ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আয়োজক হিসেবে রাশিয়া-চীনের চেয়ে উপযুক্ত কাতার

প্রকাশ: ০১:৫৩ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে বৈরি আচরণ কিংবা গণতন্ত্রের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নারী-পুরুষের অবাধে মেলামেশার স্বাধীনতা না থাকা, এই ধরনের নানারকম বাস্তবিকতার জন্য আলোচনয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। এখানেই দু’দিন বাদে শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো সবচেয়ে বড় আয়োজন। চার বছর পর ফুটবলপ্রেমিদের অপেক্ষার প্রহর গোনা শেষ হচ্ছে, রোববার, ২০ নভেম্বর।

গতবারের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ ছিল রাশিয়া। এদিকে, সর্বশেষ শীতকালিন অলিম্পিকের আয়োজক দেশ ছিল চীন। তবে এই দুই দেশের তুলনায় খেলাধুলার উপযুক্ত দেশ হিসেবে নাম লেখিয়েছে কাতার।

সর্বোপরি, কাতারকে আয়োজক দেশ হিসেবে চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্তের সময় পশ্চিমাদের তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। যদিও দেশটির বিদ্বেষপূর্ণ শাসনব্যবস্থা ও নিছক ত্রুটির মধ্যে পার্থক্য করতে ব্যর্থ হয়েছে অনেকে। তবে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার যে অনেক সমালোচক শুধু মুসলামান বা ধনী ব্যক্তিদের পছন্দ করেন না বলেই এই সমালোচনা।

কাতার একটি গণতান্ত্রিক দেশ নাই হতে পারে। দেশটির পূর্ববর্তী আমির, কোনও প্রকার জনপ্রিয়তার চাপে নয়, বরং এক ধরণের নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে গেছেন। তিনি আল-জাজিরা নামে একটি সম্প্রচার মাধ্যমও স্থাপন করেছেন যেটি তার আরব প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে অনেক বেশি স্পষ্টভাষী, এমনকি নিজ দেশ কাতারেও।

যেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনকালে সেখানে ইউক্রেন যুদ্ধকে যুদ্ধ হিসাবে বর্ণনা করার জন্য আপনাকে কারাগারে যেতে হতে পারে, নিন্দা করা তো দূরের কথা।

অন্যদিকে, চীন থেকেও ভিন্ন পার্থক্য রয়েছে কাতারের, যেখানে রাজনৈতিক ভিন্নমতের কোনও মূল্য নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া, ১৯৭৮ সালে ১১তম ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় আর্জেন্টিনায়। সামরিক শাসনে সন্ত্রস্ত আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ আয়োজনের অনুমতি দেওয়ায় ফিফাকেও কঠোর সমালোচনা সহ্য করতে হয় সে সময়। এমনকি আয়োজনকারী আর্জেন্টিনার জান্তা সমালোচকদের সেখানে নামতেও দেয়নি।

বিশ্বকাপের আয়োজন করতে গিয়ে অভিবাসী শ্রমিক ইস্যুতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে কাতার। তবে এই একটি ব্যাপার, আমেরিকা বা ইউরোপের যে কোনও দেশের চেয়ে বিদেশি শ্রমিকদের জন্য কাতারের দরজা সব সময় খোলা। দেশটিতে মোট জনসংখ্যার মাত্র ১২ শতাংশ কাতারের নাগরিক, বাকীরা অন্য দেশের।

এই অভিবাসীদের সঙ্গে কখনও কখনও দুর্ব্যবহার করা হয়। তবে সর্বাধিক উপার্জনকারী দেশ হওয়ায় অভিবাসী শ্রমিকরা কাতারকেই বেছে নেন সবার আগে। কেননা এতে তাদের জীবনমান বদলে যায়।

যে বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে তা হলো দু’বার অলিম্পিক আয়োজন চীনকে আরও গণতান্ত্রিক করে তোলেনি। অথচ বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ কাতারের শ্রম আইনকে উন্নীত করেছে।

কাতারকে হোমোফোবিয়ার (সমকামিতা বা সমকামিদের প্রতি নেতিবাচক ধারণা প্রকাশ কিংবা ভয় পাওয়া হলো হোমোফোবিয়া বা সমকামভীতি) আস্তানা বলে দাবি করাটাও বিভ্রান্তিকর ধারণা। সমকামী যৌনতা বেআইনি, এটা বাস্তব, কিন্তু বিয়ের বাইরে সব যৌনতাও তাই। এক্ষেত্রে এই আইন লঙ্ঘনের জন্য কয়েকটি মামলাও রয়েছে। এ ধরনের রক্ষণশীল কিন্তু কদাচিৎ প্রয়োগ করা আইনগুলো উন্নয়নশীল বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই, এমনকি প্রায় সব মুসলিম দেশেই প্রচলিত। যেখানে কাতারও এর বাইরে নয়।

কাতার বিশ্বকাপ আয়োজকের গৌরব অর্জনের জন্য ঘুষ দিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এটি সত্য হতেও পারে, যদিও কোনও সুস্পষ্ট প্রমাণ জনসমক্ষে প্রকাশ পায়নি। তবে যদি তাই হয়, তাহলে এটি কাতারের চেয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল পরিচালনাকারী সংস্থা ফিফাকে বেশি দায়ী করে।

বলা হচ্ছে, বিশ্বের ধনী দেশগুলোর কাছেই যাচ্ছে বড় বড় আয়োজন। যদিও খেলাকে প্রভাবমুক্ত করা কর্তৃপক্ষেরই দায়িত্ব।

আয়োজক হিসেবে কাতারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় যে অভিযোগ সেটি আবহাওয়া ও পরিবেশ নিয়ে। অতিমাত্রায় উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে আয়োজনকে যেন প্রশ্নবিদ্ধ না করা হয় সেকারণে প্রতিটি স্টেডিয়াম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং পরিবেশবান্ধব করে তৈরি করা হয়েছে। আয়োজকদের দাবি, ইভেন্টটি কার্বন-নিরপেক্ষ হবে, যদিও তা সন্দেহজনক মনে করছেন সমালোচকরা। তবে কিছু অসুবিধা তো রয়েছেই। কাতারের দক্ষ প্রকৌশলীদের ধন্যবাদ না দিলেই নয়, কারণ, স্টেডিয়ামগুলোকে শীতল করতে হলে খুব একটা দূষণ ঘটবে না যতটা আপনি কল্পনা করছেন। ফিফা বলছে, ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহারে এ বছর বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের তুলনায় নিঃসরণ ঘটবে মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ।

এই মুহূর্তে বিশ্বকাপ আয়োজনের ভাবনাটাই মূখ্য বিষয়। মধ্যপ্রাচ্যে বহু ফুটবলপ্রেমি রয়েছে, যদিও এর আগে সেখানে আয়োজন হয়নি ফুটবল বিশ্বকাপের। শুধু তাই নয় কোন মুসলিম দেশেও হয়নি এমন আয়োজন। সুতরাং, বলা চলে, বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য কাতার একটি উপযুক্ত দেশ।


কাতার বিশ্বকাপ   ফিফা   আয়োজক   রাশিয়া   চীন   কাতার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তান কংগ্রেসদের বিজয়ের জন্য দোয়া করছে: মোদি

প্রকাশ: ০৫:৪৬ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তান এখন কংগ্রেস নেতাদের বিজয়ের জন্য দোয়া করছেন বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে পাকিস্তানের 'মুরিদ' বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।  

পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হুসেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর একটি ভিডিও শেয়ার করে প্রশংসা করার পরদিনই এমন মন্তব্য করেছেন মোদি। মোদি বলেছেন, পাকিস্তান কাঁদছে কারণ এখানে কংগ্রেস মারা যাচ্ছে। পাকিস্তানি নেতারা কংগ্রেসের জন্য প্রার্থনা করছেন। পাকিস্তান 'শেহজাদাকে' (রাহুল গান্ধী) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে আগ্রহী। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই কারণ আমরা ইতিমধ্যেই জানি যে কংগ্রেস পাকিস্তানের 'মুরিদ'। পাকিস্তান ও কংগ্রেসের মধ্যে পার্টনারশিপ এটাই প্রমাণ করে যে দেশের শত্রুরা শক্তিশালী সরকার গঠন পারবে না।

গুজরাটের আনন্দে একটি নির্বাচনী সমাবেশের সময় নরেন্দ্র মোদি বিরোধী নেতা সালমান খুরশিদের ভাগ্নি মারিয়া আলমের 'ভোট জিহাদের' আহ্বানের জন্য কংগ্রেস দলের সমালোচনাও করেছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এই বিবৃতি একজন শিক্ষিত মুসলিম পরিবারের সদস্যের কাছ থেকে এসেছে। কিন্তু কোনো কংগ্রেস নেতাই এর নিন্দা জানায়নি।

মোদি আরও অভিযোগ করেছেন যে, কংগ্রেস মুসলিমদের রিজার্ভেশন প্রদানের জন্য দেশের সংবিধান সংশোধন করতে চায়। তারা তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর (ওবিসি) থেকে সুবিধা সরাতে চায়। ধর্মভিত্তিক সুবিধা প্রদানের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করবে না; এমন বিবৃতি লিখতভাবে কংগ্রেসকে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ করেছিলেন মোদি। 


পাকিস্তান   কংগ্রেস   প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহত বেড়ে সাড়ে ৩৪ হাজার,

প্রকাশ: ০৪:৫০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৫৬৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৭ হাজার ৭৬৫ জন।

গাজা উপত্যকায় দীর্ঘদিনের এই সংঘাতের কারণে সেখানে খাদ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ইসরায়েল গত এপ্রিলে গাজার উত্তরে সহায়তা মিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বরাবরই বিষয়গুলো অস্বীকার করে আসছে। 

সংস্থাটি বলছে, নতুন করে সহায়তা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হলেও ধারাবাহিকতা না থাকলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই খাদ্য সংকট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ত্রাণ কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে এবং তা চলমান রাখতে হবে।

গত ৭ অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো বেইত হানুন (ইরেজ) ক্রসিং খুলে দেওয়া হয়েছে। এটি ইসরায়েলের সঙ্গে গাজা উপত্যকার উত্তর দিকের একটি সীমান্ত ক্রসিং। জর্ডান থেকে ওই ক্রসিং দিয়ে ৩১টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি গাজায় যুদ্ধ বন্ধসহ হামাসের সঙ্গে কোনও যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবেন না। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।


ইসরায়েল   গাজা   নিহত   ওসিএইচএ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েল বিরোধীদের গ্রেপ্তার করছে সৌদি আরব

প্রকাশ: ০৪:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েল বিরোধী পোস্ট করায় অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরব। মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বৃহস্পতিবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েল বিরোধী মনোভাব প্রকাশের কারণে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন রয়েছেন, যিনি একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। তার কোম্পানিটি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি প্রজেক্টে কাজ করে। 

নাম গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা গাজায় চলমান হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেছিলেন।

আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমেরিকান মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানোয়। 

বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম দেশে ইসরায়েলি ও মার্কিন কোম্পানির পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই বয়কটের জেরে অনেক কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

ব্লুমবার্গকে সৌদি সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে সৌদিতে ইরানপন্থি একটি প্রভাবের বিস্তার ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা থেকে এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল বিরোধী অবস্থানের কারণে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি ব্লুমবার্গ।  

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যেই জানা গেল ইসরায়েল বিরোধীদের ওপর গ্রেপ্তারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মুসলিম দেশ সৌদি আরব।    


ইসরায়েল   গ্রেপ্তার   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বারানসিতে মোদির বিপক্ষে কমেডিয়ান রঙ্গিলা

প্রকাশ: ০৩:৩৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের বারানসি আসনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কমেডিয়ান শ্যাম রঙ্গিলা। বুধবার(১ মে) তিনি এই ঘোষণা দেন।   

এক এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে রঙ্গিলা জানিয়েছেন,  নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তিনি সবার কাছ থেকে ভালোবাসা পাচ্ছেন, আর এতে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত।

মোদির মিমিক্রি করেই মূল জনপ্রিয়তা পান রঙ্গিলা। এবার ভোটে তিনি মোদিকেই চ্যালেঞ্জ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গণমাধ্যমের রঙ্গিলা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে তিনি মোদির অনুসারী ছিলেন। তার সমর্থনে অনেক ভিডিও শেয়ার করেছেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিপক্ষে ভিডিও শেয়ার করেছেন। আর এসব ভিডিও দেখে যে কারো মনে হতেই পারে তিনি আগামী ৭০ বছর কেবল বিজেপিকেই ভোট দেবেন। তবে গত ১০ বছরে পরিস্থিতি পাল্টেছে অনেকটা। এবার তিনি মোদির বিরুদ্ধেই লোকসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

চলতি সপ্তাহেই বারানসিতে গিয়ে মোদির বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।


ভারত   প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কেরমান প্রদেশে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে দেশটিতে ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলেছে, ইরানে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের ছিল মাত্রা ৪ দশমিক ৫।

ইরানের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র (এনসিএম) বলেছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২৩ মিনিটের দিকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার ভূগর্ভে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে।

দেশটির গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, কেরমান প্রদেশের ফারিয়াব জেলায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল বলে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি অথবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে, বুধবার ইরানের একই প্রদেশে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।

ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি বড় টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় ইরানের অবস্থান। যে কারণে দেশটিতে প্রায়ই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার, এমনকি শক্তিশালী ভূমিকম্পও আঘাত হেনে থাকে।

ইরানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার সবচেয়ে প্রাণঘাতী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ১৯৯০ সালে। ওই ভূমিকম্পে দেশটিতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও আরও ৩ লাখের বেশি আহত হন। এছাড়া এই ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন দেশটির আরও পাঁচ লাখ মানুষ।

এরপর ২০০৩ সালে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রাচীন নগরী বাম প্রায় মাটির সাথে মিশে যায়। এতে এই শহরে কমপক্ষে ৩১ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
এছাড়া ২০১৭ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন আরও ৯ হাজারের বেশি মানুষ।


ইরান   ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন