ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের হিজাববিরোধী বিক্ষোভে নিহত অন্তত ৩১

প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail ইরানের হিজাববিরোধী বিক্ষোভে নিহত অন্তত ৩১

ক্ষোভে উত্তাল ইরানের প্রায় প্রতিটা শহর। মাথায় হিজাব না থাকায় ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে (মর‌্যালিটি পুলিশ) গ্রেপ্তার, হেফাজতে থাকা অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হওয়া এবং পরে হাসপাতালে মারা যাওয়া তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুতে শুরু হোয়া বিক্ষোভের ষষ্ঠ দিন চলছে।

শুরুর ‍দিকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কুর্দিস্তানে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে এই বিক্ষোভ। এদিকে, সঙ্গে বিক্ষোভ দমনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীও।

ইরানের মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটসের (আইএইচআর) পরিচালক মাহমুদ আমিরি মোঘাদ্দাম এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে গত ছয়দিনে ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে গণগ্রেপ্তার অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে আইএইচআর।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘নিজের মৌলিক অধিকার ও সম্মান ফিরে পাওয়ার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে ইরানের সাধারণ জনগণ; কিন্তু জনগণের এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমন করতে বুলেট ব্যবহার করছে সরকার।’

রাজধানী তেহরানসহ ইরানের অন্তত ৩০টি শহরে বিক্ষোভ হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএইচআরের বিবৃতিতে।

মাথায় হিজাব না থাকায় গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার রাজধানী তেহরানে ইরানের নৈতিকতা (মর‌্যালিটি) পুলিশের হাতে গেপ্তার হন মাশা আমিনি নামের ২২ বছরের এক তরুণী। গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি।

বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতালে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়, তার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে মারা যান তিনি।

ইরানের স্থানীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী পড়াশোনা সূত্রে ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশে থাকতেন মাশা, গত সপ্তাহে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে তেহরান এসেছিলেন।

তার মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল কুর্দিস্তানে। পরে দ্রুততার সঙ্গে অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়ে সেই বিক্ষোভ।

ইরানে জনপরিসরে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরাসহ কঠোর পর্দাবিধি রয়েছে। এই বিধিগুলো কার্যকর হচ্ছে কি না, তা তদারক করে দেশটির মর‌্যালিটি পুলিশ।

রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, মাশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে ইরানের অন্তত ৫০টি শহরে বিক্ষোভ চলছে। এর আগে ২০১৯ সালে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল ইরানে। রয়টার্সের তথ্যমতে তারপর এত বড় বিক্ষোভ দেশটিতে আর হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। আর হয়নি দেশটিতে।


বিশ্ব   ইরান   বিক্ষোভ   হিজাব   পুলিশ হেয়াফজতে মৃত্যু   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ১৩ দেশে ছড়িয়েছে

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসভিত্তিক ছাত্র আন্দোলন আরও ১২ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও মেক্সিকোতে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে বিক্ষোভ চলছে, তাতে একাত্মতা জানাতেই আন্দোলনে নেমেছেন তারা।

গত ১৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভের সূচনা করেন নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দেশটির অন্তত ৪৫ অঙ্গরাজ্যের ১৪০টির বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

এরপর বিক্ষোভ শুরু হয় ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ভারত ও লেবাননের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামলা বন্ধের পাশাপাশি ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে ও অস্ত্র সরবরাহ করে, এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সম্পর্ক ত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন।

এদিকে বিক্ষোভ দমনে আমেরিকায় শিক্ষার্থীদের ধরপাকড় চলছেই। স্থানীয় সময় শনিবার আরও দুই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে নতুন করে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চলমান এ বিক্ষোভে দেশটির প্রায় দুই হাজার চার শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হল।

নতুন করে বিক্ষোভ চার দেশে

স্থানীয় সময় শুক্রবার জার্মানির বার্লিনের হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান নিয়ে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের দাবি, অন্য জায়গায় তাঁবু গেড়ে বিক্ষোভের আহ্বান জানায় তারা। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ বেশ কিছু বিক্ষোভকারীকে জোর করে সরিয়ে দেয়। বিক্ষোভের সমালোচনা করেছেন বার্লিনের মেয়র কাই ওয়েগনার। তিনি এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, এই শহর (বার্লিন) যুক্তরাষ্ট্র বা ফ্রান্সের মতো ঘটনা দেখতে চায় না।

বিক্ষোভ করছেন সুইজারল্যান্ডের লুসান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি ভবনের ফটক দখল করে আছেন সেখানকার শতাধিক শিক্ষার্থী। শিক্ষা–সম্পর্কিত যেকোনো কার্যক্রম থেকে ইসরায়েলকে বাদ দেওয়া ও গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে আয়ারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা শুক্রবার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে যে বিক্ষোভ করছেন, তাতে সংহতি জানাতেই এমন অবস্থান কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন এসব শিক্ষার্থী।

ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে বৃহস্পতিবার থেকে বিক্ষোভ করছেন ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর (ইউএনএএম) শিক্ষার্থীরা। ইউএনএএম মেক্সিকোর বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’ ও ‘নদী থেকে সমুদ্র, ফিলিস্তিন হবে মুক্ত’—এ ধরনের নানা স্লোগান দেন। ইসরায়েলের সঙ্গে মেক্সিকোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও জানাচ্ছেন তাঁরা। সূত্র: এএফপি


ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রোদে থেকে বাচঁতে রাস্তায় সবুজ শামিয়ানা

প্রকাশ: ০৯:১৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব-এশিয়ার দেশগুলোতে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড তীব্র তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করছে।

তাপপ্রবাহ এতই বেশি যে, ঘরের বাইরে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে সব বয়সী মানুষের জন্য। শিশুদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল। তীব্র রোদে ঘরের বাইরে না বেরোতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমন পরিস্থিতিতে পথচারীদের আরাম দিতে অভিনব উপায় বের করেছে দক্ষিণ ভারতের পুদুচেরি শহর কর্তৃপক্ষ। সেখানে ব্যস্ত সড়কের ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে সবুজ রঙের শামিয়ানা। এর ফলে

মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশার মতো খোলা যানবাহনগুলোর আরোহীদের ভয়ংকর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না। তারা সিগনাল ছাড়ার অপেক্ষা করছেন সবুজ ছায়ায়। খবর ইন্ডিয়া টুডে ও এনডিটিভির।

পুদুচেরি পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্টের এই অভিনব উদ্যোগের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, পুদুচেরির একটি রাস্তায় দুই চাকার যানবাহনের আরোহীরা সবুজ শামিয়ানার নিচে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। পথচারীদের আরামের জন্য শামিয়ানা টানানো হয়েছে অন্য রাস্তাগুলোতেও।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে পুদুচেরি কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। ভারতের অন্যান্য শহরগুলোতেও এই পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

একজন সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহারকারী লিখেছেন, এখানে একটি কৌশল দেখুন। পথচারী পারাপারের অর্থাৎ জেব্রা ক্রসিং প্রায় ১০ ফুট আগে ছায়া শেষ হচ্ছে। ফলে প্রখর রোদ এড়ানোর জন্য হলেও গাড়িচালকরা পথচারীদের পথে বাধা হবেন না।

আরেকজন বলেছেন, অসাধারণ উদ্যোগ! প্রশাসনের প্রতি শুভেচ্ছা। আশা করি অনেক নেতা ও প্রশাসক এটি থেকে অনুপ্রাণিত হবেন।


দক্ষিণ   ভারত   পুদুচেরি   রাস্তা   সবুজ   শামিয়ানা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ শতাধিক

প্রকাশ: ০৮:৫৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্ডে দো সুলেতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৭৮ জনে। এছাড়া, বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।

সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে, কারণ রোববার (৫ মে) ১০৫ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যা আগের দিন প্রায় ৭০ জন ছিল।

উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনার সীমান্তবর্তী রাজ্যের প্রায় ৫০০টির মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি শহরে গত কয়েকদিনের ঝড় ও বর্ষণে বন্যার প্রভাব পড়েছে।

বন্যায় বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তা ও সেতু ভেঙে গেছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে একটি ছোট জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভূমিধস এবং একটি বাঁধের আংশিক ভেঙে যায়। ফলে রোববার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে রিও গ্রান্ডে দো সুলের চার লাখেরও বেশি মানুষ। এছাড়া, সুপেয় পানির সংকটে পড়েন মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ।

ব্রাজিলের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক পরিষেবা অনুসারে, মূলত পোর্তো আলেগ্রেতে গুয়াইবা হ্রদ ও এর তীর ভেঙেছে, ফলে বন্যার পানির স্তর অনেক বেড়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা নৌকা, জেট স্কি, এমনকি সাঁতার কেটে চলমান উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছেন।

পোর্তো আলেগ্রির নিকটবর্তী ক্যানোস শহরের কাইলি মোরেস নামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বন্যার পানি তাদের বাড়ির প্রায় দ্বিতীয় তলায় উঠে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে তিন সন্তান ও স্বামীর সঙ্গে বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। গত ৫২ বছরে এ অঞ্চলে এমন বন্যা দেখেননি তিনি।

এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ যে, এটিকে যুদ্ধ পরিস্থিতি বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট। পাশাপাশি এ রাজ্যে যুদ্ধ পরবর্তী ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।

এর আগে, গত বছর রিও গ্রান্ডে দো সুলেতে ঘূর্ণিঝড়ে ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল।


ব্রাজিল   বন্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হামাসের রকেট হামলায় ৩ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত

প্রকাশ: ০৮:৫৪ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সৈন্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েল-গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংয়ে হামাসের রকেট হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার ভেতর থেকে হামাসের রকেট হামলার পর ইসরায়েল গাজায় কেরাম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, এই হামলায় তাদের তিন সৈন্য নিহত হয়েছে এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে, তারা কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে হামলা চালিয়েছে এবং স্বল্প-পাল্লার রকেট দিয়ে তারা ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, কেরেম শালোম থেকে প্রায় ৩.৬ কিলোমিটার (২.২ মাইল) দক্ষিণে গাজার রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছে একটি এলাকা থেকে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

আইডিএফ আরও বলেছে, একটি বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় ৩৫০ মিটার দূরে অবস্থিত একটি স্থাপনা থেকে এসব রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে পরে তারা লঞ্চার এবং কাছাকাছি একটি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে।

গাজায় সাত মাস ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এবং এতে করে সেখানে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। চলমান এই সংঘাতের মধ্যে গাজার অসহায় ও দুর্গত মানুষকে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রীসহ মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য যে কয়েকটি পথ ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার মধ্যে এই ক্রসিংটি অন্যতম।

এদিকে মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তির জন্য চুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী আলোচনা করেছে। এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, সর্বশেষ রাউন্ডের এই আলোচনা রোববার শেষ হয়েছে এবং তাদের প্রতিনিধিদল এখন হামাস নেতৃত্বের সাথে পরামর্শ করতে কায়রো থেকে কাতারে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান উইলিয়াম বার্নস এই মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় জড়িত ছিলেন এবং তিনিও এখন দোহায় আলোচনার জন্য মিসরের রাজধানী ত্যাগ করেছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি হলে ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনিদের বন্দিদের সাথে গাজায় আটক বন্দিদের বিনিময় করা হবে। হামাস বলেছে, তারা বর্তমান প্রস্তাবটিকে ‘ইতিবাচক আলোকে’ দেখেছে, তবে মূল পয়েন্ট হচ্ছে- যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনটি হবে তা নিয়ে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি যে কোনও চুক্তিতে যুদ্ধের অবসানের জন্য নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিচ্ছে, তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রোববার তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

তিনি দাবি করেছেন, ‘ইসরায়েল রাষ্ট্র (হামাসের এই দাবি) মেনে নিতে পারে না, আমরা এমন পরিস্থিতি মেনে নিতে প্রস্তুত নই যেখানে হামাস ব্রিগেডগুলো তাদের বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে আসবে এবং আবারও গাজার নিয়ন্ত্রণ নেবে, তাদের সামরিক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ করবে এবং ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।’

ইসরায়েলের এই কট্টরপন্থি প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, ‘এটি ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য হবে ভয়ঙ্কর পরাজয়।’


হামাস   রকেট   হামলা   ইসরায়েল   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাইডেন কি বিপদে পড়তে যাচ্ছেন!

প্রকাশ: ০৮:৪৬ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বরতা নিয়ে এমনিতেই চাপে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এটি যে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘরোয়া ইস্যুতে পরিণত হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ছয় মাস আগে তাকে আরও বিপাকে ফেলতে পারে, তা বোধ হয় বুঝতে পারেননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে যে আওয়াজ উঠেছে তাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বড় ধরনের রাজনৈতিক বিপদে পড়তে যাচ্ছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তাদের মতে, আগামী নির্বাচনে এর বড় খেসারত দিতে হতে পারে বাইডেনকে। দেশটিতে চলমান পরিস্থিতির মধ্যে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়ে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, ‘বাইডেনের ভিয়েতনাম’ হয়ে উঠতে পারে ইসরায়েল। এদিকে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষগুলো বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। শনিবার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থিরা। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও সমাপনী অনুষ্ঠান চলাকালে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সামনের দিনগুলোতে ক্যাম্পাস নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতা চলছে দশকের পর দশক ধরে। নিজভূমে পরবাসী হয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের প্রতি মুহূর্তে ইসরায়েলি গোলার মুখে বসবাস করতে হচ্ছে। কিন্তু ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর গাজাজুড়ে যে বর্বরতা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী আর যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে তেল আবিবকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে, তাতে খোদ ইসরায়েলি বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও তাদের পাশ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে। অনেকেই ইসরায়েলে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রি বন্ধ করার ঘোষণা দিচ্ছে।

অনেকেই দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলার ঘোষণাও দিচ্ছে। কিন্তু তাতেও দমছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন যদি অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে ইসরায়েলকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখেন, তাহলে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায় তার পাশে থাকবেন না বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন। গত রমজান মাসে হোয়াইট হাউসে বাইডেনের ইফতার পার্টি বর্জন করেন তারা। এর মধ্য দিয়ে তাকে কঠোরভাবে একটি বার্তা দেয় সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়। যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের বেশিরভাগ ভোট বরাবরই ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে যায়। কিন্তু নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক সেই মুসলিম ভোট বাইডেন হারাতে যাচ্ছেন বলে ডেমোক্র্যাট শিবিরেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর সেরকমটা হলে হোয়াইট হাউসে তার দ্বিতীয়বারের মতো যাওয়ার স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ছাত্র বিক্ষোভ। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যে ছাত্র বিক্ষোভ হয়েছিল দেশটিতে তারপর আর যুদ্ধের বিরোধিতায় সেরকম বড় ছাত্র বিক্ষোভ দেখা যায়নি যুক্তরাষ্ট্রে। সাম্প্রতিক এ বিক্ষোভ এক ধরনের কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসনযন্ত্রে। গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা ও দেশটিকে মার্কিন সহায়তা বন্ধের দাবি দিনের পর দিন আরও জোরালো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। দেশটির তরুণ ও ছাত্রসম্প্রদায় যারা কিছুদিন আগেও ইসরায়েলের পাশে ছিলেন, তারা এখন দেশটির পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক বিভিন্ন জরিপেও ইসরায়েলের পাশ থেকে মার্কিন ছাত্রসমাজের সরে যাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে, যা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে। এ ছাত্র বিক্ষোভ যদি শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে, তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্ক নতুন করে ঠিক করে দিতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। এরই মধ্যে বিক্ষোভ দমনে পুলিশকে যেভাবে মারমুখী হতে দেখা গেছে, তা নিয়ে মারাত্মক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ দমাতে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীকে জেলে পুরে রাখা হয়েছে। ছাত্রদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাইডেন প্রশাসন কঠোর হাতে দমন করছে বলে খোদ ডেমোক্র্যাট শিবিরেই অভিযোগ উঠেছে। ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেছেন, বাইডেনের ‘ভিয়েতনাম’ হয়ে উঠতে পারে ইসরায়েল। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বাইডেনকে তুলনা করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসনের সঙ্গে, যিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ে শিক্ষার্থী-বিক্ষোভের জেরে ১৯৬৮ সালে পুনর্নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্যান্ডার্স বলেছেন, এবার ইসরায়েল নিয়ে তার অবস্থানের জন্য যুব সম্প্রদায় ও ডেমোক্র্যাটদের বড় অংশের সমর্থন খুইয়ে বাইডেনের হেরে যাওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি।

এদিকে গত বুধবার দাঙ্গা পুলিশ দিয়ে ক্যাম্পাসগুলোর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর আবার কিছু কিছু ক্যাম্পাসে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সেদিনই বলেছিলেন যে, এটাই শেষ নয়। তারা আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা ও দেশটিকে মার্কিন সহায়তা বন্ধ হয়। শনিবার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থিরা। এদিনের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল। এখানে পুলিশকে বেশ সংযমী ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। তবে শনিবার শার্লটসভ্যালে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়ান বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লনের ওপর দিয়ে টেনে আনতে দেখা যায় পুলিশকে। ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ২৫ বিক্ষোভকারীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। সামনের দিনগুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন