ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কোন পথে ব্রিটেন ও ইইউ সম্পর্ক

প্রকাশ: ১১:০৮ এএম, ১০ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

ইউরোপের ২৮টি দেশের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক জোট হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০১৬ সালের ২৩ জুন ব্রিটেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার এই প্রক্রিয়া বা সিদ্ধান্ত হলোব্রিটিশ এক্সিটবা ব্রেক্সিট। গত ১০ বছরে নানা গোলযোগের মধ্য দিয়ে গেছে ইইউ ব্রিটেনের সম্পর্ক। কীভাবে আগামী ১০ বছরে ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক ভালো হতে পারে সে নিয়ে একটি সম্যক ধারণা তুলে ধরা হয়েছে দ্য ইকোনমিস্টের বিশ্লেষণে।

দশ বছর আগে, জানুয়ারি মাসে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের লন্ডন সদর দপ্তরে একটি ভাষণ দিয়েছিলেন। এতে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তার সুচতুর পরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরেন। ডেভিড ক্যামেরন নেতৃত্বে আসার পর থেকেই মূলত মৌলিক সংস্কার কাজ শুরু করেন। তার দলকে ইউরোপবিষয়ক একঘেয়ে দ্বন্দ্ব থেকে বের করে আনার চেষ্টা করেন ব্রিটেনের সদস্যপদ নিয়ে অন্তর্বর্তী গণভোটের মাধ্যমে।

কিন্তু ২০১৬ সালে এই ব্লক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ভোট ব্রিটেনের অর্থনৈতিক অস্বস্তি বাড়িয়ে তোলে, বাণিজ্যের গতি বানচাল এবং বিনিয়োগ শিথিল করে। এটি প্রকৃত মিত্রদের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ককে আরও খারাপ করে এবং তার নিজস্ব ইউনিয়নের বন্ধনকেও দুর্বল করে। সর্বোপরি, এটি খারাপ হয় যখন ব্রিটিশ রাজনীতিকে জাদুকরি চিন্তার ধ্বংসাত্মক রুপে ধারণ করে। ক্যামেরন নিজেই এর ভুক্তভোগী ছিলেন। ব্রিটেনের সঙ্গে মানানসই করার জন্য মৌলিক নীতিগুলো পরিবর্তন করতে ইইউ-এর ইচ্ছাকে খারাপভাবে অতিমূল্যায়ন করার কারণে এমনটি ঘটেছে।

ব্রেক্সিটের পক্ষে যারা শুরু থেকেই তাদের নিজস্ব ধোঁয়াশার ওপর ঝুঁকে ছিল ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য। ফলে যে লাভ হতে পারে তা বা আইরিশ সীমান্তের ইস্যুটি সরিয়ে নেওয়া হোক, যে কোন উপায়ে সেটিই তারা চাচ্ছিলেন। অবশিষ্টরাও, যদি মনে করেন বিভক্তিটি কেবল পূর্বাবস্থায় ফেরানো যেতে পারে তবে তারাও বেকায়দায় পড়বেন।

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইউরোপের সঙ্গে ব্রিটেনের আরও ভালো সম্পর্কের বিকল্প পথ রয়েছে। এখন অনেক ব্রিটিশ নাগরিক ব্লক ছাড়ার সিদ্ধান্তকে ভুল বলে মনে করছে। ইইউ তার জটিল প্রতিবেশীর সঙ্গেও আরও ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু সেই পথ অবলম্বন করতে গেলে যাদু বাস্তবতার অবসান ঘটাতে হবে।

এই পথ হতে হবে ধীরগতির ক্রমবর্ধমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এটি আবেগপ্রবণ হলেও বিপ্লবী নয়। গণভোট আয়োজন এবং ব্রাসেলসে আল্টিমেটাম উপস্থাপন করার পরিবর্তে আস্থা ঐকমত্য লালন করতে হবে। বলা যায়, যে কেউ পাহাড় থেকে লাফ দিতে পারে। কিন্তু পাহাড়ে চড়া কঠিন কাজ।

ব্রেক্সিটপন্থিদের জন্য অর্থ দাঁড়াবে, ব্রেক্সিট যে ক্ষতি করেছে তা অকপটে স্বীকার করে নেওয়া। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের অনুমান বলছে, ব্রেক্সিট ২০২১ থেকে গত পাঁচ বছরে প্রায় ২৫ শতাংশ বিনিয়োগে হতাশা সৃষ্টি করেছে। একটি থিংক-ট্যাংক মনে করে ব্রিটেন ইউরোপে থাকলে অর্থনীতি এখন শতাংশের বেশি বড় হতো।

তবুও ব্রেক্সিটের মধ্যে বিশ্বস্ত সত্য-কথন এখনও পরষ্পর বিরোধী। গত ডিসেম্বরে কনজারভেটিভ সরকার ব্রেক্সিট লভ্যাংশ হিসাবে আর্থিক-পরিষেবা শিল্পে নমনীয় সংস্কারের পথ দেখিয়েছিল। যদিও তখন অনেক পরিবর্তন ইইউ-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। সরকার এখনও ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ সমস্ত ইইউ আইন প্রতিস্থাপন বা বাতিল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যদিও এটি লক্ষ্যহীন।

অবশিষ্টদের জন্য, বাস্তববাদের অর্থ হলো ব্লকে পুনরায় যোগদানের ধারণাগুলোকে দূরে রাখা। যদি দ্য ইকোনমিস্টের কাছে একটি জাদুর কাঠি থাকে, তাহলে এটি আনন্দের সঙ্গে ঘড়ির কাঁটা ২০১৬-তে ফিরিয়ে দেবে, যখন ব্রিটেন একটি প্রভাবশালী ইউরোপীয় সদস্য হিসাবে একটি বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত মর্যাদা উপভোগ করেছিল। একই সঙ্গে অনেকগুলো ভালো কাজের সাক্ষী ছিল। কিন্তু সদস্যপদ পাওয়ার পক্ষে একটি কঠিন রাজনৈতিক সামাজিক ঐকমত্য না হওয়া পর্যন্ত ইইউ সরকারগুলো পুনরায় যোগদানে ভেটো দেবে। বিভিন্ন জরিপ থেকে দেখা যায় যে,, ব্রিটিশরা ইউরোপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায়। কিন্তু রাজনৈতিক একত্রীকরণের প্রকল্প হিসেবে ইউরোপের উৎসাহ অনেক কম। এখন সদস্য প্রশ্নে ফিরে যাওয়া ব্রেক্সিট বছরের বিষাক্ত মেরুকরণকে পুনরুজ্জীবিত করবে।

ইউরোপের সঙ্গে একটি ভালো সম্পর্কের জন্য বাস্তবসম্মত পথ তিনটি পর্যায়ে গঠিত হবে। এসব উপাদান হচ্ছে, স্বাভাবিককরণ, নির্মাণ পুনর্নির্মাণ। প্রথমত, ব্রিটেনকে ব্রাসেলসের সঙ্গে তার সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এরইমধ্যে ভালোর করার জন্য কৃতিত্বের দাবিদার। উত্তর সাগর থেকে অভিবাসন পর্যন্ত সব ইস্যুতে সহযোগিতার সুবাতাস বইছে। কিন্তু উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রোটোকলে যদি তিনি একটি কার্যকরী চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারেন তবে এটি সামান্যই গণ্য হবে। এটি করলে বৈজ্ঞানিক-গবেষণা প্রকল্পে অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার জন্য আরও ভালো কিছু ঘটবে।

পরবর্তী ধাপ হলো নির্মাণ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আলোচিত সহজ বাণিজ্য সহযোগিতাবিষয়ক চুক্তি (টিসিএ) ২০২৬ সালে পুনরায় পর্যালোচনা হবে। চুক্তি কার্যকর করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। লেবার পার্টি, তখন ক্ষমতায় থাকতে পারে। লেবার পার্টিকে অবশ্যই জাদুকরি চিন্তাধারার প্রতি তার নিজস্ব প্রবণতা দেখতে হবে। ধরে নিতে হবে যে টোরিস না হওয়াই ইউরোপীয় দল জয়ের জন্য যথেষ্ট হবে। কিন্তু কঠোর কূটনৈতিক দুর্নীতি সত্ত্বেও, টিসিএ প্রসারিত করা সম্ভব।

এই সংশোধনগুলো ইইউ ত্যাগ করার ফলে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে তা সামান্য পূরণ করবে। এই দশকের দ্বিতীয়ার্ধের দিকে, ব্রিটেন-ইউ সম্পর্ককে নতুন করে ভালো করার জন্য কাজ শুরু করতে হবে। ইইউর বাইরে নরওয়ের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হচ্ছে ব্রিটেন। নরওয়ের চুক্তি বিকল্প হিসেবে ব্লক থেকে বেরিয়ে আসায় ব্রিটেনের জন্য একটি বুদ্ধিমান কাজ। কিন্তু এই চুক্তি নরওয়ের জন্য উপযুক্ত। কারণ একটি ছোট, স্থিতিশীল জায়গা যার প্রধান রপ্তানি হলো তেল, গ্যাস এবং মাছ। ব্রিটেনের মতো বৃহৎ পরিষেবাভিত্তিক অর্থনীতির জন্য অনেক কম অবদান রাখতে পারবে এটি।

এদিকে, ব্রেক্সিট ভোটের পরে থেরেসা মে যে ভূখণ্ড তৈরি করেন তা আরও প্রতিশ্রুতিশীল। সেটি হচ্ছে, সেবাখাতে স্বায়ত্তশাসন বজায় রেখে ইউরোপীয় আইন গ্রহণের বিনিময়ে পণ্য কৃষির মতো ক্ষেত্রে বাজারের প্রবেশাধিকার আরও গভীর করা। কাস্টমস ইউনিয়নে পুনরায় যোগদান শেষ পর্যন্ত সম্ভব হতেও পারে। এটি জাদুকরি চিন্তাভাবনার আরেকটি রূপ হিসাবে অনেককে আঘাত করতে পারে। এটা অবশ্যই উভয় পক্ষের জন্য কঠিন হবে। ব্রিটিশদের জন্য, এর অর্থ হবে কৌশলগত স্বার্থে ইউরোপীয় আইনের প্রতি গোঁড়ামি ত্যাগ করা। টোরিদের জন্য, এটি বিশ্বাসঘাতকতার মতো শোনাবে। তবে যদি তাদের প্রকল্পের জন্য জনসমর্থন দরকার না হয়, তবুও অর্থনীতির বৃদ্ধি প্রয়োজন। সেকারণে ব্রিটেনের বৃহত্তম রপ্তানি বাজারে আরও গভীর প্রবেশাধিকার প্রয়োজন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য এটির অর্থ হলো একক বাজারের ব্রিটেন চেরি-পিকিংয়ের ধারণার প্রতি তার বিদ্বেষকে নরম করা। কিন্তু ব্রিটেনের একটি গতিশীল সিঙ্গাপুর-অন-টেমস হয়ে ওঠার দৃশ্যকল্প এখনও দূরভিসন্ধী। রাসায়নিক, কৃষি বা রাষ্ট্রীয় কোনো সাহায্যের জন্য ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শাসনে আবদ্ধ করা একটি নিয়ন্ত্রক পরাশক্তির ব্লকের জন্য আশীর্বাদ হবে। কেননা, ব্রিটেনের সঙ্গে আরও গঠনমূলক সম্মানজনক সম্পর্কের সুবিধাগুলো কেবল অর্থনৈতিক নয়, যেমন ইউক্রেন যুদ্ধ।

ব্রিটেনের সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট সম্পর্ক ইউরোপের স্থাপত্যের বিস্তৃত পুনর্বিবেচনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আগামী দশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে চিন্তা করতে হবে কীভাবে ইউক্রেন পশ্চিম বলকান রাষ্ট্রের আকাঙ্খা পরিচালনা করা যায়। বহু মাত্রিক বহু-গতিসম্পন্ন ইউরোপ সম্পর্কে পুরোনো বিতর্কগুলোকে ফেলে নতুন করে প্রেরণা যোগাতে হবে। ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি স্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে সময়, কঠোর পরিশ্রম বাস্তবসম্মত ধারণা লাগবে। যদিও কল্পনা করার জায়গা এখনও জিইয়ে আছে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হজ ভিসা নিয়ে সৌদি আরবের নতুন নিয়ম জারি

প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

হজ ভিসা নিয়ে নতুন নিয়ম চালু করেছে সৌদি আরব। এই ভিসা দিয়ে শুধু জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণ করা যাবে। এর বাইরে অন্যকোনো স্থানে ভ্রমণ করা যাবে না। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এমন তথ্য জানিয়েছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, হজ ভিসা দিয়ে ২০২৪ সালে হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জেদ্দা, মদিনা ও মক্কা শহরে ভ্রমণ করতে পারবেন।

হজ ভিসা শুধু হজ মৌসুমের জন্যই বৈধ। এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসা নেওয়া ব্যক্তিদের ওমরাহ পালন বা যেকোনো ধরনের আর্থিক বা অবৈতনিক কাজের ব্যাপারে নতুন নিয়মে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

দেশটিতে কাজ করা, বসবাস বা নির্ধারিত শহরের বাইরে ভ্রমণের জন্য হজ ভিসা অবৈধ। কেউ এই বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে তাকে ভবিষ্যতে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়াও অভিযুক্তকে দেশ থেকেও বেরও করে দেওয়া হতে পারে।

এর আগে শনিবার (৪ মে) পবিত্র হজ সামনে রেখে অনুমতি ছাড়া মক্কায় জনসাধারণের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। ওইদিন থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর করা হয়।

সৌদি আরবের জননিরাপত্তা বিভাগ জানায়, মূলত পবিত্র হজে সারাবিশ্ব থেকে আগত বিপুল সংখ্যক হজযাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে মক্কায় প্রবেশের জন্য অবশ্যই অনুমতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। এমনকি সৌদি নাগরিকদেরও।

হজ   ভিসা   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাত পোহালেই তৃতীয় দফায় লোকসভা নির্বাচন শুরু

প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের সাত দফার ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের দুই দফার ভোটগ্রহণ শেষ। প্রথম দফায় গত ১৯ এপ্রিল ১০২ কেন্দ্রে এবং দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৮ কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ৭ মে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ। এই দফায় ভোট নেওয়া হবে ১০ টি রাজ্য ও ১ টি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩ টি কেন্দ্রে। মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি।  

ভোটকেন্দ্রগুলো হলো- গুজরাট (২৫), কর্ণাটক (১৪), মহারাষ্ট্র (১১), উত্তর প্রদেশ (১০), মধ্যপ্রদেশ (৯), ছত্রিশগড় (৭), বিহার (৫), অসম (৪), পশ্চিমবঙ্গ (৪), গোয়া (২), দাদরা এবং নগর হাভেলি, দমন এবং ডিউ (২)। 

পশ্চিমবঙ্গে যে চারটি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে সেগুলি হল- মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ। এই চার কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫১ জন। ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৫৭ জন প্রার্থীর। সব মিলিয়ে ৭,৩৬০ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে ৩৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি ১০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। 

মুর্শিদাবাদ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী আবু তাহের খান, বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং সিপিআইএম প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম। মালদা উত্তর আসনে তৃণমূল প্রার্থী সাবেক আইপিএস কর্মকর্তা প্রসূন ব্যানার্জি, বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু, কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম। মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূলের শাহনাজ আলী রায়হান, বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরী। জঙ্গিপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান, বিজেপির ধনঞ্জয় ঘোষ, কংগ্রেসের প্রার্থী মোরতাজা হোসেন। 

এদফায় গোটা দেশ জুড়ে ১,৩৫১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির অমিত শাহ (গান্ধীনগর)। দ্বিতীয়বারের জন্য এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়ছেন তিনি। এই কেন্দ্রে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের সোনাল প্যাটেল। ১৯৮৯ সাল থেকেই এই কেন্দ্রটিতে অপরাজিত রয়েছে বিজেপির প্রার্থীরা। গত ২০১৯ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের সি যে চাভডা'কে ৫.৫ লাখের বেশি ভোটে পরাজিত করেছিলেন অমিত শাহ। 

বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (গুনা), মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান (বিদিশা), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি (ধারওয়ার), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্য (পোড়বন্দর), বিজেপি প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি পল্লবী ডেম্পো (সাউথ গোয়া), উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের স্ত্রী সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী ডিম্পল যাদব (মইনপুরী), মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস প্রার্থী দ্বিগবিজয় সিং (রাজগড়), 'অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট' (AIUDF) প্রেসিডেন্ট সভাপতি বদরুদ্দীন আজমল (ধুবরী), 'ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি'র (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী) প্রার্থী সুপ্রিয়া সুলে (বারামতী), এই কেন্দ্রেই সুপ্রিয়ার প্রধান প্রতিপক্ষ (ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি'র অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী) সুনেত্রা পাওয়ার, যিনি সম্পর্কে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের স্ত্রী। 

উল্লেখ্য, মোট সাত দফায় লোকসভার নির্বাচন নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম তিন দফার ভোটের পরই দেশটির ৫৪৩ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৮৩ আসনে ভোট নেওয়া সম্পন্ন হবে। বাকি থাকবে আরো চার দফা। পরবর্তী ধাপ গুলি হল যথাক্রমে চতুর্থ দফা আগামী ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট ১ জুন। গণনা আগামী ৪ জুন।


লোকসভা নির্বাচন   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ দাবানল ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ দাবানলে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালের পর থেকে দাবানলে এই প্রথম পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। 

এর আগে ২০২১ সালে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল জঙ্গলে। তখন প্রায় ৩৯৪৩ হেক্টর জঙ্গল পুড়ে যায়।  

এদিকে, ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ৫৭০২টি ফরেস্ট ফায়ার হয়েছে। কুমায়ুন ও গাড়োয়াল এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে এই দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। তবে মূলত মধ্য় হিমালয়ের বিভিন্ন এলাকায় এই দাবানলের ঘটনা হয়। হিমালয়ের উঁচু অংশে এটা অতি ঠাণ্ডার কারণে হতে পারে না। 


ভারত   উত্তরাখণ্ড   দাবানল   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল, উত্তপ্ত আমেরিকাও

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়েও হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থামাতে রাজি নয় ইজ়রায়েল। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, হামাসসহ গাজাকে ধূলিসাৎ না করা পর্যন্ত এই লড়াইয়ের শেষ নেই। ঘরেবাইরে বিক্ষোভ-আন্দোলনের মুখেও নিজেদের অবস্থানে অনড় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। রাগে ফুঁসছে তাঁর দেশের মানুষ। তেল আভিভের ডেমোক্র্যাসি স্কোয়ারের সামনে আজ জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। তাদের দাবি, হামাসের ডেরা থেকে ইজ়রায়েলি বন্দিদের মুক্তি চাই। সরকার বদল চাই।

পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়েও গাজায় হামলা থামাতে রাজি নয় ইসরায়েল। হামাসসহ গাজাকে ধূলিসাৎ না করা পর্যন্ত হামলা থামাবে না বলে জানিয়েছে তারা। যুদ্ধ থামাতে খোদ ইসরায়েলের ভেতরেই বিক্ষোভ-আন্দোলনের মুখে পড়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে তারা।

সোমবারও (৬ এপ্রিল) তেল আবিবের ডেমোক্র্যাসি স্কোয়ারের সামনে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছে, 'হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি চাই। সরকার বদল চাই।'

এক সপ্তাহ ধরে নেতানিয়াহুবিরোধী আন্দোলন চলছে যুক্তরাষ্ট্রেও। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি, বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকাজুড়ে। হাজারো নিষেধাজ্ঞা, গ্রেপ্তারের ভয় উপেক্ষা করে আজও পথে নেমেছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে হবে।

সোমবার ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় পুলিশের। বিক্ষোভ থামাতে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২০ দিনে আমেরিকাজুড়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে কমপক্ষে ২ হাজার ৪শ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।

তেল আবিবের চিত্র ভিন্ন। সেখানে নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা ছাড়ার স্লোগান দিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর 'চেঞ্জ জেনারেশন' নামে একটি সংস্থা তৈরি হয়েছে ইসরায়েলে। তাদের নেতৃত্বেই আজ পথে নামে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্ত করে আনতে হবে এবং নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।

বিক্ষোভকারীদের আটকাতে আজ পুলিশ তেল আবিবের দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেগিন স্ট্রিট ও কাপলান স্ট্রিটের কিছুটা অংশ বন্ধ করে দেয়। আয়ালন ফ্রিওয়েতে বের হওয়ার পথও আটকে দেয় পুলিশ। তবে তাতেও বিক্ষোভ আটকানো যায়নি।

সোমবারের বিক্ষোভে হামাসের হাতে বন্দিদের পরিবারের পাশাপাশি যুদ্ধে নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্তরাও অংশ নিয়েছেন। তারা চলমান পরিস্থিতির জন্য নেতানিয়াহুকেই দায়ী করছেন। গাজায় এতদিন ধরে হামলা চালিয়েও হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের উদ্ধার করতে না পারাকে ইসরায়েল সেনাদের ব্যর্থতা মনে করেন তারা।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা যুদ্ধ থামানোর দাবি জানিয়েছেন এবং চুক্তির মাধ্যমে হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের ফিরিয়ে আনার পক্ষে তাদের অবস্থান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে নেতানিয়াহু সরকারকে উচ্ছেদ দাবি করেছেন তারা।

সোমবার হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য কায়রোতে নতুন করে আলোচনায় বসছে। তবে ফিলিস্তিানদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে তারা কোনো প্রস্তাবে রাজি হবে না। তবে হামাসের হাতে থাকা সব বন্দিকে মুক্তি দিলেও ইসরায়েল গাজায় সম্পূর্ণভাবে হামলা বন্ধে রাজি নয়।


বিক্ষোভ   ইসরায়েল   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কংগ্রেসের সময় বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা এসে বোমা হামলা করতো: অমিত

প্রকাশ: ০৭:৩৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

কেন্দ্রে ১০ বছর ধরে মমতা ব্যানার্জীর সহযোগিতায় কংগ্ৰেসের সরকার চলেছিল। সেসময় প্রত্যেক দিন বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা এসে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতো বলে জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

মঙ্গলবার (৭ মে) পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় দফার নির্বাচন। এরই মধ্যে এ দফার প্রচারনা পর্ব শেষ হয়েছে। ১৩ মে চতুর্থ দফায় বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর, বীরভূম আসনে ভোট। 

চতুর্থ দফার নির্বাচনে প্রচারনায় বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপির প্রার্থী দীলিপ ঘোষের সমর্থনে সোমবার (৬ মে) তিলক ময়দানে জনসভা করেন অমিত শাহ। সেই জনসভা থেকে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

এদিনের জনসভা থেকে কড়া ভাষায় কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। বক্তব্যের শুরুতেই জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ও বিরোধীদলীয় জোট 'ইন্ডিয়া'র সভাপতি মল্লিকা অর্জুন খাড়গেকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,কাশ্মীর আমাদের না অন্য কারোও? মল্লিকা অর্জুন খাড়গে বলেন, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের কাশ্মীরের সঙ্গে কী সম্পর্ক আছে।

'আমি বলছি, খাড়গে বাবু, আপনার বয়স ৮০ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু আপনি এখনো বাংলাকে জানতে পারেননি, চিনতে পারেননি। বাংলা ও দুর্গাপুরের সবাই কাশ্মীরের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে পারে। বামফ্রন্ট, তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস- এরা সবাই ৭০ বছর ধরে ধারা ৩৭০ সামলে রেখেছে। তাদের জন্যই কাশ্মীর থেকে পুরো দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।'

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়ে নরেন্দ্র মোদী ৩৭০ ধারা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। লোকসভায় যখন ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, তখন রাহুল গান্ধী দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এই ধারা বাতিল করা যাবে না। আমরা যখন বললাম, কেন যাবে না? রাহুল গান্ধী উত্তরে বললেন, ধারা ৩৭০ উঠিয়ে দিলে, কাশ্মিরে রক্তের নদী বয়ে যাবে। পাঁচ বছর হয়ে গেলো, রক্তের নদী তো দূরের কথা; একটা নুড়িপাথরও নড়লো না। নরেন্দ্র মোদী দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ খতম করেছেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে আক্রমণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১০ বছর ধরে দিদির সহযোগিতায় কংগ্ৰেসের সরকার চলেছিল। সেসময় প্রত্যেক দিন বাইরে থেকে সন্ত্রাসী ঢুকে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতো। কিন্তু তারা নিজেদের ভোটব্যাংকের কারণে কিছু বলতো না। উরি ও পুলবামায় যে হামলা হয়েছিল, তার প্রতিক্রিয়ায় ১০ দিনের মধ্যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইকের নির্দেশ দেন মোদী। আমাদের সেনারা পাকিস্তানের ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সন্ত্রাসীদের খতম করেছে।


ইসরায়েল   অস্ত্র   স্থগিত   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন