ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে আবার বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকেরা

প্রকাশ: ১২:৪৭ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২২


Thumbnail ভারতে আবার বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকেরা

ভয়, ক্ষোভ ও অনেক অনিশ্চয়তা। উত্তর ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের বাচিত্তার কৌর ও তাঁর গ্রামের অন্য নারীরা বলছেন, প্রথমবার যখন তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন, তখন তাঁদের মধ্যে এসবই ছিল। ২০২০ সালের পরে আবারও ভারতের কৃষকরা নতুন একটি আন্দোলনের প্রস্তুস্তি নিচ্ছেন। প্রথমবার আন্দোলনের সময় সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ না হওয়াতে বিক্ষুদ্ধ ভারতের কৃষকেরা। 

২০২০ সালে ভারত সরকার কৃষি আইন সংশোধন করে। কৃষি আইনে সংস্কার আনার বিরুদ্ধে রাজধানী দিল্লির সীমানায় লাখো কৃষক বিক্ষোভে নামেন। তাঁদের মধ্যে বাচিত্তার কৌর ও তাঁর গ্রামের ওই নারীরা ছিলেন। বিক্ষোভকারীরা এক বছরের বেশি সময় ধরে দিল্লির উপকণ্ঠে হুংকার তুলেছিলেন। তীব্র দাবদাহ, কনকনে শীত এমনকি করোনার ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউ- সবকিছু সহ্য করে সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সেখানে বছরব্যাপী অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন ক্ষুব্ধ কৃষকেরা।

বিক্ষোভ শুরুর পর দীর্ঘ সময় সরকার বারবার জোর দিয়ে বলে আসছিল, কৃষকদের ভালোর জন্যই আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে এবং এখান থেকে পিছিয়ে আসার কোনো প্রশ্নই আসে না। সরকারি প্রতিনিধি ও কৃষকনেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেও এ অচলাবস্থা নিরসনে ব্যর্থ হন। বিক্ষোভরত কয়েকজন কৃষকের মৃত্যু হয়। এদিকে বিক্ষোভ ঠেকাতে দমনাভিযান ও ধরপাকড় শুরু করে সরকার। এ সময় বহু কৃষক গ্রেপ্তার হন।

কিন্তু ১৯ নভেম্বর এসে ঘটনার বাঁকবদল হয়। ইউটার্ন নেয় সরকার। সেদিন সরকার একগুঁয়ে অবস্থান থেকে সরে এসে কৃষি আইন (সংশোধিত) প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর কৃষি আইন (সংশোধনী) বাতিলের জন্য তোলা একটি বিল ৩০ নভেম্বর ভারতীয় পার্লামেন্টে পাস হয়।

তবে সঙ্গে সঙ্গেই রাস্তা ছাড়েননি বিক্ষোভরত কৃষকেরা। এবার তাঁরা বলেন, সরকার তাঁদের দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। তাঁদের দাবির মধ্যে ন্যূনতম ফসলের দাম বেঁধে দেওয়ার নিশ্চয়তার বিষয়টিও ছিল।

কয়েক দিন পর সরকার সেই দাবিও মেনে নেয়। এর মধ্য দিয়ে বছরব্যাপী দীর্ঘ কৃষক বিক্ষোভ বন্ধ হয়। বাচিত্তার কৌর বলেন, "সেটি ছিল তাঁর এবং ভারতের কৃষক সমাজের জন্য বিশেষ একটি মুহূর্ত।" 

কিন্তু কৃষকেরা ঘরে ফেরার সাত মাস পার হয়ে গেলেও সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাঁদের দাবি পূরণ করেনি।

এখন করণীয় ঠিক করতে আজ ৩ জুলাই বৈঠক ডেকেছেন বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়া কৃষকনেতারা। দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদ শহরে বৈঠকে বসবেন তাঁরা। সেখানে রাকেশ টিকায়েতের মতো কৃষকনেতারাও থাকবেন। এসব কৃষকনেতা কৃষি আইনবিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন। আবার আন্দোলন শুরু করার সম্ভাবনা নাকচ করে দিচ্ছেন না কৃষকেরা।

বাচিত্তার কৌর বলছেন, "আমরা সময় ও স্থান নির্ধারণে নেতাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। ভবিষ্যতে যা–ই হোক না কেন, তার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের।"

সরকারের দাবি, এসব আইনের কারণে বেশি দামে ফসল বিক্রি করতে পারবেন কৃষকেরা। কিন্তু সরকারের এ দাবির সঙ্গে একমত নন কৃষকেরা। তাঁরা বলছেন, নতুন এসব আইনের কারণে ফসল বিক্রির ক্ষেত্রে বড় কোম্পানিগুলোর কাছে জিম্মি হয়ে পড়বেন তাঁরা। তখন এসব প্রতিষ্ঠানই ফসলের দাম ঠিক করে দেবে।

অবশেষে সরকার যখন ঘোষণা দেয় তারা এসব আইন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে, তখন এ নিয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। কমিটিতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সঙ্গে কৃষিপণ্য, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কৃষক নেতাদেরও রাখার কথা বলা হয়। তাঁরাই আলোচনা করে এমএসপির বিষয়টি দেখবেন।

কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং দুই মাস আগে ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বলেন, সরকার প্যানেল গঠনের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সূত্র বিবিসিকে বলছে, এটা এখনো হয়নি। প্যানেলে কৃষকদের প্রতিনিধি হিসেবে কারা থাকবেন, তাঁদের তালিকা কৃষকনেতাদের কাছে চেয়েছে সরকার। কিন্তু কৃষকেরা নাম পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান তাঁরা। কৃষকনেতারা বলেন, সরকারের মতলব কী, সেটা তাঁদের কাছে স্পষ্ট নয়।

পাঞ্জাবে কৃষকদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের (বিকেইউ) প্রেসিডেন্ট জোগিন্দর সিং উরাহান বলছেন, ‘কিছু ফসলের ক্ষেত্রে এমএসপির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে এটা সব রাজ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কি না, সেটাই এখনো দেখার বিষয়। কারণ, সরকার বিষয়টি তাঁদের কাছে স্পষ্ট করেনি। বৈঠকে বসার আগে তাদের (সরকার) আমাদের বলতে হবে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে এবং এমএসপি–সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণে তাদের (সরকারের) পরিকল্পনা কী?’

এমএসপি ছাড়াও কৃষকনেতাদের আরও কিছু দাবি আছে। এর মধ্যে বিক্ষোভের সময় যেসব কৃষকের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, ধানের নাড়া পোড়ানোয় কৃষকদের বিরুদ্ধে আনা অপরাধের তদন্তে কার্যক্রম বাতিল ও বিক্ষোভ করায় যেসব কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, সেসব মামলা প্রত্যাহার করা।

জোগিন্দর সিং উরাহান বলছেন, কৃষি আইন বাতিলের সময় গত নভেম্বরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষক ইউনিয়নের জোট সংযুক্ত কিষাণ মোর্চাকে (এসকেএম) লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, কৃষকদের এসব দাবি মেনে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, কিছু শর্ত মেনে নেওয়া হলেও (কিছু রাজ্যে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে) বিক্ষোভরত কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টির সুরাহা হয়নি।

বিক্ষোভরত কৃষকদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে হরিয়ানায়। কারণ, বিক্ষোভ মূলত হয়েছে দিল্লি সীমানাবর্তী এ রাজ্যে। সেখানেই কৃষকেরা যাঁর যাঁর মতো করে অবস্থান নিয়েছিলেন।

হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনীল ভিজ বিবিসিকে বলেন, সরকার বেশির ভাগ মামলা তুলে নিয়েছে। তিনি বলেন, বিক্ষোভের সময় মোট ২৭২টি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে ৮২টি মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতেও কৃষকেরা আশ্বস্ত হতে পারেননি।

তবে সম্ভাব্য আরেকটি বিক্ষোভের জোর প্রস্তুতি নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকদের মধ্যে এ উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, তাঁদের আন্দোলন কিছুটা গতি হারিয়ে ফেলে কি না সেরকম সন্দেহ করছেন কেউ কেউ। 

কিছু নেতা পাঞ্জাবের প্রাদেশিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও একটি আসন জিততে পারেননি। এরপর থেকেই কৃষক সংগঠনগুলোর মধ্যে অসন্তোষও রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ৩২টি কৃষক ইউনিয়নের ২২টিকে বহিষ্কার করে। এসব ইউনিয়নের সদস্যরাই নির্বাচনে লড়েছিলেন।

উরাগান বলছেন, ‘এটা অবশ্যই কৃষকদের ঐক্যের বড় একটি আঘাত।’ কিন্তু তিনি একই সঙ্গে এ–ও বলছেন যে তাঁরা নিরাশ হননি। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, একটা ফোন কলেই আবার আমরা একত্র হব। এই লড়াইয়ের আমরা অর্ধেক বিজয়ী হয়েছি এবং আমাদের এই লড়াই চলমান।’



ভারত   কৃষক   আন্দোলন   বিক্ষোভ   দিল্লী   হরিয়ানা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন

প্রকাশ: ১০:৩৪ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিখাইল মিশুস্তিনের নাম প্রস্তাব করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (১০ মে) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুতিন তার নাম প্রস্তাব করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার। খবর রয়টার্সের।

মিখাইল মিশুস্তিন এর আগেও পুতিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০২০ সাল থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার নতুনভাবে ক্ষমতায় এসে এই মিশুস্তিনকেই সরকার প্রধানের দায়িত্ব দিতে চলেছেন পুতিন।

এর আগে মিশুস্তিন রাশিয়ার কর বিভাগের প্রধান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। ৫৮ বছর বয়সী মিশুস্তিন ১৯৯৯ সাল থেকে আমলা হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি ২০১০ সাল থেকে ফেডারেল ট্যাক্স সার্ভিসের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।

তার আগে গত মঙ্গলবার পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন পুতিন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রিউ হলে শপথ নেন তিনি। রাশিয়ার সরকারি-বেসরকারি সকল টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন পুতিন। মঙ্গলবারের শপথ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি।

 


রাশিয়া   প্রধানমন্ত্রী   মিখাইল মিশুস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রকে চোখ রাঙিয়ে যা বললেন নেতানিয়াহু

প্রকাশ: ১০:২৫ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজার রাফাহয় সেনা অভিযান চালালে ইসরায়েলকে অস্ত্র দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এমন ঘোষণা দেয়ার পর আরও বেঁকে বসেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এবার নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল একাই লড়বে। 

এই ইসরায়েলি কট্টরপন্থী নেতা বলেছেন, ‘যদি আমাদের দরকার পড়ে... আমরা একাই লড়বো। আমি বলছি যদি প্রয়োজন হয় আমরা আমাদের হাতের আঙুলের (অস্ত্রের বদলে) নখ দিয়েই লড়াই করবো।’

এরইমধ্যে ইসরায়েলকে বোমা সরবরাহ করা বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে নেতানিয়াহু ১৯৪৮ সালের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন চোখ রাঙানি গায়েই মাখেননি।

তিনি বলেছেন, ‘৭৬ বছর আগের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা ছিলাম কয়েকজন, বিপক্ষে ছিলো অনেকেই।’ ‘আমাদের অস্ত্র ছিলো না। ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ছিলো। তবে আমাদের মধ্যে চরম উদ্যম, নায়কত্ব ও একতা ছিলো। আমরা জয়ী হয়েছিলাম।’

তিনি আরও বলেছেন, মার্কিন অস্ত্রের চেয়েও বেশি কিছু করার ক্ষমতা ইসরায়েলিদের নখের আছে!


যুক্তরাষ্ট্র   নেতানিয়াহু   ইসরায়ল   গাজা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্যর্থ যুদ্ধবিরতি আলোচনা, রাফায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। সেই আগ্রাসন বন্ধে যুদ্ধবিরতির আলোচনা কোনও ধরনের চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনী রাফা অঞ্চলে নতুন করে বোমাবর্ষণ শুরু করেছে।

চুক্তি ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ হওয়ায় ইসরায়েল রাফাতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার রাফা অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে বলে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাফাতে হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমাদের নখের চেয়ে অনেক বেশি আছে।’ অন্যদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ বলেছে, তাদের যোদ্ধারা শহরের পূর্ব উপকণ্ঠে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলোতে ট্যাংক-বিধ্বংসী রকেট এবং মর্টার নিক্ষেপ করেছে।

গাজার সবচেয়ে বড় শহুরে এলাকা রাফা। রাফা শহরের সাবরা এলাকায় দুটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েল বলেছে, হামাস যোদ্ধারা রাফাতে লুকিয়ে আছে। মূলত ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে লাখ লাখ গাজাবাসী বর্তমানে রাফাতে আশ্রয় নিয়েছেন। গত সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে গাজা ভূখণ্ডের বেশিরভাগ অংশই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েল রাফাতে পূর্ণাঙ্গ অভিযান চালাবে না বলে তারা আশা করে। এই ধরনের কোনও অভিযান হামাসকে পরাজিত করার বিষয়ে ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণের জন্য ভালো হবে বলেও তারা বিশ্বাস করে না।

মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘(প্রেসিডেন্ট বাইডেনের) দৃষ্টিতে রাফাতে কোনও ধরনের আঘাত করা ইসরায়েলের সেই উদ্দেশ্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে না। 

কিরবি বলেন, ইসরায়েলের মাধ্যমে হামাসকে উল্লেখযোগ্যভাবে চাপ দেওয়া হয়েছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের জন্য উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি থাকায় সেখানে অভিযান চালানোর চেয়ে গোষ্ঠীর নেতৃত্বের অবশিষ্টাংশ খুঁজে বের করার জন্য আরও ভালো বিকল্প পন্থা রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৩৫ হাজার লোক নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন এক রায়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা করছে। সেসময় ওই রায়ে ইসরায়েলকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।


যুদ্ধবিরতি   বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাল্টে যাচ্ছে ইরানের পারমাণবিক নীতি

প্রকাশ: ০৮:৫৪ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

অস্তিত্ব রক্ষায় ইরান পারমাণবিক নীতি পরিবর্তন করতে পারে। দেশটি ঝুঁকতে পারে পরমাণু অস্ত্র বানানোর দিকে।  ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি এ কথা জানিয়েছেন।

ইরানের স্টুডেন্ট নিউজ নেটওয়ার্কে তিনি জানান, তাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনও সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু ইরানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে সামরিক মতবাদ পরিবর্তন করা ছাড়া তাদের কোনও উপায় থাকবে না।

খামেনির উপদেষ্টা খারজি ২০২২ সালে বলেছিলেন, ইরান প্রযুক্তিগতভাবে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে সক্ষম। তবে বোমা তৈরি করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের এক ঊর্ধ্বতন জেনারেল নিহত হওয়ার পর ঘটনাপ্রবাহ বিপজ্জনক দিকে মোড় নিয়েছিল। দুই দেশই নিজেদের মাটি থেকে সরাসরি একে অপরের ভূখণ্ডে পাল্টাপাল্টি হামলা করে।


ইরান   পারমাণবিক নীতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে এলেন পুতিন

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ রাশিয়া কেএইচ-১০১ নামে একটি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আধুনিকায়ন করেছে। এতদিন এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটি ওয়ারহেড থাকলেও এখন থেকে দুটি থাকবে। ফলে এই অস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বেড়েছে। এখন থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুঘাঁটি ও সেনার ওপর ভয়ংকর ও কার্যকরভাবে আঘাত হানতে পারবে পুতিন বাহিনী। 

বুধবার (৮ মে) যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে এসব তত্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম নিউজউইক।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ান অ্যারোস্পেস ফোর্সেস ভিকেএস-এর লং রেঞ্জ এভিয়েশন কমান্ড (এলআরএ) তাদের প্রধান দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটির বদলে দুটি ওয়ারহেড যুক্ত করেছে তারা।

এর আগে কেএইচ-১০১ ক্ষেপণাস্ত্রকে রাশিয়ার প্রধান নির্ভুল গাইডেড যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছিল যুক্তরাজ্য। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৪ হাজার কিলোমিটার উড়ে গিয়ে শত্রুশিবিরে আঘাত হানতে পারে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুরো ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের জ্বালানি অবকাঠামোতে বড় আকারের হামলা চালাতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে পুতিন বাহিনী। এ ছাড়া কম উঁচু দিয়ে উড়ায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র সহজে শত্রু দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে বলে উল্লেখ করেছিল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ সেন্টার।

পুতিনের নতুন অস্ত্রের সক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই ক্ষেপণাস্ত্রের একটি দুর্বল দিকও উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা বিশ্লেষণে দাবি করা হয়েছে, আধুনিকায়ন করায় কেএইচ-১০১ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানার পরিসীমা অর্ধেকে নেমে গেছে। তবে দূরত্ব সীমা কমলেও ইউক্রেনে হামলা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই রুশ বাহিনীর। কেননা ইউক্রেন ও রাশিয়া প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় খুব সহজে কিয়েভের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে রাশিয়ার সেনারা।

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য নিউজউইকের পক্ষ থেকে ইমেলের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে রুশ মন্ত্রণালয় কোনো জবাব দিয়েছে কিনা, তা জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি।


ক্ষেপণাস্ত্র   ভ্লাদিমির পুতিন   রাশিয়া   প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন