ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুক্ত গণতন্ত্রের তালিকায় নেই ভারত?

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

(পর্ব )

ভারতের গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো চলছে না। ভারতের মিডিয়াও গত কয়েক বছরে অনেকটা নগ্নভাবেই সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা সরকারের চাপে রীতিমতো কোনঠাসা অবস্থায় রয়েছে। বিশ্বে সংবাদ স্বাধীনতার পরিসংখ্যানে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারত এখন ১৪২ নম্বরে অবস্থান করছে। সাংবাদিক নিপীড়ন এবং একের পর এক সাংবাদিককে কারাগারে নিক্ষেপ করায় ভারত তালিকায় ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে।

২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের গণতন্ত্রের স্বাস্থ্য দুর্বল হতে থাকে। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠদের তুষ্ট করার রাজনীতি দিয়ে মোদি অনন্য জনপ্রিয়তায় পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে দেশটির বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম নির্বাচনী প্রতিষ্ঠানকে মাথা নোয়াতে বাধ্য করেন। এই ধারা দিন দিনই শক্তিশালী হচ্ছে। আজকের পর্বে আমরা গণতন্ত্র ভারতে নির্বাচন বিভাগ সম্পর্কে আলোচনা করবো।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২১ সালে জাতিসংঘে ভাষণে বলেছিলেন, ভারতগণতন্ত্রের জননী তাঁর দাবির মধ্যে অসারতা থাকলেও এই সেদিনও বিশ্ববাসী গর্ব করতেন, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ভারতের গণতন্ত্র ছিল আদর্শস্থানীয়।

তবে এখন সারাবিশ্ব, এমনকি মোদির অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীও বুক চাপড়ান, হিন্দু জাতীয়তাবাদী এই নেতার শাসনে ভারতের সেই গর্ব দ্রুত অপস্রিয়মাণ। সর্বশেষ, দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীকে রাজনৈতিক বক্তৃতার জন্য আদালতে দণ্ড দেওয়া এবং তড়িঘড়ি করে তাঁকে সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য করায় সমালোচকদের সেই কথাই শক্ত ভিত্তি পেয়েছে।

২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের গণতন্ত্রের স্বাস্থ্য দুর্বল হতে থাকে। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠদের তুষ্ট করার রাজনীতি দিয়ে মোদি অনন্য জনপ্রিয়তায় পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে দেশটির বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম নির্বাচনী প্রতিষ্ঠানকে মাথা নোয়াতে বাধ্য করেন। এই ধারা দিন দিনই শক্তিশালী হচ্ছে।

ভারতে খুব সুন্দরভাবে বিকেন্দ্রীকৃত একটি প্রশাসনিক কাঠামো রয়েছে। এই কাঠামো অনুযায়ী একেকটি রাজ্যে জনগণের ভোটে নির্বাচিত যে দল বা জোট রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন অর্জন করে, সেই দল বা জোটের নেতা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্য শাসন করেন। এর পাশাপাশি প্রতিটি রাজ্যে একজন করে রাজ্যপাল বা গভর্নর থাকেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়োগ দেওয়া এটি একটি আনুষ্ঠানিক, নিরপেক্ষ সাংবিধানিক পদ। রাজ্যসভার নির্বাচনের পর সবচেয়ে বেশি আসন জেতা দল বা জোটকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল।

সাংবিধানিকভাবে নিরপেক্ষ পদ বলা হলেও এই পদকে প্রায় প্রতিটি সরকারই নিজ স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে। দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকে   ধরনের একটি চেষ্টা রাজ্যপালের কার্যালয়ের নিরপেক্ষতাকে স্পষ্টতই ক্ষুণ্ন করেছে। সেখানে বিজেপিবিরোধী জোট বেশি আসন জিতেছে। সেখানকার রাজ্যপাল (যিনি মোদির পুরোনো সহযোদ্ধা ছিলেন) বজুভাই ভালা বিজেপিবিরোধী জোটকে সরকার গঠনে আমন্ত্রণ জানাতে বাধ্য ছিলেন। কিন্তু তিনি তা না করে মোদির প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে কম আসন পাওয়া বিজেপিকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়ে বসলেন। গণতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে শেষ পর্যন্ত ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করা জোটকে দিয়ে সরকার গঠনের আদেশ দেন। এরপর বিরোধী জোট সরকার গঠনের সুযোগ পায়।

পার্লামেন্টেও ঠিক একই ধরনেরক্ষয়দেখা যাচ্ছে। কয়েক দশক ধরে বিরোধী দলের জন্য সরকারের সমালোচনার ভেন্যু হিসেবে পার্লামেন্ট ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মাস কয়েক আগে বিরোধী নেতারা বেশ কয়েকবার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আহ্বানের চেষ্টা করেছেন। পার্লামেন্টের অন্য সব কাজের তুলনায় অনাস্থা ভোটের প্রস্তাবকে সব সময় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কিন্তু লোকসভার বিজেপি মনোনীত স্পিকার এক মাসের বেশি সময় ধরে বিরোধী নেতাদের অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছেন। পার্লামেন্টে বিজেপির জোরালো সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে এবং তার জন্য অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব কোনো হুমকিও নয়। শুধু অধিবেশন চলাকালে জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যমে যখন বিরোধী নেতাদের মোদির অর্থনৈতিক কৌশলের ভুলত্রুটি তুলে ধরতে দেখা যায়, তখন সরকার একটু অস্বস্তিতে পড়ে।

মোদি সরকার স্বাধীন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজের আজ্ঞাবহ করার যে অভিলাষ চরিতার্থ করছে, তার ছোঁয়া সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। সেখানে প্রধান বিচারপতির ঠিক করে দেওয়া বিচারপতিরা নির্দিষ্ট বিষয়ে রায় দিচ্ছেন। গত জানুয়ারিতে চারজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি প্রায় নজিরবিহীন একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তাঁরা প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে রায় প্রভাবিত করতে নির্দিষ্ট বিচারকদের নির্দিষ্ট মামলার বিচার করতে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী মোদি সরকারের কড়া সমালোচক প্রশান্ত ভূষণ এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা ব্যাখ্যা করেছেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক স্পর্শকাতর মামলাগুলো বেছে বেছে এমন বেঞ্চে দেওয়া হচ্ছে, যেখানে কোনো জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নেই। সরকারের পক্ষে যাতে রায় যায়, সে জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, প্রধান বিচারপতি পরিষ্কারভাবে সরকারের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছেন। প্রশান্ত ভূষণের অভিযোগ, সরকার ক্ষমতাসীন দল প্রধান বিচারপতিকে ঘুষের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একের পর এক ব্ল্যাকমেল করে যাচ্ছে।

এমনকি স্বচ্ছ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যে নির্বাচন কমিশন এত দিন সবার শ্রদ্ধার জায়গা ছিল, তার বিরুদ্ধেও মোদির স্বার্থ রক্ষার্থে ভোটের তারিখ এগোনো-পেছানোর অভিযোগ উঠেছে। এটি মোটেও এখন আর চমকানোর মতো খবর নয় যে মোদির গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে এক সহযোগী সরকারি আমলা গত বছর পর্যন্ত ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই মুহূর্তে ভারতের হাতে গোনা দু-একটি ছাড়া সব সংবাদমাধ্যম মোদি আর তাঁর রাজনীতিরচিয়ারলিডারেপরিণত হয়েছে। তারা সরকারের সমালোচনামূলক রিপোর্টিং শুধু এড়িয়েই যায় না, বরং সরকারের পক্ষে ইনিয়ে-বিনিয়ে রিপোর্ট করতে থাকে। সমাজের একটি বিরাট অংশ মোদির এই হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির পক্ষে হাততালি দিচ্ছে। বিভিন্ন জাতীয় প্রতিষ্ঠানে এভাবে রাজনীতি দলীয় আনুগত্য ঢুকে পড়ায় ভারতের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়েই দেখা দিয়েছে সংশয়-সন্দেহ।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নারীর পোশাক পরায় যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নারীদের পোশাক পরে ট্রেনে যাত্রা করছিলেন এক যুবক। এক লিঙ্গের হয়ে অন্য লিঙ্গের পোশাক পরে বাইরে বের হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আলোচিত এই ঘটনা ঘটেছে সৌদি আরবে। এই খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নারীদের পোশাক পরায় রাজধানী রিয়াদ থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সৌদির নিরাপত্তা বাহিনী। ওই যুবকের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি নারীদের পোশাক পরে ট্রেনে করে যাচ্ছেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এক লিঙ্গের হয়ে অন্য লিঙ্গের পোশাক পরে বাইরে বের হলে সৌদি আরবে তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

দেশটিতে পুরুষ হয়ে নারীদের পোশাক পরা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া এই আইনে ‘অনুপযুক্ত’ পোশাক পরা, প্রকাশ্যে নৈতিকতা বিরোধী কাজ করা এবং আবাসিক এলাকায় জোরে গান বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সৌদির আইনানুযায়ী, যারা এসব অপরাধ করবেন তাদের বিরুদ্ধে ৫০ রিয়াল থেকে ৩ হাজার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবে কথিত আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। তবে এখনো দেশটিতে নারী ও পুরুষের শালীন পোশাক পরার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।


সৌদি আরব   নারীর পোশাক   যুবক গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আদালতে থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিচারক অপহরণ

প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের জেলা ও দায়রা জজ শাকিরুল্লাহ মারওয়াতকে আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করেছেন অস্ত্রধারীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) তাকে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার ট্যাঙ্ক ও ডেরা ইসমাইল খানের সীমান্ত এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। তবে অপহরণের একদিনের মাথায় তাকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর জিও নিউজের।

প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলী সাইফ জিও নিউজের কাছে বিচারক শাকিরুল্লাহকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিক করেছেন। তাকে নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ব্যারিস্টার সাইফ বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

পুলিশ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল রাতে ডিআই খানের কুলাচি এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। যার ফলে ওই বিচারককে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের আদালেতে নিয়োজিত এই বিচারককে ট্যাঙ্ক ও ডিআই খানের মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকা বাগওয়াল গ্রাম থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ডিআই খানের উপ-পুলিশ সুপার (ডিএসপি) মোহাম্মদ আদনান জানান, শাকিরুল্লাহ আদালত থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই কাউন্টার-টেরোরিজম ডিপার্টমেন্টেঅজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করেন বিচারকের গাড়ি চালক শের আলী।

এফআইআর দায়ের করার আগে ওই বিচারককে দ্রুত উদ্ধার করতে একটি উচ্চ-স্তরের বিশেষ দল গঠন করে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। তার আগে ৬৩ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় বিচারক শাকিরুল্লাহ জানান, অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের সরকারের কাছে কিছু দাবি রয়েছে। তাদের দাবি পূরণ করা হলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।


পাকিস্তান   জেলা ও দায়রা জজ   শাকিরুল্লাহ মারওয়াত   অপহরণ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিপাইনে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা, সংকটের মুখে চাষাবাদ

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমের কারণে ফিলিপাইনে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দেশটিতে চাষাবাদ ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড গরমের কারণে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটির শিক্ষার্থীরাও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। খবর রয়টার্সের

ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এ ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট এবং আন্তর্জাতিক স্ট্যাডি অব এডুকেশন সিস্টেমের তথ্যানুসারে, বিশ্বের মধ্যে গণিত, বিজ্ঞান এবং পড়ার ক্ষেত্রে ফিলিপাইন সবচেয়ে কম স্কোর অর্জন করেছে। এর একটি বড় কারণ ছিল করোনা মহামারির সময় দুর্গম অঞ্চলে শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়া।  

করোনা মহামারির সময় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৩ বছর বয়সী সিনিয়র হাইস্কুল শিক্ষার্থী কির্ট মাহুসে বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়ছে। চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। এ গরম সহ্য করা যাচ্ছে না।

এদিকে, প্রচণ্ড গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক তথ্যে বলা হয়েছে। 

অন্যদিকে, সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মৌলিক শিক্ষা উপদেষ্টা জেরক্সেস কাস্ত্রো বলেন, মে মাসেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তখন গরম আরও বাড়বে। অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে ৫২ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। সুতরাং এমন পরিবেশে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব সে বিষয়েও প্রশ্ন রাখেন তিনি। 

দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় প্রচণ্ড গরম পড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটি হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মতে, প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুদের মাথা ঘোরা, বমি এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে।  

বর্তমানে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়েছে। অন্যদিকে, এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দুর্গম অঞ্চলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরাও। কারণে এসব অঞ্চলে ইন্টানেটের গতি খুবই কম। 


ফিলিপাইন   তাপমাত্রা   চাষাবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নাভালনির মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার একটি কারাগারে বন্দি অবস্থায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধী রাজনীতিবিদ আলেক্সি নাভালনি। এরপরই তার মৃত্যুর জন্য এককভাবে পুতিনকে দায়ী করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ পশ্চিমা নেতারা। তবে সম্প্রতি রুশ এ নেতার মৃত্যু নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মার্কিন গোয়েন্দারা জানান, নাভলনিকে হত্যার জন্য পুতিন কোনো নির্দেশ দেননি। আমেরিকান সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ালি স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে।

নাভালনির মৃত্যুর পর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন। এমনকি তার মৃত্যুকে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন পুতিন। তিনি জানান, বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় নাভালনিকে পশ্চিমা দেশের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত ছিল নাভালনি আর কখনো রাশিয়ায় ফেরত আসবেন না।

নাভালনির মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তদন্ত শুরু করে পশ্চিমা গোয়েন্দারা। প্রায় দুই মাসের তদন্ত শেষে গেল শনিবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, নাভালনিকে হত্যার সরাসরি নির্দেশ দেননি পুতিন। তবে কী কারণে বা কীভাবে নাভালনির মৃত্যু হয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন অনুমান’ বলে উল্লেখ করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ। রুশ এ কর্মকর্তা জানান, প্রতিবেদনটি তার নজরে এসেছে, এটি মানসম্পন্ন কোনো অনুসন্ধান নয় যে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার আছে।


আলেক্সি নাভালনি   মৃত্যু   যুক্তরাষ্ট্র   চাঞ্চল্যকর তথ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় ইসরায়েলি হামলায় এক পরিবারের ৯ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরায়েলি হামলায় আবু তাহা নামের একটি পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছোট শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের একমাত্র বেঁচে যাওয়া সদস্য সে।

খবর অনুসারে, রাফায় আবু তাহার বাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। পরিবারটির একজন প্রতিবেশী আল-জাজিরাকে জানান, হামলায় বাড়িতে থাকা পরিবারের ৯ সদস্য মারা গেছেন। তিনি শুধু পরিবারটির এক মেয়েশিশুকে ব্যালকনি থেকে বের করে আনতে পেরেছেন। এতে ওই শিশুর প্রাণ বাঁচে।

রবিবার রাফায় কয়েকটি এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ২০ থেকে ২৫ জন। এ ছাড়া গাজা নগরীতে ইসরায়েলি হামলায় আরও সাতজনের প্রাণ গেছে।

এদিকে রয়টার্স বলছে, রাফায় অন্তত তিনটি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ গেছে অন্তত ১৩ জনের। আহত হয়েছেন অনেকেই। হামাস নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নিহতের সংখ্যা ১৫। গাজা নগরীতেও দুটি বাড়িতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে।


রাফা   ইসরায়েল   হামলা   নিহত   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন