ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে রাজাপাকসে পরিবার কি সমাপ্তির পথে?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১২ মে, ২০২২


Thumbnail শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে রাজাপাকসে পরিবার কি সমাপ্তির পথে?

অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কায় চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রী মাহেন্দ্রা রাজাপাকসের পদত্যাগের পর এবার আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের জন্য কঠোর আন্দোলন শুরু করেছে। গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবীতে অনড় আন্দোলনকারীরা কারফিউ উপেক্ষা করে দেশটির বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। যা দেশটির রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে আরও সংকটময় করে তুলছে। 

দীর্ঘ দুই দশক ধরে শ্রীলঙ্কার ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে বসে আছে রাজাপাকসে পরিবার। পরিবারের বড় কর্তা মাহেন্দ্রা রাজাপাকসে এত দিন ক্ষমতা সামলে আসলেও আন্দোলনের মুখে ঠিক এভাবে হুট করে তাকে যে প্রস্থান করতে হবে তা কেও ঘুনাক্ষরেও আন্দাজ করতে পারেননি। অন্যদিকে ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসা ছোট ভাই গোতাবায়া ক্ষমতার কেন্দ্রে বসে থাকলেও হুট করে বড় ভাইয়ের প্রস্থানে অনেকটাই একাকী হয়ে পড়েছেন। 

বছরের পর বছর ধরে অসীম দুর্নীতি আর মিথ্যা আশ্বাসে দেশটির ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা রাজাপাকসে পরিবারের কোনো সদস্যকেই আর শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে দেখতে চান না দেশটির সাধারণ জনগণ এবং রাজনীতিবিদরা। এমনকি রাজাপাকসে পরিবারের সদস্য এবং তার দলীয় এমপিদের উপরও ক্ষুব্ধ দেশটির জনগণ। 


চিত্র: পুলিশের বাধায় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী

মাহেন্দ্রা রাজাপাকসে ক্ষমতা ছাড়ার পরপরই গোতাবায়াকে ক্ষমতা ছাড়তে চাপ দেওয়া শুরু করে বিরোধী দলগুলোও। গোতাবায়া নতুন করে নিরপেক্ষ প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীপরিষদ গঠন করার আশ্বাস দিলেও তাতে কর্ণপাত করতে ইচ্ছুক নয় রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে দেশটির আমজনতা।
 
আন্দোলন শুরু হওয়ার পর রাজাপাকসে পরিবারের জন্য প্রথম বড় ধাক্কা হয়ে আসে সব মন্ত্রী এবং দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগ দেওয়া হলেও কেও বেশি দিন টিকতে পারেনি। এমন অবস্থায় গোতাবায়া ও তার ভাই মাহেন্দ্রা ছাড়া তাদের আশেপাশে নিজের বলে কিছুই ছিলো না। শুরুতে মাহেন্দ্রা পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে একের পর এক অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক চাপে শেষ পর্যন্ত চলতি সপ্তাহের সোমবার হুট করেই নিজের পদত্যাগের ঘোষণা করেন মাহেন্দ্রা। তার পদত্যাগের পর বিক্ষোভকারীরা তার সরকারি বাসভবন ‘টেম্পল ট্রি’র উপর চড়াও হয়। শেষ পর্যন্ত  সেনাবাহিনীর তাকে তার সরকারি বাসভবন থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তবে সেই রাতেই রাজাপাকসে পরিবারের পৈর্তৃক বাড়িতে হামলা চালিয়ে সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। 


চিত্র: আন্দোলনকারীদের দেওয়া আগুনে জ্বলছে রাজাপাকসে পরিবারের পৈতৃক বাড়ি 

দিন যতই পার হচ্ছে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে রাজাপাকসে পরিবারের টিকে থাকা অনেকটাই মুশকিল হয়ে পড়ছে। তার সবচেয়ে বড় কারণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। প্রধান বিরোধীদলগুলো রাজাপাকসে পরিবারের এমন পরিস্থিতিতে পূর্ণ সুযোগ কাজে লাগিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধার কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়েছে।  

এই পরিস্থিতিতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল বিরাসিংহে সতর্ক করে বলেছেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে নতুন সরকার গঠন না করা গেলে দেশের অর্থনীতি একেবারে ধসে পড়বে। সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ছাড়া সে আলোচনা এগোবে না। রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে এসব সমস্যা যদি দ্রুত সমাধান না হয় তবে পদত্যাগ করবেন তিনি। 

গভর্নরের এমন সতর্কতার ঢের কারণও রয়েছে। দেশটির হাতে দিন দিন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েই চলেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে মোট রিজার্ভের অর্থ দিয়ে টেনে টুনে সপ্তাহখানেকের বেশি আমদানিপ্রক্রিয়া চালানো সম্ভব হবে না দেশটির জন্য। 

গভর্নরের কথা যেনো শুকনো কাঠে ঘি দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো কাজে দিয়েছে বিরোধী শিবিরগুলোতে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গোতাবায়া রাজাপকসের প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার দাবি জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধী দল সমাজি জনা বালাভেগায়া (এসজেবি)। দলটির নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা বলেন, শ্রীলঙ্কাকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট থেকে বের করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে তাঁরা রাজি আছেন। তবে এর জন্য চারটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথম শর্তই হচ্ছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগ করতে হবে।


চিত্র: বিব্রত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসে 

এদিকে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে কলম্বোয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ চলছে। সেখানে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করেন। তারা জানান, ‘আমরা চাই না রাজাপকসে পরিবারের কেউ সরকারে থাকুক।’


চিত্র: নিত্যপ্রয়োজনীয় তেল সংগ্রহে নাগরিকদের লম্বা লাইন 

শ্রীলঙ্কার অহিংস আন্দোলন দিন দিন আরো সহিংস হয়ে উঠছে। ন্যায্য মূল্যে প্রয়োজনীয় খাদ্য, বিদ্যুৎ, পানি আর চিকিৎসার দাবি। প্রয়োজনীয় আমদানি পণ্য প্রাপ্যতার দাবীতে শুরু হওয়া আন্দোলন শেষ পর্যন্ত সরকার দলীয় উগ্রতায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এখন পর্যন্ত এই আন্দোলনে সহিংসতায় একজন এমপি সহ নয়জন নিহত হয়েছেন। সোমবার রাতে আন্দোলন নতুন মাত্রা যোগ পেলে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করে সরকার। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হচ্ছে না। মানুষ ঘর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসছে কারফিউ উপেক্ষা করে। মাঝে গুজন ছড়ায় সরকার বিক্ষোভকারিদের দেখা মাত্র সেনা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে এরপর মঙ্গলবার রাতেও সড়কে বিক্ষোভ করেছেন কলম্বোর অনেক তরুণ। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান তাঁরা। যদিও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে তা অস্বীকার করা হয়। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয় সরাসরি গুলি নয়, জানমাল নষ্ট, লুট কিংবা উগ্র সহিংসতা দেখলে তাদের ফাঁকা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বুধবার পুলিশকে জানমাল রক্ষায় গুলি চালানোর ক্ষমতা দিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার।


চিত্র: গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পাহারায় দেশটির সেনাবাহিনী 

পরিস্থিতি সামাল দিতে গোতাবায়া জাতির উদ্দেশ্য দেওয়া এক ভাষণে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নতুন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীপরিষদ নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সাথে তিনি আরও বলেন, এই সরকারের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে। তারা দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে। এই ঘোষণার পরেও বিক্ষোভকারীরা তাঁদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। 

সীমাহীন দুর্নীতি আর ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কাতে রাজাপাকসে পরিবার যে প্রায় দীর্ঘ দুই দশক ক্ষমতা ধরে রেখেছিলো তা আজ খড়ের ঘরের মতই বাতাসে উড়ে যেতে বসেছে। নিজের সবগুলো ভাইকে ক্ষমতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অধিষ্ঠিত করেও আজ জনতার রোষানলে নিজ বাসভবনে পর্যন্ত থাকার অবস্থায় নেই মাহেন্দ্রারর। পরিস্থিতি যেভাবে মোড় নিচ্ছে হয়তো রাষ্ট্রপতির চেয়ার খানাও ছাড়তে বাধ্য হবেন গোতাবায়া। আর তাই যদি হয় তবে এটাই হতে পারে রাজাপাকসে পরিবারের শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে শেষ অধ্যায়। এখন ভবিষ্যৎই বলে দেবে রাজাপাকসে পরিবারের ভাগ্য কোন দিকে গড়ায়?

শ্রীলঙ্কা   অর্থনীতি   রাজাপাকসে পরিবার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কংগ্রেসে বড় ধাক্কা, দিল্লি প্রধান অরবিন্দর সিংয়ের পদত্যাগ

প্রকাশ: ০২:১৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস দেশে লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে। দিল্লি প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দিল্লির কংগ্রেস প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি। তবে দল থেকে পদত্যাগ করেননি তিনি। লোকসভা নির্বাচনে ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের মধ্যে তার এই দল ছেড়ে যাওয়াকে কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। 

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ ছেড়েছেন অরবিন্দর সিং লাভলি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধার কারণেই ক্ষোভে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

রোববার সকালে অরবিন্দর সিং লাভলি জানান, তিনি কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থরক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাই দলের সভাপতির পদে থাকার আর কোনও কারণ দেখছেন না তিনি।

উল্লেখ্য, অরবিন্দর সিং লাভলি দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা। মাঝখানে ২০১৭ সালের দিকে একবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কয়েক মাসের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করেন কংগ্রেসে। আম আদমি পার্টির প্রবল বিরোধী হিসাবে পরিচিত লাভলি।

লোকসভা ভোটের মধ্যে লাভলির পদত্যাগে দিল্লি কংগ্রেসে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। পদত্যাগপত্রের পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লেখা চিঠিতে আম আদমি পার্টি তথা আপের সঙ্গে জোট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে অরবিন্দর লিখেছেন, ‘যে দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তৈরি হয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিল দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট। এরপরও দল সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে জোট গঠনের।’

এছাড়া দলের প্রদেশ পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লাভলি চিঠিতে বলেছেন, ‘এখন আমার কোনও কথাই গুরুত্ব পায় না। এমনকী দলের ব্লক সভাপতিদের নিয়োগেরও অনুমতি দেওয়া হয় না।’


কংগ্রেস   দিল্লি   অরবিন্দর সিং   পদত্যাগ   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনে টর্নেডোয় নিহত ৫, আহত ৩৩

প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চীনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী শহর গুয়াংজৌতে শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে ৫ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে টর্নেডোর আঘাতে হেনেছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, টর্নেডোটি শহরের বাইয়ুন জেলার ঝোংলুওটান শহরে আনুমানিক বেলা ৩টায় আঘাত হানে। এতে ১৪১টি কারখানা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কোনো আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এসময় টর্নেডোর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২.৮ কিলোমিটার দূরে লিয়াংতিয়ান গ্রামের আবহাওয়া কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ২০.৬ মিটার নিবন্ধিত হয়েছিল। 

প্রাদেশিক আবহাওয়া ব্যুরোর প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, টর্নেডোটি তৃতীয় স্তরের ছিল। টর্নেডোর সর্বোচ্চ তীব্রতার মাত্রা পাঁচ থেকে দুই স্তর নিচে।


চীন   টর্নেডো   নিহত   আহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পঞ্চম দফায় সৌদি যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবে সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি কয়েকদিনের এই সফরে গাজা যুদ্ধবিরতি এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাত প্রতিরোধের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় । ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সৌদি আরবের উদ্দেশে পাড়ি দেবেন ব্লিঙ্কেন। সাম্প্রতিক সময়ে ইরান এবং ইসরাইলের মধ্যকার দীর্ঘ ছায়া যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো তিনি ওই অঞ্চলে সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মন্ত্রীদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করার কথা।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির চলমান প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন ব্লিঙ্কেন। হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতের বিষয়েও আলোচনা করবেন তিনি।

ম্যাথিউ মিলার জানান, সংঘাত ছড়িয়ে না পড়ার গুরুত্বের বিষয়ে জোর দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনের জন্য চলমান প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করবেন তিনি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর হামাসের হামলার আগে সৌদি আরব এবং ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছিল। তবে হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর এই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। আলোচিত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন।


পঞ্চম দফা   সৌদি   মার্কিন   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য বন্ধ হচ্ছে ইউরোপের দরজা

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রস্তাবিত অভিবাসন আইন নিয়ে চার বছর ধরে চলছিল আলোচনা-পর্যালোচনা। শেষে এ আইন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ২৭ দেশের এ জোট। এতে মূলত অনিয়মিত, অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং মানব পাচার রোধে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীরা আগের মতো সুযোগ পাবেন না। সেইসঙ্গে বন্ধ হচ্ছে প্রতারণার মাধ্যমে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগও। এর ফলে বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের আবেদন আর আগের মতো অনির্দিষ্টকাল

ঝুলে থাকবে না, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই।

ইইউর নতুন আইনে সম্প্রতি রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় অভিবাসন নীতির সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন করা হয়েছে। এটি ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। যেখানে আছে ১০টি ধারা। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিউনিসিয়া, মরক্কো ও বাংলাদেশের মতো দেশের রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীদের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যাবে, যাদের দ্রুত বন্দি ক্যাম্পে পাঠানো হবে। এসব বন্দি ক্যাম্প করা হবে সীমান্ত, স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর এলাকায়। সেখান থেকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হবে। এসব বন্দিশিবির নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তারা বলছেন, এসব বন্দিশিবিরে পদ্ধতিগত বন্দিত্ব ও মানবাধিকারের অবমূল্যায়নের আশঙ্কা রয়েছে। ইউরোপীয় নেতাদের ভাষ্য, নতুন নিয়মে যেমন অবৈধ অভিবাসন কমবে, তেমনি সুগম হবে দক্ষ শ্রমিকের পথও। বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের জন্য, বিশেষ করে দক্ষ এবং মেধাবীদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে। এখন অভিবাসনের জন্য তারা বৈধ উপায়ে আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি ভালো পেশা, উন্নত জীবনমানও নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে সরকারের মানব পাচার রোধের যে চেষ্টা রয়েছে, সেটিও এগিয়ে নেওয়া সহজ হবে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেটসোলা এ চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, অবশেষে ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশী ও অভিবাসী ব্যবস্থাপনায় আইনি কাঠামো দাঁড় হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লায়েন বলেছেন, এ চুক্তি আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়াকরণে দক্ষতা বাড়াবে। ইইউর নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ইউরোপের প্রতিটি দেশের সীমান্তে বসছে কড়া নিরাপত্তা। আগে শুধু ইতালি, গ্রিসের মতো উপকূলীয় দেশগুলোতে অভিবাসী ঢল সামলাতে হতো। এখন দায়িত্ব ভাগ করে নেবে ইইউর সদস্য দেশগুলো। এ ছাড়া রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ সীমান্তের বাইরে যাচাই করা হবে। তা গ্রহণ না হলে আবেদনকারীকে ফিরতে হবে নিজ দেশে। প্রতিটি দেশের সীমান্তে থাকছে আশ্রয়কেন্দ্রও। কোনো সদস্যদেশ আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে রাজি না হলে, অর্থ বা অন্যান্য সম্পদ দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। নতুন ব্যবস্থাপনায় অভিবাসী অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করলে সাত দিনের মধ্যে তার চেহারা ও হাতের বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ পরিচয়, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে কে থাকবেন আর কাকে ফিরতে হবে। প্রত্যেক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীকেই দেওয়া হবে আইনজীবী। প্রতারণা করে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আর থাকছে না। অবশ্য দেশে ফিরলে সত্যি জীবনের হুমকি আছে, তেমন আবেদনকারীরা থাকার সুযোগ পাবেন। তবে আগের মতো যে কেউ চাইলেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে না। শিশুরা বিশেষ সুবিধা পাবে। তাদের অধিকার স্বাধীন পর্যবেক্ষণ সংস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।

এদিকে নতুন আইনের কড়া সমালোচনা করেছে ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থিরা। সেই তালিকায় আছে হাঙ্গেরি ও পোলান্ডের সরকার। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান বলেছেন, এ চুক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য শেষ পেরেক। এখন আর কোনো সীমান্ত নিরাপদ থাকবে না। হাঙ্গেরি কখনো গণ-অভিবাসনের উন্মাদনা মানবে না। সূত্র: ডয়চে ভেলে, ইউরোপাইইউনিউজ


রাজনৈতিক   আশ্রয়   বন্ধ   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলি, ২ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ১২:১০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের বাফেলোতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যানা যায়নি। এ ছাড়াও কী কারণে তাদেরকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হলো সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

প্রশাসনের বরাত দিয়ে মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, হান্ড্রেট জেনার স্ট্রিটে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। এই ঘটনায় গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাফেলো পুলিশ বলছে, হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চলছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।


নিউইয়র্ক   গুলি   ২ বাংলাদেশি নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন