ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গণতন্ত্রের পুনরুত্থান হচ্ছে এশিয়ায়?

প্রকাশ: ১২:৩৫ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

এশিয়ায় গণতন্ত্রের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেছিল সম্ভবত ১৯৮০ এবং ১৯৯০’র দশকে। ওই সময় তাইওয়ান, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়ায় একনায়কতন্ত্রের পতন ঘটেছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এশিয়ার গণতন্ত্র আবারও পিছিয়ে পড়েছে।

ফিলিপাইনের কথাই ধরুন। গত বছর পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে দেশটির বিচার বিভাগ ও সংবাদমাধ্যমের ওপর ভয়ংকর আক্রমণ চালিয়ে গেছেন। কম্বোডিয়ায় হুন সেন তার বিরোধীদের ধ্বংস করার চেষ্টা করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন এবং মিডিয়ায় সমালোচকদের ভয় দেখাচ্ছেন। ইন্দোনেশিয়ায় প্রেসিডেন্টের অপমান অপরাধ বিবেচনা করা হচ্ছে।

মিয়ানমারে ২০১৫ সালের উৎসবমুখর নির্বাচনে অর্ধশতাব্দীর সামরিক শাসনের অবসান ঘটে। কিন্তু ২০২১ সালে দেশটির জেনারেলরা সহিংস অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফের ক্ষমতা দখল করে এবং অং সান সু চি ও তার সমর্থকদের কারাগারে নিক্ষেপ করে। এরপর থেকে সন্ত্রাসী কায়দায় দেশশাসন করছে সামরিক জান্তা।

কিন্তু, এত কিছুর মধ্যেও এশিয়ায় গণতন্ত্রের আলো ধীরে ধীরে পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, ফিলিপাইনে দুতের্তের উত্তরসূরি তার মতোই সন্দেহজনক ও হুমকিস্বরূপ হবেন। তার ওপর ফার্দিনান্দ ‘বংবং’ মার্কোসের বাবা হচ্ছেন প্রয়াত সেই দুঃশাসক, যাকে ১৯৮৬ সালে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল ফিলিপিনোরা। গত জুনে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন মার্কোস। তিনি এখন সুশাসনের ওপর জোর দিয়েছেন। তার মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্যরা দক্ষ এবং বাস্তববাদী। তাই কাজের পারফরম্যান্স দিয়ে তাকে বিচার করতে অনুরোধ জানিয়েছেন মার্কোস এবং বলতে হচ্ছে, এখন পর্যন্ত হতাশ করেননি তিনি।

গত বছর পর্যন্ত গোতাবায়ার নেতৃত্বাধীন রাজাপাকসে পরিবারের অবিচার-অপশাসনে ঘুরপাঁক খাচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু গত জুলাই মাসে গণবিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া দেশ ছেড়ে পালাতে এবং তার পরিবার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। এটি ছিল শ্রীলঙ্কার পুনরুজ্জীবনে একটি অপরিহার্য শর্ত।

ফিজিতে ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে গত ডিসেম্বরে। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক বাইনিমারামাও অভ্যুত্থানের পরে টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি এবার পুনর্নির্বাচনে জিততে ব্যর্থ হন এবং এ নিয়ে কিছুটা সময় চিন্তাভাবনার পরে সরে দাঁড়াতে রাজি হন।

গত মাসে অনেকটাই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর দেখেছে মালয়েশিয়া। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন সংস্কারপন্থি আনোয়ার ইব্রাহিম।

থাইল্যান্ডে আরেকজন অভ্যুত্থানের নেতা প্রয়ুথ চ্যান-ওচা এবং তার সেনাবাহিনীর বন্ধুরা দৃশ্যত একটি বেসামরিক সরকার পরিচালনা করছেন এবং এ বছরের মধ্যে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা অতটা উজ্জ্বল নয়, যতটা তারা চান। তাদের একটি বিরোধী পক্ষ দ্রুত উঠে আসছে।

যদিও যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে আপাতত খুশি হওয়ার মতো কিছু নেই। তবে বর্বর জেনারেল মিন অং হ্লাইং গণতন্ত্রের উত্থানে একটি শক্তিশালী সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করেছেন। ইরানের মতো মিয়ানমারের তরুণ প্রজন্মও স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিতে ইচ্ছুক প্রমাণ করছে। ফলে আজ হোক বা কাল, মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরবেই।

অবশ্য এটিও বলা উচিত, এশিয়ার বিশাল অংশ এখনো জানেই না গণতন্ত্র কী। লেনিনবাদী একনায়কতন্ত্র টিকে থাকা শেষ চারটি দেশের মধ্যে অন্যতম চীন, লাওস, ভিয়েতনাম। এরপর রয়েছে উত্তর কোরিয়া। তবুও এশিয়ার রাজনৈতিক মেজাজ পরিবর্তিত হয়েছে বলেই মনে হয়।

এ অঞ্চলের আরও অনেক দেশে গণতন্ত্র ফেরার নানা উপায় রয়েছে। ফিজি, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কায় ওয়েস্টমিনিস্টার ধরনের শাসনব্যবস্থা তাদের আরও জবাবদিহিতার দিকে ফেরাতে পারে। ভারত-ইন্দোনেশিয়ায় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের পথ দেখাতে পারে তাদের অবাধ নির্বাচনের ঐতিহ্য।

অন্য যেসব জায়গায় দুর্নীতিবাজ স্বৈরাচারীরা নিজেদের বৈধতা বাড়ানোর জন্য নির্বাচনে কারচুপি করে, তারাও প্রক্রিয়াটির নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। সুতরাং, গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের বীজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এশিয়াজুড়ে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য বন্ধ হচ্ছে ইউরোপের দরজা

প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রস্তাবিত অভিবাসন আইন নিয়ে চার বছর ধরে চলছিল আলোচনা-পর্যালোচনা। শেষে এ আইন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ২৭ দেশের এ জোট। এতে মূলত অনিয়মিত, অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং মানব পাচার রোধে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীরা আগের মতো সুযোগ পাবেন না। সেইসঙ্গে বন্ধ হচ্ছে প্রতারণার মাধ্যমে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগও। এর ফলে বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের আবেদন আর আগের মতো অনির্দিষ্টকাল

ঝুলে থাকবে না, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই।

ইইউর নতুন আইনে সম্প্রতি রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় অভিবাসন নীতির সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন করা হয়েছে। এটি ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। যেখানে আছে ১০টি ধারা। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিউনিসিয়া, মরক্কো ও বাংলাদেশের মতো দেশের রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীদের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যাবে, যাদের দ্রুত বন্দি ক্যাম্পে পাঠানো হবে। এসব বন্দি ক্যাম্প করা হবে সীমান্ত, স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর এলাকায়। সেখান থেকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হবে। এসব বন্দিশিবির নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তারা বলছেন, এসব বন্দিশিবিরে পদ্ধতিগত বন্দিত্ব ও মানবাধিকারের অবমূল্যায়নের আশঙ্কা রয়েছে। ইউরোপীয় নেতাদের ভাষ্য, নতুন নিয়মে যেমন অবৈধ অভিবাসন কমবে, তেমনি সুগম হবে দক্ষ শ্রমিকের পথও। বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের জন্য, বিশেষ করে দক্ষ এবং মেধাবীদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে। এখন অভিবাসনের জন্য তারা বৈধ উপায়ে আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি ভালো পেশা, উন্নত জীবনমানও নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে সরকারের মানব পাচার রোধের যে চেষ্টা রয়েছে, সেটিও এগিয়ে নেওয়া সহজ হবে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেটসোলা এ চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, অবশেষে ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশী ও অভিবাসী ব্যবস্থাপনায় আইনি কাঠামো দাঁড় হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লায়েন বলেছেন, এ চুক্তি আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়াকরণে দক্ষতা বাড়াবে। ইইউর নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ইউরোপের প্রতিটি দেশের সীমান্তে বসছে কড়া নিরাপত্তা। আগে শুধু ইতালি, গ্রিসের মতো উপকূলীয় দেশগুলোতে অভিবাসী ঢল সামলাতে হতো। এখন দায়িত্ব ভাগ করে নেবে ইইউর সদস্য দেশগুলো। এ ছাড়া রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ সীমান্তের বাইরে যাচাই করা হবে। তা গ্রহণ না হলে আবেদনকারীকে ফিরতে হবে নিজ দেশে। প্রতিটি দেশের সীমান্তে থাকছে আশ্রয়কেন্দ্রও। কোনো সদস্যদেশ আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে রাজি না হলে, অর্থ বা অন্যান্য সম্পদ দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। নতুন ব্যবস্থাপনায় অভিবাসী অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করলে সাত দিনের মধ্যে তার চেহারা ও হাতের বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ পরিচয়, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে কে থাকবেন আর কাকে ফিরতে হবে। প্রত্যেক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীকেই দেওয়া হবে আইনজীবী। প্রতারণা করে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আর থাকছে না। অবশ্য দেশে ফিরলে সত্যি জীবনের হুমকি আছে, তেমন আবেদনকারীরা থাকার সুযোগ পাবেন। তবে আগের মতো যে কেউ চাইলেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে না। শিশুরা বিশেষ সুবিধা পাবে। তাদের অধিকার স্বাধীন পর্যবেক্ষণ সংস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।

এদিকে নতুন আইনের কড়া সমালোচনা করেছে ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থিরা। সেই তালিকায় আছে হাঙ্গেরি ও পোলান্ডের সরকার। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান বলেছেন, এ চুক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য শেষ পেরেক। এখন আর কোনো সীমান্ত নিরাপদ থাকবে না। হাঙ্গেরি কখনো গণ-অভিবাসনের উন্মাদনা মানবে না। সূত্র: ডয়চে ভেলে, ইউরোপাইইউনিউজ


রাজনৈতিক   আশ্রয়   বন্ধ   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলি, ২ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ১২:১০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের বাফেলোতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যানা যায়নি। এ ছাড়াও কী কারণে তাদেরকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হলো সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

প্রশাসনের বরাত দিয়ে মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, হান্ড্রেট জেনার স্ট্রিটে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। এই ঘটনায় গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাফেলো পুলিশ বলছে, হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চলছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।


নিউইয়র্ক   গুলি   ২ বাংলাদেশি নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ৬ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে দেশটির পশ্চিম জাভা প্রদেশে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

সমুদ্রের নিচে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের জেরে অবশ্য বিশাল কোনও ঢেউ সৃষ্টি হয়নি এবং সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়নি।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে সমুদ্রের নিচে হওয়া ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশ কেঁপে উঠেছে বলে দেশটির আবহাওয়া, জলবায়ুবিদ্যা এবং ভূপদার্থবিদ্যা সংস্থা জানিয়েছে। অবশ্য এই ভূমিকম্পের জেরে বিশাল কোনও ঢেউ সৃষ্টি হয়নি।

শনিবার জাকার্তার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২৯ মিনিটে এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল গারুত রিজেন্সির ১৫১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

ভূমিকম্পের কম্পন ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা এবং নিকটবর্তী প্রদেশ ব্যানটেনের পাশাপাশি সেন্ট্রাল জাভা, যোগিয়াকার্তা এবং পূর্ব জাভা প্রদেশেও অনুভূত হয়েছে।


ইন্দোনেশিয়া   শক্তিশালী   ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকার ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ১১:৫৪ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধবিরোধী এই প্রতিবাদের সূচনা হয় দেশটির কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর তা দ্রুত সময়ের মধ্যে গোটা দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে। বিক্ষোভ সামাল দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এতে চাপে পড়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

বিক্ষোভ থামাতে বিভিন্ন পদক্ষেপে ব্যর্থ হওয়ার পর ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কর্তৃপক্ষ। আটক করা হয়েছে ৫৫০ জন শিক্ষার্থীকে। কোথাও কোথাও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্যাতনের বিষয়টিও সামনে এসেছে। কিন্তু তাতেও সমাধান হয়নি। উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট প্রেসিডেন্ট মিনোশি শফিকের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটি ৬২-১৪ ভোটে পাস হয়।

শান্তিপূর্ণভাবে এসব বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানকে দূরে রাখার মতো বিষয়।

শুক্রবার রাতে এনবিসি টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকাজুড়ে ৪০টিরও বেশি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ক্যাম্পাসে তাঁবু তৈরি করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বোস্টনের ইমারসন কলেজেও। শুক্রবার রাতে সেখান থেকে কমপক্ষে ১০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এছাড়া ওহাইও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৪ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশি।

জর্জিয়ার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর গত বৃহস্পতিবার রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন দর্শন বিভাগের প্রধান নো লি ম্যাকাফিকে আটকের পরপরই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। আটকের আগে তিনি আটলান্টা পুলিশকে শিক্ষার্থীদের তাঁবুর দিকে এগোনোর একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। তিনি ওই সময় পুলিশকে থামতে বলার পর তাকে আটক করা হয়। ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারোলিন ফোহলিনকেও আট করে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, নিজের পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে হাতে হাতকড়া পরানো হয়।

ওহাইওতেও পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষার্থীদের আটকের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতে অন্তত ৩০ জনকে আটক করা হয়।

এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। সেখানে ইসরায়েলপন্থী ও ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে পরস্পরবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে লাগাম টানতে আইনপ্রণেতাদের ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই জেরে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল কলাম্বিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কার্যক্রম তদন্ত শুরু করেছে।


ইসরায়েল   বিক্ষোভ   উত্তাল আমেরিকা   ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নতুন গন্তব্যে এমভি আবদুল্লাহ, নাবিকদের দেশে ফেরা নিয়ে যা জানা গেল

প্রকাশ: ১০:৩৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নতুন গন্তব্যে উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’।

শারজাহর আল হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাসের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে জাহাজটি। সেখানে পণ্য লোড করে জাহাজটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবে।

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি চট্টগ্রামে নোঙর করবে বলে আশা করছি। আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে শনিবার রাতে জাহাজটি মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে এমভি আবদুল্লাহ।

অন্যদিকে, নতুন বন্দর থেকে পণ্য লোড করার পর নাবিকদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত।

প্রসঙ্গত, মুক্তিপণ দিয়ে গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান। এরপর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি গত ২১ এপ্রিল বিকালে আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করে। জেটিতে নোঙর ফেলে ২২ এপ্রিল। পরে শুরু হয় কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাচ্ছিল। ছিনতাইয়ের পর সোমালিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূলের গ্যরাকাদে নোঙর করেছিল জাহাজটি। এর আগে একই মালিক গ্রুপের এমভি জাহান মনিকে ২০১০ সালে জিম্মি করেছিল জলদস্যুরা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।


এমভি আবদুল্লাহ   নতুন গন্তব্যে   নাবিকদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন