ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কোয়াড-চীন বিতর্কে বাংলাদেশের দরকার ভারসাম্য রক্ষা করা

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের প্রধান শক্তিধর দেশগুলোর নজর এখন ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে। ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় এ অঞ্চলে বাংলাদেশের যথেষ্ট কদর রয়েছে। শুরু থেকেই ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর কৌশল (আইপিএস) নিয়ে অনেক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করছে। একইসঙ্গে রয়েছে কিছু উদ্বেগও।

বাংলাদেশের আশঙ্কা, আইপিএসে যোগ দিলে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। কারণ ২০১৮ সালে মার্কিন নেতৃত্বে গঠিত আইপিএসকে দেখা হচ্ছে চীনবিরোধী শক্তি হিসেবে। আবার যুক্তরাষ্ট্র অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন অংশীদার ও বৃহত্তম বিনিয়োগকারী। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কী করবে? কারণ, সময় এখন যে কোনো একটি বলয়কে বেছে নেয়ার দিকেই এগোচ্ছে।

এখন পর্যন্ত দেশ ও জোট মিলিয়ে ২০টি আইপিএস সদস্য রয়েছে। ২০০৭ সালে প্রথম আইপিএসের ধারণা নিয়ে আসেন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। এর কয়েক বছর পর অস্ট্রেলিয়াও এ ধারণার গুরুত্ব বুঝতে পারে। এরপর ২০১৩ সালে আইপিএস হিসেবে চীনও বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্প চালু করে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রও তার কৌশল ঠিক করে নেয়।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আইপিএস নিয়ে বলেছিলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক মহাসাগরীয় কৌশল কোনো সামরিক জোট নয়। এটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকেন্দ্রিক অঞ্চলের প্রতিযোগিতারও বিষয় নয়। আমরা ইন্দো-প্যাসিফিককে স্বতন্ত্র অঞ্চল হিসেবেই দেখি। তবে ফ্রান্স ও জার্মানি আইপিএসের ব্যাপারে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, আইপিএসের মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য ঠেকানো এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর জোর দেয়া হবে।

অনেকে আবার চীনকে বাংলাদেশের ‘সব আবহাওয়ার বন্ধু’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্কও ঈর্ষণীয়। ভারতের অবজারভার ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের প্রভাব বৃদ্ধি পেলেও বাংলাদেশ সবচেয়ে কম সংবেদনশীল প্রতিবেশীদের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের মোট আমদানি বাণিজ্যের ২৫ শতাংশই আসে চীন থেকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে চীন থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য।

শুধু আইপিএস নয়, চীনকে ঠেকাতে ২০০৭ সালে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে নিয়ে অনানুষ্ঠানিক কৌশলগত সামরিক জোট গঠন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কোয়াড নামেও এই জোটও বেশ আলোচিত। কোয়াডের পর যুক্তরাষ্ট্র গঠন করে অকাস, আর এখন আলোচনা কোয়াড প্লাস নিয়ে। সবকটি জোট গঠনের লক্ষ্য স্পষ্ট যে, সেগুলো চীনবিরোধী জোট।’

স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ কোনো সামরিক জোটে যুক্ত হয়নি। চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বাংলাদেশকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যদি চীনবিরোধী জোটে যুক্ত হয়, তাহলে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হবে।’ এদিকে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জানান, আইপিএস ইতিবাচক ও সম্মিলিত একটি রূপকল্প করতে চায়। এর আওতায় বাংলাদেশ, চীন, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশ উন্নতি করতে পারবে। কৌশলটির অন্যতম মূলনীতি হলো, প্রতিটি দেশ কোনো চাপ বা জবরদস্তি ছাড়াই এতে যোগ দিতে পারবে।

শান্তি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, ভূ-রাজনৈতিক কৌশল যেভাবে পরিবর্তন হচ্ছে তাতে বাংলাদেশের এসব বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আইপিএস নিয়ে বাংলাদেশ যদি কোনো কৌশল ঠিক করে, তাতে ভারসাম্য থাকতে হবে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সাফল্য দেখিয়ে আসছে। চীনের বিআরআই, যুক্তরাষ্ট্রের কোয়াড-- উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ সতর্ক অবস্থায় ছিল। 

ডেভিড ব্রুস্টারের মতে, বিশ্বে ভূ-রাজনৈতিক যে পরিবর্তন তাতে বাংলাদেশের পছন্দ হোক বা না হোক, এর প্রভাব পড়বেই। এ অঞ্চলে শুধু বঙ্গোপসাগর নয়, মিয়ানমার, রোহিঙ্গা, জলবায়ু পরিবর্তন ও উগ্রপন্থার মতো ঝুঁকিও রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কীভাবে কৌশলগত পরিবর্তনে খাপ খাবে। এক্ষেত্রে কৌশলগত পরিবেশ নির্ধারণে জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের সঙ্গে কাজ করতে পারে ঢাকা।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ কোনো পক্ষে যাওয়ার অবস্থানে নেই। বাংলাদেশের কোনোভাবেই সামরিক ও কৌশলগত জোটে ঢুকে পড়া ঠিক হবে না। কারণ এতে বাংলাদেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হ‌বে এবং তা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার জন্য সুখকর হবে না।

বাংলাদেশের করণীয় কী?

এই উভয় সংকট মোকাবিলা করতে এই মুহূর্তে কোয়াডে যোগ দেয়া উচিত না৷ চাপ যতই থাকুক না কেন৷ তাদের বলতে হবে যে, আমাদের বিকল্প তোমরা দাও, তাহলে আমরা যোগ দিতে পারি৷’’

চীনের বিকল্প কোয়াড নয়। আমাদের চীনের কাছে যে প্রয়োজন  সেটা  ভারত কিংবা যুক্তরাষ্ট্র পারবে না৷ ফলে তাদেরকে বোঝাতে হবে। দেশের এমন একটা পরিস্থিতির জন্য গণতান্ত্রিক চর্চার অভাবকে দায়ী করে বিশ্লেষ্করা বলছেন, ভারসাম্য রক্ষা করাটা এখন জরুরি৷

তাদের মতে, ‘‘যেকোনো সময়ের চেয়ে আমাদের জন্য এই সংকটটা খুব গভীর৷ এক্ষেত্রে প্রফেশনালিজমকে যদি অনেক গুরুত্ব দিয়ে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে স্বাধীনতা দেয়া হয়, তাহলে ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়াটা তাদের জন্য সহজ হবে৷ ফলে রাষ্ট্র কিংবা সরকারের এই পরিস্থিতিটা অনুধাবন করা জরুরি৷’’

কোয়াড-চীন বিতর্ককে সংকট হিসেবে নয়, বরং সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন৷ তার দাবি, এমন অবস্থা বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়৷

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ কখনো এমন অবস্থায় পড়েনি, বিষয়টি এমন নয়৷ এ ধরনের সিচুয়েশন কোল্ড ওয়ার পিরিয়ডে কিছুটা শুরু থেকে ছিল৷ বাংলাদেশের সামনে সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল, বাংলাদেশের সামনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল৷ এর চেয়ে বড় বাস্তবতা তো হতেই পারে না৷ তখন থেকে বাংলাদেশে নন অ্যালায়েন্স নীতি নিয়ে, দুই পরাশক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বিষয় ছিল৷’’

বিশ্বের দুই পরাশক্তি বলয় বাংলাদেশ নিয়ে যে টানাটানি শুরু করেছে সেটাকে ইতিবাচক হিসেবেও দেখছেন এই বিশ্লেষক৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জিও-পলিটিক্যাল অবস্থানটা আমাদের শক্তিকে আরও বৃদ্ধি করছে৷ আমাদের বার্গেনিং পাওয়ারকে আরও বাড়াচ্ছে৷ দুটি বড় পরাশক্তি আমাদের পাশে আছে সেটা আমাদের জন্য একটা বিশাল অ্যাডভান্টেজ৷’’



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিপাইনে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা, সংকটের মুখে চাষাবাদ

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমের কারণে ফিলিপাইনে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দেশটিতে চাষাবাদ ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড গরমের কারণে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটির শিক্ষার্থীরাও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। খবর রয়টার্সের

ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এ ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট এবং আন্তর্জাতিক স্ট্যাডি অব এডুকেশন সিস্টেমের তথ্যানুসারে, বিশ্বের মধ্যে গণিত, বিজ্ঞান এবং পড়ার ক্ষেত্রে ফিলিপাইন সবচেয়ে কম স্কোর অর্জন করেছে। এর একটি বড় কারণ ছিল করোনা মহামারির সময় দুর্গম অঞ্চলে শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়া।  

করোনা মহামারির সময় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৩ বছর বয়সী সিনিয়র হাইস্কুল শিক্ষার্থী কির্ট মাহুসে বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়ছে। চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। এ গরম সহ্য করা যাচ্ছে না।

এদিকে, প্রচণ্ড গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক তথ্যে বলা হয়েছে। 

অন্যদিকে, সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মৌলিক শিক্ষা উপদেষ্টা জেরক্সেস কাস্ত্রো বলেন, মে মাসেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তখন গরম আরও বাড়বে। অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে ৫২ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। সুতরাং এমন পরিবেশে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব সে বিষয়েও প্রশ্ন রাখেন তিনি। 

দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় প্রচণ্ড গরম পড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটি হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মতে, প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুদের মাথা ঘোরা, বমি এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে।  

বর্তমানে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়েছে। অন্যদিকে, এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দুর্গম অঞ্চলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরাও। কারণে এসব অঞ্চলে ইন্টানেটের গতি খুবই কম। 


ফিলিপাইন   তাপমাত্রা   চাষাবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নাভালনির মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার একটি কারাগারে বন্দি অবস্থায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধী রাজনীতিবিদ আলেক্সি নাভালনি। এরপরই তার মৃত্যুর জন্য এককভাবে পুতিনকে দায়ী করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ পশ্চিমা নেতারা। তবে সম্প্রতি রুশ এ নেতার মৃত্যু নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মার্কিন গোয়েন্দারা জানান, নাভলনিকে হত্যার জন্য পুতিন কোনো নির্দেশ দেননি। আমেরিকান সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ালি স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে।

নাভালনির মৃত্যুর পর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন। এমনকি তার মৃত্যুকে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন পুতিন। তিনি জানান, বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় নাভালনিকে পশ্চিমা দেশের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত ছিল নাভালনি আর কখনো রাশিয়ায় ফেরত আসবেন না।

নাভালনির মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তদন্ত শুরু করে পশ্চিমা গোয়েন্দারা। প্রায় দুই মাসের তদন্ত শেষে গেল শনিবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, নাভালনিকে হত্যার সরাসরি নির্দেশ দেননি পুতিন। তবে কী কারণে বা কীভাবে নাভালনির মৃত্যু হয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন অনুমান’ বলে উল্লেখ করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ। রুশ এ কর্মকর্তা জানান, প্রতিবেদনটি তার নজরে এসেছে, এটি মানসম্পন্ন কোনো অনুসন্ধান নয় যে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার আছে।


আলেক্সি নাভালনি   মৃত্যু   যুক্তরাষ্ট্র   চাঞ্চল্যকর তথ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় ইসরায়েলি হামলায় এক পরিবারের ৯ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরায়েলি হামলায় আবু তাহা নামের একটি পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছোট শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের একমাত্র বেঁচে যাওয়া সদস্য সে।

খবর অনুসারে, রাফায় আবু তাহার বাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। পরিবারটির একজন প্রতিবেশী আল-জাজিরাকে জানান, হামলায় বাড়িতে থাকা পরিবারের ৯ সদস্য মারা গেছেন। তিনি শুধু পরিবারটির এক মেয়েশিশুকে ব্যালকনি থেকে বের করে আনতে পেরেছেন। এতে ওই শিশুর প্রাণ বাঁচে।

রবিবার রাফায় কয়েকটি এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ২০ থেকে ২৫ জন। এ ছাড়া গাজা নগরীতে ইসরায়েলি হামলায় আরও সাতজনের প্রাণ গেছে।

এদিকে রয়টার্স বলছে, রাফায় অন্তত তিনটি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ গেছে অন্তত ১৩ জনের। আহত হয়েছেন অনেকেই। হামাস নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নিহতের সংখ্যা ১৫। গাজা নগরীতেও দুটি বাড়িতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে।


রাফা   ইসরায়েল   হামলা   নিহত   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ

প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট ইবু পর্বতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। রোববার (২৮ এপ্রিল) এই বিষয়ে তথ্য প্রদান করে সেন্টার ফর ভলকানোলজি অ্যান্ড জিওলজিক্যাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন জানিয়েছে, পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার উত্তর মালুকু প্রদেশের হালমাহেরা দ্বীপে বিস্ফোরণটি ঘটেছে।

সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন সাধারণ মানুষ বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে থাকেন। প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছাই দেখা গেছে বলেও জানা গেছে।

নিউজ এজেন্সি সিনহুয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, পিভিএমবিজি জানিয়েছে আগ্নেয়গিরিটি প্রায় ২০৬ সেকেন্ড ধরে বিস্ফোরিত হয়। স্থানীয় সময় ১২টা ৩৭ মিনিট নাগাদ অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। যার ফলে পাহাড়ের চূড়া থেকে সাড়ে ৩ হাজার মিটার উপরে উঠেছিল ছাই।

উল্লেখ্য, মাউন্ট ইবু আগ্নেয়গিরি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৩২৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই আগ্নেয়গিরিকে সর্বোচ্চ স্তর চারের নিচে দ্বিতীয় বিপদ স্তর হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।

এদিকে, পিভিএমবিজি স্থানীয়দের ক্রেটার (আগ্নেয়গিরির পাহাড়ের মুখ) থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনো কার্যকলাপ না করার নির্দেশ দিয়েছে। কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ে মুখোশ ও চশমা পরার পরামর্শ দিয়েছেন। 

চলতি মাসের শুরুতে উত্তর সুলাওয়েসির মাউন্ট রুয়াং অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এদিকে ক্রেটার থেকে ১০০ কিলোমিটারেরও (৬২ মাইল) বেশি দূরে থাকা মানাডো শহরের স্যাম রাতুলাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল।


ইন্দোনেশিয়া   আগ্নেয়গিরি   বিস্ফোরণ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চিকেন শর্মা খেয়ে হাসপাতালে ১২ জন

প্রকাশ: ১১:২৯ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাস্তার পাশের দোকান থেকে চিকেন শর্মা খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ১২ জন। এক ব্যক্তির অভিযোগ, খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে এমন তারা অসুস্থ হয়ে থাকতে পারেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আর ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বাইয়ের গোরোগাঁ এলাকায়।

এনডিটিভি জানিয়েছে, গত দুদিনে অন্তত ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে রোববার পর্যন্ত ৯ জন হাসপাতাল ছেড়েছেন। অর্থাৎ এখনও হাসপাতালে রয়েছেন অন্তত তিনজন।

তিনি জানান, শুক্রবার গোরেগাঁও (পূর্ব) এলাকার সন্তোষনগরের এটি দোকান থেকে চিকেন শর্মা খাওয়ার পর এমন অসুস্থতা দেখা দিয়েছে।

বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (বিএমসি) এক কর্মকর্তা জানান, শুক্র ও শনিবার অন্তত ১২ জন খাদ্যে বিষক্রিয়ার অভিযোগ করেছিলেন। পরে তাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ৯ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। বাকি তিনজনের চিকিৎসা চলছে।


চিকেন শর্মা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন