ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউরোপ স্বপ্নের হাতছানি থেকে মৃত্যুযাত্রা!

প্রকাশ: ১০:১০ এএম, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

স্বপ্নের হাতছানিতে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই মৃত্যু হচ্ছে বাংলাদেশের তরুণদের। মৃত্যুর এই যাত্রায় সবশেষ যুক্ত হয়েছে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার কলেজছাত্র তানিল আহমেদের নাম।

গত বছরের ঠিক এই সময়ে লিবিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে তীব্র তুষারপাতের কবলে পড়ে মারা যান বাংলাদেশি ৭ তরুণ।এছাড়া ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। কেন তরুণদের নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না, এই অবৈধ যাত্রা থেকে? কীভাবেই বা কমতে পারে এই মৃত্যুর মিছিল?

দুই বছর আগে বাবা গিয়াস উদ্দিন মারা গেছেন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় ২২ বছরের তরুণ তানিল আহমেদ। সবে ডিগ্রি পাশ করেছেন। কীভাবে সংসার চালাবেন? ভাইবোনকে কীভাবে শিক্ষিত করে গড়ে তুলবেন, এ চিন্তা থেকেই বিদেশে পাড়ি জমানোর সিদ্ধান্ত নেন। তিল তিল করে জমানো ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা তুলে দেন গ্রামের শাহীন মিয়ার হাতে। তাকে তানিলরা চাচা বলেই সম্বোধন করতেন। একদিন মেলে বিদেশ যাওয়ার সুযোগও। উড়াল দেন তানিল। মাত্র সাড়ে তিন মাসের মাথায় এলো তার মৃত্যু সংবাদ।

তানিলরা ৪ ভাই আর ৩ বোন। তানিলের চেয়ে দুই বছরের ছোট জামিল আহমেদ। কেবল এইচএসসি পাশ করেছেন। এখন ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।

জামিল বলেন, ‘ভাই ইরানে যাওয়ার পর কোম্পানি খুঁজে পায়নি। অনিশ্চিত একটা অবস্থার মধ্যে পড়েছিল। সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওরা কয়েকজন মিলে তুরস্ক হয়ে গ্রিসে যাবে। এর মধ্যেই ওর সঙ্গে থাকা মাসুম আহমেদ আমাকে ফোন করে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। ছবিও পাঠিয়েছে। এরপর আর শাহীন চাচা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। ছোট ছোট দুই ভাই আর তিন বোনকে নিয়ে আমি কীভাবে চলবো? ভেবেছিলাম ভাই টাকা পাঠালে ডিগ্রি ভর্তি হবো। এখন তো আর সেটাও হবে না।পাড়ার কোণায় আমাদের একটা টং দোকান আছে। এখন আমাকে সেটাই দেখতে হবে। খুবই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছি আমরা।ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শোনার পর মা সেলিনা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ভাই-বোনগুলো শুধুই কাঁদছে।’

তানিলের চাচা নূর মিয়া বলেন, ‘আমরা যেটা জেনেছি, আগে ওকে মারধর করা হয়েছিল। পরে কয়েকজন দালালের মাধ্যমে হেঁটে ইরান থেকে তুরস্ক থেকে গ্রিসে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন তানিল। তখন তীব্র ঠান্ডা ছিল। তুরস্ক সীমান্তের কাছাকাছি একটি পাহাড়ে গিয়ে তানিল ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেখানেই সে মারা যায়। মৃত তানিলের ছবিও ওর সঙ্গে থাকা লোকজন আমাদের পাঠিয়েছে। এখন তানিলের লাশটি আমরা কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনবো সেই চিন্তাই করছি। গ্রামের শাহীন মিয়া ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। লোকের মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তার কাছে আমরা অনুরোধ করেছি, অন্তত লাশটি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে দিক। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছি যাতে তানিলের লাশটি দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেন। তিনি চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।’

স্থানীয় পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন বলেন, ‘তানিলের চাচা আমাকে বিষয়টি বলেছেন। আমি ইউএনও সাহেবকে অনুরোধ করেছি যাতে লাশটি ফেরত আনার ব্যবস্থা করে দেন।’

এভাবে তরুণরা যে অবৈধভাবে ইউরোপে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে যাচ্ছে, আপনারা কি জানেন না? জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের এই এলাকা থেকে ৮-১০ জন করে তরুণ বিদেশে যাচ্ছে। আমরা নানাভাবে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেও পারছি না। দালালদের বিরুদ্ধে কেউ মামলাও করে না। ফলে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছি না। এর বাইরে আমরা কী করবো?’

তানিলের লাশ ফেরত আনার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘ওই ছেলেটির পরিবারের কেউ আমাদের বিষয়টি জানায়নি। স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জেনে আমরা ঢাকায় জানিয়েছি। এখনও তো লাশের অবস্থানই শনাক্ত করা যায়নি। ফলে কীভাবে লাশটি আনা হবে তা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। এর আগে যারা মারা গেছে তাদের লাশও কিন্তু ফেরত আনা যায়নি। তারপরও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো লাশটি আনার জন্য।’

যে শাহীন মিয়ার মাধ্যমে তানিল ইরানে গেছে, সেই শাহীন মিয়ার মোবাইল ফোনটি বন্ধ। কোনোভাবেই তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

গত ৭ মার্চ মানব পাচারকারীদের প্রতারণায় সার্বিয়ার রাস্তায় প্রাণ যায় বাংলাদেশি তরুণ বাদল খন্দকারের (৩০)। বাদল মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার নূর মোহাম্মদের ছেলে। ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে বাদল মেসার্স নূরজাহান রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর সার্বিয়া যান। চুক্তি ছিল সার্বিয়াতে কোম্পানির কাজ দেবে। বাদল সেখানে গিয়ে ২৫ দিন কাজও করেছে। এরপর কোম্পানি বন্ধ হয়ে যায়। হতাশায় দিন কাটে বাদলের। বাঁচার তাগিদে বাদল সার্বিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশ্য রওনা দেন। তীব্র ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পথেই মৃত্যু হয় বাদল খন্দকারের।

জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে যাওয়ার কারণে বাদলের লাশ সরকারি উদ্যোগেই দেশে এসেছে। বাদলের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার বলেন, ‘আমি মামলা করেছিলাম। সেই মামলায় নূরজাহান এজেন্সির মালিককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তারা তিন লাখ টাকা দেওয়ার শর্তে সমঝোতা করেছিল। এক লাখ টাকা দিয়েছে। আর মামলা নিষ্পত্তি হলে দুই লাখ টাকা দেবে। এছাড়া সরকারের তরফ থেকে তিন লাখ টাকা পেয়েছি। এক ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে কষ্টেই দিন চলছে।’

শাহনাজ জানান, একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেছেন, শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে সাভারে বাবার বাড়িয়ে থাকছেন বাচ্চা দু’টিকে মানুষ করার জন্য।

বাদলের লাশ দেশে ফিরলেও গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক সীমান্তে মারা যাওয়া নজরুল ইসলাম শাহীনের লাশ দেশে আসেনি। স্বপ্নের হাতছানিতে অবৈধভাবে ইউরোপ প্রবেশ করতে গিয়ে ২৮ বছরের তরুণ শাহীনের মৃত্যু হয়েছে। তুরস্ক সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গ্রিসে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন শাহীন। তার বাড়ি ফেনীতে। তিনি ওমান থেকে তুরস্ক হয়ে ইউরোপ প্রবেশ করতে গিয়ে তীব্র তুষারপাতের কবলে পড়ে মারা যান। তিনি ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বারাহীপুর এলাকার মাস্টারবাড়ির মিজানুর রহমানের ছেলে।

ফেনীর শহীদ মেজর সালাহ উদ্দিন মমতাজ বীর উত্তম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পাস করেন। ২০১৯ সালে জীবিকার তাগিদে তিনি দেশ ছেড়ে ওমান যান। দুই বছর ওমানে থাকার পর তিনি গত বছর তুরস্কে যান। সেখান থেকে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেন। গ্রিসে প্রবেশের সময় তুষারপাতের কবলে পড়েন। তীব্র শীত ও খোলা আকাশের নিচে টানা দীর্ঘসময় থাকার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, ‘এই ধরনের অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে হলে শুধু একটা রাষ্ট্রের উদ্যোগ নিলেই হবে না।এটা একটা আন্তর্জাতিক ব্যাপার। যৌথ প্রচেষ্টা দরকার। আমাদের সরকার চাইলে কিছু উদ্যোগ নিতে পারে। এরা তো অনেকেই এয়ারপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের ইমিগ্রেশন পুলিশ আছে। যাদের দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণ আছে, তারা তো কারো সঙ্গে দুই মিনিট কথা বললেই বুঝতে পারবে। হ্যাঁ, তার যদি বৈধ কোনও ভিসা থাকে সেটার পরও তো তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করা যেতে পারে। এখানে সরকারি পর্যায় থেকে এদের সচেতন করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।’

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, এই অবৈধ চেষ্টা বন্ধে আমাদের দু’টি জিনিস দেখতে হবে। এই যে ছেলেগুলো যায় তারা তো এই রাস্তা বের করতে পারে না। কতগুলো দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগী তাদের এই রাস্তায় নিয়ে যায়। এই দালালদের বিরুদ্ধে কি আমরা কখনও কোনো ব্যবস্থা নিয়েছি? একজনকেও শাস্তির আওতায় আনতে পেরেছি? না। তাদের শাস্তির আওতায় আনার দায়িত্ব কার? রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র তো সেটা করছে না। তাহলে অন্যরা এটা দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন। ওদেরও শাস্তি হয়নি, আমারও হবে না।

‘আর দ্বিতীয় ব্যর্থতা হলো, রাষ্ট্রের ভূমিকা দেখে মনে হয়, যাচ্ছে তো যাক না। তবুও তো যাচ্ছে। যেতে থাকুক। যত যায় ততই ভালো। তারা গিয়ে কী বিপদে পড়লো সেটা নিয়ে রাষ্ট্র অতটা চিন্তিত না। পরে দেখা গেছে, ইউরোপের সঙ্গে চুক্তি করেও আমরা অবৈধদের ফেরত আনতে গড়িমসি করেছি। পরে কিছু একটা করায় বাজে রকমের যে নিষেধাজ্ঞা আসার সম্ভাবনা ছিল সেটা আর হয়নি। আসলে তো এই পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া উচিত ছিল না।’

গত বছরের ঠিক এই সময় ২৫ জানুয়ারি লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে সাত বাংলাদেশি তরুণ প্রাণ হারান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে তখন বলা হয়েছিল, অবৈধভাবে তারা নৌকাযোগে লিবিয়া থেকে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। ঠান্ডায় তারা প্রাণ হারিয়েছেন। পরে এক বিবৃতিতে ইতালির আগ্রিজেন্তোর প্রসিকিউটর লুইগি প্যাত্রোনাজিও বলেন, ঠান্ডায় শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে আসায় ওই বাংলাদেশিরা প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের কারো লাশ তখন দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হয়নি।

ব্র্যাকের অভিভাসন বিভাগের প্রধান শরীফুল হাসান বলেন, ‘আমাদের দেশের ৮ থেকে ১০ জেলার মানুষের কাছে ইউরোপে যাওয়া স্বপ্নযাত্রা। আমরা এটাকে বলি মৃত্যুযাত্রা। এভাবে যেতে গিয়ে কত মানুষ মারা গেছেন, কত মানুষ বন্দি হয়েছেন সেটার তো শেষ নেই। গত একযুগে যে পরিসংখ্যান আমরা ইউরোপের কাছ থেকে পেয়েছি, তাতেই দেখা যাচ্ছে, ৬৫ হাজার মানুষ ইউরোপে ঢুকতে গিয়ে চিহ্নিত হয়েছেন বা আটক হয়েছেন। এখানে তো বছরের পর বছর পাচারকারী চক্র গড়ে উঠেছে। সবগুলো আইন শৃঙ্খলারক্ষাবাহিনী তো এটা নিয়ে কাজ করে। কিন্তু সমন্বিত কোনও অভিযান, সেটা বছরজুড়ে হচ্ছে না। পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। সবাই মিলে চেষ্টা করলেই এই মৃত্যুযাত্রা থামানো সম্ভব।’



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হজ ভিসা নিয়ে সৌদি আরবের নতুন নিয়ম জারি

প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

হজ ভিসা নিয়ে নতুন নিয়ম চালু করেছে সৌদি আরব। এই ভিসা দিয়ে শুধু জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণ করা যাবে। এর বাইরে অন্যকোনো স্থানে ভ্রমণ করা যাবে না। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এমন তথ্য জানিয়েছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, হজ ভিসা দিয়ে ২০২৪ সালে হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জেদ্দা, মদিনা ও মক্কা শহরে ভ্রমণ করতে পারবেন।

হজ ভিসা শুধু হজ মৌসুমের জন্যই বৈধ। এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসা নেওয়া ব্যক্তিদের ওমরাহ পালন বা যেকোনো ধরনের আর্থিক বা অবৈতনিক কাজের ব্যাপারে নতুন নিয়মে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

দেশটিতে কাজ করা, বসবাস বা নির্ধারিত শহরের বাইরে ভ্রমণের জন্য হজ ভিসা অবৈধ। কেউ এই বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে তাকে ভবিষ্যতে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়াও অভিযুক্তকে দেশ থেকেও বেরও করে দেওয়া হতে পারে।

এর আগে শনিবার (৪ মে) পবিত্র হজ সামনে রেখে অনুমতি ছাড়া মক্কায় জনসাধারণের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। ওইদিন থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর করা হয়।

সৌদি আরবের জননিরাপত্তা বিভাগ জানায়, মূলত পবিত্র হজে সারাবিশ্ব থেকে আগত বিপুল সংখ্যক হজযাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে মক্কায় প্রবেশের জন্য অবশ্যই অনুমতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। এমনকি সৌদি নাগরিকদেরও।

হজ   ভিসা   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাত পোহালেই তৃতীয় দফায় লোকসভা নির্বাচন শুরু

প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের সাত দফার ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের দুই দফার ভোটগ্রহণ শেষ। প্রথম দফায় গত ১৯ এপ্রিল ১০২ কেন্দ্রে এবং দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৮ কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ৭ মে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ। এই দফায় ভোট নেওয়া হবে ১০ টি রাজ্য ও ১ টি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩ টি কেন্দ্রে। মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি।  

ভোটকেন্দ্রগুলো হলো- গুজরাট (২৫), কর্ণাটক (১৪), মহারাষ্ট্র (১১), উত্তর প্রদেশ (১০), মধ্যপ্রদেশ (৯), ছত্রিশগড় (৭), বিহার (৫), অসম (৪), পশ্চিমবঙ্গ (৪), গোয়া (২), দাদরা এবং নগর হাভেলি, দমন এবং ডিউ (২)। 

পশ্চিমবঙ্গে যে চারটি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে সেগুলি হল- মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ। এই চার কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫১ জন। ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৫৭ জন প্রার্থীর। সব মিলিয়ে ৭,৩৬০ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে ৩৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি ১০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। 

মুর্শিদাবাদ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী আবু তাহের খান, বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং সিপিআইএম প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম। মালদা উত্তর আসনে তৃণমূল প্রার্থী সাবেক আইপিএস কর্মকর্তা প্রসূন ব্যানার্জি, বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু, কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম। মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূলের শাহনাজ আলী রায়হান, বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরী। জঙ্গিপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান, বিজেপির ধনঞ্জয় ঘোষ, কংগ্রেসের প্রার্থী মোরতাজা হোসেন। 

এদফায় গোটা দেশ জুড়ে ১,৩৫১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির অমিত শাহ (গান্ধীনগর)। দ্বিতীয়বারের জন্য এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়ছেন তিনি। এই কেন্দ্রে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের সোনাল প্যাটেল। ১৯৮৯ সাল থেকেই এই কেন্দ্রটিতে অপরাজিত রয়েছে বিজেপির প্রার্থীরা। গত ২০১৯ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের সি যে চাভডা'কে ৫.৫ লাখের বেশি ভোটে পরাজিত করেছিলেন অমিত শাহ। 

বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (গুনা), মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান (বিদিশা), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি (ধারওয়ার), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্য (পোড়বন্দর), বিজেপি প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি পল্লবী ডেম্পো (সাউথ গোয়া), উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের স্ত্রী সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী ডিম্পল যাদব (মইনপুরী), মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস প্রার্থী দ্বিগবিজয় সিং (রাজগড়), 'অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট' (AIUDF) প্রেসিডেন্ট সভাপতি বদরুদ্দীন আজমল (ধুবরী), 'ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি'র (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী) প্রার্থী সুপ্রিয়া সুলে (বারামতী), এই কেন্দ্রেই সুপ্রিয়ার প্রধান প্রতিপক্ষ (ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি'র অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী) সুনেত্রা পাওয়ার, যিনি সম্পর্কে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের স্ত্রী। 

উল্লেখ্য, মোট সাত দফায় লোকসভার নির্বাচন নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম তিন দফার ভোটের পরই দেশটির ৫৪৩ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৮৩ আসনে ভোট নেওয়া সম্পন্ন হবে। বাকি থাকবে আরো চার দফা। পরবর্তী ধাপ গুলি হল যথাক্রমে চতুর্থ দফা আগামী ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট ১ জুন। গণনা আগামী ৪ জুন।


লোকসভা নির্বাচন   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ দাবানল ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ দাবানলে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালের পর থেকে দাবানলে এই প্রথম পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। 

এর আগে ২০২১ সালে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল জঙ্গলে। তখন প্রায় ৩৯৪৩ হেক্টর জঙ্গল পুড়ে যায়।  

এদিকে, ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ৫৭০২টি ফরেস্ট ফায়ার হয়েছে। কুমায়ুন ও গাড়োয়াল এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে এই দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। তবে মূলত মধ্য় হিমালয়ের বিভিন্ন এলাকায় এই দাবানলের ঘটনা হয়। হিমালয়ের উঁচু অংশে এটা অতি ঠাণ্ডার কারণে হতে পারে না। 


ভারত   উত্তরাখণ্ড   দাবানল   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল, উত্তপ্ত আমেরিকাও

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়েও হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থামাতে রাজি নয় ইজ়রায়েল। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, হামাসসহ গাজাকে ধূলিসাৎ না করা পর্যন্ত এই লড়াইয়ের শেষ নেই। ঘরেবাইরে বিক্ষোভ-আন্দোলনের মুখেও নিজেদের অবস্থানে অনড় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। রাগে ফুঁসছে তাঁর দেশের মানুষ। তেল আভিভের ডেমোক্র্যাসি স্কোয়ারের সামনে আজ জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। তাদের দাবি, হামাসের ডেরা থেকে ইজ়রায়েলি বন্দিদের মুক্তি চাই। সরকার বদল চাই।

পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়েও গাজায় হামলা থামাতে রাজি নয় ইসরায়েল। হামাসসহ গাজাকে ধূলিসাৎ না করা পর্যন্ত হামলা থামাবে না বলে জানিয়েছে তারা। যুদ্ধ থামাতে খোদ ইসরায়েলের ভেতরেই বিক্ষোভ-আন্দোলনের মুখে পড়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে তারা।

সোমবারও (৬ এপ্রিল) তেল আবিবের ডেমোক্র্যাসি স্কোয়ারের সামনে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছে, 'হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি চাই। সরকার বদল চাই।'

এক সপ্তাহ ধরে নেতানিয়াহুবিরোধী আন্দোলন চলছে যুক্তরাষ্ট্রেও। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি, বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকাজুড়ে। হাজারো নিষেধাজ্ঞা, গ্রেপ্তারের ভয় উপেক্ষা করে আজও পথে নেমেছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে হবে এবং ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে হবে।

সোমবার ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় পুলিশের। বিক্ষোভ থামাতে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ২০ দিনে আমেরিকাজুড়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে কমপক্ষে ২ হাজার ৪শ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।

তেল আবিবের চিত্র ভিন্ন। সেখানে নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা ছাড়ার স্লোগান দিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর 'চেঞ্জ জেনারেশন' নামে একটি সংস্থা তৈরি হয়েছে ইসরায়েলে। তাদের নেতৃত্বেই আজ পথে নামে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্ত করে আনতে হবে এবং নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।

বিক্ষোভকারীদের আটকাতে আজ পুলিশ তেল আবিবের দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেগিন স্ট্রিট ও কাপলান স্ট্রিটের কিছুটা অংশ বন্ধ করে দেয়। আয়ালন ফ্রিওয়েতে বের হওয়ার পথও আটকে দেয় পুলিশ। তবে তাতেও বিক্ষোভ আটকানো যায়নি।

সোমবারের বিক্ষোভে হামাসের হাতে বন্দিদের পরিবারের পাশাপাশি যুদ্ধে নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্তরাও অংশ নিয়েছেন। তারা চলমান পরিস্থিতির জন্য নেতানিয়াহুকেই দায়ী করছেন। গাজায় এতদিন ধরে হামলা চালিয়েও হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের উদ্ধার করতে না পারাকে ইসরায়েল সেনাদের ব্যর্থতা মনে করেন তারা।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা যুদ্ধ থামানোর দাবি জানিয়েছেন এবং চুক্তির মাধ্যমে হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের ফিরিয়ে আনার পক্ষে তাদের অবস্থান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে নেতানিয়াহু সরকারকে উচ্ছেদ দাবি করেছেন তারা।

সোমবার হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য কায়রোতে নতুন করে আলোচনায় বসছে। তবে ফিলিস্তিানদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে তারা কোনো প্রস্তাবে রাজি হবে না। তবে হামাসের হাতে থাকা সব বন্দিকে মুক্তি দিলেও ইসরায়েল গাজায় সম্পূর্ণভাবে হামলা বন্ধে রাজি নয়।


বিক্ষোভ   ইসরায়েল   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কংগ্রেসের সময় বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা এসে বোমা হামলা করতো: অমিত

প্রকাশ: ০৭:৩৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

কেন্দ্রে ১০ বছর ধরে মমতা ব্যানার্জীর সহযোগিতায় কংগ্ৰেসের সরকার চলেছিল। সেসময় প্রত্যেক দিন বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা এসে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতো বলে জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

মঙ্গলবার (৭ মে) পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় দফার নির্বাচন। এরই মধ্যে এ দফার প্রচারনা পর্ব শেষ হয়েছে। ১৩ মে চতুর্থ দফায় বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর, বীরভূম আসনে ভোট। 

চতুর্থ দফার নির্বাচনে প্রচারনায় বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপির প্রার্থী দীলিপ ঘোষের সমর্থনে সোমবার (৬ মে) তিলক ময়দানে জনসভা করেন অমিত শাহ। সেই জনসভা থেকে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

এদিনের জনসভা থেকে কড়া ভাষায় কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন অমিত শাহ। বক্তব্যের শুরুতেই জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ও বিরোধীদলীয় জোট 'ইন্ডিয়া'র সভাপতি মল্লিকা অর্জুন খাড়গেকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,কাশ্মীর আমাদের না অন্য কারোও? মল্লিকা অর্জুন খাড়গে বলেন, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের কাশ্মীরের সঙ্গে কী সম্পর্ক আছে।

'আমি বলছি, খাড়গে বাবু, আপনার বয়স ৮০ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু আপনি এখনো বাংলাকে জানতে পারেননি, চিনতে পারেননি। বাংলা ও দুর্গাপুরের সবাই কাশ্মীরের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করতে পারে। বামফ্রন্ট, তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস- এরা সবাই ৭০ বছর ধরে ধারা ৩৭০ সামলে রেখেছে। তাদের জন্যই কাশ্মীর থেকে পুরো দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।'

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়ে নরেন্দ্র মোদী ৩৭০ ধারা বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। লোকসভায় যখন ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, তখন রাহুল গান্ধী দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এই ধারা বাতিল করা যাবে না। আমরা যখন বললাম, কেন যাবে না? রাহুল গান্ধী উত্তরে বললেন, ধারা ৩৭০ উঠিয়ে দিলে, কাশ্মিরে রক্তের নদী বয়ে যাবে। পাঁচ বছর হয়ে গেলো, রক্তের নদী তো দূরের কথা; একটা নুড়িপাথরও নড়লো না। নরেন্দ্র মোদী দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ খতম করেছেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে আক্রমণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১০ বছর ধরে দিদির সহযোগিতায় কংগ্ৰেসের সরকার চলেছিল। সেসময় প্রত্যেক দিন বাইরে থেকে সন্ত্রাসী ঢুকে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতো। কিন্তু তারা নিজেদের ভোটব্যাংকের কারণে কিছু বলতো না। উরি ও পুলবামায় যে হামলা হয়েছিল, তার প্রতিক্রিয়ায় ১০ দিনের মধ্যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও এয়ার স্ট্রাইকের নির্দেশ দেন মোদী। আমাদের সেনারা পাকিস্তানের ঘরে ঘরে প্রবেশ করে সন্ত্রাসীদের খতম করেছে।


ইসরায়েল   অস্ত্র   স্থগিত   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন