ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পেট্রোল-ডিজেলচালিত গাড়ি বর্জন করছে ইউরোপ

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail ইউরোপে পেট্রোল-ডিজেলচালিত গাড়ির দিন শেষ

জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা সামলাতে বিশ্বব্যাপী যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হচ্ছে, অনেক দেশই ঠিক সময়ে তা পূরণ করতে পারবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। বিশেষ করে পরিবহনের ক্ষেত্রে কার্বন নির্গমন পুরোপুরি বন্ধ করার উদ্যোগ নিচ্ছে কিছু দেশ। এবার জোট হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নও এমন অঙ্গীকার করল।

অনেক তর্কবিতর্ক ও দরকষাকষির পর বৃহস্পতিবার ইইউ স্পষ্ট লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। এর আওতায় ২০৩৫ সালের পর ২৭টি ইইউ সদস্য দেশগুলোতে পেট্রোল বা ডিজেলচালিত কোনো নতুন যান অনুমোদন পাবে না। অর্থাৎ বর্তমানে প্রচলিত কম্বাশন ইঞ্জিনের আয়ু অদূর ভবিষ্যতেই শেষ করতে বদ্ধপরিকর এই জোটটি।

২০৩৫ সাল থেকে শুধু বিকল্প ও দূষণহীন জ্বালানিচালিত গাড়ি ও ভ্যানই পথে নামার অনুমোদন পাবে। তবে পুরানো যান নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না। সেগুলো আয়ু শেষ হওয়া পর্যন্ত পথে নামতে পারবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট কার্বন নির্গমনের প্রায় ১৫ শতাংশের উৎস হচ্ছে গাড়ি। গোটা পরিবহন ক্ষেত্র প্রায় এক চতুর্থাংশ নির্গমনের জন্য দায়ী। বর্তমানে ইইউ দেশগুলোতে বিক্রি হওয়া নতুন গাড়ির প্রায় ১২ শতাংশে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন রয়েছে।

‘জিরো এমিশন মোবিলিটি’ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ বর্তমানে একাধিক সংকটের ফলে কাচামালের সরবরাহ থেকে শুরু করে দক্ষ শ্রমিকের অভাব গাড়ি শিল্পের ওপরেও কুপ্রভাব ফেলছে। সে কারণে ২০২৬ সালে ইইউ নতুন করে এই সিদ্ধান্তের পর্যালোচনা করবে। তবে ধাপে ধাপে  কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনার কর্মসূচির ক্ষেত্রে কোনো আপোশ করতে চাইছে না ব্রাসেলস।

‘ফিট ফর ফিফটিফাইভ’ নামের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ১৯৯০ সালের তুলনায় ৫৫ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে ইইউ। তারপর ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন সম্পূর্ণ বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর ২৭টি সদস্য দেশ।

২০৩৫ সালের পর কম্বাশন ইঞ্জিন কার্যত নিষিদ্ধ করার এই উদ্যোগের পেছনে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করে এসেছে। সদস্য দেশগুলো এমন ইঞ্জিন পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার বদলে কার্বনহীন কৃত্রিম জ্বালানি ব্যবহারের পক্ষে দাবি করেছিল।

গাড়ি শিল্পের ক্ষেত্রে সবচেয়ে শক্তিশালী সদস্য দেশ জার্মানির বর্তমান জোট সরকারের তিন শরিক দলের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে মতভেদ কম ছিল না। বিশেষ করে উদারপন্থি এফডিপি দল এমন পদক্ষেপের প্রবল বিরোধিতা করেছে। অনেক দরকষাকষির পর শেষ পর্যন্ত ইইউ পরিবেশমন্ত্রীরা সম্মিলিত লক্ষ্যমাত্রা অনুমোদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার সদস্য দেশগুলোকে জাতীয় স্তরে আইন প্রণয়ন করে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে।

ইউরোপের গাড়ি শিল্প এই সিদ্ধান্ত কতটা বাস্তবসম্মত, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করছে। জার্মানির গাড়ি শিল্পের কেন্দ্রীয় সংগঠন ভিডিএ-র প্রেসিডেন্ট হিল্ডেগার্ড ম্যুলার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিয়ে ২০৩০ সালের পরের জন্য কোনো লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা বাস্তবসম্মত নয়।

উদাহরণ হিসেবে তিনি ব্যাটারিচালিত গাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় চার্জিং পয়েন্টের অবকাঠামোর অভাবের উল্লেখ করেন। এছাড়া কাঁচামালের জোগান ও যথেষ্ট মাত্রায় পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন নিয়ে অনিশ্চয়তাও এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পথে অন্তরায় হতে পারে বলে তিনি সতর্ক করে দেন।

তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্দেশ্য অবিলম্বে এমন সব অনিশ্চয়তা দূর করার কাজ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন। ম্যুলার একইসঙ্গে কার্বনহীন সিন্থেটিক ফুয়েল ব্যবহার করে কম্বাশন ইঞ্জিন চালানোর পক্ষেও দাবি করেছেন।

ইউরোপীয় গাড়ি শিল্পের কেন্দ্রীয় সংগঠনও অবকাঠামো মজবুত করার ওপর জোর দিচ্ছে।


ইউরোপ   জ্বালানি   জিরো এমিশন   জলবায়ু পরিবর্তন   ফিট ফর ফিফটিফাইভ   কার্বন নির্গমন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গেটস ফাউন্ডেশনে আর থাকছেন না মেলিন্ডা গেটস

প্রকাশ: ১০:১১ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তিনি।  

সোমবার (১৩ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) প্লাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলিন্ডা নিজেই। খবর রয়টার্সের।

ওই পোস্টে মেলিন্ডা গেটস লিখেছেন, বিল ও আমি একসঙ্গে যে ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছিলাম, তার জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত। তবে বিল গেটসের সঙ্গে একটি চুক্তি মোতাবেক আমি ফাউন্ডেশন থেকে সরে যাচ্ছি। আমার হাতে বাড়তি ১২.৫ বিলিয় ডলার থাকবে নারী ও অসহায় পরিবারগুলোকে সহায়তায় কাজ করার জন্য।

মেলিন্ডার এ ঘোষণার পরপরই এক্স পোস্টে বিল গেটস লেখেন, মেলিন্ডার চলে যাওয়াতে আমি দুঃখিত। তবে আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে সে তার জনহিতকর কাজে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।

আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে তার তখনকার স্বামী বিশ্বের অতি ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। এ ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্বে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনাকারী সবচেয়ে বড় সংস্থা এই ফাউন্ডেশন।

২৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। তবে দুজনই তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।

বর্তমানে বিশ্বে জনস্বাস্থ্য নিয়ে যেসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান কাজ করে, সেগুলোর অন্যতম বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এই ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলার ব্যয় করা হয়ে থাকে।

ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বিল ও মেলিন্ডা গেটস দম্পতি নিজেদের অর্থ থেকে এই ফাউন্ডেশনে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছেন।


গেটস ফাউন্ডেশন   মেলিন্ডা গেটস   বিল গেটস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুম্বাইয়ে ভয়াবহ ধূলিঝড়ে ৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:১৬ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাইয়ের ধূলিঝড়ে ভেঙে পড়েছে বিশালাকৃতির একটি বিলবোর্ড। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঘাটকোপারে এক জ্বালানি স্টেশনে বিলবোর্ডটি ভেঙে পড়ে। এতে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫৯ জন। 

পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়েছিলেন অনেকেই। ৬৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

ভারতের জাতীয় দুযোর্গ মোকাবিলা বাহিনী ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) কর্মীদের প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সরানো সম্ভব হয় ধ্বংসস্তূপ।

ধ্বংস্তূপ সরানোর পর মৃত অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের।

সেই সঙ্গে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৬৭ জনকে। এদের সবাই কম-বেশি আহত হয়েছেন। অনেককেই ভর্তি করাতে হয়েছে হাসপাতালে।


মুম্বাই   ধূলিঝড়   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: বিজেপির আসন বাড়ার পরীক্ষা হয়ে গেল

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪০০ পারের স্লোগান দিয়ে ভোট ময়দানে নামা বিজেপি আশা করেছিল দক্ষিণ ভারতে এবার গেরুয়া ঝড় উঠবে। সেই দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ভোট শেষ হয়ে গেল আজ চতুর্থ দফায়। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে ভোট হয়েছে। কেরেলা, কর্নাটকেও মিটেছে ভোট-পর্ব। চতুর্থ দফায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় নির্বাচন। বিজেপির আশা, এই দুই রাজ্যেই আগেরবারের থেকে অনেক ভালো ফল করবে দল।

প্রথম তিন দফায় ভোটারদের মধ্যে সেভাবে উৎসাহ চোখে পড়েনি। তিন দফাতেই ভোটের হার কমেছে। ভোটের হার কমাটা বিজেপির জন্য মোটেই ভালো লক্ষণ নয় বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল। গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও গোবলয় নিয়ে উদ্বেগের আভাস রয়েছে। যদি উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান বা বিহারে আসন খোয়াতে হয়, তাহলে সেটা পুষিয়ে দেয়ার জন্য মূলত অন্ধ্র এবং তেলেঙ্গানাকে টার্গেট করছে গেরুয়া শিবির।

বিজেপির আশার উৎস প্রধানত অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। এই দুই রাজ্যের ৪২ আসনের ভোট আজ সোমবার হয়ে গেল। সেই সঙ্গে হলো অন্ধ্র প্রদেশের ১৭৫ বিধানসভা আসনেরও ভোট। লোকসভার গত দুটি ভোটে অন্ধ্র প্রদেশে বিজেপি একটি আসনেও জিততে পারেনি। তেলেঙ্গানায় পেয়েছিল ৪টি আসন। বিজেপির আশা, এবার দুই রাজ্য মিলিয়ে তারা জোট শরিকদের সঙ্গে নিয়ে ২২ থেকে ২৫টি আসন আদায় করে নেবে। তা হলে তারা তৃতীয়বার ক্ষমতা ধরে রাখার পথে এগিয়ে যাবে অনেকটাই।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নিয়েও আশাবাদী বিজেপি। উত্তরবঙ্গের ঘাঁটি ছেড়ে ভোট এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। এই দফায় ৮ আসনে ভোটের গতিপ্রকৃতি বুঝিয়ে দেবে, গতবার পাওয়া ১৮ আসন তারা এবার ধরে রাখতে পারবে কি না। ৮ আসনের নিরাপত্তা রক্ষায় নির্বাচন কমিশন তৎপর। প্রায় চার হাজার বুথ তাদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর।

পাশের রাজ্য অন্ধ্রে আগের দুই নির্বাচনে খাতা খুলতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তবে এবার টিডিপি (টিডিপি) এবং জন সেনার সঙ্গে জোট রয়েছে বিজেপির। ২৫ আসনের মধ্যে লোকসভায় বিজেপি লড়ছে ৬ আসন। জোটে ভর করে অন্ধ্রেও এবার একাধিক আসন পাওয়ার আশায় গেরুয়া শিবির। জোট হিসাবে সেরাজ্যেও অন্তত ১৫-১৭ আসন পাওয়ার আশা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

উত্তরপ্রদেশে যে ১৩টি আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে ১১টিতে গত বার বিজেপি জেতে। এবার সে রাজ্যে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস জোট ভালো লড়াই দিচ্ছে বিজেপিকে। প্রথম তিন পর্বে মুসলিম, যাদব এবং জাঠ, রাজপুতদের একাংশ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বলেই দাবি বিরোধীদের। এই পর্বেও তেমন হলে চাপে পড়ে যাবে বিজেপি। মহারাষ্ট্র, বিহারেও এবার শক্তিশালী বিরোধী জোট বাধা হতে পারে বিজেপির জন্য। এই রাজ্যগুলিতে বিজেপির কিছু আসন ঘাটতি হবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। দক্ষিণের দুই রাজ্যে বাড়তি আসন পেয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করতে চায় গেরুয়া শিবির।

এই ৯৬ আসনের মধ্যে উনিশে এনডিএ জোট পায় ৪৯ আসন। বিজেপি একা পায় ৪২টি। ৪৭টি আসন ছিল বিরোধী শিবিরের দখলে। গেরুয়া শিবির সার্বিকভাবে এই পর্বেই স্ট্রাইক রেট বাড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি দেখছে। সেটা মূলত তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে।


লোকসভা নির্বাচন   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মালয়েশিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। 

স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, নিহত বৃক্ষরোপণ কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মো. নওশের আলী (২৯) নামের ওই কর্মী তার এক সহকর্মীকে নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে হাতির আক্রমণের শিকার হন। 

সোমবার দেশটির পুলিশের এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে হাতির আক্রমণের সময় পালিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ পাননি ওই ভুক্তভোগী। মরদেহের পাশেই হাতির পায়ে ছাপ পাওয়া গেছে।

পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু বলেছেন, ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য ওই ব্যক্তির মরদেহ গুয়া মুসাং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


মালয়েশিয়া   বন্য হাতি   বাংলাদেশি   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: মহিষে চড়ে ভোট দিতে গেলেন যুবক, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভোটাধিকার মানুষের অন্যতম রাজনৈতিক অধিকার। প্রথমবার ভোট দেওয়ার দিনটি মানুষের জীবনে স্মরণীয় একটি দিন বটে। তাই তো ভারতের এক যুবক তার প্রথম ভোটের দিনকে স্মরণীয় করতে মহিষের পিঠে চড়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে এলেন। এরই মধ্যে যুবকের এই কাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

ভারতের বিহার রাজ্যের উজিয়ারপুর এলাকার। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক মহিষে চড়ে ভোট দিতে এসেছেন। কালো শার্ট, ধূসর রঙের প্যান্ট ও মাথায় পাগড়ি পরে আছেন তিনি। মহিষের মাথায়ও সবুজ রঙের কাপড় জড়ানো। তাকে এভাবে আসতে দেখে আশেপাশে লোকজন ভিড় করেছেন। অনেকে ছবি তুলছেন কিংবা ভিডিও করে রেখে দিচ্ছেন তার এই কাণ্ড। 

অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবক বলেন, প্রথমবার ভোট দিতে এসে এক ধরনের উদ্দীপনা কাজ করছে। আশা করি, নির্বাচনে যিনি জিতবেন, তিনি আমাদের গ্রামের দারিদ্র্য দূর করবেন, তরুণদের চাকরি ব্যবস্থা করবেন ও মুদ্রাস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করবেন।

বিহারের সমস্তিপুর জেলার উজিয়ারপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ ভোটার। এই আসনে বিভিন্ন দলে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। এবার জিতলে এই আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করবেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরজেডি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলোক মেহতা।


লোকসভা নির্বাচন   ভোট   ভিডিও   ভাইরাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন