ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিনকে ঘিরে আফ্রিকান নেতাদের অবস্থানে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের শঙ্কা

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২২


Thumbnail পুতিনকে ঘিরে আফ্রিকান নেতাদের অবস্থানে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের শঙ্কা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সমগ্র পৃথিবী কার্যত দুটি অঞ্চলে ভাগ হয়ে পড়ে। একটি অঞ্চল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রিক পশ্চিমা বিশ্ব অন্যটি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। বিশ্ব সুপার পাওয়ার হওয়ার লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রর লড়াই মানব সভ্যতাকে বেশ অনেকবারই হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছিলো। যদিও ১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেঙ্গে যাওয়ার পর গত ৩০ বছর ধরে এককভাবে বিশ্ব শাসন করে আসছিলো যুক্তরাষ্ট্র। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে রূপান্তরিত বর্তমান রাশিয়ার বিশ্ব মানচিত্রে তেমন কোনো প্রভাব এত বছর তেমনভাবে পরিলক্ষিত না হলেও, পুতিনের হাত ধরে যেনো দিন দিন আবারো সেই পুরনো গৌরবে ফিরতে শুরু করেছে রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়াকে নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের মাঝে ফাটলের সুর যেমন লক্ষ্য করা গেছে তেমনি এই যুদ্ধে আফ্রিকান দেশগুলোর রাশিয়ার সমর্থনকে ঘিরে নতুন করে বিশ্ব মানচিত্রে স্নায়ুযুদ্ধের অশনি মেঘও যেনো দানাবাধতে শুরু করেছে। 

ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ অভিযান শুরুর পর জাতিসংঘে উত্থাপিত নিন্দা প্রস্তাবে এটি আরো স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। আফ্রিকা মহাদেশের অনেক দেশের সরকারের পক্ষ থেকে ইউক্রেন অভিযানের সমর্থন পেয়েছেন পুতিন। এমনকি জাতিসংঘের উত্থাপিত নিন্দা প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত এবং নিন্দাও জানায়নি অনেক আফ্রিকান দেশ। 

জাতিসংঘের উত্থাপিত নিন্দা প্রস্তাবে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় সাধারণ পরিষদের ১৪১টি সদস্য দেশ, বিপক্ষে অবস্থান নেয় পাঁচটি দেশ। জাতিসংঘে তোলা ওই প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ৩৫টি দেশ। এই ৩৫ দেশের মাঝে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, তানজানিয়া, উগান্ডা, সেনেগাল, মোজাম্বিক, মালি, আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, মাদাগাস্কার, নামিবিয়া, কঙ্গোসহ ১৭টি দেশই আফ্রিকার। যেখানে আফ্রিকার মোট দেশ ৫৪টি। আফ্রিকান এই দেশগুলোর এমন অবস্থান হতাশ করেছে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের। 

ছোট একটা উদাহরণ সামনে আনা যাক। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার মাত্র ১২ ঘন্টার মাঝে আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী এবং উন্নত দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী শহর প্রিটোরিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন একদল বেসামরিক ও সামরিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। এসব কর্মকর্তারা রুশ একটি জাতীয় দিবস উদযাপনে যোগ দিয়েছিলেন। যেই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ইলিয়া রোগাচেভ এবং এই অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকায় ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ গণ্যমান্য সব ব্যক্তিরা। হয়তো অনুষ্ঠানটি কার্যক্রম বা আয়োজনের সময় আগেই নির্ধারণ ছিলো কিন্তু অনুষ্ঠানটি যখন শুরু হচ্ছিলো তখন ইতিমধ্যে রাশিয়া ইউক্রেন অভিযান শুরু করে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানটিতে যোগ দানে কারো মাঝেও কোন দ্বিধাবোধ ছিলোনা। 

আফ্রিকার দেশগুলোর এমন অবস্থানে অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বেশ শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে হওয়া স্নায়ুযুদ্ধর আবহ যেনো রাশিয়াকে আফ্রিকান দেশগুলোর সমর্থন নতুন করে নিয়ে আসছে। আফ্রিকান দেশগুলো নতুন করে নতুন সময়ে নতুন মেরুকরণের মাঝে পড়ে যাওয়ার ভেতর রয়েছে। বর্তমান আন্তর্জাতিক বাস্তবতায় দেশগুলোর এই অবস্থান এতটাই ব্যতিক্রম যে, স্নায়ু যুদ্ধপরবর্তী বিশ্ব ব্যবস্থা ও মূল্যবোধের প্রতি এসব দেশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আফ্রিকান দেশগুলো থেকে ইউক্রেন অভিযান নিয়ে রাশিয়া কোন প্রকার সমালোচনার মুখেও পড়েনি। বরং দেশগুলো এই যুদ্ধ বন্ধে সংলাপের উপরই বেশি জোর আরোপ করেছেন। উল্টো আফ্রিকার কোন কোন দেশ এই যুদ্ধের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে দোষারোপ করে এই সংকটে তাদের ‘দ্বিমুখী আচরণের’ নিন্দা জানিয়েছে। 

আন্তর্জাতিক অনেক বিশ্লেষকের মতে, আফ্রিকান দেশগুলোর রাশিয়ার প্রতি এমন সমর্থন কোন অবাক করার বিষয় নয়। বরং এটা কথা উঠতে পারে তাদের বর্তমানে এত প্রকাশ্যভাবে সমর্থন জানানোর বিষয়টি। মহাদেশটির অনেক দেশেই রাশিয়া সমর্থিত সরকার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া ঔপনিবেশিক আমল থেকেই অনেক আফ্রিকার দেশকে স্বাধীন হতে অর্থ, অস্ত্র ও বুদ্ধি দিয়ে সহযোগিতাও করেছে মস্কো। এর ফলে আফ্রিকান দেশগুলোতে এমনিতেই মস্কোর প্রতি সমর্থন লক্ষ্য করা যায়। 

রাশিয়া আফ্রিকান দেশগুলোর সাথে তার পুরনো সম্পর্ককে আরো মজবুত করার দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে আফ্রিকা সফর করতে দেখা গেছে। এছাড়া দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি রাশিয়া নানা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তুলে ধরছে এবং আফ্রিকান নেতাদেরকে তাদের কাজের সমর্থন যুগিয়ে আসছে মস্কো। দেশটির এই প্রভাব বিস্তারের ফলও লক্ষ্য করা গেছে আফ্রিকার বেশ কিছ দেশে। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও মালির মতো কয়েকটি দেশ থেকে উল্লেখ করার মতো ফলও এসেছে। 

তাছাড়া এসব দেশের পাশাপাশি রাশিয়ার খুব কাছে চলে এসেছে সুদান। পশ্চিমা দেশগুলো থেকে ক্রমাগত চাপের মাঝে দেশটিকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে গেছে মস্কো। এর ফলও পেতে শুরু করেছে দেশটি। সুদান তার পূর্ব উপকূলের একটি বন্দর রাশিয়াকে ২৫ বছরের জন্য ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে চুক্তি করেছে। এছাড়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবের বিপক্ষে যে পাঁচটি দেশ ভোট দিয়েছিলো তার একটি ইরিত্রিয়ার কর্মকর্তাদের সাথেও বেশ গাঢ সম্পর্ক রয়েছে মস্কোর। 

ইতিহাস বলে, আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের মানুষের মধ্যে পশ্চিমাবিরোধী, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জোরালো মনোভাব রয়েছে। আর এই মনোভাবই প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়রা। 

আফ্রিকায় নিজেদের প্রভাব বিস্তারে রাশিয়া অস্ত্র ব্যবসাকে খুব ভালোভাবে কাজে লাগাচ্ছে। অস্ত্রর সাথে সাথে আফ্রিকার খাদ্য সমস্যা সমাধানে কৃষিকেও খুব ভালোভাবে কাজে লাগাচ্ছে মস্কো। এই অঞ্চলের জন্য স্বল্প মূল্য অস্ত্র ও কৃষি ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। এছাড়া এই অঞ্চলের খনি ব্যবসাতেও বিনিয়োগ করছে তারা। যার ফল সরূপ আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের দেশগুলো ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অস্ত্র আমদানি করেছে। 

উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে বয়ে যাওয়া ‘আরব বসন্তের’ ঢেউ আফ্রিকান শাসকদের পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আরো বেশি সতর্ক হওয়ার বিষয়ে সুযোগ দিয়েছে। আর যেটিকে খুব ভালোভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে রাশিয়া। আফ্রিকান দেশগুলোতে এখনো ঔপনিবেশিক দেশগুলোর স্বেচ্ছাচার তাদের পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আরো বেশি দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে। রাশিয়া সেই ফাঁকা জায়গাটুকুই যেনো পূরণ করার জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ববাসীকে আরো একবার যুক্তরাষ্ট্রর পাশাপাশি রাশিয়ার কূটনৈতিক বিজয় দেখারো সুযোগ করে দিলো। যা এককথায় পুতিনের বিজয়ই বলা চলে।

রাশিয়া   পুতিন   আফ্রিকা   স্নায়ুযুদ্ধ   যুক্তরাষ্ট্র   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত সফর স্থগিতের পর চীনে গেলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক ভারতে তার নির্ধারিত সফর স্থগিত করেন এবং এই সফর স্থগিতের কয়েকদিন পরই হঠাৎ করে চীন সফরে গেছেন তিনি। 

রোববার(২৮ এপ্রিল) টেসলার একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে অনেকটা আকস্মিকভাবেই রোববার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন তিনি। টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চীন সফরের বিষয়ে অবগত দুই ব্যক্তি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।  

২১ এপ্রিল ভারত সফরে যাবার কথা ছিল ইলন মাস্কের। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার বৈঠক ও ভারতে টেসলার বিনিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করার কথা ছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে এক্সে দেওয়া বার্তায় টেসলার এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত টেসলায় ব্যাপক কাজ জমে যাওয়ায় ভারত সফর পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে আমি চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত মুখিয়ে আছি।' 

টেসলার সিইওর ভারত সফর স্থগিতের এক সপ্তাহ পর চীন সফরের তথ্য এলো। চীনে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টেসলার স্বচালিত (এফএসডি) বৈদ্যুতিক গাড়ির যাত্রা শুরুর বিষয়ে আলোচনার জন্য বেইজিংয়ে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন। স্বচালিত ড্রাইভিং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অ্যালগরিদম প্রশিক্ষণে চীনে সংগৃহীত ডাটা বিদেশে স্থানান্তর করার অনুমতির বিষয়েও চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মাস্ক বলেছেন, চীনে শিগগিরই ব্যবহারকারীদের জন্য এফএসডির সরবরাহ শুরু করবে টেসলা। রয়টার্স বলছে, ২০২১ সাল থেকে চীনা নিয়ন্ত্রকদের শর্ত অনুযায়ী সাংহাইতে টেসলার চীনা বহরের সংগৃহীত সব ডাটা সংরক্ষণ করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা স্থানান্তর করেনি।


ভারত   সফর   স্থগিত   চীন   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। আর সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বাত্মক কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। 

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে আইসিসি।

নিউজ সাইট ওয়ালায় বিশ্লেষক বেন কাসপিট লিখেছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে হেগের বিশ্ব আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কায় ‘অস্বাভাবিক চাপে’ রয়েছেন। নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অর্থ হল- ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সুনামে বড় ধরনের আঘাত।

কাসপিট লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধে নেতানিহুয়া ‘বিরতিহীনভাবে টেলিফোনে চেষ্টা করে’ যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের বিশ্লেষক অ্যামোস হারেল লিখেছেন, ইসরায়েলি সরকার এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে যে আইসিসির প্রসিকিউটর করির খান চলতি সপ্তাহেই নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

হারেল জানিয়ছেন, আমেরিকা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আইসিসির রোম চুক্তিতে ১২৪টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাতে স্বাক্ষর করেনি। যুদ্ধের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারি বিবৃতিতে দাবি বলা হয়েছে, আইসিসির আসন্ন সিদ্ধান্ত ‘বিপজ্জনক নজির’ সৃষ্টি করতে পারে।


গ্রেফতার   নেতানিয়াহু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গরমে ট্রাফিক পুলিশকে স্বস্তিতে রাখতে ‘এসি হেলমেট’

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমে টানা রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। সড়কে দায়িত্বরত পুলিশদের কিছুটা শীতল ও স্বস্তিতে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের লখনৌর ট্রাফিক বিভাগ। ‘ঠান্ডা উদ্যোগ’ নামে পরিচিত এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেশকিছু ‘এসি হেলমেট’ উন্মোচন করা হয়েছে। লখনৌতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক পর্বের অংশ হিসেবে চারটি এসি হেলমেট চালু করা হয়। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) হজরতগঞ্জের অটল চক মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মীদের এসব হেলমেট দেয়া হয়। 

এই হেলমেটগুলোতে একটি স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ঢালসহ মাথায় শীতলতা নিশ্চিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসি ভেন্ট রয়েছে। চোখকে সূর্যের প্রখর আলো ও উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে এটি গগলস হিসেবে কাজ করে। হেলমেটটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কোমরে বাঁধা একটি বড় ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে এলে উপরে থাকা একটি লাল আলো সতর্ক বার্তা দেবে।

এ বিষয়ে লাখনৌ পুলিশের এডিসিপি অজয় কুমার সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘এই প্রকল্প সফল হলে হায়দরাবাদভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে পাঁচশ এমন এসি হেলমেট প্রস্তুতের দায়িত্ব দেয়া হবে। এই হেলমেটের ওজন সাধারণ হেলমেটের প্রায় অর্ধেক এবং আমাদের ট্র্যাফিক পুলিশ এটি ব্যবহার ও পরিধানে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।’


ট্রাফিক   পুলিশ   প্রকল্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের পর এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে না পারা, হামাসের হাত থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধার করতে না পারা, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করতে পারেন সামরিক বাহিনীর প্রধান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে ইসরায়েলজুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলে রকেট হামলা, বেজে উঠল সাইরেন

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্রবাহিনী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।   

স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে এ হামলা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। 

এদিকে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় আরও এক মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি বেশ শক্তিশালী এবং গত শুক্রবার দেশটির ভেতরেই ড্রোনটিকে গুলি করে ভূপাতিত করার এই ঘটনা ঘটে। 

ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী জানায়, লেবানন থেকে অন্তত ২৬টি রকেট ছোড়া হয়েছে। এগুলো ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বার ইয়োহাই অঞ্চলের খোলা জায়গায় আঘাত হেনেছে। মেরন পর্বতের আশপাশে আকাশ হামলা সতর্কীকরণ সাইরেন বাজানো হয়। তবে এই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বা কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি বলে জানিয়েছে বাহিনী।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ‘বিস্ফোরক ড্রোন ও সুনির্দিষ্ট লক্ষে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আল মানারা সামরিক কমান্ডের সদর দপ্তরও গোলানি ব্রিগেডের ৫১তম ব্যাটলিয়নের কিছু সদস্যের ওপর হামলা চালিয়েছে।'

ইসরারায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, নিজস্ব আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম সাফল্যের সঙ্গে লেবানন থেকে আসা এই হামলা প্রতিহত করেছে। হামলার উৎসে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।


ইসরায়েল   রকেট   হামলা   সাইরেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন