ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এশিয়ায় কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামানো সম্ভব?

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ২২ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail এশিয়ায় কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামানো সম্ভব?

 চলতি মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশের রাজধানীতে লোডশেডিং শুরু হলে চিন্তায় আসে সুরক্ষার কথা। বছরের এই সময়টাতে ঢাকায় ডেঙ্গুবাহী মশার উৎপাত বেশি থাকে। বিদ্যুতের অভাবে কোনো ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনার সচল না থাকায়  মশারির ভেতরও অনেকে থাকতে পারেননি। ডিজেলের ঘাটতিতে ব্যাকআপ জেনারেটর চালানো যাচ্ছিল না। এমনকি মোমবাতির দামও চারগুণ বেড়ে গিয়েছিল।

গত ৪ অক্টোবর যে লোডশেডিংয়ে অন্ধকারে ডুবেছিল বাংলাদেশের বেশিরভাগ জায়গাতেই। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে চার-পঞ্চমাংশই সাত ঘণ্টা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিলেন। এসময় কারখানাগুলো থমকে যায়। পাম্পগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেওয়ায় পানির অভাবে পড়েন বাসিন্দারা।

বাংলাদেশে সেদিনের গ্রিড বিপর্যয় ছিল ভূ-রাজনীতির কারণে বিদ্যুৎঘাটতির চরম লক্ষণ। গত এক দশকে বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রচুর বাড়িয়েছে। কিন্তু এর বেশিরভাগই প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর, যা চলে আমদানি করা জ্বালানি দিয়ে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সম্প্রতি গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে। দরিদ্র দেশগুলোর তুলনায় ধনীরা বেশি দাম দেওয়ায় উপসাগরীয় গ্যাস উৎপাদনকারীরা ইউরোপে রপ্তানিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

বাংলাদেশ এখন যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছে, তাকে আসন্ন ঘটনাবলীর আগমনীবার্তা বলা যায়। আগামী দশকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হবে এশিয়ার। বাড়বে জ্বালানির চাহিদা। আবার, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এ অঞ্চলের দেশগুলো। আগামী দিনগুলোতে বন্যা, খরা ও দাবদাহের ক্ষয়ক্ষতি কেবলই বাড়বে। একই সময়, জীবাশ্ম জ্বালানির প্রাপ্যতা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ অবস্থায় বিদ্যুতের নিশ্চয়তাসহ এশিয়ার ভবিষ্যৎ সাফল্য ও এর জনগণের মঙ্গল নির্ভর করছে অঞ্চলটি দ্রুততম সময়ে সবুজ জ্বালানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে পারবে কি না, তার ওপর। এটি খুবই কঠিন চ্যালেঞ্জ।

২০৫০ সাল নাগাদ আসিয়ানের (দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট) ১০ সদস্যের জ্বালানি চাহিদা বেড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বর্তমান চাহিদার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০৪০ সালের মধ্যে শুধু ভারতের ইইউ’র এখনকার চাহিদার চেয়ে বেশি জ্বালানির প্রয়োজন হবে।

স্বাভাবিকভাবেই, এই অতিরিক্ত চাহিদার বেশিরভাগ পূরণ করা হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে। তবে এ অঞ্চলে জীবাশ্ম জ্বালানির আধিপত্য থাকছেই। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনে জ্বালানির জগতে এখনো কয়লাই রাজা।

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম কার্বন নির্গমনকারী ভারত। ২০৭০ সালের মধ্যে নির্গমনের হার শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে দেশটি,যা বড় পশ্চিমা অর্থনীতিগুলোর তুলনায় দুই দশক পেছনে। এশিয়ার কিছু দেশ এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিশ্রুতিই দিতে পারেনি।

কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামাতে কয়লার ব্যবহার কমানো জরুরি। যদিও আগামী কয়েক বছর এশিয়াজুড়ে গ্রিডের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সচল রাখার প্রয়োজন হবে। তবে নতুনগুলোর নির্মাণ অবশ্যই ধীর হতে হবে। এ জাতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ৯৫ শতাংশ অর্থায়নকারী চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সম্প্রতি বিদেশে অর্থায়ন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

পুরোনো কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করতেও সহায়তার প্রয়োজন। ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজে লাগানো একটি মডেল অনুসরণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই মডেলে ধনী দেশগুলো কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে অনুদান ও সহজ শর্তে ঋণ দেয়।

সবুজ জ্বালানির নতুন উৎস হিসেবে আশা জাগাচ্ছে হাইড্রোজেন। এ থেকে বিপুল পরিমাণ পরিচ্ছন্ন জ্বালানি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সেই প্রযুক্তি ও অবকাঠামো কোনোটাই ব্যাপক মাত্রায় পরীক্ষিত নয়। ফলে হাইড্রোজেন জ্বালানির অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত এশিয়ার জ্বালানি ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রধান মাধ্যম হতে পারে সৌর ও বায়ু শক্তি।

এশিয়ার বেশিরভাগ নবায়নযোগ্য প্রকল্পগুলোর আকার ছোট। তবে তাদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্সের পূর্বাভাস বলছে, ২০৩১ সাল নাগাদ এশিয়ার বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩১ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।

ভারতের গ্রিডে নতুন ২০০ গিগাওয়াট যোগ হয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ ২১ শতাংশে পৌঁছাবে। চীনে এ ধরনের সক্ষমতায় ৭০০ গিগাওয়াট যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীনা পরিকল্পনা সংস্থার প্রধান দাবি করেছেন, শুধু গোবি মরুভূমিতেই ৪৫০ গিগাওয়াটের একটি বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হবে।

সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তর কার্যকর করতে পারমাণবিক বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। চীনে এটি আগে থেকেই রয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া- সবাই পরমাণু সক্ষমতা যোগ করছে। এছাড়া, এশিয়ার সবুজ-জ্বালানি পণ্যের উৎপাদন সক্ষমতাও এতে সাহায্য করবে। চীনের পরে মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বের বৃহত্তম সোলার মডিউল প্রস্তুতকারক।

ব্যাটারি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নিকেলের সবচেয়ে বড় উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া। নিকেল প্রক্রিয়াকরণকে আধুনিকীকরণ এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন স্থানের ব্যাটারি প্রস্তুতকারকদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ টিম গোল্ড ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, একসময় কয়লার চেয়ে নিকেল থেকেই বেশি আয় করবে ইন্দোনেশিয়া।

তবে সব প্রকল্পই হয়তো বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে না। এশিয়া ইনভেস্টর গ্রুপ অন ক্লাইমেট চেঞ্জের ধারণা, এশিয়াকে কার্বনমুক্ত করার জন্য ২০৫০ সালের মধ্যে ২৬ ট্রিলিয়ন থেকে ৩৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের দরকার হবে। বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে প্রয়োজন হবে ধনী দেশগুলোর অনুদান এবং ভর্তুকিও।

কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামাতে ২০৩০ সালের মধ্যে একাই এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এটি ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির আওতায় দরিদ্র দেশগুলোকে প্রতিশ্রুত বার্ষিক সহায়তার ১০ গুণ। তবে ধনীদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত সহায়তার খুব সামান্যই হাতে পেয়েছে দরিদ্ররা। ফলে, আগামী মাসে মিসরে যখন জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, তখন আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে অর্থছাড়ের বিষয়টি। আপাতত এশিয়ার নিম্ন-কার্বন ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই সম্মেলনের ফলাফলের ওপর।


বিশ্ব   বাংলাদেশ   এশিয়া   কার্বন নিঃসরণ   জলবায়ু পরিবর্তন   ইউক্রেন যুদ্ধ   জ্বালানি সঙ্কট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কানাডায় হরদীপ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৯:২৩ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করেছে কানাডা পুলিশ। দেশটির অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার এমনটি জানিয়েছেন কানাডার পুলিশ। 

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-করণ ব্রার (২২), কমল প্রিত সিং (২২) ও করণ প্রিত সিং (২৮)। তাঁরা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। ওই হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তার তিনজনের বাইরে আরও অনেকেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তাই সামনে আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হতে পারে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতে পারে।

২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে খুন হন নিজ্জর। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে কানাডা। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

গত শুক্রবার কানাডার একাধিক প্রদেশে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। এই অভিযানেই গ্রেপ্তার হন সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হিট স্কোয়াডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাঁরা গুলি চালানো, গাড়ি চালানো, নজরদারির কাজ করেছে বলে সন্দেহ করা হয়েছে।


কানাডা   হরদীপ   হত্যাকাণ্ড   ভারত   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রিটিশ অস্ত্রে সরাসরি রাশিয়ায় হামলার অনুমতি দিল যুক্তরাজ্য

প্রকাশ: ০৮:৪৭ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে পুরো বিশ্বকে আবারও কঠিন নিরাপত্তা হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। যেখানে পুরো বিশ্ব ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করার উপায় খুঁজছে সেখানে এবার সরাসরি রাশিয়ায় হামলা করার সবুজ সংকেত দিয়ে বসেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কি ভেবেছেন এর পরিণতি কী হতে পারে? যেখানে এর আগেই পরমাণু হামলার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে রেখেছে মস্কো। শুধু তাই নয় কিয়েভকে অভূতপূর্ব সহায়তা করার কথাও ঘোষণা দিয়েছেন ডেভিড ক্যামেরন।

 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন জানান, যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য ইউক্রেনকে যেসব ব্রিটিশ সমরাস্ত্র দেয়া হচ্ছে, তা কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তার সিদ্ধান্ত কিয়েভের ওপর। শুক্রবার কিয়েভ সফরে গিয়ে এ মন্তব্য করেছেন তিনি। জানান, ইউক্রেন চাইলে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডেও হামলা চালাতে পারে।

 

ডেভিড ক্যামেরন জানান, ইউক্রেনের যত দিন প্রয়োজন হবে, যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ৩৭৫ কোটি মার্কিন ডলার করে দেয়া হবে। এ সময় রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনের অভ্যন্তরে হামলা করছে, তাতে ইউক্রেন কেন আত্মরক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে, তা সহজে অনুমান করা যায় বলেও মন্তব্য করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

এদিকে ডেভিড ক্যামেরনের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য আরেকটি অত্যন্ত বিপজ্জনক বিবৃতি। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেন সংঘাত ঘিরে এটি সরাসরি উত্তেজনা ছড়াবে, যা ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য হুমকি সৃষ্টি করবে।

 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পাশাপাশি পেসকভ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর বক্তব্যেরও নিন্দা জানান। এর আগে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের ব্যবসাবিষয়ক ম্যাগাজিন ইকোনমিস্টকে বলেছেন, রুশ সেনারা যদি সামনে এগোতে থাকেন এবং ইউক্রেন অনুরোধ করলে সেখানে স্থলসেনা পাঠানো হবে কি না, তা পশ্চিমাদের বিবেচনা করতে হবে। রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানান, মাখোঁর বক্তব্য ছিল বিপজ্জনক। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া যদি জয়লাভ করে, তবে ইউরোপে কোনো নিরাপত্তা থাকবে না।

 

এর আগে, ইউক্রেনকে একাধিকবার রাশিয়ার অভ্যন্তরে তেল শোধনাগারগুলোতে হামলা চালাতে নিষেধ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির আশঙ্কা, এতে উত্তেজনা আরও বাড়বে। রাশিয়ার সেনারা সম্প্রতি ইউক্রেনের কয়েকটি অঞ্চলে সামনে অগ্রসর হয়েছে। ইউক্রেনের অস্ত্র ও সেনা ঘাটতির সুযোগ নিয়ে বেশি কয়েকটি শহর ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।


ব্রিটিশ   অস্ত্র   রাশিয়া   যুক্তরাজ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা

প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আরও একটি গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। জনমত জরিপের পর এমন পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির খ্যাতনামা জরিপ সংস্থা রাসমুসেন। সংস্থাটি জানিয়েছে— বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি আবারও ক্ষমতায় আসেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে বলে মনে করেন ৪১ শতাংশ মার্কিন ভোটার। আর ১৬ শতাংশ ভোটার মনে করেন হয়তো এমনটা হতেও পারে। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা তাস।

তবে, জরিপে অংশ নেওয়া ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতারা মনে করেন না যে, আগামী পাঁচ বছরে আরেকটি গৃহযুদ্ধের মুখে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। আর ১০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত নন। পক্ষান্তরে ২৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন-সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলেই বরং গৃহযুদ্ধেরে কবলে পড়তে পাড়ে ওয়াশিংটন।

তাস জানায়, আলোচিত জরিপটি ২১ থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে করা হয়েছিল। যেখানে ১১শর বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। অংশগ্রহণকারী সবাই-ই আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের ভোটার। ফলে, এই ফল যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে।

চলতি বছরের ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এরইমধ্যে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। আর দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়ছেন ডেমোক্র্যাট পার্টির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এবারের নির্বাচনে গাজা ইস্যু বাইডেনকে বেশ ভোগাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৭ অক্টোবর থেকে উপত্যকায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। যেখানে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আসছেন বাইডেন। এ নিয়ে দেশের অভ্যন্তরেই প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন ৮১ বয়সী এই প্রেসিডেন্ট।

বাইডেন প্রশাসনের গাজানীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আন্দোলনে উত্তপ্ত ক্যাম্পাসগুলো। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা, ব্যাপক ধরপাকড়েও দমে যায়নি এসব শিক্ষার্থী। বরং দিনকে দিন স্ফূলিঙ্গের মতোই ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। ফলে, জনমত অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে ইহুদি-বিদ্বেষ বলে আখ্যা দেয় ইসরায়েলপন্থি মার্কিন নীতিনির্ধারকরা।

অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েলপন্থিরা। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন ভাষণে শিক্ষার্থীদের আইন মানার অনুরোধ করেন বাইডেন। তবে, তাদের ওপর হামলা ও পুলিশি নির্যাতন নিয়ে কোনো মন্তব্যই করেননি তিনি। এতে মুসলিম ভোটারদের থেকে আরও দূরে গেছেন বাইডেন, এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকরা। ফলে আসন্ন নির্বাচনে বাইডেনের জন্য বয়ে আনতে পারে নেতিবাচক ফল।


ভয়াবহ   গৃহযুদ্ধ   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিতে নিহত ৩৯

প্রকাশ: ০৮:২৪ এএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্দে দো সুল ভারী বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এ রাজ্যে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ৭০ জন। 

শুক্রবার (০৩ মে) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের 

আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে সীমান্ত লাগোয়া রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যে সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। স্থানীয় এতে রাজ্যের ৪৯৭টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু ও নিখোঁজের পাশাপাশি এসব শহরের অন্তত ২৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

রাজ্যের গভর্নর এদোয়ার্দো লেইতে গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, 'আগামী কয়েক দিনে আমরা অনেক এলাকায় পৌঁছাতে পারব। তখন মৃত্যুর সংখ্যায় পরিবর্তন আসতে পারে।'

বৃষ্টিতে রিও গ্রান্দে দো সুলের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি সড়ক ও সেতু। এ ছাড়া ঝড়ের কারণে ভূমিধস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় একটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের জলাধারের আংশিক ধসে পড়েছে। আরেকটি জলাধারও ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ভৌগোলিক অবস্থানের রিও গ্রান্দে দো সুল প্রায়ই চরম আবহাওয়ার মুখে পড়ে। কখনো কখনো সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। কখনো আবার দেখা দেয় খরা। স্থানীয় বিজ্ঞানীদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সেখানকার আবহাওয়া আরও চরম রূপ নিচ্ছে।

এদিকে দুর্যোগের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার রাজ্যটি পরিদর্শনে যান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। সেখান গিয়ে তিনি রাজ্যের গভর্নরের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে আলাপ করেন। 


ব্রাজিল   বৃষ্টি   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন ঘাঁটিতে রুশ সেনা নিয়ে মুখ খুললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৫৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার সেনারা আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন মার্কিন ঘাঁটিতে রুশ সেনা উঠার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা নাইজারের একটি বিমানঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছে যেখানে অবস্থান করছেন মার্কিন সেনারা। একজন সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য প্রকাশ করে বার্তা সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইজারের সেনা শাসকরা তাদের দেশ থেকে মার্কিন বাহিনীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পর এ ঘটনা ঘটেছে। নাইজারে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা রয়েছেন। গত মার্চ মাসে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে এক বৈঠকে নাইজারের জান্তা সরকার এসব সেনা প্রত্যাহার করতে হবে বলে জানিয়েছে দেয়। ইতোমধ্যে নাইজারের নতুন জান্তা সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গভীর করছে। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কিন বাহিনীর ব্যবহৃত সামরিক ঘাঁটিতে রুশ বাহিনী উঠেছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা প্রবেশ করায় বড় ধরনের সমস্যা হবে না। মার্কিন সেনা বা সরঞ্জামের তাদের প্রবেশের অধিকার দেওয়া হয়নি।

গত বছরের জুলাইয়ের সামরিক অভ্যুত্থানের আগে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠী ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় অংশীদার ছিল নাইজার। তবে সেনা অভ্যুত্থানের পর পশ্চিমাদের সঙ্গে দেশটির জান্তা সরকারের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। ইতিমধ্যে দেশটি থেকে ফরাসি সেনাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। একই পরিণতি বরণ করতে হতে পারে মার্কিন সেনাদের।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, রুশ সেনারা ওই বিমানঘাঁটিতে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে একত্রে অবস্থান করছেন না। কারণ হিসেবে জানা গেছে, তারা নাইজারের রাজধানী নিয়ামীতে দিওরি হামানি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের পাশে অবস্থিত এয়ারবেস ১০১ নামে পরিচিত সামরিক স্থাপনায় আলাদা হ্যাঙ্গার ব্যবহার করছেন।

মার্কিন ঘাঁটি   রুশ সেনা   মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন