ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অকাস চুক্তি ও এনপিটি নিয়ে শঙ্কায় চীন, পশ্চিমের সাথে বাড়ছে উত্তেজনা

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অকাস (AUKUS অথবা Aukus) নামে একটি নতুন জোট আবির্ভুত হয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে এই জোটের ব্যাপারে বিশ্বকে জানান। এখানে Aukus এর পূর্ণরূপ হলো- Australia, the United Kingdom, and the United States। স্বাভাবিকভাবেই অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র- এই তিনটি দেশ হলো অকাসের সদস্য।

সোমবার (১৩ মার্চ) এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আধিপত্য রুখতে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগোর নৌ-ঘাঁটিতে মিলিত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার অংশগ্রহণে গঠিত জোট অকাস-এর পরিকল্পনা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হয়।

নতুন চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পারমাণবিক শক্তিচালিত তিনটি সাবমেরিন কিনছে অস্ট্রেলিয়া। প্রয়োজনে আরো দুটি ভার্জিনিয়া শ্রেণির সাবমেরিন নিতে পারবে দেশটি। এগুলোর প্রথম চালান আগামী ১০ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার কাছে এসএসএন-অকাস মডেলের সাবমেরিন সরবরাহ করবে যুক্তরাজ্য। এ সাবমেরিনগুলো যুক্তরাজ্যের নকশা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে তৈরি হবে। এর ফলে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে মনে করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে সর্ববৃহৎ একক কোনো বিনিয়োগ হলো অকাস চুক্তি।

২০২১ সালে তিন দেশ অকাস চুক্তির ঘোষণা দেয়। এ চুক্তির আওতায় নিজেদের মধ্যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও সাইবার যুদ্ধের সরঞ্জাম সংক্রান্ত সহযোগিতা করার কথা রয়েছে। এ চুক্তির শুরু থেকে নিন্দা জানিয়ে আসছে চীন।

এ চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুকে সামনে এনেছে। আর তা হলো, নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি (এনপিটি) বা পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধ চুক্তির ভবিষ্যৎ। সাধারণভাবে ধরা হতো, পরমাণু শক্তিধর কোনো দেশ এ সংক্রান্ত কোনো প্রযুক্তি বা উপাদান পরমাণু শক্তিধর নয় এমন কোনো দেশের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে না। কিন্তু ১৯৬৮ সালে স্বাক্ষরিত এ চুক্তিতে একটি ফাঁক রয়ে গেছে। সেটি হলো চুক্তির অনচ্ছেদ নম্বর-১৪। এতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের কোনো তত্ত্বাবধায়ক সংস্থার অধীনে এ কাজটি করা যাবে। এ সুযোগই নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

এই ‘অকাস’ গঠনের চুক্তিকে ‘চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও ‘সংকীর্ণ মানসিকতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। চীন এই চুক্তির বিরোধিতা করে বলেছে, অকাস চুক্তি এনপিটির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনা মিশন মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সুস্পষ্টভাবে এনপিটি চুক্তির লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য লঙ্ঘন করছে। দ্বিচারিতার এমন উদাহরণ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এনপিটি ব্যবস্থাকে কেবল দুর্বলই করবে।’

চীনা মিশন বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘অকাস প্রকাশিত পারমাণবিক সাবমেরিন সহযোগিতা পরিকল্পনাটি একটি নির্লজ্জ কাজ, যা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তারের গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে। পাশপাশি এটি আন্তর্জাতিক এনপিটি ব্যবস্থাকে দুর্বল করবে। অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দেবে এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে।’

যদিও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার দাবি, তারা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরমাণু উপাদান এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে। তারপরও এনপিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এ প্রচেষ্টার প্রথম দিন থেকে শুরু করে সবসময় আমরা এনপিটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি।’

আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রসিও নিশ্চিত করেছেন তাদের তত্ত্বাবধানের কথা। তিনি বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, অকাস অংশীদাররা এনপিটির শর্তগুলো পূরণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তবে সেটিও যে চীনকে স্বস্তি দিচ্ছে না, তা তাদের প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট। চীনের উদ্বেগ এবং অকাসের কর্মকাণ্ড এনপিটি না মানার প্রবণতা তৈরি করতে পারে।

অকাস কেন গঠন করা হলো?

আনুষ্ঠানিকভাবে অকাস (Aukus) গঠনের উদ্দেশ্য হলো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে (Indo-Pacific region) সমন্বিত নিরাপত্তা ও উন্নতি নিশ্চিতের পাশাপাশি মূল্যবোধের সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে।

অকাস চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণু চালিত সাবমেরিন নির্মাণের প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতা করবে।

এখানে একটি বিষয় নিশ্চিত বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা, আর সেটি হলো বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকানোই প্রধান লক্ষ্য।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কংগ্রেসে বড় ধাক্কা, দিল্লি প্রধান অরবিন্দর সিংয়ের পদত্যাগ

প্রকাশ: ০২:১৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস দেশে লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে। দিল্লি প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দিল্লির কংগ্রেস প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি। তবে দল থেকে পদত্যাগ করেননি তিনি। লোকসভা নির্বাচনে ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের মধ্যে তার এই দল ছেড়ে যাওয়াকে কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। 

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ ছেড়েছেন অরবিন্দর সিং লাভলি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধার কারণেই ক্ষোভে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

রোববার সকালে অরবিন্দর সিং লাভলি জানান, তিনি কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থরক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাই দলের সভাপতির পদে থাকার আর কোনও কারণ দেখছেন না তিনি।

উল্লেখ্য, অরবিন্দর সিং লাভলি দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা। মাঝখানে ২০১৭ সালের দিকে একবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কয়েক মাসের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করেন কংগ্রেসে। আম আদমি পার্টির প্রবল বিরোধী হিসাবে পরিচিত লাভলি।

লোকসভা ভোটের মধ্যে লাভলির পদত্যাগে দিল্লি কংগ্রেসে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। পদত্যাগপত্রের পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লেখা চিঠিতে আম আদমি পার্টি তথা আপের সঙ্গে জোট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে অরবিন্দর লিখেছেন, ‘যে দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তৈরি হয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিল দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট। এরপরও দল সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে জোট গঠনের।’

এছাড়া দলের প্রদেশ পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লাভলি চিঠিতে বলেছেন, ‘এখন আমার কোনও কথাই গুরুত্ব পায় না। এমনকী দলের ব্লক সভাপতিদের নিয়োগেরও অনুমতি দেওয়া হয় না।’


কংগ্রেস   দিল্লি   অরবিন্দর সিং   পদত্যাগ   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনে টর্নেডোয় নিহত ৫, আহত ৩৩

প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চীনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী শহর গুয়াংজৌতে শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে ৫ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে টর্নেডোর আঘাতে হেনেছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, টর্নেডোটি শহরের বাইয়ুন জেলার ঝোংলুওটান শহরে আনুমানিক বেলা ৩টায় আঘাত হানে। এতে ১৪১টি কারখানা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কোনো আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এসময় টর্নেডোর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২.৮ কিলোমিটার দূরে লিয়াংতিয়ান গ্রামের আবহাওয়া কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ২০.৬ মিটার নিবন্ধিত হয়েছিল। 

প্রাদেশিক আবহাওয়া ব্যুরোর প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, টর্নেডোটি তৃতীয় স্তরের ছিল। টর্নেডোর সর্বোচ্চ তীব্রতার মাত্রা পাঁচ থেকে দুই স্তর নিচে।


চীন   টর্নেডো   নিহত   আহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পঞ্চম দফায় সৌদি যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবে সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি কয়েকদিনের এই সফরে গাজা যুদ্ধবিরতি এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাত প্রতিরোধের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় । ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সৌদি আরবের উদ্দেশে পাড়ি দেবেন ব্লিঙ্কেন। সাম্প্রতিক সময়ে ইরান এবং ইসরাইলের মধ্যকার দীর্ঘ ছায়া যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো তিনি ওই অঞ্চলে সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মন্ত্রীদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করার কথা।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির চলমান প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন ব্লিঙ্কেন। হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতের বিষয়েও আলোচনা করবেন তিনি।

ম্যাথিউ মিলার জানান, সংঘাত ছড়িয়ে না পড়ার গুরুত্বের বিষয়ে জোর দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনের জন্য চলমান প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করবেন তিনি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর হামাসের হামলার আগে সৌদি আরব এবং ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছিল। তবে হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর এই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। আলোচিত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন।


পঞ্চম দফা   সৌদি   মার্কিন   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য বন্ধ হচ্ছে ইউরোপের দরজা

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রস্তাবিত অভিবাসন আইন নিয়ে চার বছর ধরে চলছিল আলোচনা-পর্যালোচনা। শেষে এ আইন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ২৭ দেশের এ জোট। এতে মূলত অনিয়মিত, অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং মানব পাচার রোধে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীরা আগের মতো সুযোগ পাবেন না। সেইসঙ্গে বন্ধ হচ্ছে প্রতারণার মাধ্যমে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগও। এর ফলে বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের আবেদন আর আগের মতো অনির্দিষ্টকাল

ঝুলে থাকবে না, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই।

ইইউর নতুন আইনে সম্প্রতি রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় অভিবাসন নীতির সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন করা হয়েছে। এটি ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। যেখানে আছে ১০টি ধারা। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিউনিসিয়া, মরক্কো ও বাংলাদেশের মতো দেশের রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীদের বেশিরভাগ আবেদন নাকচ হয়ে যাবে, যাদের দ্রুত বন্দি ক্যাম্পে পাঠানো হবে। এসব বন্দি ক্যাম্প করা হবে সীমান্ত, স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর এলাকায়। সেখান থেকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হবে। এসব বন্দিশিবির নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তারা বলছেন, এসব বন্দিশিবিরে পদ্ধতিগত বন্দিত্ব ও মানবাধিকারের অবমূল্যায়নের আশঙ্কা রয়েছে। ইউরোপীয় নেতাদের ভাষ্য, নতুন নিয়মে যেমন অবৈধ অভিবাসন কমবে, তেমনি সুগম হবে দক্ষ শ্রমিকের পথও। বাংলাদেশের মতো দেশের নাগরিকদের জন্য, বিশেষ করে দক্ষ এবং মেধাবীদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে। এখন অভিবাসনের জন্য তারা বৈধ উপায়ে আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি ভালো পেশা, উন্নত জীবনমানও নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে সরকারের মানব পাচার রোধের যে চেষ্টা রয়েছে, সেটিও এগিয়ে নেওয়া সহজ হবে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেটসোলা এ চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, অবশেষে ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশী ও অভিবাসী ব্যবস্থাপনায় আইনি কাঠামো দাঁড় হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লায়েন বলেছেন, এ চুক্তি আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়াকরণে দক্ষতা বাড়াবে। ইইউর নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ইউরোপের প্রতিটি দেশের সীমান্তে বসছে কড়া নিরাপত্তা। আগে শুধু ইতালি, গ্রিসের মতো উপকূলীয় দেশগুলোতে অভিবাসী ঢল সামলাতে হতো। এখন দায়িত্ব ভাগ করে নেবে ইইউর সদস্য দেশগুলো। এ ছাড়া রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ সীমান্তের বাইরে যাচাই করা হবে। তা গ্রহণ না হলে আবেদনকারীকে ফিরতে হবে নিজ দেশে। প্রতিটি দেশের সীমান্তে থাকছে আশ্রয়কেন্দ্রও। কোনো সদস্যদেশ আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে রাজি না হলে, অর্থ বা অন্যান্য সম্পদ দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। নতুন ব্যবস্থাপনায় অভিবাসী অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করলে সাত দিনের মধ্যে তার চেহারা ও হাতের বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ পরিচয়, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে কে থাকবেন আর কাকে ফিরতে হবে। প্রত্যেক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রত্যাশীকেই দেওয়া হবে আইনজীবী। প্রতারণা করে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আর থাকছে না। অবশ্য দেশে ফিরলে সত্যি জীবনের হুমকি আছে, তেমন আবেদনকারীরা থাকার সুযোগ পাবেন। তবে আগের মতো যে কেউ চাইলেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে না। শিশুরা বিশেষ সুবিধা পাবে। তাদের অধিকার স্বাধীন পর্যবেক্ষণ সংস্থা পর্যবেক্ষণ করবে।

এদিকে নতুন আইনের কড়া সমালোচনা করেছে ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থিরা। সেই তালিকায় আছে হাঙ্গেরি ও পোলান্ডের সরকার। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান বলেছেন, এ চুক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য শেষ পেরেক। এখন আর কোনো সীমান্ত নিরাপদ থাকবে না। হাঙ্গেরি কখনো গণ-অভিবাসনের উন্মাদনা মানবে না। সূত্র: ডয়চে ভেলে, ইউরোপাইইউনিউজ


রাজনৈতিক   আশ্রয়   বন্ধ   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলি, ২ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ১২:১০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের বাফেলোতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যানা যায়নি। এ ছাড়াও কী কারণে তাদেরকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হলো সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

প্রশাসনের বরাত দিয়ে মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, হান্ড্রেট জেনার স্ট্রিটে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। এই ঘটনায় গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাফেলো পুলিশ বলছে, হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চলছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।


নিউইয়র্ক   গুলি   ২ বাংলাদেশি নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন