ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুক্ত গণতন্ত্রের তালিকায় নেই ভারত?

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ৩০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

(পর্ব ২)

ভারতের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো চলছে না। ভারতের মিডিয়াও গত কয়েক বছরে অনেকটা নগ্নভাবেই সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা সরকারের চাপে রীতিমতো কোনঠাসা অবস্থায় রয়েছে। বিশ্বে সংবাদ স্বাধীনতার পরিসংখ্যানে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারত এখন ১৪২ নম্বরে অবস্থান করছে। সাংবাদিক নিপীড়ন এবং একের পর এক সাংবাদিককে কারাগারে নিক্ষেপ করায় ভারত এ তালিকায় ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে।

২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের গণতন্ত্রের স্বাস্থ্য দুর্বল হতে থাকে। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠদের তুষ্ট করার রাজনীতি দিয়ে মোদি অনন্য জনপ্রিয়তায় পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে দেশটির বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম ও নির্বাচনী প্রতিষ্ঠানকে মাথা নোয়াতে বাধ্য করেন। এই ধারা দিন দিনই শক্তিশালী হচ্ছে। আজকের পর্বে  আমরা গণতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন স্তম্ভ গণমাধ্যম ও ভারতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কে আলোচনা করবো।

ভারতে গণমাধ্যম কতটা মুক্ত তাঁর জানতে সাম্প্রতিক বিবিসি কান্ডই যথেষ্ট। নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে একটি ‘বিতর্কিত’ তথ্যচিত্র নির্মাণ এবং তা প্রদর্শনের পর ভারতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দুইটি কার্যালয়ে আয়কর কর্মকর্তাদের অভিযানের পর দেশটিতে সংবাদমাধ্যম এবং সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের আয়কর বিভাগ ও পুলিশ রাজধানী দিল্লি  ও মুম্বাইয়ে বিবিসির কার্যালয়ে উপস্থিত হন। আয়কর বিভাগ থেকে অবশ্য একে অভিযান নয় বরং ‘জরিপ’ নাম দেওয়া হয়। তাদের ব্যাখ্যা ছিল, বারবার অনুরোধ করার পরও বিবিসি কর্তৃপক্ষ ভারতে তাদের আয়-ব্যয় এবং কর সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে তাদের কাছে উপস্থাপন করছিল না।

বিবিসির কার্যালয়ে অভিযানের তিন সপ্তাহ আগে ২০০২ সালে ভারতের গুজরাটে হিন্দ-মুসলিম দাঙ্গা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র যুক্তরাজ্যে প্রদর্শন করা হয়। বিবিসির তৈরি ওই তথ্যচিত্রে গুজরাট দাঙ্গায় মোদীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ওই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদী।

‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোশ্চেন’ নামের তথ্যচিত্রটিকে বিতর্কিত কাহিনী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বানানো ‘অপপ্রচার’ বলে অ্যাখ্যা দিয়ে ভারতে সেটির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেটি দেখানো ও শেয়ার করায় উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত সরকার। ওই তথ্যচিত্রের প্রদর্শন নিয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অঙ্গনও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল।

২০১৪ সালে ভারতে প্রধানমন্ত্রী হন মোদী। তারপর ভারত ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স’ এ ১৪০তম অবস্থান থেকে নিচে নামতে শুরু করে। এছাড়া, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স এর তালিকায় গত বছর দেশটির অবস্থান ছিল ১৫২তম। তালিকায় এত নিচে আগে কখনো নামেনি দেশটি।

ভারত সরকার থেকে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স এর ওই তালিকা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা সংস্থাটির মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বলেছে, ভারতে একটি প্রাণবন্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম ব্যবস্থা রয়েছে।

‘দ্য এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া’ থেকে বলা হয়, ‘‘সংবাদ সংস্থাকে ভয় দেখানো এবং হয়রানি করার জন্য সরকারি সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করার যে প্রবণতা ভারতে রয়েছে, বিবিসির কার্যালয়ে অভিযান তারই অংশ।’’

২০২১ সালে সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আয়কর কর্মকর্তাদের এরকম আরো চারটি অভিযানের কথা তারা উল্লেখ করেন।

২০২১ সালের জুলাই মাসে ‘দৈনিক ভাস্কর’ এর কার্যালয়ে অভিযান চালান কর কর্মকর্তারা। অভিযোগ ছিল, সার্কুলেশনের দিকে দিয়ে ভারতের সর্ববৃহৎ এই পত্রিকাটি তাদের ৭০০ কোটি রুপি আয়ের উপর কর ফাঁকি দিয়েছে। ‘দৈনিক ভাস্কর’ কর্তৃপক্ষ কর কর্মকর্তাদের ওই অভিযোগের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্ত হন এবং মামলাটি এখনো চলছে।

ডিবি কর্পোরেশনের অংশ ওই পত্রিকাটিতে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় সরকারের অব্যবস্থাপনা এবং এই মহামারীতে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করা নিয়ে ধারাবাহিক খবর প্রকাশ পায়। সরকার থেকে অব্যবস্থাপনা এবং মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

পত্রিকা অফিসে আয়কর অধিদপ্তর থেকে অভিযানই নয় বরং কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের পত্রিকায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ছয়টি রাজ্য থেকে সরকারি বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ২০২২ সালের অগাস্ট মাস পর্যন্ত যা অব্যাহত ছিল। এবং এ কারণে পত্রিকাটিকে ১০০ কোটি রুপির বেশি লোকসান গুণতে হয়েছে।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স থেকে বলা হয়, ভারতে বহু মানুষ এখনো পত্রিকা পড়েন। কিন্তু তারপরও দেশটির অনকে সংবাদ সংস্থা ঠিকঠাকমত সরকারি বিজ্ঞাপন না পাওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে চাপে রয়েছে।

এছাড়া, মোদী ঘনিষ্ঠ ধনকুবেরদের কিছু মিডিয়া গ্রুপ অধিগ্রহণ করার ঘটনাকে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স থেকে ভারতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীন কণ্ঠস্বরকে নিরব করে দেওয়ার প্রচেষ্টাও বলা হয়েছে।

ভারতের পার্লামেন্টে সরকারের পক্ষ থেকে গত বছর দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছাপা পত্রিকা ও ইলেক্ট্রোনিক সংবাদমাধ্যমকে সাড়ে ছয় হাজার কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দিয়েছে।

যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকার বিজ্ঞাপন ব্যয় কমিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে সরকার ব্যয় কমায়নি বলে দাবি করেন কাঞ্চন গুপ্তা।

বলেন, ‘‘গণমাধ্যমকে অর্থায়নের ক্ষেত্রে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। আমরা এমন কোনো সংবাদমাধ্যম চাই না যারা আমাদের কাছ থেকে অর্থ পেতে আমাদের প্রতি অনুগত থাকে বা আমাদের পক্ষে খবর প্রচার করেন।”

খবর প্রকাশের কারণে শুধু সংবাদমাধ্যমকে নয় বরং সাংবাদিকদেরও হয়রানি ও গ্রেপ্তার হতে হয়।

কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) এর তথ্যানুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে অন্তত সাত জন সাংবাদিককে তাদের প্রকাশিত খবরের কারণে কারাগারে যেতে হয়। যা দেশটিতে গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক গ্রেপ্তারের ঘটনা।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে'

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভিয়েনার হফবার্গ প্রাসাদে 'হিউম্যানিটি অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।

মানুষের ওপর অস্ত্রবল প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, যদি রাষ্ট্রবহির্ভূত এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পায় তবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার কী হবে।

স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশ্বব্যাপী নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রাণহানির ক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উভয়ের বিষয়েই উপযুক্ত আন্তর্জাতিক আইন বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয়।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় গাজার অনিশ্চিত পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং সংঘাত ও উত্তেজনার নতুন ফ্রন্ট খোলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।

অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ, কোস্টারিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নল্ডো আন্দ্রে টিনোকো, নরওয়েজিয়ান স্টেট সেক্রেটারি ইভিন্ড ভাদ পিটারসন এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি মির্জানা স্পোলজারিক এগার সহ-প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন।

অস্ট্রিয়ার ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সম্মেলনে ১২০টিরও বেশি দেশ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা, অধিকার গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আট শতাধিক  প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। 


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা   অস্ত্র   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পদত্যাগ করলেন স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার

প্রকাশ: ০৮:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফ পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

স্কটিশ গ্রিনস পার্টির সঙ্গে জোট করে স্কটল্যান্ডে সরকার গঠন করেছিল হামজার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তবে এই দলের সঙ্গে সম্প্রতি তার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির জোট ভেঙে যায়। এরপর তাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দুটি অনাস্থা ভোটের ডাক দেন বিরোধীরা। একটি ফার্স্ট মিনিস্টার ও আরেকটি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে। এসব অনাস্থা ভোটে হামজা হেরে যেতে পারেন, এটা অনেকটা নিশ্চিত। তাই অনাস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি।

সোমবার এক ভাষণে হামজা বলেছেন, আমি আমার মূল্যবোধ ও নীতি নিয়ে ব্যবসা করতে চাই না। অথবা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যার-তার সঙ্গে চুক্তি করতে চাই না।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে হামজা বলেছিলেন, বিরোধীদের ডাকা অনাস্থা ভোটে তিনি জিততে পারবেন বলে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে সোমবারের মধ্যেই নিজের সংখ্যালঘু সরকারকে শক্তিশালী করতে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

গত বছর স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা নির্বাচিত হন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসেফ। এরপর সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিসেবে ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হয়েছিলেন হামজা।


পদত্যাগ   স্কটল্যান্ড   ফার্স্ট মিনিস্টার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রেকর্ড তাপমাত্রায় মিয়ানমার

প্রকাশ: ০৭:৫৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খবর এপি ও দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার। 

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়  ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই তথ্যটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ।

আবহাওয়া বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে রাজ্যের চাউক শহরে তাপমাত্রা পারদ ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ৫৬ বছর আগে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর মিয়ানমারের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

একই দিন দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছুঁয়েছে। এছাড়া দেশটির আরেক শহর মান্দালয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের শুষ্ক সমতলে অবস্থিত চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেছেন, 'এখানে অত্যন্ত গরম এবং আমরা সবাই বাড়িতেই ছিলাম।' নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'এই পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারছি না।' 

দেশটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে দিনের তাপমাত্রা এপ্রিলের গড়ের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) বলেছে,  ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। 


রেকর্ড   তাপমাত্রা   মিয়ানমার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন অমিত শাহ

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বিহারের বাগুসারাই এলাকায় সোমবার এক নির্বাচনি র‍্যালিতে অংশ নেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা অমিত শাহ (৫৯)। র‍্যালি শেষে সেখানে একটি হেলিকপ্টারে উঠেন তিনি। 

উড্ডয়নের সময় সেই হেলিকপ্টার কিছু সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডান দিকে কাত হয়ে পড়ে যাচ্ছিল। মাটিতে আছাড় খাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন পাইলট।  

নিতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের সঙ্গে মিলে বিহারে ১৭টি আসনে লড়াই করছে বিজেপি। প্রথম ধাপের নির্বাচনে গত ১৯ এপ্রিল এখানে চার আসনে নির্বাচন হয়। এরপর গত শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন হয় আরও ৫ আসনে।


দুর্ঘটনা   অমিত শাহ   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাজস্থানে মসজিদের ভেতরে ইমামকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ০৬:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ রাজস্থানের আজমিরে মসজিদের এক ইমামকে পিটিয়ে হত্যা করেছে মুখোশ পরা অজ্ঞাত তিন দুর্বৃত্ত।  

শনিবার (২৯ এপ্রিল) আজমিরের একটি মসজিদের ভেতরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, আজমিরের রামগঞ্জের কাঞ্চননগরে অবস্থিত মসজিদের ভেতরে ছয় শিশুকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন মোহাম্মদ মাহির নামের ওই ইমাম। এ সময় আক্রান্ত হন তিনি। 

এনডিটিভি বলেছে, মুখোশ পরিহিত তিন দুর্বৃত্ত মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে মোহাম্মদ মাহিরের ওপর আক্রমণ চালায়। ওই সময় তাকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে তারা। 

৩০ বছর বয়সী ইমাম মোহাম্মদ মাহির উত্তরপ্রদেশের রামপুরা এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মারধরের সময় ইমামের সন্তানরা চিৎকার করলে তাদেরও মেরে ফেলার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে তার মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। শিশুরা যাতে সাহায্যের জন্য কাউকে ফোন না করতে পারে সেজন্য মোবাইল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

অভিযুক্তরা চলে যাওয়ার পর ইমামের শিশুরা মসজিদের বাইরে আসে এবং প্রতিবেশীদের ঘটনার বিষয়ে জানায়। পুলিশ বলেছে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। অভিযুক্তদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবীন্দ্র খিনচি বলেছেন, মসজিদের ভেতরে ওই ইমামকে পিটিয়ে হত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ওই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করছে। ইমামকে হত্যার ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার (হত্যা) আওতায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


রাজস্থান   মসজিদ   হত্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন