অবমূল্যায়নের আশঙ্কা রয়েছে। ইউরোপীয় নেতাদের ভাষ্য, নতুন নিয়মে যেমন অবৈধ অভিবাসন কমবে, তেমনি সুগম হবে দক্ষ শ্রমিকের পথও। বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের জন্য, বিশেষ করে দক্ষ এবং মেধাবীদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে। এখন অভিবাসনের জন্য তারা বৈধ উপায়ে আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি ভালো পেশা, উন্নত জীবনমানও নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে সরকারের মানব পাচার রোধের যে চেষ্টা রয়েছে, সেটিও এগিয়ে নেওয়া সহজ হবে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেটসোলা এ চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, অবশেষে ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশী ও অভিবাসী ব্যবস্থাপনায় আইনি কাঠামো দাঁড় হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লায়েন বলেছেন, এ চুক্তি আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়াকরণে দক্ষতা বাড়াবে। ইইউর নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ইউরোপের প্রতিটি দেশের সীমান্তে বসছে কড়া নিরাপত্তা। আগে শুধু ইতালি, গ্রিসের মতো উপকূলীয় দেশগুলোতে অভিবাসী ঢল সামলাতে হতো। এখন দায়িত্ব ভাগ করে নেবে ইইউর সদস্য দেশগুলো। এ ছাড়া রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ সীমান্তের বাইরে যাচাই করা হবে। তা গ্রহণ না হলে আবেদনকারীকে ফিরতে হবে নিজ দেশে। প্রতিটি দেশের সীমান্তে থাকছে আশ্রয়কেন্দ্রও। কোনো সদস্যদেশ আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে রাজি না হলে, অর্থ বা অন্যান্য সম্পদ দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। নতুন ব্যবস্থাপনায় অভিবাসী অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করলে সাত দিনের মধ্যে তার চেহারা ও হাতের বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ পরিচয়, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে কে থাকবেন আর কাকে ফিরতে হবে। প্রত্যেক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীকেই দেওয়া হবে আইনজীবী। প্রতারণা করে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আর থাকছে না। অবশ্য দেশে ফিরলে সত্যি জীবনের হুমকি আছে, তেমন আবেদনকারীরা থাকার সুযোগ পাবেন। তবে আগের মতো যে কেউ চাইলেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে না। শিশুরা বিশেষ সুবিধা পাবে। তাদের অধিকার স্বাধীন পর্যবেক্ষণ সংস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।

এদিকে নতুন আইনের কড়া সমালোচনা করেছে ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থিরা। সেই তালিকায় আছে হাঙ্গেরি ও পোলান্ডের সরকার। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান বলেছেন, এ চুক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য শেষ পেরেক। এখন আর কোনো সীমান্ত নিরাপদ থাকবে না। হাঙ্গেরি কখনো গণ-অভিবাসনের উন্মাদনা মানবে না। সূত্র: ডয়চে ভেলে, ইউরোপাইইউনিউজ


রাজনৈতিক   আশ্রয়   বন্ধ   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলি, ২ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ১২:১০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের বাফেলোতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যানা যায়নি। এ ছাড়াও কী কারণে তাদেরকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হলো সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

প্রশাসনের বরাত দিয়ে মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, হান্ড্রেট জেনার স্ট্রিটে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। এই ঘটনায় গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাফেলো পুলিশ বলছে, হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চলছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।


নিউইয়র্ক   গুলি   ২ বাংলাদেশি নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন