পশ্চিমবঙ্গে
প্রথমবারের মতো নিজেদের দপ্তর খুলেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম
আদমি পার্টি (আপ)।
গতকাল রোববার
দক্ষিণ কলকাতার ইএম বাইপাস সংলগ্ন গরফার হালতু এলাকায় রাজ্য দপ্তরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
করেন আপের পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা নেতা সঞ্জয় বসু।
চলতি বছরের
শুরুর দিকে পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পায় আপ। এই ধারাবাহিকতায় ও অন্যান্য
রাজ্যে শক্তি বৃদ্ধির অংশ হিসেবে আপ পশ্চিমবঙ্গে দপ্তর খোলার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান
সঞ্জয়।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি
পাঞ্জাব বিধানসভার ১১৭টি আসনে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে পরাজিত করে ৮২টি আসনে
জয় পায় আপ। কংগ্রেস পায় ১৮টি আসন। বিজেপি পায় ২টি আসন।
অন্যদিকে ২০২০
সালে তৃতীয় দফায় দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয় কেজরিওয়ালের আপ। এই নির্বাচনে ৭০
আসনের মধ্যে আপ পায় ৬২টি। বিজেপি পায় ৮টি আসন।
পশ্চিমবঙ্গে
আপের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সঞ্জয় বসু বলেন, ‘আমাদের দল কারও সঙ্গে জোটে যাবে না। আমাদের
লক্ষ্য বিজেপিমুক্ত ভারত গড়া। সেই নীতি থেকে আমরা সরব না।’
সঞ্জয় বসু আরও
বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আপের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। রাজ্যের ২৩টির মধ্যে ২০টি জেলার বিভিন্ন
থানা-ইউনিয়নে আপের কমিটি গঠিত হয়েছে।
এশিয়া রাজনীতি ভারত আম আদমি পার্টি পশ্চিমবঙ্গ অরবিন্দ কেজরিওয়াল
মন্তব্য করুন
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফা ভোট হবে আগামী ৭ মে। এদিন ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৫ আসনে ভোট হবে। তীব্র গরম উপেক্ষা করে এ ভোটের আগে প্রচারণা চালাচ্ছেন রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন বাকযুদ্ধেও।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের গড় তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রির বেশি। উত্তরের দার্জিলিং বাদ দিলে রাজ্যটির প্রায় সব জেলার ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ঠিক এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের প্রচার-প্রচারণায় ঘাম ঝরাচ্ছে রাস্তায় রাস্তায়। তীব্র গরম উপেক্ষা করে মাথায় টুপি কিংবা কাপড় জড়িয়ে নেমে পড়ছেন জনসংযোগ।
তীব্র এ গরমের মধ্যে রাজ্যটিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারাও; বসে নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ৯৫ আসনের মধ্যে ৭ মে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদায় দুটো এবং জঙ্গীপুর ও মুর্শিদাবাদে ভোট। এবার বিজেপির লক্ষ্য ৪২ টির মধ্যে ৩৫ আসন লুফে নেয়া।
আর সেই লক্ষ্য নিয়ে বর্ধমানে গেরুয়া শিবিরের পক্ষে ভোট চান অমিত শাহ। নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে বলেন,
অন্যদিকে অমিত শাহকেও তুলোধুনা করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, তৃতীয় দফাতেও পশ্চিমবঙ্গে লড়াই হবে ত্রিমুখী। বিজেপি ও তৃণমূল ছাড়াও কংগ্রেসও এখানে লড়াই করছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে রাজ্যটিতে মাত্র দুটো আসন পেয়েছিল কংগ্রেস।
মন্তব্য করুন
কেনিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় আফ্রিকার এই দেশটিতে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে গত ১ মার্চ থেকে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬৯ জনে। এছাড়া এখনও প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে মঙ্গলবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এতে করে গত ১ মার্চ থেকে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬৯ জনে। এছাড়া দেশটিতে এখনও ৯১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
কেনিয়ার সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মওয়াউরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার কাদা ধসের ঘটনায় বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এতে করে মৃতের সংখ্যা ১৬৯ জনে পৌঁছেছে। ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা সারা দেশে ৬৬ জনকে হারিয়েছি এবং এর মধ্যে ৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ছয়জন শিশু রয়েছে।’
‘বন্যার কারণে ৩০ হাজার ২১৪টি কেনিয়ান পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর জনসংখ্যার হিসেবে বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৪২ জন। কেনিয়ার রাজধানীতে বাস্তুচ্যুতরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
এদিকে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসাবে কেনিয়ার সরকার ঘোষণা করেছে, তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হাসপাতালের সমস্ত বিল বহন করবে। বিশেষ করে মঙ্গলবার যারা কাদা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের। এছাড়া বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার পরিবারগুলোর আর্থিক বোঝাও কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মূলত ভারী বৃষ্টিপাত এবং নদীর পানি উপচে পড়ে সৃষ্ট বন্যায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে, অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। মানবিক সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করছে কেনিয়ার সরকার।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো মারাত্মক বন্যা মোকাবিলায় মঙ্গলবার বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করেন।
এদিকে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারপারসন মুসা ফাকি মাহামত দেশজুড়ে বিপর্যয়কর বন্যার ধ্বংসযজ্ঞের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং কেনিয়ার জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও সংহতি প্রকাশ করেছেন।
এর আগে কেনিয়ার নাকুরু কাউন্টিতে গত সোমবার একটি বাঁধ ফেটে ৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। রাজধানী নাইরোবি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার (৩৭ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত নাকুরু কাউন্টির মাই মাহিউতে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মন্তব্য করুন
লাস্যময়ীদের আবেদনে লুকিয়ে আছে বড় বিপদ। ডেটিং অ্যাপ যেন লুটের ফাঁদ। সম্প্রতি এমন ফাঁদে পড়েছেন ভারতের এক ব্যবসায়ী।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, ডেটিংয়ের নাম করে শহরের এক ব্যবসায়ীকে হোটেলে ডাকে দুই সুন্দরী। তাকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হোটেলের ঘরে নিয়ে গিয়ে মাদকাচ্ছন্ন করে তার সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়ে পালায় ওই দুই তরুণী।
পরে প্রায় একশো মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে দুই তরুণীকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার তরুণীদের একজনের নাম অঙ্কিতা গুহ। অন্যজনের নাম মৌমিতা চক্রবর্তী ওরফে মামণি ওরফে পিউ মিত্র।
পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতারই এক ব্যবসায়ী একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। রেজিস্ট্রেশনের পর তিনি একসঙ্গে দুই নারীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানান। অ্যাপের মাধ্যমেই দুজনের মোবাইল নম্বর পান তিনি। যদিও তখনও ব্যবসায়ী বুঝতে পারেননি যে, ওই ডেটিং অ্যাপটি ভুয়া ও একসঙ্গে লুটের ফাঁদ।
বালিগঞ্জ থানা এলাকার শরৎ বোস রোডের একটি হোটেলে ব্যবসায়ী তাদের আসতে বলেন। দুপুরে তারা হোটেলে আসেন। একই রুমে তিনজন সময় কাটাতে থাকেন। এর মধ্যেই ব্যবসায়ীর পানীয়র মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় অভিযুক্ত দুই তরুণী। তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে তার সোনার চেন, বালা লুট করে অভিযুক্তরা।
রুম থেকে বের হওয়ার আগে তার মোবাইল থেকে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ও তাদের সঙ্গে হওয়া যাবতীয় হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট মুছেও ফেলেন তারা। দুজন চলে যাওয়ার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর ব্যবসায়ীর চেতনা ফেরে। তাঁর ডাকে হোটেলের কর্মীরা আসেন। তারাই বালিগঞ্জ থানায় খবর দেন।
হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। বালিগঞ্জ থানার ওসি বোধিসত্ত্ব প্রামাণিকের নেতৃত্বে একটি টিম তদন্ত শুরু করে। টিমকে সাহায্য করে সাউথ ইস্ট ডিভিশনের সাইবার সেল।
তদন্তের শুরুতেই পুলিশ বুঝতে পারে, ডেটিং অ্যাপটি ভুয়া। যেহেতু হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর মুছে ফেলা হয়, তাই ডেটিং অ্যাপটির সূত্র ধরেই চলে তদন্ত। ওই ডেটিং অ্যাপের ‘হিস্ট্রি’ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ হওয়া প্রায় একশো মোবাইল নম্বর পরীক্ষা করতে থাকে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত কয়েকটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরেই দুজনকে শনাক্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল রাফাহ শহরে হামলার পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছে ইসরায়েল। এমনকি হামাসের সঙ্গে চুক্তি হোক বা না হোক, ইসরায়েল রাফাহতে হামলা চালাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
এমন অবস্থায় রাফাহতে হামলার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একইসঙ্গে রাফাহতে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে দেওয়া কঠোর সতর্কবার্তায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মঙ্গলবার আরও বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এবং বাস্তুচ্যুতি রোধে পদক্ষেপ নিতে ‘ইসরায়েলের ওপর প্রভাব’ রয়েছে এমন দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গুতেরেস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘রাফাহতে সামরিক হামলা হলে তা পরিস্থিতি অসহনীয়ভাবে উত্তপ্ত করবে, আরও হাজার হাজার বেসামরিক লোক প্রাণ হারাবে এবং হাজার হাজার মানুষকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করবে।’
পরিস্থিতির গুরুত্বকে তুলে ধরে জাতিসংঘের প্রধান জোর দিয়ে বলেন, রাফাহতে সামরিক হামলা শুধুমাত্র ‘গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে’ তা নয়, বরং পুরো অঞ্চল জুড়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
জাতিসংঘের এই প্রধান গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক পরিস্থিতির ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি, সমস্ত বন্দিদের অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তি এবং মানবিক সহায়তায় ব্যাপক বৃদ্ধির’ জন্য তিনি ধারাবাহিকভাবে আহ্বান জানালেও তা শোনা হয়নি।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘গাজার জনগণের স্বার্থে, ইসরায়েলি বন্দি এবং তাদের পরিবারের স্বার্থে এবং এই অঞ্চল ও বিস্তৃত বিশ্বের স্বার্থে আমি ইসরায়েলি সরকার এবং হামাস নেতৃত্বকে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য জোরালোভাবে উৎসাহিত করছি।’
গুতেরেস গাজা থেকে পাওয়া উদ্বেগজনক নানা প্রতিবেদন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মূলত ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক অভিযানের পর গাজায় গণকবর আবিষ্কার হয়েছে এবং ভূখণ্ডটির হাসপাতালগুলোকে এখন কবরস্থানের সাথে তুলনা করা হচ্ছে।
গুতেরেস বলেছেন, ‘আল শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্স এবং নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সসহ গাজার বেশ কয়েকটি স্থানে গণকবর আবিষ্কৃত হওয়ার খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
গণকবরের বিষয়ে স্বাধীন ও আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে গুতেরেস বলেন, ‘ফরেনসিক দক্ষতাসহ স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের এই গণকবরগুলোর স্থানগুলোতে অবিলম্বে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া অপরিহার্য, যাতে সুনির্দিষ্ট কারণ উদঘাটন করা যায় যে ঠিক কোন অবস্থায় শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং তাদের কবর দেওয়া হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেছেন, শিশু এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা উত্তর গাজায় ক্ষুধা ও রোগের কারণে মারা যাচ্ছে এবং সবাইকে ‘সম্পূর্ণ প্রতিরোধযোগ্য, মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ এড়াতে সম্ভাব্য সবকিছু করতে’ হবে।
ভয়ঙ্কর ট্র্যাজেডি প্রতিরোধে সব ধরনের চাপ প্রয়োগের গুরুত্ব উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, গাজায় সাহায্যের সবচেয়ে বড় বাধা মানবিক কর্মীদের নিরাপত্তার অভাব। তিনি বলেন, মানবিক সহায়তার কনভয়, সুযোগ-সুবিধা, কর্মী এবং সুবিধাভোগীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।
গুতেরেস আকাশপথে এবং সমুদ্রপথের মাধ্যমে সাহায্য দেওয়ার বিষয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এই পদ্ধতিগুলো স্থলপথের মাধ্যমে সহায়তা বিতরণের বিকল্প হতে পারে না। তিনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ, দ্রুত এবং নিরবচ্ছিন্ন সাহায্য বিতরণের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর বিষয়ে গুতেরেস উল্লেখ করেছেন, এই সংস্থাটি গাজা, পূর্ব জেরুজালেম, জর্ডান, সিরিয়া এবং লেবাননসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে লাখ লাখ মানুষকে সহায়তা করার জন্য ‘অপরিবর্তনীয় এবং অপরিহার্য কাজ’ করছে।
রাফাহ ইসরায়েল হামলা বিরুদ্ধে বৈশ্বিক পদক্ষেপ জাতিসংঘ
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনিদের ধাওয়ায় দৌড়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ওলিভার ওকজা। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিও। পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়ে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হন জার্মান রাষ্ট্রদূত।
ভিডিওতে দেখা গেছে, স্যুট-কোট পরিহিত এক ব্যক্তি জনরোষ থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালাচ্ছেন। তিনি আর কেউ নন, ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ওলিভার ওকজা।
মঙ্গলবার পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। এ সময় জনরোষে পড়েন তিনি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জার্মান রাষ্ট্রদূত প্রাণভয়ে দৌড়াচ্ছেন। এ সময় তার পেছনে বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ যুবক ছুটে আসছে।
জনরোষ থেকে বাঁচতে দৌড়ে নিজের গাড়িতে আশ্রয় নেন জার্মান দূত। গাড়িতে ওঠার পর তার গাড়িকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। ওই সময় ‘গুলির শব্দও’ শোনা যায়।
এদিকে এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট লিখেছেন ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ওলিভার ওকজা। তিনি লিখেছেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও সংলাপের জায়গা সব সময় থাকে। তবে বিরজেতের জাতীয় জাদুঘরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনপ্রধানদের বৈঠকটি প্রতিবাদকারীদের জন্য বাধাগ্রস্ত হওয়ায় আমরা দুঃখিত।
তবুও, আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি অংশীদারদের সঙ্গে গঠনমূলক কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় গাজার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী। ওইদিন থেকেই গোষ্ঠীটিকে নির্মূলের নামে গাজায় গণহত্যা শুরু করে তেল আবিব।
৭ অক্টোবরের ওই হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করতে ও ইসরায়েলিদের প্রতি সংহতি জানাতে সরাসরি দেশটিতে ছুটে যান জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। এ ছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকা গণহত্যার যে অভিযোগ এনেছে, সেটির বিরুদ্ধেও লড়ার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। ফলে, দেশটির ওপর তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভ থেকে রাষ্ট্রদূতকে ধাওয়া দিল ফিলিস্তিনি তরুণরা।
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধসে পড়েছে শত শত ভবন। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে প্রায় ১০ হাজার মরদেহ পচে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন
লাস্যময়ীদের আবেদনে লুকিয়ে আছে বড় বিপদ। ডেটিং অ্যাপ যেন লুটের ফাঁদ। সম্প্রতি এমন ফাঁদে পড়েছেন ভারতের এক ব্যবসায়ী। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, ডেটিংয়ের নাম করে শহরের এক ব্যবসায়ীকে হোটেলে ডাকে দুই সুন্দরী। তাকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হোটেলের ঘরে নিয়ে গিয়ে মাদকাচ্ছন্ন করে তার সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়ে পালায় ওই দুই তরুণী।