ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সামরিক গণহত্যা নাকি অর্থনৈতিক গণহত্যা?


Thumbnail

আধুনিকতা প্রবাহমান, সভ্যতার একদমই অগ্রসময়ে থেকেও আমরা প্রতিনিয়িত ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে সময় পার করছি। বিশ্বজুড়ে মানুষের রাজনৈতিক অভিবাসন এবং উদ্বাস্তু অভিবাসীর সংখ্যা ইতিহাসের যেকোন সময়ের থেকে বিংশ শতাব্দী শুরুর পরে বিভিন্ন সময়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে। ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ শুরু হবার পরে ইউক্রেনীয় উদ্বাস্তু সমস্যা, রোহিঙ্গারা উদ্বাস্তু হবার পরে সবেচেয়ে আধুনিকতম উদাহরণ।

ইংরেজীতে migration এবং refugee শব্দ দুটির আপেক্ষিক অর্থ কাছাকছি হলেও রিফিউজি শব্দটা আরো জোড়ালোভাবে নৃশংসতা এবং যুদ্ধের ইঙ্গিত দেয়। মানে যাদের জোড় করে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গ, আসলেই মনে আসে একাত্তরের কথা, পৃথিবী এর আগে এবং পরে এতো বড় উদ্বাস্তু সংকট আর দেখেছে কি? এরপরে, ভূ-রাজনৈতিক বিভিন্ন পালাবদলের সাথে সাথে বদলেছে যুদ্ধের ধরণ ও অর্থনৈতিক কাঠামো। এরই ফলশ্রুতিতে আমরা এখন এমনই এক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যখন পৃথিবীর এক প্রান্তের ছোট কোন পালাবদলেও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে গিয়ে দোল দেয়। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বযুদ্ধের তকমা না পেলেও আদতে তা ভিন্ন কিছু নয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধত্তোর সময়ে ‘স্নায়ু যুদ্ধ’ শুরুর পর থেকে একমাত্র রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধই বৈশ্বিক সংকটের সূচনা করেছে যা এই সময়কালীন অন্য কোনো যুদ্ধ পারে নি। যুদ্ধ হচ্ছে শুধু ইউক্রেন ভূখণ্ডে কিন্তু যুদ্ধের প্রভাব ছড়িয়ে পরেছে বিশ্বের প্রতিটি সাধারণ মানুষের ঘরে। তাহলে আমার দাবী নিশ্চয়ই অন্যায্য হবে না যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের নব রূপান্তর।

এমন তো হওয়াই স্বাভাবিক। পৃথিবী যে এখন বৈশ্বিক গ্রাম। তাই আমার অবিধায় বিশ্ব এখন এক নৈরাজ্যময় গ্রাম। বলা যেতে পারে “আমেরিকান হেজেমনি’র” প্রভাবে “গ্লোবাল এনার্কি” শুরু হয়েছে। আরও স্পস্ট করে বললে বলা যেতে পারে “অর্থনৈতিক অরাজকতা”।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যেমন তেল ও জ্বালানি সংকট শুরু হয়েছে দেশে দেশে তেমনি শুরু হয়েছে খাদ্য সংকট। রাশিয়া-ইউক্রেনের গমের রপ্তানি হ্রাস ও দাম বৃদ্ধির প্রভাব এসে পরছে বাংলাদেশের রিক্সা/ভ্যান চালকদেরও পেটেও। সকালবেলা যে ব্যক্তি দুই ঘন্টা কাজের পরে চায়ের দোকানে গিয়ে চা, রুটি/কেক দিয়ে নাস্তা করত ১৫টাকায়, সম্প্রতি সেটাই গিয়ে ঠেকেছে ন্যূনতম ২২ টাকায়। এই যে রাতারাতি বিশ্বজুড়ে গমের সরববারহ হ্রাস ও দামবৃদ্ধি তা সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণ হয়ে আমাদের সাধারণ জনজীবনে এসে পরছে। একে বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব বললে কি ভুল বলা হবে! 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বাংলায় যে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তা ‘তেতাল্লিশের মন্বন্তর’ নামে খ্যাত। বিশ্বায়নের এই সময়ে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং আন্তদেশীয় সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির খাতিরে না খেয়ে রাস্তায় মরে পরে মানুষ থাকবে না মানুষ। সেকথা সত্য হলেও, এই তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে ক্রমাগত দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড বিপাকে ফেলবে। নির্দিষ্ট আয়ে, লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি! তা তো বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক গৃহযুদ্ধেরই ইঙ্গিত দেয়। 

রাজনৈতিক উদ্বাস্তু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে অর্থনৈতিক অভিবাসন সমস্যা। এই সমস্যার প্রভাব আমাদের সামনে বর্তমানে প্রকট না হলেও ভবিষ্যতে প্রকটাকার ধারণ করতে পারে। 

সেই প্রসঙ্গত মিশরীয় তাত্ত্বিক শেরিফ হেটাতার রচনা “ডলারাইজেশন, ফ্রাগমেন্টেশন, এন্ড গড” এর আলোকে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার দিকে দৃষ্টিপাত করলে সেই একই ঘটনা নজরে আসে। ডলারাইজেশনের বিপরীতে পুতিন প্রণীত “রুবলাইজেশন” রাশিয়ার অর্থনৈতিক ভিত কিছুটা শক্ত করলেও আদোতে তা বিশ্ববাসীর জন্য নতুন আরেক সমস্যা। বিশেষ করে উঠতি অর্থনীতির দেশ বা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা জাতিরাষ্ট্রগুলোর জন্য। 

Fragmentation বা বিভাজন নীতি তো আধুনিক সাম্রাজ্যবাদের আরেক নতুন এবং কার্যকরী কৌশল। যে কৌশলে পুরো ইউরোপ এখন একত্র হয়ে রাশিয়াকে বর্জন করার ডাক দিয়েছে। কারা ‘কোয়াড’ সৃষ্টি করে বৈশ্বিক বিভাজনে লিপ্ত তা আমাদের সামনে স্পস্ট। নির্বাসিত মাদুরোকে যারা আবার নিজেদের স্বার্থে ক্ষমতায় আনার পরিকল্পনা নিয়ে বৈশ্বিক বিভাজনের নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে তারাই তো সেই ঈশ্বর! চীনের আর্থ-সামাজিক আগ্রাসন রোধের নামে তাইওয়ানকে উস্কে দেয়া, উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি সবকিছু তো শেরিফ বর্ণিত ঈশ্বরের প্রতক্ষ্য মদদেরই ফলাফল। 

আবার ফিরে আসি গণহত্যায়। একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানীদের গণহত্যা, পরবর্তীকালে সিরিয়া, ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও অভিবাসী সমস্যা, হালের সময়ে রোহিঙ্গা অভিবাসী সমস্যা, যেসব রাজনৈতিক পালাবদ্লের ফলে গত ৫০/৫৫ বছরে বিশ্বজুড়ে যে সব উদ্বাস্তু সমস্যার শুরু হয়েছে, সেই উদ্বাস্তু পুতুলনাচের পরিচালক কিন্তু ঈশ্বর নিজেই। 

আমাদের সামনে চোখের সামনে কিছু রাজনৈতিক গণহত্যা দৃশ্যমান। কিন্তু বিশ্বের মানুষ অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার, যার ধারাপাত সাম্প্রতিক অতীতে সহ বর্তমানের তথাকথিত তৃতীয় বিশ্বে, আফ্রিকা, এশিয়ায় অর্থনৈতিক গনহত্যাকে নীরবে সমর্থন জানায়।

ভূ-রাজনৈতিক   অর্থনীতি   গণহত্যা   যুদ্ধ   অভিবাসী সংকট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কানাডায় হরদীপ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৯:২৩ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করেছে কানাডা পুলিশ। দেশটির অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার এমনটি জানিয়েছেন কানাডার পুলিশ। 

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-করণ ব্রার (২২), কমল প্রিত সিং (২২) ও করণ প্রিত সিং (২৮)। তাঁরা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। ওই হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তার তিনজনের বাইরে আরও অনেকেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তাই সামনে আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতে পারে।

২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে খুন হন নিজ্জর। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে কানাডা। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

গত শুক্রবার কানাডার একাধিক প্রদেশে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। এই অভিযানেই গ্রেপ্তার হন সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হিট স্কোয়াডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাঁরা গুলি চালানো, গাড়ি চালানো, নজরদারির কাজ করেছে বলে সন্দেহ করা হয়েছে।


কানাডা   হরদীপ   হত্যাকাণ্ড   ভারত   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রিটিশ অস্ত্রে সরাসরি রাশিয়ায় হামলার অনুমতি দিল যুক্তরাজ্য

প্রকাশ: ০৮:৪৭ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে পুরো বিশ্বকে আবারও কঠিন নিরাপত্তা হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। যেখানে পুরো বিশ্ব ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করার উপায় খুঁজছে সেখানে এবার সরাসরি রাশিয়ায় হামলা করার সবুজ সংকেত দিয়ে বসেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কি ভেবেছেন এর পরিণতি কী হতে পারে? যেখানে এর আগেই পরমাণু হামলার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে রেখেছে মস্কো। শুধু তাই নয় কিয়েভকে অভূতপূর্ব সহায়তা করার কথাও ঘোষণা দিয়েছেন ডেভিড ক্যামেরন।

 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন জানান, যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য ইউক্রেনকে যেসব ব্রিটিশ সমরাস্ত্র দেয়া হচ্ছে, তা কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তার সিদ্ধান্ত কিয়েভের ওপর। শুক্রবার কিয়েভ সফরে গিয়ে এ মন্তব্য করেছেন তিনি। জানান, ইউক্রেন চাইলে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডেও হামলা চালাতে পারে।

 

ডেভিড ক্যামেরন জানান, ইউক্রেনের যত দিন প্রয়োজন হবে, যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ৩৭৫ কোটি মার্কিন ডলার করে দেয়া হবে। এ সময় রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে হামলা করছে, তাতে ইউক্রেন কেন আত্মরক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, তা সহজে অনুমান করা যায় বলেও মন্তব্য করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

এদিকে ডেভিড ক্যামেরনের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য আরেকটি অত্যন্ত বিপজ্জনক বিবৃতি। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেন সংঘাত ঘিরে এটি সরাসরি উত্তেজনা ছড়াবে, যা ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য হুমকি সৃষ্টি করবে।

 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পাশাপাশি পেসকভ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর বক্তব্যেরও নিন্দা জানান। এর আগে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের ব্যবসাবিষয়ক ম্যাগাজিন ইকোনমিস্টকে বলেছেন, রুশ সেনারা যদি সামনে এগোতে থাকেন এবং ইউক্রেন অনুরোধ করলে সেখানে স্থলসেনা পাঠানো হবে কি না, তা পশ্চিমাদের বিবেচনা করতে হবে। রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানান, মাখোঁর বক্তব্য ছিল বিপজ্জনক। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া যদি জয়লাভ করে, তবে ইউরোপে কোনো নিরাপত্তা থাকবে না।

 

এর আগে, ইউক্রেনকে একাধিকবার রাশিয়ার অভ্যন্তরে তেল শোধনাগারগুলোতে হামলা চালাতে নিষেধ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির আশঙ্কা, এতে উত্তেজনা আরও বাড়বে। রাশিয়ার সেনারা সম্প্রতি ইউক্রেনের কয়েকটি অঞ্চলে সামনে অগ্রসর হয়েছে। ইউক্রেনের অস্ত্র ও সেনা ঘাটতির সুযোগ নিয়ে বেশি কয়েকটি শহর ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।


ব্রিটিশ   অস্ত্র   রাশিয়া   যুক্তরাজ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা

প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আরও একটি গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। জনমত জরিপের পর এমন পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির খ্যাতনামা জরিপ সংস্থা রাসমুসেন। সংস্থাটি জানিয়েছে— বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি আবারও ক্ষমতায় আসেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে বলে মনে করেন ৪১ শতাংশ মার্কিন ভোটার। আর ১৬ শতাংশ ভোটার মনে করেন হয়তো এমনটা হতেও পারে। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা তাস।

তবে, জরিপে অংশ নেওয়া ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতারা মনে করেন না যে, আগামী পাঁচ বছরে আরেকটি গৃহযুদ্ধের মুখে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। আর ১০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত নন। পক্ষান্তরে ২৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন-সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলেই বরং গৃহযুদ্ধেরে কবলে পড়তে পাড়ে ওয়াশিংটন।

তাস জানায়, আলোচিত জরিপটি ২১ থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে করা হয়েছিল। যেখানে ১১শর বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। অংশগ্রহণকারী সবাই-ই আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের ভোটার। ফলে, এই ফল যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে।

চলতি বছরের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এরইমধ্যে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। আর দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়ছেন ডেমোক্র্যাট পার্টির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এবারের নির্বাচনে গাজা ইস্যু বাইডেনকে বেশ ভোগাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৭ অক্টোবর থেকে উপত্যকায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। যেখানে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আসছেন বাইডেন। এ নিয়ে দেশের অভ্যন্তরেই প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন ৮১ বয়সী এই প্রেসিডেন্ট।

বাইডেন প্রশাসনের গাজানীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আন্দোলনে উত্তপ্ত ক্যাম্পাসগুলো। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা, ব্যাপক ধরপাকড়েও দমে যায়নি এসব শিক্ষার্থী। বরং দিনকে দিন স্ফূলিঙ্গের মতোই ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। ফলে, জনমত অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে ইহুদি-বিদ্বেষ বলে আখ্যা দেয় ইসরায়েলপন্থি মার্কিন নীতিনির্ধারকরা।

অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েলপন্থিরা। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন ভাষণে শিক্ষার্থীদের আইন মানার অনুরোধ করেন বাইডেন। তবে, তাদের ওপর হামলা ও পুলিশি নির্যাতন নিয়ে কোনো মন্তব্যই করেননি তিনি। এতে মুসলিম ভোটারদের থেকে আরও দূরে গেছেন বাইডেন, এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকরা। ফলে আসন্ন নির্বাচনে বাইডেনের জন্য বয়ে আনতে পারে নেতিবাচক ফল।


ভয়াবহ   গৃহযুদ্ধ   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিতে নিহত ৩৯

প্রকাশ: ০৮:২৪ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্দে দো সুল ভারী বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এ রাজ্যে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ৭০ জন। 

শুক্রবার (০৩ মে) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের 

আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে সীমান্ত লাগোয়া রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যে সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। স্থানীয় এতে রাজ্যের ৪৯৭টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু ও নিখোঁজের পাশাপাশি এসব শহরের অন্তত ২৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

রাজ্যের গভর্নর এদোয়ার্দো লেইতে গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, 'আগামী কয়েক দিনে আমরা অনেক এলাকায় পৌঁছাতে পারব। তখন মৃত্যুর সংখ্যায় পরিবর্তন আসতে পারে।'

বৃষ্টিতে রিও গ্রান্দে দো সুলের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি সড়ক ও সেতু। এ ছাড়া ঝড়ের কারণে ভূমিধস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় একটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের জলাধারের আংশিক ধসে পড়েছে। আরেকটি জলাধারও ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ভৌগোলিক অবস্থানের রিও গ্রান্দে দো সুল প্রায়ই চরম আবহাওয়ার মুখে পড়ে। কখনো কখনো সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। কখনো আবার দেখা দেয় খরা। স্থানীয় বিজ্ঞানীদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সেখানকার আবহাওয়া আরও চরম রূপ নিচ্ছে।

এদিকে দুর্যোগের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাজ্যটি পরিদর্শনে যান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। সেখান গিয়ে তিনি রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে আলাপ করেন। 


ব্রাজিল   বৃষ্টি   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন ঘাঁটিতে রুশ সেনা নিয়ে মুখ খুললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৫৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার সেনারা আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন মার্কিন ঘাঁটিতে রুশ সেনা উঠার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা নাইজারের একটি বিমানঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছে যেখানে অবস্থান করছেন মার্কিন সেনারা। একজন সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য প্রকাশ করে বার্তা সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইজারের সেনা শাসকরা তাদের দেশ থেকে মার্কিন বাহিনীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পর এ ঘটনা ঘটেছে। নাইজারে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা রয়েছেন। গত মার্চ মাসে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে এক বৈঠকে নাইজারের জান্তা সরকার এসব সেনা প্রত্যাহার করতে হবে বলে জানিয়েছে দেয়। ইতোমধ্যে নাইজারের নতুন জান্তা সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গভীর করছে। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কিন বাহিনীর ব্যবহৃত সামরিক ঘাঁটিতে রুশ বাহিনী উঠেছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা প্রবেশ করায় বড় ধরনের সমস্যা হবে না। মার্কিন সেনা বা সরঞ্জামের তাদের প্রবেশের অধিকার দেওয়া হয়নি।

গত বছরের জুলাইয়ের সামরিক অভ্যুত্থানের আগে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠী ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় অংশীদার ছিল নাইজার। তবে সেনা অভ্যুত্থানের পর পশ্চিমাদের সঙ্গে দেশটির জান্তা সরকারের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। ইতিমধ্যে দেশটি থেকে ফরাসি সেনাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। একই পরিণতি বরণ করতে হতে পারে মার্কিন সেনাদের।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, রুশ সেনারা ওই বিমানঘাঁটিতে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে একত্রে অবস্থান করছেন না। কারণ হিসেবে জানা গেছে, তারা নাইজারের রাজধানী নিয়ামীতে দিওরি হামানি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের পাশে অবস্থিত এয়ারবেস ১০১ নামে পরিচিত সামরিক স্থাপনায় আলাদা হ্যাঙ্গার ব্যবহার করছেন।

মার্কিন ঘাঁটি   রুশ সেনা   মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন