একটি বিশালাকার
পেন্ডুলামের কথা চিন্তা করুন যা ধীরে ধীরে এদিক-ওদিক দুলছে, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে।
রাশিয়া হচ্ছে
সেই পেন্ডূলাম। এদিকে একবার রাশিয়া পশ্চিমে ইউরোপের দিকে তাকায় এবংনিজেকে ইউরোপীয়
সভ্যতার একটি অনস্বীকার্য অংশ হিসাবে দেখে।
অন্য সময়,
পেন্ডুলাম বিপরীত দিকে দোলে এবং রাশিয়া পূর্ব দিকে তাকায়। এর শাসকরা পশ্চিমা সভ্যতা,
পশ্চিমা মূল্যবোধের নিন্দা করে এবং ঘোষণা করে যে রাশিয়ার ভবিষ্যত এশিয়ার সাথে নিহিত।
কাউকে মনে করিয়ে
দেয়?
আশ্চর্যজনক
ভাবেই অবশেষে ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে রাশিয়ান সেই পেন্ডুলামটি পূর্ব দিকে এসেছে।
ইউক্রেনে আক্রমণ
করার তার সিদ্ধান্ত পশ্চিমের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত
করেছে। এমনকি পশ্চিমা বিশ্বের নানা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে অর্থনৈতিক ভাবের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুতিনকে "হত্যাকারী একনায়ক" বলেছেন;
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস এর আগে তাকে "একজন মরিয়া দুর্বৃত্ত "
বলে অভিহিত করেছিলেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট
অবশ্য ভিন্ন ভাবে দেখেন পুতিনকে। উজবেকিস্তানের সমরকন্দে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে
দুই নেতার সাক্ষাৎ হয় পুতিনকে "আমার প্রিয় পুরানো বন্ধু!"
বলে সম্বোধন করেন শি।
অন্যদিকে পুতিন
"চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব" এবং তাদের "কৌশলগত ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব" এর প্রশংসা করেছেন।
দুই নেতার বিশ্ব
দৃষ্টিভঙ্গি একই রকম। উভয়ই একটি বিকল্প বিশ্বব্যবস্থার ধারণা প্রচার করেন: একটি
"মাল্টি-পোলার ওয়ার্ল্ড" যেখানে তাদের দেশগুলি পশ্চিমের, বিশেষ করে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ হিসাবে কাজ করে।
সুতরাং, এটি
কি পুতিন এবং শি এর "চিরকালের সেরা বন্ধুত্ব" গল্পের সূচনা?
পুরোপুরি না।
প্রথমত, বিশ্ব রাজনীতিতে এই ‘সেরা বন্ধু’ খুব কমই বিদ্যমান। এবং দ্বিতীয়ত, এটি একটি
ক্রমবর্ধমান অসম সম্পর্ক।
পুতিনের ইউক্রেনে
আক্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী না হওয়ায় এর ফলে রাশিয়া দুর্বল হয়ে পড়েছে। ক্রেমলিন স্বীকার
করেছে যে রাশিয়ান সেনাবাহিনী "উল্লেখযোগ্য ক্ষতি" সম্মুখীন। এদিকে পশ্চিমা
নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থনীতিকে তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে মস্কো। রাশিয়া-চীন সম্পর্কের
ক্ষেত্রে রাশিয়াই জুনিয়র পার্টনার।
তাদের বৈঠকে
পুতিন স্বীকার করেছেন যে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে চীনের "প্রশ্ন ও উদ্বেগ"
রয়েছে। ক্রেমলিনের দ্বারা এটি একটি অপ্রত্যাশিত স্বীকারোক্তি ছিল যে রাশিয়ার তথাকথিত
বিশেষ সামরিক অভিযান বেইজিংয়ে কিছুটা উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
পশ্চিমের সাথে
সেতু জ্বালিয়ে এবং ইউরোপের সাথে একটি শক্তি যুদ্ধের জন্ম দেওয়ার পরে, জনাব পুতিন
পূর্ব দিকে একটি ভট গড়ার চেষ্টা করছেন। ক্যাননা তার কাছে এর বিকল্প বলতে কিছুই নেই।
তিনি রাশিয়ান অর্থনীতির পুনর্গঠন এবং রাশিয়ান তেল ও গ্যাসের জন্য নতুন বাজার খুঁজে
পাওয়ার আশা করছেন যা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
জনস হপকিন্স
স্কুল অফ অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক সের্গেই র্যাডচেঙ্কো বিশ্বাস
করেন, "আশা করা যায় যে এই পিভট কাজ করবে এবং রাশিয়ার জন্য লাভ হবে। কিন্তু আমি
মনে করি না এমন টা হবে। তার মতে রাশিয়ার যা প্রয়োজন তা শেষ পর্যন্ত পশ্চিমে: এর প্রযুক্তি,
এর বাজার।
"রাশিয়ার
উপকূলে তেল এবং গ্যাস ক্ষেত্রগুলি বিকাশের জন্য পশ্চিমা প্রযুক্তির প্রয়োজন এবং পশ্চিমা
সমর্থন ছাড়া রাশিয়া এটি করতে সক্ষম হবে কিনা তা নিয়ে একটি বড় প্রশ্ন রয়েছে।‘’
"গ্যাস
প্রবাহের দিক পরিবর্তন করা খুবই কঠিন। সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং রাশিয়া ইউরোপে পাইপলাইনের
নেটওয়ার্ক তৈরি করতে কয়েক দশক ব্যয় করেছে এবং সেখানেই ভৌত অবকাঠামো। এশিয়ার দিকে
রাশিয়ান শক্তির বাজারগুলিকে পুনর্নির্মাণ করা খুবই কঠিন।"
পুতিন এবং শি
যে শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন তা সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশান বা এসসিওর একটি বৈঠক।
রাশিয়া ও চীনের পাশাপাশি এই জোটে কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তান,
ভারত ও পাকিস্তান সমন্বয়ে গঠিত।
পুতিনের জন্য
সম্মেলন এটা দেখানোর সুযোগ যে, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেন আক্রমণের জন্য পশ্চিম
থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, মস্কোর এখনও শক্তিশালী বন্ধু রয়েছে।
"রাশিয়া
উল্লেখ করতে পছন্দ করে যে পশ্চিমাদের দ্বারা তার বিচ্ছিন্নতা শুধুমাত্র পশ্চিমেই রয়েছে
এবং বিশ্বটি অত্যন্ত বহু-মেরু," প্রফেসর রাদচেঙ্কো নোট করেছেন। "কিন্তু মজার
বিষয় হল যে এসসিও এবং মধ্য এশিয়ায় ক্ষমতার পুরো ভারসাম্য বদলে যাচ্ছে এবং ক্রমেই
রাশিয়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
"পুতিন
এমন সময়ে সমরকন্দে এসেছেন যখন তিনি এমন এক যুদ্ধের মাঝখানে আছেন যেটা তিনি হেরে যাচ্ছেন।‘’
"এদিকে,
প্রথমবারের মতো মধ্য এশিয়ার দেশগুলি তাদের নিজস্ব নীতি অনুসরণ করছে। এটি কাজাখস্তানের
সাথে সবচেয়ে বেশি লক্ষণীয়, যেটি রাশিয়ার সাথে তার সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দৃঢ়
ছিল। কাজাখস্তান আশানুরূ সমর্থন পাননি পুতিন। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। ক্ষমতার
ভারসাম্যে আকর্ষণীয় ভাবে পরিবর্তন হচ্ছে।"
যেহেতু ক্রেমলিন
পূর্বের দিকে ঝুঁকছে, সেহেতু রাশিয়া সম্পর্কে একটি মূল বিষয় মনে রাখা মূল্যবান। এই
দেশটি বিশ্বের বৃহত্তম দুটি মহাদেশ, ইউরোপ এবং এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত।
সেক্ষেত্রে
পেন্ডুলামকে দুলতে দেওয়ার পরিবর্তে, সম্ভবত রাশিয়ার পক্ষে উভয় দিকে তাকানো আরও বোধগম্য
বলে মনে হতে পারে
বিশ্ব সংবাদ এশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়া চীন রাশিয়া-চীন সম্পর্ক ইউরোপ নিষেধাজ্ঞা
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনিভার্সিটি অব সিডনি) তাবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেসময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এদিনের আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলেন। বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি।
ব্রিটিশি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের শিবির গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে পুলিশ ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভের জায়গাগুলোতে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিতে ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা থাকলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।
এদিকে, এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত ইহুদী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত।
ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।
কয়েক দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিত্র দেশগুলো থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ ফিলিস্তিন
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
সর্বশেষ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) অভিযান চালিয়ে ২০০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্লাইউড, মেটাল ফেন্স, প্ল্যাকার্ড দিয়ে তৈরি করা ব্যারিকেড এবং ক্যাম্পাস চত্বরের অস্থায়ী তাঁবুগুলো তছনছ করে দিয়েছে পুলিশ। এসব তাঁবুতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাতে ঘুমাতেন।
ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত মার্চের শেষ দিক থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে সেই আন্দোলন দেশটির অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই আন্দোলন চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৮ এপ্রিল রাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ অভিযানে ১০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ এবং তাদের তাঁবু-ব্যারিকেডও তছনছ করে দিয়েছিল পুলিশ।
কিন্তু পরের দিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মার্কিন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে 'ইহুদিবিদ্বেষী' আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে আন্দোলনের সংগঠকদের (যাদের মধ্যে ইহুধি ধর্মাবলম্বীরাও রয়েছেন) দাবি, তারা কেবল ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী ইউসিএলএ
মন্তব্য করুন
মুক্ত গণমাধ্যম বাংলাদেশ পাকিস্তান
মন্তব্য করুন
চলন্ত ট্রেনে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী। গত ২৯ এপ্রিল ভারতের জাহাংসি জংশনে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ বছর বয়সি মোহাম্মাদ আরশাদ তার ২৬ বছর বয়সি স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় তালাকের এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল আফসানার সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনে ভোপালে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে কানপুরের পুখরায়ানে যান দুজনে। সেখানে আরশাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়েই চমকে যান আফসানা। জানতে পারেন আরশাদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে আরশাদ ও তার মা আফসানার কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকে।
অভিযোগ, মারধরও করা হয় আফসানাকে। এরপর স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ভোপালে ফিরছিলেন আরশাদ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন আরশাদ। এরপরই ট্রেন থেকে নেমে যান।
এ ছাড়া স্ত্রীকে চলন্ত ট্রেনে মারধরও করেছিলেন আরশাদ। ট্রেন ঝাঁসিতে থামতেই জিআরপিকে সমস্ত ঘটনা জানান আফসানা। এরপরই আফসানাকে ফেরত পাঠানো হয় আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে। ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরশাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও জানিয়েছেন আফসানা। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশের সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে রেহাই পাইনি তার বাবা-মাও।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। এই বিক্ষোভ চলাকালে এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করার সময় তার পাঁজরের ৯টি হাড় ও একটি হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক স্টিভ তামারি সাউদার্ন ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটি এডওয়ার্ডসভিলের ইতিহাসের অধ্যাপক। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ তিনি।
এ ঘটনায় ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, শনিবার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্টিভ তামারি দৃশ্যত বিক্ষোভকারীদের ছবি তোলার বা ভিডিও ধারণের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেপরোয়াভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যান তাকে।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গ্রেফতার হওয়ার সময় অধ্যাপক তামারি মাটিতে পড়ে গেলে পুলিশের এক সদস্য তাকে হাঁটু দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। পরে দুই হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো হয়। এরপর কয়েকজন পুলিশ তার নিস্তেজ হয়ে পড়া শরীর টেনেহিঁচড়ে একটি ভ্যানের দিকে নিয়ে যায় ও মাটিতে উপুড় করে ছুড়ে ফেলে।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ অধ্যাপক পুলিশ
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। এই বিক্ষোভ চলাকালে এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করার সময় তার পাঁজরের ৯টি হাড় ও একটি হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক স্টিভ তামারি সাউদার্ন ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটি এডওয়ার্ডসভিলের ইতিহাসের অধ্যাপক। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ তিনি।