ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

একটি রাষ্ট্র কি কখনো দেউলিয়া হতে পারে?

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

‘দেউলিয়াত্ব’ হচ্ছে একটি আইনি প্রক্রিয়া যা একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি তার ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম হলে ঘোষিত হয়। সাধারণত, দেউলিয়াত্ব একটি ব্যবসায় বা ব্যক্তিকে পূর্ব ঋণ মওকুফ করে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করার সুযোগ দেয়। এই প্রক্রিয়া একটি আবেদনের মাধ্যমে শুরু হয় যা পাওনাদার বা দেনাদার দায়ের করে। এই প্রক্রিয়ায় বকেয়া ঋণ পরিশোধে কী সাহায্য করতে পারে তা নির্ধারণ করার জন্য দেনাদারের সমস্ত সম্পদ মূল্যায়ন করা হয়। সম্প্রতি চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে লেবনন ও শ্রীলঙ্কা। আর্থিক অচলাবস্থায় মরিয়া হয়য়ে আছে পাকিস্তান। বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও উন্নত দেশ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় চরম বিপাকে পড়েছে তারা।

একটি দেশ কি কখনো দেউলিয়া হতে পারে?

ব্যক্তি অথবা করপোরেট ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের মতো একটি রাষ্ট্রও দেউলিয়া হতে পারে ও হয়। একটি রাষ্ট্র তখনই দেউলিয়া হয় যখন তার সরকার নির্ধারিত সময়ে ঋণ ও অন্যান্য প্রদেয় বিল পরিশোধে ব্যর্থ হয়; তবে অর্থনীতিবিদদের দাবি,  যদি কোনো দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে বলা হয়, তাহলে সেটি ভুল বলা হবে। যখন কোনো দেশ ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তখন তারা দেউলিয়া হয়ে যায় না; বরং তারা ঋণখেলাপি হয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- খেলাপি হয় সরকার, রাষ্ট্র নয়। আর কোনো রাষ্ট্র যদি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে তবে রাষ্ট্রের কোনো সম্পত্তি নিলামে ওঠে না।

রাষ্ট্রের ঋণ খেলাপি হওয়াকে বিরল ঘটনা মনে করা হলেও, জাতীয় ইতিহাসে প্রায় সব দেশই কোনো না কোনো সময় খেলাপি হয়েছে বা তাদের ঋণ পুনর্গঠনে বাধ্য হয়েছে।  প্রথম উন্নত দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ১৮০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়েছিল গ্রীস। ১৮২৯ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দেশটি অর্ধেকের বেশি সময় ঋণ খেলাপির তালিকায় রয়েছে।  সবচেয়ে বেশিবার খেলাপি হয়েছে স্পেন। ১৮ ও ১৯ শতকের মাঝামাঝি স্পেনীয় সরকার ১৫ বার ঋণ শোধে ব্যর্থ হয়। 

একটি দেশ  কি কি কারণে দেউলিয়া হতে পারে?

দেনা পরিশোধে কোনো দেশের অক্ষমতা বা অপারগত খেলাপি সৃষ্টি করে। যেমন কোনো দেশের ক্ষমতা পরিবর্তন হওয়ার পর, নতুন দলের সরকার ক্ষমতায় এসে সাবেক সরকারের করা ঋণ পরিশোধে প্রায়ই খেলাপি করে এমন নজির রয়েছে। দেশের অনেক সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তারল্য সঙ্কটের কারণে কোনো দেশ দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। রাষ্ট্রীয় দেউলিয়াত্বের আরেক কারণ হতে পারে, অসচ্ছলতা। এ ছাড়া আরো কিছু কারণে একটি দেশ দেউলিয়া হতে পারে। যেমন- ঋণের পরিমাণ বাড়তে থাকা, ঋণ পরিশোধে খরচ সাশ্রয়ের পদক্ষেপ না নেয়া, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারের কর্তৃত্ব বৃদ্ধি ইত্যাদি।

একটি দেশ কীভাবে দেউলিয়া হয়?

সাধারণত আদর্শ বিশ্বে, সরকারগুলো তাদের কর আর বিনিয়োগ থেকে যা আয় করে, তাই তারা ব্যয় আর দায় মেটাতে খরচ করে। আবার যখন আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়ে গেছে ধার করতে হয়; সরকারও ঠিক তাই করে।সরকারি ব্যয় লাগামছাড়া হলে তখন সরকারকে আরো ঋণ নিতে হয়। ঋণ পেতে বন্ড ইস্যু করে সরকার। বন্ডের মেয়াদ পূর্ণ হলে এর সুদ ও আসল পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।  

একটি দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উভয় উৎস থেকে নেওয়া ঋণ মিলে হয়- জাতীয় দেনা। একে সচরাচর সার্বভৌম দেনাও বলা হয়। সরকারের ইস্যু করা বন্ডের মাধ্যমে বেশিরভাগ বাহ্যিক ঋণ বৈদেশিক মুদ্রায় নেওয়া হয়। অন্যদিকে, অভ্যন্তরীণ ঋণ সরকার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নেয় বা জনগণের মধ্যে ঋণপত্র ইস্যুর মাধ্যমেও নিতে পারে।  

সরকারের বাজেট বরাদ্দ থেকে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করার ব্যবস্থা থাকে। এজন্য অনেক সময় সরকার টাকা বেশি ছাপায় বা করের আওতা বাড়ায়।  তবে বাহ্যিক ঋণ নিয়ে বিপদ হলো, এজন্য বাজেটে অন্যান্য রাজস্ব বৃদ্ধিকারী খাতে বরাদ্দ কমিয়ে সে অর্থ দেনা পরিশোধে রাখতে হয়। এ ঋণ শোধ করতেও হয় বৈদেশিক মুদ্রায়—যার ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। 

কোনো দেশ খেলাপি হলে তারপর কী হয়?

ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঋণ খেলাপি হলে তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ঋণ দাতারা। তবে কোনো দেশ খেলাপি হলে ঋণদাতা এর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে পারে না অথবা যে পরিমাণ অর্থ ওই দেশের সরকারের কাছে না থাকায় খেলাপি হয়েছে-তা পরিশোধে বাধ্যও করতে পারে না। যদিও উক্ত দেশের বিদেশী সম্পদের ক্ষেত্রে এই নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না।

এই অবস্থায় দেনাগ্রস্ত দেশের জন্য ঋণদাতার  একমাত্র পথ হচ্ছে দেশটির সরকারের সাথে ঋণের শর্ত পুনরায় আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ। আলোচনার ভিত্তিতে সরকার আগে যে বন্ডে ঋণ নেওয়া হয়েছিল সেটি বাতিল করে ঋণদাতার প্রতি নতুন বন্ড ইস্যু করতে পারে, তবে নতুন বন্ডের মূল্য পুরোনোটির চেয়ে কম হয়। 

খেলাপি হওয়ার ক্ষতিকর পরিণতি

মোট ঋণের বড় অংশ পরিশোধে কোনো দেশের সরকার ব্যর্থ হলে বা ঋণ পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিলে- তাতে ঋণদাতার আসল ও সুদের ক্ষতি হয়। বিদেশি বেসরকারি ঋণদাতাদের পক্ষ থেকে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ কম থাকায় কোনো সরকার তাদের দেনা অবলোপন বা বাতিল করার সিদ্ধান্তও নিতে পারে।

তবে সরকার খেলাপি করলে তাতে মূল্যস্ফীতি চরম রূপ নেয়, বাড়ে বেকারত্ব এবং রাজনৈতিক চাপও মোকাবিলা করতে হয়। এভাবে সংকট ঘনীভূত হতেই থাকে। 

স্থানীয় ব্যাংকিং খাতে ঋণ বেশি হলে আর্থিক ব্যবস্থার ওপর মানুষ আস্থা হারায়। তখন আমানতকারীদের মধ্যে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়, যাকে বলা হয় 'ব্যাংক রান'। এই বিপত্তি এড়াতে পুঁজি উত্তোলনের সীমা আরোপ করা হয়। এর মাধ্যমে আমানত কতখানি উত্তোলন করা যাবে- তা সরকার নির্ধারণ করে দেয়।

তবে অর্থাভাবে কোনো দেশের ভোক্তাদের মধ্যে পণ্য ও সেবার চাহিদা কমতে থাকলে, বৈদেশিক বাজার দেশটির মুদ্রার ওপর আস্থা হারাতে শুরু করে। এতে যে স্থানীয় মুদ্রা মান হারানোয় যে সার্বভৌম দেনা সংকট দেখা দেয় তা গভীর অর্থনৈতিক সংকটে রূপ নিতে পারে। 

দেনাগ্রস্ত দেশের বৈদেশিক বাজার থেকে ঋণ গ্রহণের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়া আরেকটি বড় ক্ষতি। এসময় কেউ ঋণ দিলেও, তা দেয় অনেক চড়া সুদ ও অন্যান্য কঠিন শর্তের ভিত্তিতে। অনেক সময় কঠিন শর্ত মানতে রাজি হলেও ঋণ মেলে না। এতে ওই দেশের ক্রেডিট রেটিংসও নেতিবাচকভাবে মূল্যায়িত হয়। ফলে সেদেশে বিদেশি বিনিয়োগও কমতে থাকে। 

দেউলিয়া হলে করণীয় কী?

কোনো একটি দেশে দেউলিয়া হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থা (আইএমএফ) এর দ্বারস্থ হতে পারে। এছাড়া আরও অন্য উৎস থেকেও ঋণ বা সাহায্য চাইতে পারে। তারা শর্ত দেয় যে, অবস্থার উন্নতি হলে এসব অর্থ সুদসহ ফিরিয়ে দেয়া হবে। আইএমএফ অর্থের পাশাপাশি তা খরচ করার জন্য নির্দিষ্ট খাত ও কারিগরি সহায়তাও দিয়ে থাকে। তবে এর বিপরীতে খরচ কমানো, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বাণিজ্য উন্মুক্তকরণের মতো শর্ত মানতে হয় দেশটিকে। 

অনেক সময় দেউলিয়া হওয়া দেশ তার দেশের কোনো সম্পদ যেমন সেতু, বন্দর বা এমন কিছু ঋণদাতাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দিয়ে দেয়। যার মাধ্যমে তারা আয় করে ঋণ শোধ করে নিতে পারে। অথবা দেশের ভেতরে নির্দিষ্ট পরিমাণ জমিও বিক্রি করে দিতে পারে সরকার। 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচনে ভোটের হার কেন এত কম?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ হচ্ছে না। কম ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপির নেতারা।   

দেশটিতে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য। অথচ অধিকাংশ ভোটারদেরই কোনো আগ্রহ নেই নির্বাচন নিয়ে। কিন্তু কেন নির্বাচন নিয়ে দিন দিন এত অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন ভারতের ভোটাররা? বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশেই কেন ভোট নিয়ে এত অনীহা জনগণের মাঝে?

টানা ৭৫ বছর ধরে গণতান্ত্রিক শাসনে থাকা দেশটিতে এবারের নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিল মাত্র ৬৪ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার ছিল ৬৩ শতাংশ। যা আগের বছরের নির্বাচন গুলোর তুলনায় অনেক কম। 

নির্বাচন কমিশন দাবি করছে, অসময়ের গরম আবহাওয়া এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হচ্ছে। অবশ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যু নেই মোদির কাছে। তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভোটাররা আত্মতুষ্টি বা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে কেন্দ্রে আসছেন না। ফলে ভোটার সংখ্যা কম। 

দ্বিতীয় ধাপে দেশটির ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর উত্তরবঙ্গের তিনটি আসন দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটের ভোটের হার দেখা গেছে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বালুরঘাটে ভোটদানের হার ছিল ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। অথচ ২০১৯ সালে বালুরঘাটে ভোট পড়েছিল ৮৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশের মতো, যা প্রথম দফার ভোটের চেয়েও ৬ শতাংশ কম। বিহারেও ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে আরও কম, সাড়ে ৫৪ শতাংশের মতো। মধ্যপ্রদেশে সামান্য বেশি, সাড়ে ৫৭ শতাংশ। ফলে কম ভোটের এই হার সকল মহলকে কিছু হলেও উদ্বিগ্ন করছে। 

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের দিখৌলী নামের একটি গ্রামে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ভোটদানে উৎসাহ নেই বেশির ভাগ গ্রামের মানুষের। অনেকেই আবার কৃষিকাজে ব্যস্ত।

ভারতের বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, নরেন্দ্র মোদি টানা ১০ বছর ধরে ভারত শাসন করছেন। এবারের নির্বাচনে আবারও তিনিই জয়লাভ করবেন এবং তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করবেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনের ব্যাপারে জনগণের একটি বড় অংশ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যুও সামনে আনতে পারেননি এনডিএ বা ইন্ডিয়া জোটের কেউই। তাছাড়া এবারের লোকসভা নির্বাচনে আবহাওয়া একটা বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তীব্র গরমের কারণে অনেক ভোটার ভোট দিতে বের হচ্ছেন না। ফলে সব কিছু মিলিয়ে এবার উল্লেখযোগ্য হারে নির্বাচনে ভোটের হার কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করছেন ভারতের নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা।

ভারতের নির্বাচন   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত সফর স্থগিতের পর চীনে গেলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক ভারতে তার নির্ধারিত সফর স্থগিত করেন এবং এই সফর স্থগিতের কয়েকদিন পরই হঠাৎ করে চীন সফরে গেছেন তিনি। 

রোববার(২৮ এপ্রিল) টেসলার একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে অনেকটা আকস্মিকভাবেই রোববার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন তিনি। টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চীন সফরের বিষয়ে অবগত দুই ব্যক্তি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।  

২১ এপ্রিল ভারত সফরে যাবার কথা ছিল ইলন মাস্কের। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার বৈঠক ও ভারতে টেসলার বিনিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করার কথা ছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে এক্সে দেওয়া বার্তায় টেসলার এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত টেসলায় ব্যাপক কাজ জমে যাওয়ায় ভারত সফর পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে আমি চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত মুখিয়ে আছি।' 

টেসলার সিইওর ভারত সফর স্থগিতের এক সপ্তাহ পর চীন সফরের তথ্য এলো। চীনে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টেসলার স্বচালিত (এফএসডি) বৈদ্যুতিক গাড়ির যাত্রা শুরুর বিষয়ে আলোচনার জন্য বেইজিংয়ে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন। স্বচালিত ড্রাইভিং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অ্যালগরিদম প্রশিক্ষণে চীনে সংগৃহীত ডাটা বিদেশে স্থানান্তর করার অনুমতির বিষয়েও চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মাস্ক বলেছেন, চীনে শিগগিরই ব্যবহারকারীদের জন্য এফএসডির সরবরাহ শুরু করবে টেসলা। রয়টার্স বলছে, ২০২১ সাল থেকে চীনা নিয়ন্ত্রকদের শর্ত অনুযায়ী সাংহাইতে টেসলার চীনা বহরের সংগৃহীত সব ডাটা সংরক্ষণ করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা স্থানান্তর করেনি।


ভারত   সফর   স্থগিত   চীন   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। আর সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বাত্মক কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। 

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে আইসিসি।

নিউজ সাইট ওয়ালায় বিশ্লেষক বেন কাসপিট লিখেছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে হেগের বিশ্ব আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কায় ‘অস্বাভাবিক চাপে’ রয়েছেন। নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অর্থ হল- ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সুনামে বড় ধরনের আঘাত।

কাসপিট লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধে নেতানিহুয়া ‘বিরতিহীনভাবে টেলিফোনে চেষ্টা করে’ যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের বিশ্লেষক অ্যামোস হারেল লিখেছেন, ইসরায়েলি সরকার এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে যে আইসিসির প্রসিকিউটর করির খান চলতি সপ্তাহেই নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

হারেল জানিয়ছেন, আমেরিকা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আইসিসির রোম চুক্তিতে ১২৪টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাতে স্বাক্ষর করেনি। যুদ্ধের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারি বিবৃতিতে দাবি বলা হয়েছে, আইসিসির আসন্ন সিদ্ধান্ত ‘বিপজ্জনক নজির’ সৃষ্টি করতে পারে।


গ্রেফতার   নেতানিয়াহু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গরমে ট্রাফিক পুলিশকে স্বস্তিতে রাখতে ‘এসি হেলমেট’

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমে টানা রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। সড়কে দায়িত্বরত পুলিশদের কিছুটা শীতল ও স্বস্তিতে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের লখনৌর ট্রাফিক বিভাগ। ‘ঠান্ডা উদ্যোগ’ নামে পরিচিত এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেশকিছু ‘এসি হেলমেট’ উন্মোচন করা হয়েছে। লখনৌতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক পর্বের অংশ হিসেবে চারটি এসি হেলমেট চালু করা হয়। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) হজরতগঞ্জের অটল চক মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মীদের এসব হেলমেট দেয়া হয়। 

এই হেলমেটগুলোতে একটি স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ঢালসহ মাথায় শীতলতা নিশ্চিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসি ভেন্ট রয়েছে। চোখকে সূর্যের প্রখর আলো ও উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে এটি গগলস হিসেবে কাজ করে। হেলমেটটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কোমরে বাঁধা একটি বড় ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে এলে উপরে থাকা একটি লাল আলো সতর্ক বার্তা দেবে।

এ বিষয়ে লাখনৌ পুলিশের এডিসিপি অজয় কুমার সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘এই প্রকল্প সফল হলে হায়দরাবাদভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে পাঁচশ এমন এসি হেলমেট প্রস্তুতের দায়িত্ব দেয়া হবে। এই হেলমেটের ওজন সাধারণ হেলমেটের প্রায় অর্ধেক এবং আমাদের ট্র্যাফিক পুলিশ এটি ব্যবহার ও পরিধানে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।’


ট্রাফিক   পুলিশ   প্রকল্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের পর এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে না পারা, হামাসের হাত থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধার করতে না পারা, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করতে পারেন সামরিক বাহিনীর প্রধান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে ইসরায়েলজুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান   হামাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন