ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মধ্যবর্তী নির্বাচনে এগিয়ে ট্রাম্প; কি আছে বাইডেনের ভবিষ্যতে?

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ১০ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পালা শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা। সব শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কংগ্রেসের দুই কক্ষেই এগিয়ে রয়েছে ট্রাম্পের রিপাবলিকান দল। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে রিপাবলিকান দল পেয়েছে ২০৭ আসন ও বাইডেনের দল ডেমোক্রেট পেয়েছে ১৮৮। অন্যদিকে সিনেটে রিপাবলিকানরা পেয়েছে ৪৯ আসন ও ডেমোক্রেটরা পেয়েছে ৪৮ আসন। খবর সিএনএনের।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবেন ৫৩৫ জন আইন প্রণেতা, যারা কংগ্রেস সদস্য হিসেবে পরিচিত। কংগ্রেসের দুটি কক্ষ- সেনেট এবং হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। আইন তৈরির জন্য কংগ্রেসের এই দুটি কক্ষ এক সঙ্গে কাজ করে।

সেনেট হচ্ছে কংগ্রেসের ১০০ সদস্যের উচ্চ কক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্য, তাদের আকার যাই হোক, দুজন করে সেনেট সদস্য নির্বাচিত করে। সেনেটররা নির্বাচিত হন ছয় বছর মেয়াদের জন্য। প্রতি দু'বছর পর পর সেনেটের এক তৃতীয়াংশ আসনের জন্য নির্বাচন হয়।

হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদে (যাকে সংক্ষেপে হাউজ বলে ডাকা হয়) সদস্য আছেন ৪৩৫ জন। প্রত্যেক সদস্য তাদের অঙ্গরাজ্যের একটি নির্দিষ্ট ডিস্ট্রিক্ট বা জেলার প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা দু'বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। কাজেই দু'বছর পর পর হাউজের সবগুলো আসনের জন্যই নির্বাচন হয়। 

এবারের নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বর্তমানে কংগ্রেসের সব সদস্য হয় ডেমোক্রেটিক পার্টি বা রিপাবলিকান পার্টি থেকে আসা। ডেমোক্রেটরা এখন কংগ্রেসের দুটি কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণে, তবে তাদের এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুবই অল্প ভোটে।

সে কারণে এ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষে কাজ করতে তেমন কোন অসুবিধা হয়নি।

কিন্তু মধ্যবর্তী নির্বাচনে যদি রিপাবলিকান পার্টি কংগ্রেসের কোন একটি কক্ষে বা উভয় কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায়, তখন তারা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যে কোন পরিকল্পনা বানচাল করে দিতে পারবেন।

নভেম্বরে যে নির্বাচন হবে, সেখানে রিপাবলিকানরা হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে তাদের পাঁচটি অতিরিক্ত আসন জিততে হবে।

সেনেটে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আরও তীব্র। বর্তমানে ১০০ সদস্যের সেনেটে দুই দলেরই ৫০ জন করে সদস্য।

কিন্তু ডেমোক্রেটরা সেনেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, কারণ কোন ইস্যুতে পক্ষে-বিপক্ষে সমান সমান ভোট পড়লে তখন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস হারজিত নির্ধারণের জন্য তার ভোট প্রয়োগ করতে পারেন।

মূলত এবারে মধ্যবর্তী নির্বাচনে দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। পার্লামেন্টের প্রতিনিধি ছাড়াও এদিন বেশ কয়েকটি রাজ্যে গভর্নরেরও নির্বাচন হয়েছে। ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, পেনসিলভেনিয়া, অ্যারিজোনার মতো রাজ্যগুলোতে ভোটগ্রহণ শেষ হয়ে গেছে।

বুথ ফেরত জরিপ অনুযায়ী, এবারের ভোটে মূলত দুইটি বিষয় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। এক, মূল্যস্ফীতি ও দুই, গর্ভপাত। ভোটের জরিপ বলছে, রিপাবলিকানদের দিকে মানুষের ঝোঁক বেশি। ফলে মার্কিন কংগ্রেসে ডেমোক্রেটদের একাধিপত্য এবার কমতে পারে।

বেশ কিছু রাজ্যে ভোটের হার উল্লেখযোগ্য। বলা হচ্ছে, ডেমোক্রেটরা খুব শান্তিতে নেই। এবারের ভোটে তাদের ফলাফল ভালো হবে না বলে আগেই অনেকে ধরে নিয়েছেন। হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ এবং সিনেট দুই কক্ষেই এবার রিপাবলিকানদের একাধিপত্য হবে বলে মনে করছেন অনেকে। বুথ ফেরত সমীক্ষাও সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে আগামী কয়েকবছর প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষে কাজ করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

এতদিন কংগ্রেসে বিরাট সমর্থন পেয়েছেন বাইডেন। উচ্চকক্ষ সেনেটে গিয়ে তাকে বার বার হোঁটচ খেতে হয়েছে। কংগ্রেসে রিপাবলিকানের সংখ্যা বেড়ে গেলে নিম্নকক্ষেও বাইডেনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে।

তবে এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের তুলনায় এই সংখ্যা দ্বিগুণ। তবে এই ভোটার সংখ্যা পূর্বের প্রজন্মের তুলনায় আবার কম।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য এসবের মানে কী দাঁড়াবে

কংগ্রেসে এখনই যে কোন বিল পাশ করাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সব ডেমোক্রেট আইন প্রণেতার সমর্থন দরকার হয়। অনেক সময় সেটাও যথেষ্ট হয় না।

রক্ষণশীল ডেমোক্রেটরা এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ঠেকিয়ে দিয়েছে। এর একটি ছিল প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ট্রিলিয়ন ডলারের 'বিল্ড ব্যাক বেটার' প্রকল্প, যেটিতে নানা রকম সামাজিক কর্মসূচী এবং জলবায়ুর পরিবর্তন প্রতিরোধে কার্যক্রম গ্রহণের কথা ছিল।

মধ্যবর্তী নির্বাচনে যদি ডেমোক্রেটরা বিপুল পরাজয়ের মুখে পড়ে, তখন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষে নতুন আইন পাশ করানো আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

কয়েকজন রিপাবলিকান এরই মধ্যে বাইডেন প্রশাসনের কাজ-কর্ম গভীরভাবে তদন্ত করে দেখার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।

এর মানে হচ্ছে, আফগানিস্তান থেকে তড়িঘড়ি করে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহার নিয়ে যে বিপর্যয় তৈরি হয়েছিল, সেই ঘটনা থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের নানা কথিত কেলেঙ্কারি নিয়েও তদন্ত শুরু হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে ৬ই জানুয়ারি যে হামলা হয়েছিল, তারপর থেকে দুই দলের মধ্যে সম্পর্কের নাটকীয় অবনতি ঘটে।

জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নানা ব্যবস্থা, মাস্ক পরার বিধি- এসব নিয়ে ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে বিভেদ আরও বেড়েছে।

ওয়াশিংটনে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ যদি ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়, তখন সেখানে আরও শত্রুতা এবং নাটকীয়তা তৈরি হতে পারে।

তাহলে এরপর কী ঘটবে?

মধ্যবর্তী নির্বাচন যখন শেষ হয়ে যাবে, তখন সবার নজর ঘুরে যাবে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিকে।

এটা হয়তো ২০২০ সালের লড়াইয়ের পুনরাবৃত্তি হতে পারে, কারণ প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প- দুজনেই বলছেন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবছেন। ২০২৪ সালে কি আবারও ট্রাম্প এবং বাইডেনের মধ্যেই লড়াই হবে? যদিও নতুন কিছু প্রার্থীও এবার মাঠে নামবেন বলে আশা করা হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র   মধ্যবর্তি নির্বাচন   কংগ্রেস   ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: গরমে ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমের মধ্য চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। সাত দফার নির্বাচনে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রচণ্ড গরমে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

ভারতের কেরালায় এমন ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে চারজন ভোটার এবং অপর একজন পোলিং এজেন্ট। বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে।

রাজ্যের ওট্টাপালামে এদিন দুপুরে ভোট দেয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৬৮ বছর বয়সী চন্দ্রন নামে এক ভোটার। পরে দ্রুত ওট্টাপালাম স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এদিন সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এদিকে, ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মাল্লাপুরম জেলার ত্রিরুরে ৬৩ বছর বয়সী এক মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়। তার নাম এ. টি. সিদ্দিকী। তাপপ্রবাহের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিন সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬০ শতাংশ।

ঠিক একইভাবে ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যু হয় ৭৬ বছর বয়সী কোমবোত্তাইল কন্দন নামে ভিলায়োদি এলাকার এক বাসিন্দার। ঘটনাটি ঘটে আলাপ্পুঝা জেলার আমবালাপুঝা এলাকায়। এই এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬৮ শতাংশ। 

এদিকে, শুক্রবার এস.এন.ভিটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩৮ নম্বর বুথে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন কাক্কাঝাম ভেলিপাড়াম্ভু সোমারাজন। এরপর বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৮২ বছর বয়সী ওই ভোটার। পরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। 

অন্যদিকে, কোঝিকোড় টাউনের ১৬ নম্বর বুথে দায়িত্বে ছিলেন বামেদের জোটের ‘লেফট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ (এলডিএফ) পোলিং এজেন্ট আনিস আহমেদ। হঠাৎ করেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি ৬৬ বছর বয়সী আনিসকে। এখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৬১ শতাংশ। 


লোকসভা নির্বাচন   গরম   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে গেস্টহাউসে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১০

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণ ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রে শহরে এক গেস্টহাউসে আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মীরা ১০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল প্রদেশের ফায়ার বিভাগ বলেছে, শুক্রবার(২৬ এপ্রিল) রাজধানী পোর্তো আলেগ্রে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমের ছবিতে দেখা গেছে তিনতলা ভবনটি আগুনে পুড়ছে দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য চেষ্টা করছেন। ফায়ার বিভাগের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্তদের শনাক্ত করতে এবং আগুনের কারণ অনুসন্ধান করতে ঘটনাস্থলে রয়েছেন।  

প্রদেশের গভর্নর এডুয়ার্ডো জানান, অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা তাকে গভীরভাবে বিচলিত করেছে। তিনি এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স' এ পোস্টে জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কয়েক ডজন কর্মীসহ ৫টি ইউনিট কাজ করছে। ভয়াবহ এ ট্র্যাজেডির কারণ অনুসন্ধান করা হবে। নিহতদের পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা। শহরের মেয়র সেবাস্তিয়াও মেলো এক্স-এ লিখেছেন, একাধিক আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 


ব্রাজিল   গেস্টহাউস   অগ্নিকাণ্ড   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রিটিশ জাহাজে সরাসরি আঘাত হানল হুথি

প্রকাশ: ০৮:১৮ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে এক টেলিভিশন ভাষণে এই দাবি জানিয়েছে, ব্রিটেনের একটি তেলবাহী ট্যাংকার জাহাজে সরাসরি আঘাত হেনেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী।

তিনি জানিয়েছেন, তাদের যোদ্ধারা নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ব্রিটেনের তেলবাহী ট্যাংকার ‘আন্দ্রোমেদা স্টারে’ সরাসরি হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।

এছাড়া ইয়েমেনের সাআদা অঞ্চলের আকাশসীমায় ব্রিটেনের একটি ড্রোন ভূপাতিত করার তথ্যও জানান তিনি।

গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে চলাচল করা ইসরায়েলি জাহাজে হামলা শুরু করে হুথি বিদ্রোহীরা। তারা জানায়, ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর প্রতি একাত্মতা প্রকাশের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে হামলা চালালে তাদেরকেও বৈধ লক্ষ্যবস্তু ঘোষণা করে হুথি।

ব্রিটেনের সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা আমব্রে শুক্রবার লোহিত সাগরে একটি জাহাজের কাছে হামলা হওয়ার তথ্য জানিয়েছিল। ওই সময় ধারণা করা হয়েছিল, হুথিরা নতুন করে আবারও কোনও জাহাজকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।

এর কয়েক ঘণ্টা পর হুথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে জানান, তাদের যোদ্ধাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে ব্রিটিশ জাহাজে। লাল ও কালো রঙের এই ট্যাংকারটি বেশ বড় একটি জাহাজ। হামলার সময় এতে কি পরিমাণ তেল ছিল তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। এছাড়া জাহাজটি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে বিষয়টিও এখনও স্পষ্ট নয়।


ব্রিটিশ   জাহাজ   আঘাত   হুথি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ওয়াশিংটন বার্লিন দুবাই নিয়ে বিশেষ উৎকণ্ঠা

প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ওয়াশিংটন, বার্লিন, দুবাইসহ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের বাণিজ্যিক মিশনগুলো নিয়ে চিন্তায় পড়েছে সরকার। এ মিশনগুলোকে রপ্তানি আয়ের যে টার্গেট দেওয়া হয়েছিল তা পূরণ করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, অনেক মিশনের রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের চেয়েও কমে গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের রপ্তানি আয় যে দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলো টার্গেট অর্জন করতে পারছে না; সরকারের দুশ্চিন্তার এটিই প্রধান কারণ। মিশনগুলো টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হলে রপ্তানি আয় কমে যাবে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত আরও ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৬২৬ কোটি ডলার। টার্গেটের চেয়ে প্রায় ৪৫৪ কোটি মার্কিন ডলার বা ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ কম রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে। বৈদেশিক মিশনগুলো টার্গেট অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী রপ্তানি আয় বাড়ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরকারি তথ্য বলছে, একক মিশন হিসেবে ওয়াশিংটন থেকে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় আসে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় আসে জার্মানির বার্লিন মিশন থেকে। এ দুটি মিশনেই রপ্তানি আয় টার্গেটের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে ওয়াশিংটনে রপ্তানি আয় লক্ষ্যের চেয়ে প্রায় ১২ দশমিক ৫ এবং বার্লিন থেকে প্রায় ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। শুধু তাই নয়, এ দুটি মিশনে গত বছরের চেয়েও রপ্তানি আয় কমে গেছে চলতি বছর। ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ মিশনের মধ্যে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস, ফ্রান্সের প্যারিস, স্পেনের মাদ্রিদও রপ্তানি লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই মিশন। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে টার্গেটের চেয়ে প্রায় ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ রপ্তানি আয় কমেছে। আলোচ্য সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলোর মধ্যে কানাডার অটোয়া, ভারতের নয়াদিল্লি, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, সিঙ্গাপুর এমনকি জাপানের টোকিও মিশনও রপ্তানি লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা মহামারির পর গত দুই বছর জাপানের টোকিও মিশন রপ্তানি আয় বেশ ভালো করেছে। সরকার এটিকে নতুন বাজারের মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখেছে। তবে চলতি অর্থবছরে টোকিও মিশনের রপ্তানি চিত্রটি নেতিবাচক হয়ে গেছে, যা উদ্বেগের। একইভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের রপ্তানি চিত্রটিও উদ্বেগজনক।

ইপিবির জরুরি বৈঠক : বিশ্বের প্রভাবশালী মিশনগুলোর রপ্তানি লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতার বিষয়টি সামাল দিতে গত বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইপিবি। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান প্রভাবশালী দেশগুলোয় রপ্তানি কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ওয়াশিংটন, বার্লিন, দুবাই, টোকিওর মতো গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলোর রপ্তানি আয় কেন কমে যাচ্ছে-এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে যত দ্রুত সম্ভব লিখিত কারণ জানাতে বলেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ইপিবির এক সূত্র জানান, যেসব মিশন রপ্তানি টার্গেট পূরণ করতে পারেনি, সেগুলোর কাছেও চিঠি পাঠানো হবে। কেন রপ্তানি বাণিজ্য হ্রাস পাচ্ছে, কোথায় চ্যালেঞ্জ-এ বিষয়ে মিশনগুলোর ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইপিবির এক কর্মকর্তা জানান, রপ্তানি বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৬১টি মিশন রয়েছে বাংলাদেশের। এসব মিশনকে প্রতি বছর রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এসব মিশনের কাজই হচ্ছে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য বহুমাত্রিক উদ্যোগ নেওয়া। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশে সরকার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকার ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের কার্যকর সংযোগ স্থাপন, সম্ভাবনাময় পণ্যের বাজার সৃষ্টি, কোনো চ্যালেঞ্জ থাকলে সরকারকে দ্রুত অবহিত করাসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম রয়েছে। বাংলাদেশি পণ্যের দূত হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি রপ্তানির গতি বাড়াতে আমদানিকারকের সঙ্গে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকের পরিচয় করিয়ে দেওয়াও এসব মিশনের মূল কাজ। তবে এতে ব্যর্থ হচ্ছে অধিকাংশ মিশন। বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রপ্তানি আদেশ বাড়ানোর ক্ষেত্রে মিশনগুলো সরাসরি কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। দু-একটি মিশন ব্যবসায়ীদের সহায়তা করলেও পর্যাপ্ত নয়। রপ্তানি কমে যাওয়ার মূল কারণ ইউরোপ-আমেরিকায় বিক্রি কমে গেছে। তারা ক্রয়াদেশও কম দিচ্ছে। এর ফলে আমাদের কারখানাগুলো সক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি কাজ করতে পারছে না। এর প্রভাব পড়ছে এশিয়ার দেশগুলোতেও। এ অবস্থায় ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা যদি আরও বেড়ে যায় তবে রপ্তানি  খাত আরও বেশি হুমকির মুখে পড়বে।


ওয়াশিংটন   বার্লিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ

প্রকাশ: ১০:৪০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা নিয়ে ওয়াশিংটনের নীতির বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আরবি ভাষার মুখপাত্র পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। খবর রয়টার্স।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, হালা রাহারিত দুবাই আঞ্চলিক মিডিয়া হাবের ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন এবং ১৮ বছর আগে একজন রাজনৈতিক ও মানবাধিকারবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগ দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইন-এ তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির বিরোধিতা করে ১৮ বছর মর্যাদাপূর্ণ সেবা প্রদান করার পর আমি এপ্রিল ২০২৪ সালে পদত্যাগ করেছি’।

প্রায় এক মাস আগে, পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ব্যুরোর অ্যানেল শেলাইন পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) কর্মকর্তা জোশ পল গত অক্টোবরে পদত্যাগ করেন।
 
দেশটির শিক্ষা বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা, তারিক হাবাশ, যিনি ফিলিস্তিনি-আমেরিকান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন। 
  
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এছাড়াও সেখানে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। 
 
এর মধ্যে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতি সরাসরি এবং নির্লজ্জ সমর্থনের জন্য ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিকভাবে এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর কাছে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।

গাজা নীতি   মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন