ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ

প্রকাশ: ০৩:১২ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশ

করোনাভাইরাস মহামারি, খরা, তীব্র দাবদাহ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বেই জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে। এর ফলে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই তেল ও গ্যাসের দাম অত্যধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

জ্বালানির খরচ বেড়ে যাওয়ায় খাদ্য, পরিবহন, পরিষেবা সবকিছুর খরচই বেড়েছে। এক কথায় জীবনযাত্রার ব্যয় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সেসব সামাল দিতে লোকজনকে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

এর ফলে প্রায় সব দেশের সরকারের ওপরই বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জ্বালানি সাশ্রয়ের মাধ্যমে ব্যয় কমিয়ে অভিনব সব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

জ্বালানি সংকট সবচেয়ে বেশি প্রকট হয়ে উঠেছে ইউরোপে। ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরে রাশিয়া নর্ড স্ট্রিম ওয়ান পাইপলাইন দিয়ে গ্যাসের সরবরাহ প্রথমে সীমিত এবং পরে পুরোপুরি বন্ধ করে দিলে এই মহাদেশে জ্বালানির মূল্য হু হু করে বেড়ে যেতে শুরু করে।

ইতালি, জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার গ্যাসের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। এর ফলে এসব দেশের সরকার জ্বালানির অপচয় কমানোর ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

হিটার ও এসির ব্যবহার কমানো
চলতি বছর শীতের মৌসুমে গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমানোর একটি পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। একই সঙ্গে ১ নভেম্বরের মধ্যে তাদের প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ যেন ৮০ শতাংশ পূর্ণ থাকে সেটাও নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

জার্মানি, ফ্রান্স এবং স্পেনের সরকার জ্বালানি ব্যবহারের বিষয়ে নতুন কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। এসব নির্দেশনায় সরকারি ভবনগুলোতে হিটিং সীমিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব আদেশে বলা হয়েছে, সরকারি ভবনে শীত মৌসুমে তাপমাত্রা যেন ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না ওঠে।

যেসব ভবনে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি ব্যবহার করা হয় সেসব ভবনের ভেতরে তাপমাত্রা কত হবে সেটাও নির্ধারণ করে দিয়েছে ফ্রান্স ও স্পেনের সরকার। ফ্রান্সে এই তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ২৬ এবং স্পেনে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখতে বলা হয়েছে।

ফ্রান্সে যেসব দোকানপাটে এসি আছে সেগুলোর দরজা সবসময় বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই আদেশ ভঙ্গ করলে ৭৫০ ডলার জরিমানা করা হবে। ফরাসি সরকার মনে করে তারা যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে তার ফলে জ্বালানির ব্যবহার ১০ শতাংশ হ্রাস পাবে।

প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য রাশিয়ার ওপর জার্মানি যতটা নির্ভরশীল, প্রতিবেশি ফ্রান্স ততটা নির্ভরশীল নয়। ফ্রান্সে বিদ্যুতের ৪২ শতাংশ আসে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। তবে দেশটিতে চলতি বছর নজিরবিহীন তাপপ্রবাহ ও খরা দেখা দিয়েছে। এর ফলে বেশ কয়েকটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুল্লি ঠাণ্ডা রাখার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে এসব কেন্দ্রে বিদ্যুতের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।

আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা বলছে, ইউরোপের দেশগুলোতে শুধুমাত্র হিটিং কয়েক ডিগ্রি কমিয়ে রাখার মতো সাধারণ কিছু পদক্ষেপ নিলে অনেক জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব। এর পরিমাণ নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন দিয়ে শীতকালে সরবরাহ করা প্রাকৃতিক গ্যাসের সমান।

বাতি নিভিয়ে রাখা
জার্মানি ঘোষণা করেছে যে, তারা রাতের বেলায় সরকারি ভবন ও স্মৃতিসৌধের মতো স্থাপনাগুলোতে আলো জ্বালাবে না। স্পেনের দোকানপাটেও রাত ১০টার মধ্যে বাতি নিভিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো
চীনের জ্বালানি সংকট ভিন্ন ধরনের। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চীনে রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাসের সরবরাহ তেমন একটা বিঘ্নিত হয়নি, তবে দেশটি চলতি বছর ভয়াবহ তাপপ্রবাহ ও খরায় আক্রান্ত হয়েছে।

এর ফলে দেশটির নদী নালা শুকিয়ে গেছে যার প্রভাব পড়েছে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ওপর। উদাহরণ হিসেবে চীনের সিচুয়ান প্রদেশের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। এই শহরে যতো বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়, তার ৮০ শতাংশই আসে জলবিদ্যুতের বাঁধ থেকে।

কিন্তু নদীর পানি কমে যাওয়ার কারণে সেখানকার জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে।পরিস্থিতি সামাল দিতে সিচুয়ান কর্তৃপক্ষ সব কলকারখানা ছয়দিনের জন্য বন্ধ করে দেয়। একই সঙ্গে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর জন্য সিচুয়ান প্রদেশের সব অফিস এবং দোকানপাটে বাতি না জ্বালানোর পাশাপাশি এসি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রতিবেশী চংকিং রাজ্যেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় চীনের কৃষি মন্ত্রণালয় কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। এই প্রক্রিয়ায় আকাশে মেঘের ভেতরে কিছু রাসায়নিক পদার্থ পাঠানো হয় যা বৃষ্টিপাত ঘটায়। তবে কবে এটা করা হবে এবং কোথায় করা হবে এসব বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।

কম কাজ করা
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে পাকিস্তানের সরকারি অফিসে কাজের সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। জুন মাসে তারা ঘোষণা করে যে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এখন থেকে সপ্তাহে ছয়দিনের পরিবর্তে পাঁচদিন কাজ করবেন।

কিন্তু এর মাত্র কয়েক মাস আগে দেশটির নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তাদের কার্যকারিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এর কয়েক সপ্তাহ পরেই পাকিস্তানে এতো গরম পড়ে যে, এক পর্যায়ে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে পৌঁছায়। এর ফলে দেশটির বিদ্যুৎ সরবরাহের জাতীয় গ্রিডে বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়। একই সময়ে সারা বিশ্বে জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটে। এর ফলে দেশটিতে এখন শুক্রবার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরিকল্পনাও বিবেচনা করা হচ্ছে।

পরমাণু বিদ্যুৎ
জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় কোনো কোনো দেশ জীবাশ্ম জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় ফিরে গেছে। জার্মানিতে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পুনরায় চালু করা হয়েছে।

অথচ জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকানোর লক্ষ্যে গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন কমাতে উন্নত দেশগুলো কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার কথা ঘোষণা করেছিল। চলতি বছরের জুনে ভারত থেকে সারাবিশ্বে যে পরিমাণ কয়লা রপ্তানি করা হয়েছে তা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

কিন্তু এর আগে ভারত সরকার কয়লা রপ্তানি কমিয়ে আনার কথা বলেছিল। এর বিকল্প চিন্তাভাবনাও রয়েছে কোনো কোনো দেশের। এর মধ্যে একটি জাপান। প্রায় ১১ বছর বিরতির পর দেশটি নতুন নতুন পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্ঘটনার জের ধরে জাপানে এসব কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। জাপান কর্তৃপক্ষ এখন এসব কেন্দ্র পুনরায় চালু করার কথা বিবেচনা করছে।

সূর্যের আলো
বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করছেন বর্তমান এই সংটের কারণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তির বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যেই ফ্রান্স বায়ুশক্তি থেকে তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা এবং চীনের মত দেশ সৌরশক্তির উপর জোর দিচ্ছে। তারা তাদের নাগরিকদের উৎসাহিত করছে বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর জন্য। বাড়ির ছাদে উৎপাদিত এই বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডের জন্য বিক্রি করার ব্যাপারে বিভিন্ন দেশে এখন নীতিমালাও তৈরি করা হচ্ছে।


বিশ্ব   জ্বালানি সংকট   মূল্যবৃদ্ধি   সংকট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: বিজেপির আসন বাড়ার পরীক্ষা হয়ে গেল

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪০০ পারের স্লোগান দিয়ে ভোট ময়দানে নামা বিজেপি আশা করেছিল দক্ষিণ ভারতে এবার গেরুয়া ঝড় উঠবে। সেই দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ভোট শেষ হয়ে গেল আজ চতুর্থ দফায়। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে ভোট হয়েছে। কেরেলা, কর্নাটকেও মিটেছে ভোট-পর্ব। চতুর্থ দফায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় নির্বাচন। বিজেপির আশা, এই দুই রাজ্যেই আগেরবারের থেকে অনেক ভালো ফল করবে দল।

প্রথম তিন দফায় ভোটারদের মধ্যে সেভাবে উৎসাহ চোখে পড়েনি। তিন দফাতেই ভোটের হার কমেছে। ভোটের হার কমাটা বিজেপির জন্য মোটেই ভালো লক্ষণ নয় বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল। গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও গোবলয় নিয়ে উদ্বেগের আভাস রয়েছে। যদি উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান বা বিহারে আসন খোয়াতে হয়, তাহলে সেটা পুষিয়ে দেয়ার জন্য মূলত অন্ধ্র এবং তেলেঙ্গানাকে টার্গেট করছে গেরুয়া শিবির।

বিজেপির আশার উৎস প্রধানত অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। এই দুই রাজ্যের ৪২ আসনের ভোট আজ সোমবার হয়ে গেল। সেই সঙ্গে হলো অন্ধ্র প্রদেশের ১৭৫ বিধানসভা আসনেরও ভোট। লোকসভার গত দুটি ভোটে অন্ধ্র প্রদেশে বিজেপি একটি আসনেও জিততে পারেনি। তেলেঙ্গানায় পেয়েছিল ৪টি আসন। বিজেপির আশা, এবার দুই রাজ্য মিলিয়ে তারা জোট শরিকদের সঙ্গে নিয়ে ২২ থেকে ২৫টি আসন আদায় করে নেবে। তা হলে তারা তৃতীয়বার ক্ষমতা ধরে রাখার পথে এগিয়ে যাবে অনেকটাই।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নিয়েও আশাবাদী বিজেপি। উত্তরবঙ্গের ঘাঁটি ছেড়ে ভোট এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। এই দফায় ৮ আসনে ভোটের গতিপ্রকৃতি বুঝিয়ে দেবে, গতবার পাওয়া ১৮ আসন তারা এবার ধরে রাখতে পারবে কি না। ৮ আসনের নিরাপত্তা রক্ষায় নির্বাচন কমিশন তৎপর। প্রায় চার হাজার বুথ তাদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর।

পাশের রাজ্য অন্ধ্রে আগের দুই নির্বাচনে খাতা খুলতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তবে এবার টিডিপি (টিডিপি) এবং জন সেনার সঙ্গে জোট রয়েছে বিজেপির। ২৫ আসনের মধ্যে লোকসভায় বিজেপি লড়ছে ৬ আসন। জোটে ভর করে অন্ধ্রেও এবার একাধিক আসন পাওয়ার আশায় গেরুয়া শিবির। জোট হিসাবে সেরাজ্যেও অন্তত ১৫-১৭ আসন পাওয়ার আশা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

উত্তরপ্রদেশে যে ১৩টি আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে ১১টিতে গত বার বিজেপি জেতে। এবার সে রাজ্যে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস জোট ভালো লড়াই দিচ্ছে বিজেপিকে। প্রথম তিন পর্বে মুসলিম, যাদব এবং জাঠ, রাজপুতদের একাংশ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বলেই দাবি বিরোধীদের। এই পর্বেও তেমন হলে চাপে পড়ে যাবে বিজেপি। মহারাষ্ট্র, বিহারেও এবার শক্তিশালী বিরোধী জোট বাধা হতে পারে বিজেপির জন্য। এই রাজ্যগুলিতে বিজেপির কিছু আসন ঘাটতি হবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। দক্ষিণের দুই রাজ্যে বাড়তি আসন পেয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করতে চায় গেরুয়া শিবির।

এই ৯৬ আসনের মধ্যে উনিশে এনডিএ জোট পায় ৪৯ আসন। বিজেপি একা পায় ৪২টি। ৪৭টি আসন ছিল বিরোধী শিবিরের দখলে। গেরুয়া শিবির সার্বিকভাবে এই পর্বেই স্ট্রাইক রেট বাড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি দেখছে। সেটা মূলত তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে।


লোকসভা নির্বাচন   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মালয়েশিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। 

স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, নিহত বৃক্ষরোপণ কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মো. নওশের আলী (২৯) নামের ওই কর্মী তার এক সহকর্মীকে নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে হাতির আক্রমণের শিকার হন। 

সোমবার দেশটির পুলিশের এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে হাতির আক্রমণের সময় পালিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ পাননি ওই ভুক্তভোগী। মরদেহের পাশেই হাতির পায়ে ছাপ পাওয়া গেছে।

পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু বলেছেন, ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য ওই ব্যক্তির মরদেহ গুয়া মুসাং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


মালয়েশিয়া   বন্য হাতি   বাংলাদেশি   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: মহিষে চড়ে ভোট দিতে গেলেন যুবক, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভোটাধিকার মানুষের অন্যতম রাজনৈতিক অধিকার। প্রথমবার ভোট দেওয়ার দিনটি মানুষের জীবনে স্মরণীয় একটি দিন বটে। তাই তো ভারতের এক যুবক তার প্রথম ভোটের দিনকে স্মরণীয় করতে মহিষের পিঠে চড়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে এলেন। এরই মধ্যে যুবকের এই কাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

ভারতের বিহার রাজ্যের উজিয়ারপুর এলাকার। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক মহিষে চড়ে ভোট দিতে এসেছেন। কালো শার্ট, ধূসর রঙের প্যান্ট ও মাথায় পাগড়ি পরে আছেন তিনি। মহিষের মাথায়ও সবুজ রঙের কাপড় জড়ানো। তাকে এভাবে আসতে দেখে আশেপাশে লোকজন ভিড় করেছেন। অনেকে ছবি তুলছেন কিংবা ভিডিও করে রেখে দিচ্ছেন তার এই কাণ্ড। 

অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবক বলেন, প্রথমবার ভোট দিতে এসে এক ধরনের উদ্দীপনা কাজ করছে। আশা করি, নির্বাচনে যিনি জিতবেন, তিনি আমাদের গ্রামের দারিদ্র্য দূর করবেন, তরুণদের চাকরি ব্যবস্থা করবেন ও মুদ্রাস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করবেন।

বিহারের সমস্তিপুর জেলার উজিয়ারপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ ভোটার। এই আসনে বিভিন্ন দলে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। এবার জিতলে এই আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করবেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরজেডি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলোক মেহতা।


লোকসভা নির্বাচন   ভোট   ভিডিও   ভাইরাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: চতুর্থ দফায় পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা

প্রকাশ: ০৭:৪১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করে সহিংসতা ও গণ্ডগোল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। 

অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেগু দেশম পার্টি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। 

নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভারত জুড়েই একাধিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে ছিল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়াও নির্বাচন কেন্দ্রিক যেকোনো অশান্তি রুখতে প্রস্তুত রাখা ছিল কুইক রেসপন্স টিম, ফ্লাইং স্কোয়াড, ভিডিও সার্ভেলেন্স টিম, স্ট্যাটিক সার্ভেলেন্স টিমের সদস্যরা। কিন্তু ঠেকানো গেলো না সহিংসতা। ঝরলো রক্ত, প্রাণ গেল। গণমাধ্যমের গাড়িও হামলার শিকার হয়েছে।

সোমবার চতুর্থ দফায় ১০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ৯৬টি সংসদীয় আসনে ভোট নেওয়া হয়। এই কেন্দ্রগুলি হল- অন্ধ্রপ্রদেশের (২৫), তেলেঙ্গানা (১৭), উত্তরপ্রদেশ (১৩), মহারাষ্ট্র (১১), পশ্চিমবঙ্গ (৮), মধ্য প্রদেশ (৮), বিহার (৫), ঝাড়খন্ড (৪), ওড়িশা (৪) এবং  জম্মু-কাশ্মীর (১)। 

লোকসভার পাশাপাশি এদিন অন্ধপ্রদেশের ১৭৫ আসনে এবং উড়িষ্যার ২৮টি আসনে বিধানসভার ভোট নেওয়া হয়। 

গোটা ভারতে ভোট শুরু হয় স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় তা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কিন্তু ভোট শুরুর আগে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসাতায় প্রাণ যায় এক তৃণমূল কর্মীর। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কেতুগ্রামের চেঁচুড়ি গ্রামে তাকে হত্যা করা হয়। রবিবার রাতে মিন্টু শেখ নামে ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পাশাপাশি বোমা মেরে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর মিন্টু শেখ যখন তার এক সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন, সে সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার বাইক আটকায়। তিনি বাইক থামাতেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। 

এদিন সকালের দিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের মন্তেশ্বর ব্লকের টুললা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। দিলীপ ঘোষের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে এক গ্রামবাসী। এ সময় দিলীপ ঘোষকে ঘিরে 'গো ব্যাক' স্লোগানও দেওয়া হয়। এই সংবাদসংগ্রহ করতে গিয়ে গণমাধ্যমের গাড়িও ভাংচুর করা হয়। বেলা গড়াতেই বিকেলে ফের দিলীপ ঘোষের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। বর্ধমান-উত্তর ২০৪ নম্বর বুথের দলীয় এজেন্টকে বের করে দেওয়ার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান দিলীপ ঘোষ। এই হামলায় আহত হন দিলীপ ঘোষের দুই নিরাপত্তারক্ষী। এর মধ্যে একজনের মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। নিরাপত্তা রক্ষীদের গাড়ি বহরেও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। 

দুর্গাপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। 

কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তেহট্টের রামজীবনপুরের কয়েকটি বুথে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ভোট দিতে আসার সময় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমুলের দাবি এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। 

ভোট পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগের মুখে পড়েন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। 

বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের নানুর বিধানসভার অধীন আট গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া একাধিক জায়গা থেকেই ইভিএম বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে, ফলে সেইসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হতে দেরী হয় কিভাবে সেসব কেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। 

দুর্গাপুরে তানসেন রোডের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ তারা যখন মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য গিয়েছিলেন সেই সুযোগে বিজেপির বহিরাগতরা বাইক বাহিনী নিয়ে এসে তাদের নারী সদস্যদের উপর হামলা চালায় এবং ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় তৃণমূলের বেশ কয়েকজন মহিলা তৃণমূল কর্মী আহত হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি লেগে গেলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। 

এ দফায় ভারতে মোট ভোটার ছিল ১৭ কোটি ৭০ লাখ। ভাগ্য নির্ধারণ হয় মোট ১৭১৭ জন প্রার্থীর। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (বেগুসারাই), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা (কুন্তী), সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব (কনৌজ), সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী (বহরমপুর), ওই কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র (কৃষ্ণনগর), তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা (আসানসোল), তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী শতাব্দী রায় (বীরভূম), তৃণমূল নেত্রী সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ (বর্ধমান-দুর্গাপুর), ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী ওমর আব্দুল্লাহ (জম্মু-কাশ্মীর), অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি (হায়দরাবাদ)। 

ভোটের পরবর্তী ধাপে পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট ১ জুন। গণনা আগামী ৪ জুন।


লোকসভা নির্বাচন   চতুর্থ দফা. পশ্চিমবঙ্গ   সহিংসতা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফা ছেড়ে পালালেন ৩ লাখ ফিলিস্তিনি

প্রকাশ: ০৬:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির রাফা শহর। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরেই ইতোমধ্যেই হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল।

আর এরই জেরে শহরটি ছেড়ে ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছেন ৩ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ এই তথ্য সামনে এনেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে এসব মানুষ এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

রোববার (১২ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৩ লাখ মানুষ গত সপ্তাহে রাফা থেকে পালিয়ে গেছে বলে গাজায় ফিলিস্তিনিদের সাহায্যকারী জাতিসংঘের প্রধান সংস্থা রোববার জানিয়েছে। ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে বাঁচতে গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তের এই শহরটি গত সাত মাস ধরে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছে আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।

ইসরায়েলি সরকার রাফা এবং গাজার অন্যত্র নতুন স্থানান্তর আদেশ জারি করার কয়েক ঘণ্টা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা দেয় ইউএনআরডব্লিউএ নামে পরিচিত জাতিসংঘের সংস্থা। আন্তর্জাতিক সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শহরটিতে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গত কয়েকদিনে আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে।


রাফা   ফিলিস্তিন   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন