ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অর্থনীতির পর এবার রাজনৈতিক চাপে পাকিস্তান

প্রকাশ: ১০:৫৮ এএম, ০৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

পাকিস্তানের রিজার্ভ নেমে গেছে রেকর্ড পরিমাণ নিচে। ধাক্কা সামলাতে দেশটির সরকার আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দেশের দ্বারস্থ হচ্ছে ঋণ সহায়তা পেতে। তবে কৃষি, জ্বালানি ও শিল্প খাতে ভর্তুকি ও কর অব্যাহতির শর্তে আইএমএফের সঙ্গে ৭০০ কোটি ডলারের ঋণ আলোচনা এখনও থমকে আছে। যদিও দেশটির সরকার দাতা সংস্থাটির সব শর্ত মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এরই মধ্যে তা বাস্তবায়নে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, সংসদে পাস করিয়ে নিয়েছে বিশেষ বিল।

তবে আইএমএফ বলেছে, আমদানি ও রপ্তানি ব্যয়ের মধ্যে ফারাক কমিয়ে আনতে না পারলে ঋণ নিয়ে কোনো লাভ হবে না পাকিস্তানের। আর এ পরিস্থিতি উত্তরণের সম্ভাবনা না থাকলে তারা ঋণ সহায়তাও দিতে পারবে না।

তবে অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের আগেই ফের বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশটি। দফায় দফায় চেষ্টার পরও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। সবশেষ গত রবিবার ইমরানের জামান পার্কের বাসভবন থেকে খালি হাতি ফিরেছে পুলিশ। পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকরা তাদের ইমরানের বাড়ির ভেতরেই ঢুকতে দেয়নি।

এর মধ্যে শাহবাজ শরিফ সরকারের বড় জোটসঙ্গী পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) বলছে, সিন্ধু প্রদেশের বন্যাদুর্গতদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করা না হলে তাদের পক্ষে জোট সরকারে থাকা খুবই কঠিন হয়ে যাবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইমরান খানের চাপে এমনিতেই দিশেহারা শাহবাজ শরিফ সরকার। এর মধ্যে আইএমএফের শর্তের বিরুদ্ধে গিয়ে জোটসঙ্গী দলের শর্ত মানা সহজ হবে না শাহবাজ শরিফের জন্য। আবার পিপিপিকে ছেড়ে দিলে ক্ষমতায় টিকে থাকাও চ্যালেঞ্জ হবে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, তোশাখানা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিতে টানা অনুপস্থিত থাকায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইমরান খানের বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ইসলামাবাদের সেশন কোর্ট। সেই পরোয়ানা কার্যকর করতেই গতকাল তার বাসভবনে যায় পুলিশ। তবে ইমরান খান গ্রেপ্তার এড়িয়ে গেছেন। দলীয় প্রধানকে গ্রেপ্তারে পুলিশ আসার খবরে পিটিআই নেতাকর্মীরা ইমরানের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সে সময় পুলিশকে জানানো হয় যে, ইমরান খান বাসভবনে নেই। যদিও এর আগে ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধান বলেছিলেন, ‘ইমরান খানকে গ্রেপ্তার ছাড়া খালি হাতে ফিরে যাব না।’ তবু এখন পর্যন্ত তারা ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি। পিটিআই নেতাকর্মীদের তীব্র বিক্ষোভের মুখে দুপুর দেড়টার দিকে ইমরান খানের বাসভবন ত্যাগ করে পুলিশ।

ইমরান খান তাহলে কোথায় আছেন? দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ নিয়ে তুমুল জল্পনা-কল্পনা চললেও, বিকেল ৫টার একটু আগে নিজ বাসভবন থেকে একটি টেলিভিশন পার্টি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন ইমরান খান। সে সময় ইমরান খান তার ডাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান।

কিন্তু এরপরই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইমরান খানের উসকানিমূলক বক্তব্য টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথোরিটি (পিইএমআরএ)। ইমরান খানের রেকর্ড করা বক্তব্য সম্প্রচারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পিইএমআরএ।

এদিকে এর মধ্যেই গতকাল দেশটির সংবাদমাধ্যম ডর এক প্রতিবেদনে বলেছে, শাহবাজ সরকারের জোটসঙ্গী পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি সরকার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। করাচিতে গমবীজে ভর্তুকি প্রদান প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে বিলওয়াল ভুট্টো বলেছেন, সিন্ধু প্রদেশের বন্যাদুর্গতদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করা না হলে তার দলের পক্ষে জোট সরকারে থাকা খুবই কঠিন হয়ে যাবে। এ সময় বিলওয়াল ভুট্টো পাকিস্তানের ডিজিটাল আদমশুমারির অনুশীলন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

তিনি বলেন, একটি প্রদেশে ভিন্ন আদমশুমারি থেকে পাওয়া ভোটারদের তথ্যের ভিত্তিতে ভোট হবে, অন্যান্য প্রদেশে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ডিজিটাল আদমশুমারির তথ্যের ভিত্তিতে ভোট হবে এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে পিপিপির সরকার রয়েছে। গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রাদেশিক সরকার। তাই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির পূরণ পিপিপির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

বিলওয়াল ভুট্টো বলেন, ‘আমরা বিষয়টি (বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা দেওয়া) পার্লামেন্টে তুলব। কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। তা না হলে পিপিপির পক্ষে জোট সরকারে থাকা খুবই কঠিন হয়ে যাবে।’

পার্লামেন্টে বিরোধী জোটের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে গত বছরের ৯ এপ্রিল বিদায় নেয় ইমরান খানের পিটিআই সরকার। ১১ এপ্রিল পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ। ১৯ এপ্রিল তিনি ৩৩ সদস্যের মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেন। এ সরকারের অন্যতম জোটসঙ্গী পিপিপি।

তবে বিলওয়ালের শর্ত মানা সহজ হবে না শাহবাজ শরিফের জন্য। কারণ ভঙ্গুর অর্থনীতি সচল করতে যে বিপুল ঋণ প্রয়োজন তা পেতে এরই মধ্যে আইএমএফের সব শর্ত মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। আর সেই শর্ত অনুযায়ী সরকার বিদ্যুতের ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া রপ্তানিজাত কাঁচামালের ওপর কর, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং গ্যাসের ওপর শুল্ক আরোপের চিন্তাভাবনাও করেছে। এ অবস্থায় বিলওয়ালের শর্ত মানার অর্থ হচ্ছে আইএমএফের শর্তের বিরোধিতা করা। ক্ষমতায় থাকতে শাহবাজ শরিফ বিলওয়ালের কথা শুনলে দেশের সংকট আরও বাড়বে। তার সুবিধা নেওয়ার জন্য পিটিআই যে ওত পেতে বসে আসে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দেখার বিষয় পিএমএল-এন কীভাবে নতুন ও যুগপৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কংগ্রেসে বড় ধাক্কা, দিল্লি প্রধান অরবিন্দর সিংয়ের পদত্যাগ

প্রকাশ: ০২:১৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস দেশে লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে। দিল্লি প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দিল্লির কংগ্রেস প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি। তবে দল থেকে পদত্যাগ করেননি তিনি। লোকসভা নির্বাচনে ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের মধ্যে তার এই দল ছেড়ে যাওয়াকে কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। 

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ ছেড়েছেন অরবিন্দর সিং লাভলি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধার কারণেই ক্ষোভে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

রোববার সকালে অরবিন্দর সিং লাভলি জানান, তিনি কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থরক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাই দলের সভাপতির পদে থাকার আর কোনও কারণ দেখছেন না তিনি।

উল্লেখ্য, অরবিন্দর সিং লাভলি দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা। মাঝখানে ২০১৭ সালের দিকে একবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কয়েক মাসের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করেন কংগ্রেসে। আম আদমি পার্টির প্রবল বিরোধী হিসাবে পরিচিত লাভলি।

লোকসভা ভোটের মধ্যে লাভলির পদত্যাগে দিল্লি কংগ্রেসে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। পদত্যাগপত্রের পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লেখা চিঠিতে আম আদমি পার্টি তথা আপের সঙ্গে জোট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে অরবিন্দর লিখেছেন, ‘যে দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তৈরি হয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিল দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট। এরপরও দল সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে জোট গঠনের।’

এছাড়া দলের প্রদেশ পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লাভলি চিঠিতে বলেছেন, ‘এখন আমার কোনও কথাই গুরুত্ব পায় না। এমনকী দলের ব্লক সভাপতিদের নিয়োগেরও অনুমতি দেওয়া হয় না।’


কংগ্রেস   দিল্লি   অরবিন্দর সিং   পদত্যাগ   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনে টর্নেডোয় নিহত ৫, আহত ৩৩

প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চীনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী শহর গুয়াংজৌতে শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে ৫ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে টর্নেডোর আঘাতে হেনেছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, টর্নেডোটি শহরের বাইয়ুন জেলার ঝোংলুওটান শহরে আনুমানিক বেলা ৩টায় আঘাত হানে। এতে ১৪১টি কারখানা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কোনো আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এসময় টর্নেডোর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২.৮ কিলোমিটার দূরে লিয়াংতিয়ান গ্রামের আবহাওয়া কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ২০.৬ মিটার নিবন্ধিত হয়েছিল। 

প্রাদেশিক আবহাওয়া ব্যুরোর প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, টর্নেডোটি তৃতীয় স্তরের ছিল। টর্নেডোর সর্বোচ্চ তীব্রতার মাত্রা পাঁচ থেকে দুই স্তর নিচে।


চীন   টর্নেডো   নিহত   আহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পঞ্চম দফায় সৌদি যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবে সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি কয়েকদিনের এই সফরে গাজা যুদ্ধবিরতি এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাত প্রতিরোধের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় । ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সৌদি আরবের উদ্দেশে পাড়ি দেবেন ব্লিঙ্কেন। সাম্প্রতিক সময়ে ইরান এবং ইসরাইলের মধ্যকার দীর্ঘ ছায়া যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো তিনি ওই অঞ্চলে সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মন্ত্রীদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করার কথা।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির চলমান প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন ব্লিঙ্কেন। হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতের বিষয়েও আলোচনা করবেন তিনি।

ম্যাথিউ মিলার জানান, সংঘাত ছড়িয়ে না পড়ার গুরুত্বের বিষয়ে জোর দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনের জন্য চলমান প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করবেন তিনি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর হামাসের হামলার আগে সৌদি আরব এবং ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছিল। তবে হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর এই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। আলোচিত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন।


পঞ্চম দফা   সৌদি   মার্কিন   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য বন্ধ হচ্ছে ইউরোপের দরজা

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রস্তাবিত অভিবাসন আইন নিয়ে চার বছর ধরে চলছিল আলোচনা-পর্যালোচনা। শেষে এ আইন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ২৭ দেশের এ জোট। এতে মূলত অনিয়মিত, অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং মানব পাচার রোধে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীরা আগের মতো সুযোগ পাবেন না। সেইসঙ্গে বন্ধ হচ্ছে প্রতারণার মাধ্যমে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগও। এর ফলে বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের আবেদন আর আগের মতো অনির্দিষ্টকাল

ঝুলে থাকবে না, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই।

ইইউর নতুন আইনে সম্প্রতি রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় অভিবাসন নীতির সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন করা হয়েছে। এটি ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। যেখানে আছে ১০টি ধারা। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিউনিসিয়া, মরক্কো ও বাংলাদেশের মতো দেশের রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীদের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যাবে, যাদের দ্রুত বন্দি ক্যাম্পে পাঠানো হবে। এসব বন্দি ক্যাম্প করা হবে সীমান্ত, স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর এলাকায়। সেখান থেকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হবে। এসব বন্দিশিবির নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তারা বলছেন, এসব বন্দিশিবিরে পদ্ধতিগত বন্দিত্ব ও মানবাধিকারের অবমূল্যায়নের আশঙ্কা রয়েছে। ইউরোপীয় নেতাদের ভাষ্য, নতুন নিয়মে যেমন অবৈধ অভিবাসন কমবে, তেমনি সুগম হবে দক্ষ শ্রমিকের পথও। বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের জন্য, বিশেষ করে দক্ষ এবং মেধাবীদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে। এখন অভিবাসনের জন্য তারা বৈধ উপায়ে আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি ভালো পেশা, উন্নত জীবনমানও নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে সরকারের মানব পাচার রোধের যে চেষ্টা রয়েছে, সেটিও এগিয়ে নেওয়া সহজ হবে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেটসোলা এ চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, অবশেষে ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশী ও অভিবাসী ব্যবস্থাপনায় আইনি কাঠামো দাঁড় হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লায়েন বলেছেন, এ চুক্তি আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়াকরণে দক্ষতা বাড়াবে। ইইউর নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ইউরোপের প্রতিটি দেশের সীমান্তে বসছে কড়া নিরাপত্তা। আগে শুধু ইতালি, গ্রিসের মতো উপকূলীয় দেশগুলোতে অভিবাসী ঢল সামলাতে হতো। এখন দায়িত্ব ভাগ করে নেবে ইইউর সদস্য দেশগুলো। এ ছাড়া রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ সীমান্তের বাইরে যাচাই করা হবে। তা গ্রহণ না হলে আবেদনকারীকে ফিরতে হবে নিজ দেশে। প্রতিটি দেশের সীমান্তে থাকছে আশ্রয়কেন্দ্রও। কোনো সদস্যদেশ আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে রাজি না হলে, অর্থ বা অন্যান্য সম্পদ দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। নতুন ব্যবস্থাপনায় অভিবাসী অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করলে সাত দিনের মধ্যে তার চেহারা ও হাতের বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ পরিচয়, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে কে থাকবেন আর কাকে ফিরতে হবে। প্রত্যেক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীকেই দেওয়া হবে আইনজীবী। প্রতারণা করে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আর থাকছে না। অবশ্য দেশে ফিরলে সত্যি জীবনের হুমকি আছে, তেমন আবেদনকারীরা থাকার সুযোগ পাবেন। তবে আগের মতো যে কেউ চাইলেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে না। শিশুরা বিশেষ সুবিধা পাবে। তাদের অধিকার স্বাধীন পর্যবেক্ষণ সংস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।

এদিকে নতুন আইনের কড়া সমালোচনা করেছে ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থিরা। সেই তালিকায় আছে হাঙ্গেরি ও পোলান্ডের সরকার। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান বলেছেন, এ চুক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য শেষ পেরেক। এখন আর কোনো সীমান্ত নিরাপদ থাকবে না। হাঙ্গেরি কখনো গণ-অভিবাসনের উন্মাদনা মানবে না। সূত্র: ডয়চে ভেলে, ইউরোপাইইউনিউজ


রাজনৈতিক   আশ্রয়   বন্ধ   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলি, ২ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ১২:১০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের বাফেলোতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যানা যায়নি। এ ছাড়াও কী কারণে তাদেরকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হলো সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

প্রশাসনের বরাত দিয়ে মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, হান্ড্রেট জেনার স্ট্রিটে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। এই ঘটনায় গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাফেলো পুলিশ বলছে, হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চলছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।


নিউইয়র্ক   গুলি   ২ বাংলাদেশি নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন