আর্থিক
সঙ্কটে বিদীর্ণ পাকিস্তানে আরও বাড়ছে সন্ত্রাসবাদের ঘটনা। ২০২২ সালে সে দেশে ঘটনা
নাশকতামূলক ঘটনার নিরিখে আফগানিস্তানও হার মেনেছে। সন্ত্রাসবাদের ঘটনায় তালিবান শাসিত আফগানিস্তানকেও পিছনে ফেলেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক রিপোর্টে
উঠে এসেছে এই তথ্য।
বার্ষিক গ্লোবাল টেররিজম ইন্ডেক্স (জিটিআই) রিপোর্টে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের জেরে মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধির বিষয়টি উঠে এসেছে। অস্ট্রেলিয়া নির্ভর সংস্থা ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিস (আইইপি) এই রিপোর্ট তৈরি করেছে বলে জানা গিয়েছে। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০২২ সালে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ১২০ শতাংশ। গত এক বছরে সেখানে সন্ত্রাসের ঘটনায় ৬৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ২৯২।
আফগানিস্তানে জঙ্গি কার্যকলাপের বিষয়টি গোটা বিশ্বের কাছেই পরিচিত। তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একাধিক নাশকতার ঘটনা ঘটেছে আফগানিস্তানে। সন্ত্রাস হামলায় মৃত্যু নিরিখে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ২০১৭ সাল থেকেই শীর্ষে ছিল আফগানিস্তান। সেই আফগানিস্তানকেও টপকে গেল পাকিস্তান।
এক বছরে পাকিস্তানে ঘটা নাশকতার ঘটনায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে পুলিশেরও। পাকিস্তানের গত এক বছরে ঘটা নাশকতার ঘটনার ৩৬ শতাংশ ঘটিয়েছে বালুচিন্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। তেহরিক-ই-তালিবান, যা পাকিস্তানি তালিবান নামে কুখ্যাত। সেই জঙ্গি গোষ্ঠীর থেকে বেশি নাশকতার ঘটনা ঘটিয়েছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। গ্লোবাল টেররিজম ইন্ডেক্সের রিপোর্ট বলছে, বিএলএ-র প্রতি হামলায় ৭.৭ জন করে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০২১-এ এই হার ছিল ১.৫। ২০২২ সালে ২৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বিএলএ-র আক্রমণে। মৃতদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ নিরাপত্তারক্ষী।
এমনকি পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসবাদের ঘটনা সবথেকে বেশি বলে উল্লেখিত হয়েছে রিপোর্টে। এই সব ঘটনার পিছনে পাকিস্তান তালিবানেরও ভূমিকা রয়েছে। ভারত বরাবরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপ এবং জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে আসছে। অতীতেও একাধিক জঙ্গিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। দেশকে জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল বানানোর পরিণতি এখন হারে হারে টের পাচ্ছে ইসলামাবাদ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র চীন শি জিনপিং অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
মন্তব্য করুন
লোকসভা নির্বাচন আসাম বাঙালি মুসলমান
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ইসরায়েল। এরপরই সেখানে গণকবরের সন্ধান মেলে। এদিকে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ'র দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
তবে এই অভিযানের ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশরসহ বিভিন্ন দেশ। একই সতর্কতা উচ্চারণ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও। তবে সেদিকে কোনো কর্ণপাত করছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।