ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনে বিক্ষোভ ও সহিংসতা, বড় চ্যালেঞ্জের মুখে শি

প্রকাশ: ১০:১৭ এএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

চীনে ভিন্নমতের প্রকাশ বা সরকারের বিরোধিতা করা নতুন কোনো ঘটনা নয়। কয়েক বছর ধরেই পরিবেশের ক্ষতিকর দূষণ থেকে শুরু করে অবৈধভাবে ভূমি দখল কিংবা পুলিশের হাতে কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষের নির্যাতনের শিকার হওয়া—এ রকম নানা ইস্যুতে হঠাৎ হঠাৎ স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের ঘটনা ঘটছে।

তবে চীনের নাগরিকদের এবারের প্রতিবাদ, ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের তাৎপর্য ভিন্ন। এই মুহূর্তে তাঁদের মনে একটিই বিষয়। আর এ নিয়ে ক্রমে ক্ষোভ-হতাশা বাড়ছে তাঁদের মধ্যে; যা সরকারের ‘শূন্য করোনা’ নীতির আওতায় আরোপিত বিধিনিষেধের জন্য এক বড় ধাক্কা হয়ে দেখা দিচ্ছে।

ক্ষোভ প্রকাশের শুরুর দিকে চীনের বাসিন্দারা করোনার অন্যতম বিধিনিষেধ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি অমান্য করতে থাকেন। আর এখন বিভিন্ন শহরের রাস্তায় ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে তাঁরা বিক্ষোভে নেমেছেন। এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে দেশজুড়ে।

চীনের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও সবচেয়ে জনবহুল শহর সাংহাইয়ের রাস্তায় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের পদত্যাগের দাবিতে প্রকাশ্যে স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। এই স্লোগান শোনা ক্ষমতাসীনদের জন্য কতটা পীড়াদায়ক, তা এখনই ব্যাখ্যা করা একরকম কঠিন।

ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে খোলাখুলি সমালোচনা করা চীনে খুবই বিপজ্জনক। এভাবে সমালোচনা করলে কারাগারে যাওয়ার ঝুঁকি আছে। তবু বিক্ষোভকারীরা সাংহাইয়ের সড়ক ছাড়ছেন না।

গত বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের রাজধানী উরুমকির এক অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের ভবনে আটকে পড়া ও উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হওয়ার জন্য করোনার বিধিনিষেধকে দায়ী করা হচ্ছে।

করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সাংহাই শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। তাঁদের অনেককে পুলিশের গাড়িতে তুলতে দেখা গেছে। রাজধানী বেইজিং ও নানজিং শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সাংহাইয়ের রাস্তায় এক বিক্ষোভকারী স্লোগান তুলছিলেন, ‘সি চিন পিং!’ পরক্ষণে শত শত মানুষ সমস্বরে চিৎকার করে জবাব দেন, ‘স্টেপ ডাউন (পদত্যাগ)!’ এরপর একই স্লোগান ও একই জবাব উচ্চারিত হতে থাকে বারবার।
বিক্ষোভকারীরা এ-ও স্লোগান দেন, ‘কমিউনিস্ট পার্টি! স্টেপ ডাউন! কমিউনিস্ট পার্টি! স্টেপ ডাউন!’

বিক্ষোভরত অনেকের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। সাংহাইয়ের একজন বলেন, চীনে মানুষের মধ্যে এমন অসন্তোষ আগে তিনি কখনো দেখেননি। করোনার লকডাউনের কারণে তিনি খুবই কষ্টে রয়েছেন। এমনকি তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত মাকেও দেখতে যেতে পারেননি। আরেকজন অভিযোগ করেন, বিক্ষোভ করার কারণে তাঁকে পুলিশ মারধর করেছে।

যাদের কাছে ক্ষমতায় থাকার চেয়ে বেশি অগ্রাধিকারমূলক বিষয় নেই, এমন একটি রাজনৈতিক দলের জন্য এ বিক্ষোভ ক্ষমতায় টিকে থাকার মতোই বড় চ্যালেঞ্জ।
দৃশ্যত, সরকার তার শূন্য কোভিড নীতির ব্যাপারে ক্রমবর্ধমান গণ-অসন্তোষকে ভীষণভাবে খাটো করে দেখেছে। এটি এমন একটি নীতি, যেটির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট সি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সম্প্রতি এ নীতি থেকে সরে না আসার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

তা ছাড়া চীনের ক্ষমতাসীন দল কার্যত যে কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেদের আটকে ফেলেছে, তা থেকে সহজে বেরিয়ে আসার পথ নেই।

করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর প্রায় তিন বছর পর চীন আবারও সবকিছু উন্মুক্ত করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু হাসপাতালে আরও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) তৈরি ও করোনার টিকাদানের বিষয়ে জোর দেওয়ার বদলে তারা গণহারে পরীক্ষা, লকডাউন ও আইসোলেশনের মতো পদক্ষেপে বিপুল অর্থ ও শ্রম ব্যয় করছে। এসবের লক্ষ্য, এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া। কিন্তু ভাইরাসটি চীনকে ছাড়ছে না।

চীনে গত বুধবার করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) রেকর্ডসংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছেন; যা প্রায় তিন বছর আগে দেশটিতে এ মহামারি শুরু হওয়ার পর সর্বোচ্চ। এ দিন ৩১ হাজার ৪৪৪ জন রোগী শনাক্ত হন। এই হিসাবে দেশের বাইরে থেকে আসা রোগীদের ধরা হয়নি।


বিধিনিষেধ   বিক্ষোভ   চীন   শি জিনপিং  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল

প্রকাশ: ০৪:২৯ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্নাতক সমাপনীর মূল অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগামী ১৫ মে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনীর মূল অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তবে  সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করেছে। 

দেশটির ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে ছোট পরিসরে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের শুরু হয়। এরপর থেকে এ বিক্ষোভ ওয়াশিংটন ডিসিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি কলেজে ছড়িয়ে পড়েছে।

নিউইয়র্ক সিটি বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে শিক্ষার্থী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। গত কয়েক সপ্তাহের ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা ব্যাহত হয়েছে। 

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন চ্যাং বলেন, 'আমাদের ক্যাম্পাসে বড় পরিসরে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। এমন পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মতো আমরাও গভীরভাবে হতাশ।'

চ্যাং আরও বলেন, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বিকল্প জায়গা খুঁজছিল। তবে শিক্ষার্থী, তাঁদের পরিবারের সদস্য, অতিথিরাসহ ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে ধারণ করার মতো কোনো জায়গার ব্যবস্থা করা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হওয়া বিক্ষোভ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে আপার ম্যানহাটানে অবস্থিত কলাম্বিয়ার একটি ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে সেখান থেকে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়   সমাপনী অনুষ্ঠান   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: দুই কেলেঙ্কারি নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আর তৃতীয় দফায় ভারতজুড়ে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে,  যার মধ্যে রয়েছে গোটা গুজরাট রাজ্য।

তৃতীয় দফায় ভোট হচ্ছে গুজরাট, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, উত্তর প্রদেশ, আসাম, গোয়া, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার রাজ্য এবং দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা-নগর হাভেলি ও দমন দিউয়ে।

এই ৯৩ আসনের মধ্যে ৮০ আসনে গত নির্বাচনে বিজেপি ও তাদের শরিকেরা জিতেছিল। কংগ্রেস জোট পেয়েছিল মাত্র ১১টি আসন। 

তৃতীয় দফায় গুজরাটের ২৬ আসনের মধ্যে ২৫ আসনে ভোট হচ্ছে। এই রাজ্যের সুরাট আসনে বিজেপি প্রার্থী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। গতবার সব আসনে বিজেপি জিতেছিল। তবে রাজ্যের দু-তিনটি আসনে জাতি বিক্ষোভ বিজেপিকে কিছুটা চিন্তায় ফেলেছে। রাজ্যের গান্ধীনগরে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

গুজরাটের চেয়ে বিজেপির বড় চিন্তা কর্ণাটক নিয়ে। দক্ষিণের এই রাজ্যের ২৮টি আসনের মধ্যে ১৪টির ভোট হয়ে গেছে। বাকি ১৪ আসনের ভোট হচ্ছে আজ। কর্ণাটকের যেসব আসনে ভোট, সেগুলোর অধিকাংশই বিজেপির জেতা। রাজ্যের ২৮ আসনের মধ্যে গত ভোটে বিজেপি জিতেছিল ২৫টি, জেডিএস ২টি, কংগ্রেস একটি। 

এই দফার ভোটের আগে যৌন কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যান রাজ্যে বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিএসের নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি প্রোজ্জ্বল। তিনি এখন দেশ ছাড়া। তার বাবা রাজ্যের বিধায়ক এইচ ডি রেভান্না যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। এই কেলেঙ্কারির জেরে তৃতীয় দফার ভোটে বিজেপিকে বিপাকে পড়তে হয় কি না, সেটাই দেখার বিষয়।  

বিজেপির বড় পরীক্ষা উত্তর প্রদেশেও। এই দফায় ভোট ১০ আসনে। এর মধ্যে আগ্রা, ফতেপুর সিক্রি, ফিরোজাবাদ, এটা, বদায়ুন, বেরিলি, আঁওলা ও হাথরসে (যেখানে এক দলিত কিশোরীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল) গতবার বিজেপি জিতেছিল।

এবার উত্তর প্রদেশে বিজেপির লড়াই সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে। এই দলের নেতা অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল গতবার জিতেছিলেন মৈনপুরী থেকে। এবারেও তিনি প্রার্থী। সমাজবাদী পার্টির জোটসঙ্গী এবার কংগ্রেস। বিজেপি গতবার রাজ্যে জিতেছিল ৬২ আসন। এবারের লক্ষ্য অন্তত ৭৫ আসন। যোগীরাজ্যে তা সম্ভব কি না, আজ সেটা বোঝা যাবে।

এছাড়া আজ ভোট মহারাষ্ট্রের ১১, মধ্যপ্রদেশের ৪, আসামের ৪, গোয়ার ২, বিহারের ৫ ও পশ্চিমবঙ্গের ৪ কেন্দ্রে। মহারাষ্ট্রের বারামতি আসনে প্রার্থী শারদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে।

মধ্যপ্রদেশের গুনায় প্রার্থী বিজেপির জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান লড়ছেন বিদিশায় ও কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিং রাজগড়ে। আসামের ধুবড়িতে ভাগ্য পরীক্ষায় নামছেন এআইইউডিএফ প্রার্থী বদরুদ্দিন আজমল। 

প্রথম দফার ভোটে মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা তেমন দেখা দেয়নি। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে শাসক দলের প্রচারে তাই বড় হয়ে উঠেছিল মুসলমান জুজু, যাতে হিন্দু-মুসলমানের বিভাজন স্পষ্টতর হয়। তা সত্ত্বেও ভোটের হার আগেরবারের তুলনায় অনেক কম ছিল। 

ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো বলে একটি গোপন ক্যামেরায় তোলা ভিডিওতে বলা হচ্ছে। আবার রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে এক নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। কর্ণাটকে বিজেপির শরিক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে বিজেপির জন্য এসব ঘটনা মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়।


লোকসভা নির্বাচন   বিজেপি   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিজের ভাইরাল নাচের ভিডিও শেয়ার করে মোদি বললেন, ভালো লেগেছে

প্রকাশ: ০২:১৫ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ৩য় দফার ভোটে দেশটির ৯৩টি লোকসভা আসনে চলছে ভোটগ্রহণ। আর এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নাচের এক ভিডিও শেয়ার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  

ভিডিওটিতে তাকে এক মঞ্চে কায়দা করে হাঁটতে এবং নাচতে দেখা যাচ্ছে। না, ভিডিওটি সত্যিকারের নয়। তৈরি করা। পাগলু সেই নাচের ভিডিও নিজেই শেয়ার করে মোদি লিখেছেন- নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেলাম।  

সোমবার (৬ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ভিডিওটি প্রথমে এথেয়িস্ট কৃষ্ণ নামের একটি এক্স হ্যন্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছিল। এর সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা ছিল, 'এই ভিডিওটি পোস্ট করছি, কারণ আমি জানি এর জন্য 'ডিক্টেটর' আমাকে গ্রেপ্তার করবে না।'

আর এই ভিডিওটিই ফের শেয়ার করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, 'আপনাদের সকলের মতো আমিও নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি। ভোটের ভরা মৌসুমে এই ধরনের সৃজনশীলতা সত্যিই আনন্দ দেয়।' 

কিন্তু হঠাৎ কেন ভোটের মধ্যে নিজের নাচের স্পুফ ভিডিও শেয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর পেছনেও রয়েছে রাজনীতি। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৈরি প্রায় একই ধরনের একটি ভিডিও শেয়ার করার প্রেক্ষিতে, এক এক্স ব্যবহারকারীকে নোটিশ দিয়েছে পুলিশ।

আর সেই ঘটনার ঠিক পরপরই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ভিডিও শেয়ার করা কাকতালীয় বলে মানছেন না বিশ্লেষকরা।

মূলত মোদি যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন, সেটি আসলে মার্কিন র‍্যাপ সঙ্গীত শিল্পী লিল ইয়াচটির মঞ্চে প্রবেশ করার এক ভিডিও। ২০২২ সালের ২১ জুন ইউটিউবে ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয়েছিল।

তারপর থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর সাহায্যে অ্যাডলফ হিটলার থেকে শুরু করে ডিসি কমিকসের সুপারভিলেন জোকারের মতো, বিভিন্ন বিখ্যাত বা কুখ্যাত ব্যক্তিত্বদের মুখ, ইয়াচটির জায়গায় ব্যবহার করে মিম তৈরি করা হয়েছে। এবার সেই জায়গায় বসলো নরেন্দ্র মোদির মুখও।

মজার বিষয়, সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি স্পুফ ভিডিও শেয়ার করার দায়ে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের নোটিশ পেয়েছেন দুই এক্স ব্যবহারকারী।

তাদের শেয়ার করা ভিডিওটির নিচেই কলকাতা পুলিশ লিখেছিল, যদি তারা অবিলম্বে তাদের নাম ও বাসস্থান-সহ পরিচয় প্রকাশ না করে, তাহলে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরে অবশ্য পুলিশের পক্ষ থেকে ওই পোস্ট মুছে দেওয়া হয়।

তবে, ততক্ষণে ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কলকাতা পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'পাপোশের মতো' আচরণ করছে বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।

কলকাতায় মোদিকে ব্যঙ্গ করে অশ্লীল পোস্টার লাগানোর বিষয়ে কলকাতা পুলিশ কেন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

অবশ্য মোদি তার নিজের স্পুফ ভিডিওটি এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করার পর, এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনের বিজেপির প্রার্থী তথা বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।

এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, 'মমতা দিদি জি এটাকে বলে 'টেকিং আ চিল পিল (মাথা ঠান্ডা রাখা)। আপনিও মাঝে মাঝে এটা ব্যবহার করুন। আপনি সবসময় রেগে থাকেন। কয়েকটা বাচ্চা ছেলে আপনার নাচের ভিডিও বানিয়েছে। আপনি তাদের জেলে পাঠানোর চেষ্টা করছেন। আপনি খুব রাগী এবং অনমনীয়।' 


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: আহমেদাবাদে ভোট দিলেন মোদি

প্রকাশ: ১২:২২ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনের তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণে ভোট দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ৭টার একটু পরই ভোট কেন্দ্রে পৌঁছান মোদি। গুজরাটের আহমেদাবাদের ভোটার মোদি। আহমেদাবাদের রানিপ এলাকার নিশান উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন তিনি।  

প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ভোটকেন্দ্রে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই ভোটকেন্দ্রটি গান্ধীনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। মোদির দল বিজেপি থেকে সেখানকার এবারের প্রার্থী অমিত শাহ।

ভোট দেওয়ার পর দেশের জনগণের প্রতি কেন্দ্রে হাজির হয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। 

মোদি বলেন, 'আমাদের দেশে 'দান' এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সেই চেতনা থেকে দেশবাসীকে ভোট দিতে হবে। এখনও চার দফা ভোট বাকি। এই অহমেদাবাদের বুথেই আমি বরাবর ভোট দিই। অমিত ভাই এই কেন্দ্রের প্রার্থী।' 

এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি। 

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম দফা ১৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফা ২৬ এপ্রিল ভোট হয়েছে। আজ তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩টি আসনে। ভোটাভুটি চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। ১ জুন সপ্তম দফার মাধ্যমে ভোটের ইতি ঘটবে। সাত ধাপের সবকটিরই ফল ঘোষণা করা হবে ৪ জুন।


লোকসভা নির্বাচন   আহমেদাবাদ   ভোট   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে রাফায় ইসরায়েলের বিমান হামলা

প্রকাশ: ১১:২৭ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়া সত্ত্বেও রাফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

এদিকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যে দোলাচল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে দুর্ভোগে পড়েছে রাফায় আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি শরণার্থী।

সোমবার (৬ মে) ইসরায়েল বাহিনী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ওই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। 

সোমবার বিকেলে হামাসের পক্ষ থেকে ‍যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার পর অনেকে রাস্তায় নেমে উল্লাস করে। কিন্তু পরক্ষণেই সেই উল্লাস ইসরায়েলি বোমা হামলায় ফিকে হয়ে যায়। 

ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামাসকে লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছে। একটি গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে অ্যাক্সিওস সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে রাফার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক দেখা গেছে। তারা রাফার ফিলিস্তিনি অংশ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ অঞ্চলটি মিশর এবং গাজাবাসীদের জন্য মানবিক সহায়তা সরবরাহের একমাত্র পথ। 

গার্ডিয়ান বলছে, নিরপেক্ষভাবে ওই প্রতিবেদনের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে বার্তা সংস্থা এপি ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এবং মিশর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রাফাহ ক্রসিংয়ের ২০০ মিটার দূরে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক অবস্থান নিয়েছে। 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, কায়েরো এবং মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস যে শর্তে তাদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে তাতে তেল আবিবের শর্ত পূরণ হয় না। তবে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চালিয়ে যেতে ইসরায়েল আরও প্রতিনিধি দল কায়রো পাঠাবে।  

ইসারায়েল যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বলছে, জিম্মিদের মুক্তি এবং হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তারা রাফায় অভিযান চালিয়ে যাবে। 


যুদ্ধবিরতি   রাফা   ইসরায়েল   বিমান হামলা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন