ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে রেল দুর্ঘটনা : ৫১ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু সেই লাইনে

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ০৫ জুন, ২০২৩


Thumbnail

ভারতের ওড়িশার বালাসোরের বাহাঙ্গা রেল স্টেশনে ভয়াবহ দুর্ঘটনার দীর্ঘ ৫১ ঘণ্টা পর ওই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

ওই স্টেশনের ডাউন লাইন দিয়ে প্রথমে একটি মালবাহী ট্রেন বেরিয়ে যায়। ওই সময় ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবসহ একাধিক কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কোনোরকম সমস্যা ছাড়াই ডাউন লাইন দিয়ে ওই মালবাহী ট্রেন যাওয়ার সময় মালবাহী ট্রেনটির দিকে হাত নাড়েন রেলমন্ত্রী। ওই সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতে দেখা যায় তাকে।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এই লাইনেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দিন বাহাঙ্গা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আকরিক লোহা বোঝাই মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দিয়েছিল আপ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ট্রেনটি ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে ছুটে যাচ্ছিল। মালবাহী ট্রেনের আকরিক লোহা ও করমন্ডলের প্রবল গতির জেরে দুর্ঘটনা ভয়াবহ হয়। লাইনচ্যুত হয়ে যায় চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেসের ২১টি কোচ। দুমড়ে-মুচড়ে যায় একাধিক কোচ। দুর্ঘটনা এতটাই বেশি ছিল যে প্রায় ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন ১১ শর বেশি মানুষ। তারা ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 

চারিদিকে সেই হাহাকার আর কান্নার মধ্যেই শনিবার দুপুর থেকে লাইনের কাজ শুরু করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন প্রায় এক হাজার শ্রমিক । সকালে প্রথমে ডাউন লাইন ঠিক করা হয়। এরপর সন্ধ্যার  দিকে শ্রমিকরা আপ লাইনও ঠিক করে ফেলেন । তারপর রাত ১০টা নাগাদ ডাউন লাইনে মালবাহী ট্রেন চালিয়ে ট্রায়াল শুরু করা হয়।

 


ভারত   ট্রেন দুর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সূর্যকুমারের ব্যাটিং তাণ্ডব কি পারবে ভারতের শিরোপা খরা কাটাতে?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সারা বিশ্বজুড়ে জমে উঠেছে টি-২০ বিশ্বকাপের আমেজ। আগামী জুন মাসের ২ তারিখ থেকেই ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে গড়াবে খেলা। আর এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই বেশ সরব অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল। এরই মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ দল নিজেদের স্কোয়াডও ঘোষণা করেছে। আর চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়েই দল গঠন করেছে প্রতিটি দল।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার আইসিসির এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। যেখানে দলের নেতৃত্বে রয়েছেন রোহিত শর্মা। এছাড়াও গাড়ি দুর্ঘটনার কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা ঋষভ পন্থও দলে ফিরেছেন ১৬ মাস পর। সেই সাথে দলে রয়েছেন, বর্তমান টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ে ভারতের সেরা খেলোয়াড় সূর্যকুমার যাদবও।

শুধু তাই নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ১৫ জনের দলে আছেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি, তারকা পেসার যশপ্রীত বুমরাহর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। রয়েছেন যশস্বী জয়সওয়ালের মতো তরুণ ওপেনার।

ঘরের মাঠে গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপে শুরু থেকে দারুণ আশা জাগিয়েছিল ভারত। ফাইনালের আগ পর্যন্ত হেরেছিল না একটি ম্যাচ ও। তবে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ধরাশায়ী হয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রফি নিজেদের ঘরে তুলতে পারেনি। 

আর ওয়ানডে তে ধাক্কার পর এবার ভারতের চোখ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে। যার জন্য ইতোমধ্যেই চলা ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলে রীতিমত তাণ্ডব চালাচ্ছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। ঋষভ পন্থ থেকে শুরু করে বিরাট কোহলি, যশ্বসী জয়সওয়াল থেকে সঞ্জু স্যামসন- সবাই যেন রয়েছেন নিজেদের সেরা ফর্মে। 

এ বারের বিশ্বকাপ দল ঘোষণার পূর্বে গুঞ্জন উঠেছিল যে, বিরাট কোহলি কে হয়তো বাদ দেওয়া হবে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে। তবে অধিনায়ক রোহিতের চাওয়ায় তাকে দলে রাখা হয়েছে। অবশ্য এর প্রতিদানও দিয়েছেন বিরাট। এবার আইপিএলে দারুণ ফর্মে রয়েছেন তিনি। সব থেকে বেশি রান তার ব্যাট থেকেই এসেছে। তবে আইপিএলে এবার বিরাট ওপেনিং করলেও বিশ্বকাপে ওপেনার হিসাবে বিরাটকে দেখা যাবে কি না তা স্পষ্ট নয়। কারণ দলে রোহিত এবং যশস্বী রয়েছেন। 

তবে ভারতীয় সব তারকা ব্যাটারদের ভিড়ে সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা সূর্যকুমার যাদব। 

কারণ আইপিএলের গত কয়েক আসরে ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। তবে এবারের আসরে শুরু থেকে তাকে পেয়েছিলনা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সূর্যের অভাব প্রভাব ফেলেছিল মুম্বাইয়ের ব্যাটিংয়ে। আর পুনর্বাসন শেষে দলে ফিরেই রীতিমত ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন সূর্যকুমার। দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড ও গড়েন তিনি। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে মাত্র ১৭ বলেই দেখা পান অর্ধ শতকের। 

আর তাইতো ভারতীয় এই ব্যাটারের প্রতি আস্থা রেখেছেন কিংবদন্তি ব্রায়েন লারাও। তিনি মনে করেন, ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে বিপক্ষ দলের বোলিং আক্রমণকে বিধ্বস্ত করে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন সূর্যকুমার। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং গুঁড়িয়ে দিতে পারে প্রতিপক্ষের মনোবল। 

শুধু তাই নয়, হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তী বলেন, “আমার মনে হয় কোহলির পজিশনটা চার নম্বর হওয়া উচিত। সূর্যকুমার যাদবকে তিন নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ দেওয়া উচিত এবং দলের হয়ে খেলা জিততে দেওয়া উচিত। আপনি যদি একটা বোলিং আক্রমণকে এলোমেলো করে দিতে চান এবং তাদের মনোবল গুঁড়িয়ে দিতে চান তাহলে এই মানুষটাকেই (যাদব) সর্বোচ্চ সুযোগটা দেওয়া উচিত।”

২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপে সূর্যকুমার খেলেছেন চার নম্বরে। এখন পর্যন্ত ভারতের হয়ে তিনি খেলেছেন ৫৭ টি-২০ ইনিংস। এর মধ্যে তিন নম্বরে খেলেছেন ১৪ ইনিংস, ১৬০.৭৩ স্ট্রাইক রেট আর ৩৯.৯১ গড়ে করেছেন ৪৭৯ রান।

তবে সম্প্রতি সূর্যকুমারের পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ ক্রিকেটভক্তরা। এজন্যই তাদের প্রত্যাশা নিজের সেরা ফরম্যাটে দারুণ ব্যাটিং করে এবার দলকে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রাখতে হবে সূর্যকুমার যাদবকে। তারা মনে করেন সূর্যের ব্যাটিং তাণ্ডবের মধ্য দিয়েই কাটবে ভারতের শিরোপা খরা। তবে কি ভক্ত-সমর্থকদের এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন সূর্য, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা। 

ভারতের টি-২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াড: 

রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জসওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ (উইকেটরক্ষক), সাঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া (সহ-অধিনায়ক), শিবম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আরশদীপ সিংহ, যশপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ। রিজার্ভ: শুভমান গিল, রিঙ্কু সিংহ, খলিল আহমেদ ও আবেশ খান।


সূর্যকুমার   ব্যাটিং   ওয়ানডে   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: বিজেপির আসন বাড়ার পরীক্ষা হয়ে গেল

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪০০ পারের স্লোগান দিয়ে ভোট ময়দানে নামা বিজেপি আশা করেছিল দক্ষিণ ভারতে এবার গেরুয়া ঝড় উঠবে। সেই দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ভোট শেষ হয়ে গেল আজ চতুর্থ দফায়। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে ভোট হয়েছে। কেরেলা, কর্নাটকেও মিটেছে ভোট-পর্ব। চতুর্থ দফায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় নির্বাচন। বিজেপির আশা, এই দুই রাজ্যেই আগেরবারের থেকে অনেক ভালো ফল করবে দল।

প্রথম তিন দফায় ভোটারদের মধ্যে সেভাবে উৎসাহ চোখে পড়েনি। তিন দফাতেই ভোটের হার কমেছে। ভোটের হার কমাটা বিজেপির জন্য মোটেই ভালো লক্ষণ নয় বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল। গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও গোবলয় নিয়ে উদ্বেগের আভাস রয়েছে। যদি উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান বা বিহারে আসন খোয়াতে হয়, তাহলে সেটা পুষিয়ে দেয়ার জন্য মূলত অন্ধ্র এবং তেলেঙ্গানাকে টার্গেট করছে গেরুয়া শিবির।

বিজেপির আশার উৎস প্রধানত অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। এই দুই রাজ্যের ৪২ আসনের ভোট আজ সোমবার হয়ে গেল। সেই সঙ্গে হলো অন্ধ্র প্রদেশের ১৭৫ বিধানসভা আসনেরও ভোট। লোকসভার গত দুটি ভোটে অন্ধ্র প্রদেশে বিজেপি একটি আসনেও জিততে পারেনি। তেলেঙ্গানায় পেয়েছিল ৪টি আসন। বিজেপির আশা, এবার দুই রাজ্য মিলিয়ে তারা জোট শরিকদের সঙ্গে নিয়ে ২২ থেকে ২৫টি আসন আদায় করে নেবে। তা হলে তারা তৃতীয়বার ক্ষমতা ধরে রাখার পথে এগিয়ে যাবে অনেকটাই।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নিয়েও আশাবাদী বিজেপি। উত্তরবঙ্গের ঘাঁটি ছেড়ে ভোট এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। এই দফায় ৮ আসনে ভোটের গতিপ্রকৃতি বুঝিয়ে দেবে, গতবার পাওয়া ১৮ আসন তারা এবার ধরে রাখতে পারবে কি না। ৮ আসনের নিরাপত্তা রক্ষায় নির্বাচন কমিশন তৎপর। প্রায় চার হাজার বুথ তাদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর।

পাশের রাজ্য অন্ধ্রে আগের দুই নির্বাচনে খাতা খুলতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তবে এবার টিডিপি (টিডিপি) এবং জন সেনার সঙ্গে জোট রয়েছে বিজেপির। ২৫ আসনের মধ্যে লোকসভায় বিজেপি লড়ছে ৬ আসন। জোটে ভর করে অন্ধ্রেও এবার একাধিক আসন পাওয়ার আশায় গেরুয়া শিবির। জোট হিসাবে সেরাজ্যেও অন্তত ১৫-১৭ আসন পাওয়ার আশা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

উত্তরপ্রদেশে যে ১৩টি আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে ১১টিতে গত বার বিজেপি জেতে। এবার সে রাজ্যে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস জোট ভালো লড়াই দিচ্ছে বিজেপিকে। প্রথম তিন পর্বে মুসলিম, যাদব এবং জাঠ, রাজপুতদের একাংশ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বলেই দাবি বিরোধীদের। এই পর্বেও তেমন হলে চাপে পড়ে যাবে বিজেপি। মহারাষ্ট্র, বিহারেও এবার শক্তিশালী বিরোধী জোট বাধা হতে পারে বিজেপির জন্য। এই রাজ্যগুলিতে বিজেপির কিছু আসন ঘাটতি হবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। দক্ষিণের দুই রাজ্যে বাড়তি আসন পেয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করতে চায় গেরুয়া শিবির।

এই ৯৬ আসনের মধ্যে উনিশে এনডিএ জোট পায় ৪৯ আসন। বিজেপি একা পায় ৪২টি। ৪৭টি আসন ছিল বিরোধী শিবিরের দখলে। গেরুয়া শিবির সার্বিকভাবে এই পর্বেই স্ট্রাইক রেট বাড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি দেখছে। সেটা মূলত তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে।


লোকসভা নির্বাচন   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মালয়েশিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। 

স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, নিহত বৃক্ষরোপণ কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মো. নওশের আলী (২৯) নামের ওই কর্মী তার এক সহকর্মীকে নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে হাতির আক্রমণের শিকার হন। 

সোমবার দেশটির পুলিশের এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে হাতির আক্রমণের সময় পালিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ পাননি ওই ভুক্তভোগী। মরদেহের পাশেই হাতির পায়ে ছাপ পাওয়া গেছে।

পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু বলেছেন, ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য ওই ব্যক্তির মরদেহ গুয়া মুসাং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


মালয়েশিয়া   বন্য হাতি   বাংলাদেশি   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: মহিষে চড়ে ভোট দিতে গেলেন যুবক, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভোটাধিকার মানুষের অন্যতম রাজনৈতিক অধিকার। প্রথমবার ভোট দেওয়ার দিনটি মানুষের জীবনে স্মরণীয় একটি দিন বটে। তাই তো ভারতের এক যুবক তার প্রথম ভোটের দিনকে স্মরণীয় করতে মহিষের পিঠে চড়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে এলেন। এরই মধ্যে যুবকের এই কাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

ভারতের বিহার রাজ্যের উজিয়ারপুর এলাকার। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক মহিষে চড়ে ভোট দিতে এসেছেন। কালো শার্ট, ধূসর রঙের প্যান্ট ও মাথায় পাগড়ি পরে আছেন তিনি। মহিষের মাথায়ও সবুজ রঙের কাপড় জড়ানো। তাকে এভাবে আসতে দেখে আশেপাশে লোকজন ভিড় করেছেন। অনেকে ছবি তুলছেন কিংবা ভিডিও করে রেখে দিচ্ছেন তার এই কাণ্ড। 

অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবক বলেন, প্রথমবার ভোট দিতে এসে এক ধরনের উদ্দীপনা কাজ করছে। আশা করি, নির্বাচনে যিনি জিতবেন, তিনি আমাদের গ্রামের দারিদ্র্য দূর করবেন, তরুণদের চাকরি ব্যবস্থা করবেন ও মুদ্রাস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করবেন।

বিহারের সমস্তিপুর জেলার উজিয়ারপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ ভোটার। এই আসনে বিভিন্ন দলে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। এবার জিতলে এই আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করবেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরজেডি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলোক মেহতা।


লোকসভা নির্বাচন   ভোট   ভিডিও   ভাইরাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: চতুর্থ দফায় পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা

প্রকাশ: ০৭:৪১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করে সহিংসতা ও গণ্ডগোল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। 

অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেগু দেশম পার্টি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। 

নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভারত জুড়েই একাধিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে ছিল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়াও নির্বাচন কেন্দ্রিক যেকোনো অশান্তি রুখতে প্রস্তুত রাখা ছিল কুইক রেসপন্স টিম, ফ্লাইং স্কোয়াড, ভিডিও সার্ভেলেন্স টিম, স্ট্যাটিক সার্ভেলেন্স টিমের সদস্যরা। কিন্তু ঠেকানো গেলো না সহিংসতা। ঝরলো রক্ত, প্রাণ গেল। গণমাধ্যমের গাড়িও হামলার শিকার হয়েছে।

সোমবার চতুর্থ দফায় ১০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ৯৬টি সংসদীয় আসনে ভোট নেওয়া হয়। এই কেন্দ্রগুলি হল- অন্ধ্রপ্রদেশের (২৫), তেলেঙ্গানা (১৭), উত্তরপ্রদেশ (১৩), মহারাষ্ট্র (১১), পশ্চিমবঙ্গ (৮), মধ্য প্রদেশ (৮), বিহার (৫), ঝাড়খন্ড (৪), ওড়িশা (৪) এবং  জম্মু-কাশ্মীর (১)। 

লোকসভার পাশাপাশি এদিন অন্ধপ্রদেশের ১৭৫ আসনে এবং উড়িষ্যার ২৮টি আসনে বিধানসভার ভোট নেওয়া হয়। 

গোটা ভারতে ভোট শুরু হয় স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় তা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কিন্তু ভোট শুরুর আগে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসাতায় প্রাণ যায় এক তৃণমূল কর্মীর। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কেতুগ্রামের চেঁচুড়ি গ্রামে তাকে হত্যা করা হয়। রবিবার রাতে মিন্টু শেখ নামে ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পাশাপাশি বোমা মেরে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর মিন্টু শেখ যখন তার এক সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন, সে সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার বাইক আটকায়। তিনি বাইক থামাতেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। 

এদিন সকালের দিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের মন্তেশ্বর ব্লকের টুললা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। দিলীপ ঘোষের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে এক গ্রামবাসী। এ সময় দিলীপ ঘোষকে ঘিরে 'গো ব্যাক' স্লোগানও দেওয়া হয়। এই সংবাদসংগ্রহ করতে গিয়ে গণমাধ্যমের গাড়িও ভাংচুর করা হয়। বেলা গড়াতেই বিকেলে ফের দিলীপ ঘোষের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। বর্ধমান-উত্তর ২০৪ নম্বর বুথের দলীয় এজেন্টকে বের করে দেওয়ার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান দিলীপ ঘোষ। এই হামলায় আহত হন দিলীপ ঘোষের দুই নিরাপত্তারক্ষী। এর মধ্যে একজনের মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। নিরাপত্তা রক্ষীদের গাড়ি বহরেও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। 

দুর্গাপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। 

কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তেহট্টের রামজীবনপুরের কয়েকটি বুথে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ভোট দিতে আসার সময় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমুলের দাবি এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। 

ভোট পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগের মুখে পড়েন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। 

বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের নানুর বিধানসভার অধীন আট গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া একাধিক জায়গা থেকেই ইভিএম বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে, ফলে সেইসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হতে দেরী হয় কিভাবে সেসব কেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। 

দুর্গাপুরে তানসেন রোডের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ তারা যখন মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য গিয়েছিলেন সেই সুযোগে বিজেপির বহিরাগতরা বাইক বাহিনী নিয়ে এসে তাদের নারী সদস্যদের উপর হামলা চালায় এবং ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় তৃণমূলের বেশ কয়েকজন মহিলা তৃণমূল কর্মী আহত হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি লেগে গেলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। 

এ দফায় ভারতে মোট ভোটার ছিল ১৭ কোটি ৭০ লাখ। ভাগ্য নির্ধারণ হয় মোট ১৭১৭ জন প্রার্থীর। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (বেগুসারাই), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা (কুন্তী), সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব (কনৌজ), সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী (বহরমপুর), ওই কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র (কৃষ্ণনগর), তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা (আসানসোল), তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী শতাব্দী রায় (বীরভূম), তৃণমূল নেত্রী সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ (বর্ধমান-দুর্গাপুর), ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী ওমর আব্দুল্লাহ (জম্মু-কাশ্মীর), অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি (হায়দরাবাদ)। 

ভোটের পরবর্তী ধাপে পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট ১ জুন। গণনা আগামী ৪ জুন।


লোকসভা নির্বাচন   চতুর্থ দফা. পশ্চিমবঙ্গ   সহিংসতা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন