রাষ্ট্রীয়ভাবে গণসমাবেশের আয়োজন করে আমেরিকাকে
পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিল উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে আয়োজিত গণসমাবেশে
আমেরিকাকে ধ্বংস করার জন্য ‘প্রতিশোধের যুদ্ধের’ অঙ্গীকার করে স্লোগান দেওয়া হয়।
কোরীয় যুদ্ধ শুরুর ৭৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে
পিয়ংইয়ংয়ে গণসমাবেশের আয়োজন করে উত্তর কোরিয়া। সেখানে অংশ নেওয়া লোকেরা আমেরিকাকে
ধ্বংস করার জন্য ‘প্রতিশোধের যুদ্ধের’ স্লোগান দেয়।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ
এজেন্সির (কেসিএনএ) জানিয়েছে, রবিবার পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির রাজধানীজুড়ে অনুষ্ঠিত
সমাবেশে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শ্রমজীবী মানুষ এবং শিক্ষার্থী একযোগে অংশ নেয়।
রয়টার্স বলছে, রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার প্রকাশিত
ছবিগুলোতে পিয়ংইয়ংয়ের একটি স্টেডিয়ামে বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সমাবেশে
অংশ নেওয়া এসব মানুষের হাতে প্ল্যাকার্ডও ছিল। যাতে লেখা ছিল, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সমগ্র
ভূখণ্ড আমাদের শুটিং রেঞ্জের (গোলার আওতার) মধ্যে’ এবং ‘সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্র শান্তি ধ্বংসকারী।’
কেসিএনএ বলেছে, উত্তর কোরিয়ার কাছে এখন ‘মার্কিন
সাম্রাজ্যবাদীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র’ এবং ‘এই ভূখণ্ডের মানুষ শত্রুদের
বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে টগবগ করছে’।
আমেরিকা পরমাণু যুদ্ধ হুঁশিয়ারি উত্তর কোরিয়া
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘের
সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এজন্য রাগে-ক্ষোভে বৈশ্বিক
সংস্থাটির সনদের একটি কপি ছিন্নভিন্ন করেছেন ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। শুক্রবার
(১০ মে) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার একপর্যায়ে তিনি এই কাণ্ড করেন। খবর এনডিটিভির।
শুক্রবার
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের ব্যাপারে একটি ভোটাভুটি হয়। সেখানে
প্রস্তাবের পক্ষে ১৪৩ দেশ ভোট পড়ে। অন্যদিকে ২৫টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। আর
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ৯টি দেশ এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।
প্রস্তাবে
ফিলিস্তিন যে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার যোগ্য তার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে
গত মাসে মার্কিন ভেটোর কারণে ফিলিস্তিনি পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন আটকে যাওয়ার বিষয়টি
পুনরায় বিবেচনা করতে নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে
বিশ্বের অধিকাংশ দেশের ফিলিস্তিনপন্থী এই অবস্থান ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েল। ইসরায়েলি
রাষ্ট্রদূত এরদান এই প্রস্তাবটিকে জাতিসংঘ সনদের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন।
২০১১
সালে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। সেই আবেদন এখনো পড়ে আছে।
গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের আয়োজন করা হয়। সেখানে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ
সদস্যপদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১২টি দেশ প্রস্তাবের
পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত
যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় তা আর পাস হয়নি।
তবে
পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন আবারও সচল করার চেষ্টা করছে ফিলিস্তিন। সাধারণ পরিষদে গত শুক্রবারের
এই প্রস্তাব পাস হওয়ায় কার্যকরভাবে তা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হলো।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ক্যাম্পাসে তাবু গেড়ে
বিক্ষোভ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট
অব টেকনোলজির (এমআইটি) শিক্ষার্থীরা।
গত শুক্রবার ভোরে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকে তাবু গুঁড়িয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নামী প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার শুরু
করেছে তারা।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান ও ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট
প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসাসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে
তাবু গেড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
পরে দেশটির দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ চলছে ইউরোপের
অন্তত এক ডজন দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোররাত চারটার দিকে এমআইটিতে
ঢোকে দাঙ্গা পুলিশের একটি দল। সেখানে তারা শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী তাবু ছেড়ে দিতে ১৫
মিনিট সময় দেয়। তাঁবু না ছাড়লে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। তাবু গুঁড়িয়ে দেয়
এবং অন্তত ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করে। এদিন যুক্তরাষ্ট্রে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে
তাবু গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ।
এর আগে গত সোমবার এমআইটিতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ
করার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে পুলিশ পিছু হটে।
শিক্ষার্থীদের তাবু গুঁড়িয়ে দেওয়ার আগে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে
বিক্ষোভকারী কয়েক ডজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে এমআইটি কর্তৃপক্ষ। তারা শিক্ষা কার্যক্রম
ও স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না।
তবে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর
সঙ্গে এমআইটির সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে তারা অনড়। এভাবে তাদের বিক্ষোভ দমন করা যাবে
না।
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির হিসাবে, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭টি
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
চড়াও মার্কিন পুলিশ
এমআইটি ছাড়াও শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে
যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীদের তাবু ভেঙে দেয় পুলিশ। পাশাপাশি কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে
আটক করা হয়।
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরতদের ওপর চড়াও হয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশ অন্তত ৩৩ শিক্ষার্থীকে আটক করে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁবু ছেড়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের
চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাতে সাড়া না দেওয়ায় পুলিশ জোরপূর্বক
তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়েও পুলিশ কাঁদানে গ্যাস
ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের কয়েক ডজন অস্থায়ী তাঁবু।
হার্ভার্ডে বহিষ্কার শুরু
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন ও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন
বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাসে তাবু গেড়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। শুক্রবার থেকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের
সাময়িক বহিষ্কার শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
ও ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি নামে হার্ভার্ডের একটি সংগঠন এ তথ্য জানিয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাদের
পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে যারা আবাসিক শিক্ষার্থী, তাদের আবাসন বাতিল
করা হবে। বিক্ষোভে অংশ নিলে বহিষ্কার করার হুমকি এর আগেই দিয়েছিলেন হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট
(অন্তর্বর্তীকালীন) অ্যালান গার্বার।
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে তাবু গেড়ে শিক্ষার্থীরা
বিক্ষোভ করার কারণে সামগ্রিক শিক্ষার পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পরিস্থিতি
স্বাভাবিক করতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত
করে বিবৃতি দিয়েছে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ। তবে কত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে
সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
হার্ভার্ডের এক মুখপাত্র শুক্রবার বিবৃতিতে বলেন, শৃঙ্খলাজনিত সমস্যায়
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী দিনগুলোতেও
এ পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ হার্ভার্ড
মন্তব্য করুন
হজ
নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রবাসীকে গ্রেপ্তার
করেছে সৌদি আরব। দেশটির
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই প্রবাসী
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হজ নিয়ে ভুয়া
ও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার চেষ্টা
করছিল। শনিবার (১১ মে) গালফ
নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার
ওই দুই প্রবাসী মিসরের
নাগরিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা হাজিদের মক্কা
ও মদিনায় থাকার ব্যবস্থার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে হজের ভুয়া বিজ্ঞাপন
দেখে প্রতারিত না হওয়ার জন্য
সতর্ক করে আসছে সৌদি
আরব।
সৌদি
আরবের হজ ও ওমরাবিষয়ক
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজের অনুমতি কেবল
সরকারি ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের মাধ্যমে
নেওয়া যাবে। এছাড়া যারা হজ করবেন
তাদের সর্বোচ্চ সেবা ও ঝামেলা
ছাড়া সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন
করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। অন্যদিকে এবারের হজে সৌদির অভ্যন্তরে
থাকা মানুষদের জন্যও অনুমতিকে বাধ্যতামূলক করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর
আগে চলতি বছরেই হাজিদের
জন্য অত্যাধুনিক যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করার ঘোষণা
দিয়েছিল সৌদি আরব। দেশটি
এবার হজের মৌসুমে হাজিদের
জন্য পরীক্ষামূলকভাবে উড়ন্ত ট্যাক্সি ও ড্রোন ব্যবস্থা
চালু করেছে।
মন্তব্য করুন
এবার
অস্ত্র হাতে মাঝ রাস্তায়
নাচলেন এক তরুণী। সামাজিক
যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে তার এ নাচের
ভিডিও। এ ঘটনার পর
তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওই
তরুণী। তাকে গ্রেপ্তার ও
আইনের আওতায় আনারও দাবি উঠছে। ভারতীয়
সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য জানানো
হয়েছে।
ভাইরাল
হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়-কমলা
রঙের একটি শর্ট কামিজ
পরে মহাসড়কের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে
নাচছেন ওই তরুণী। এসময়
তার ডানহাতে একটি অস্ত্র ছিল।
নাচের একপর্যায়ে অস্ত্রটি তিনি সড়কে ছুড়ে
ফেলেন। তখনও চলছিল তার
নাচ। এনডিটিভি জানিয়েছে, ভিডিওটি ঠিক কবে ধারণ
করা হয়েছে, তা জানা যায়নি।
তবে, সম্প্রতি এটি ভাইরাল হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ভারতের উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে। আর এই ঘটনার পরই সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজ্য পুলিশ। দেওয়া হয়েছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হাইওয়েতে
দাঁড়িয়ে এ ধরনের ভিডিও
বানানোয় ওই তরুণীর বিরুদ্ধে
সরব হয়েছেন বহু মানুষ। এমন
সস্তা উপায়ে জনপ্রিয়তা চাওয়ারও সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা।
ভারতীয়
সংবাদমাধ্যম বলছে, যে তরুণীকে পিস্তল
হাতে ভিডিও বানাতে দেখা গেছে তার
নাম সিমরন যাদব। তিনি উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌতে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। জানা
গেছে, ইনস্টাগ্রামে সিমরনের ২২ লাখেরও বেশি
ফলোয়ার রয়েছে। আর ইউটিউবে তার
ফলোয়ারের সংখ্যা ১৮ লাখের বেশি।
মন্তব্য করুন
নতুন করে অগ্রসর হতে শুরু করেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। রুশ সেনারা ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে সাঁজোয়া বহর নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার আকস্মিক এই অভিযান শুরু করে মস্কো। এর আগেও ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে একবার খারকিভের দখল নিয়েছিল রুশ সৈন্যরা। তবে ইউক্রেনের প্রবল প্রতিরোধের মুখে সেসময় শিহরটি ছেড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় মস্কো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এত দিন রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্ব দিকের অঞ্চলগুলোতে অভিযান চালালেও পুতিন এবার নতুন ফ্রন্ট খুলতে চাচ্ছেন।
এরই মধ্যে রুশ বাহিনী খারকিভ শহরের দিকে বেশ খানিকটা এগিয়েও গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ প্রথমবারের মতো বলেছেন, রাশিয়া সুমি ও চেরনিহিভের কাছাকাছি ইউক্রেনীয় অঞ্চলের কাছে খারকিভ শহরের উত্তরে সেনা সমাবেশ করেছিল। রুশ সেনারা ভোর ৫টার দিকে সাঁজোয়া বহর নিয়ে হামলা শুরু করে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা খারকিভে রুশ বাহিনীকে মোকাবিলার জন্য অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে।
তারা আরও জানিয়েছে, রুশ বাহিনী খারকিভের সীমান্তবর্তী শহর ভভচানস্কে ব্যাপক গোলা ও বোমা হামলা চালিয়েছে। অবশ্য ইউক্রেন মাসখানেক আগেই এই অঞ্চলে রাশিয়া সেনা সমাবেশ করছে বলে জানিয়েছিল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রাশিয়া পাল্টা আক্রমণের একটি নতুন ঢেউ শুরু করেছে। বর্তমানে সেখানে ভয়ংকর যুদ্ধ চলছে। জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ১৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রণক্ষেত্রে তীব্র লড়াই চলছে বলে তাকে রিপোর্ট করেছেন শীর্ষ কমান্ডার ওলেকজান্দর সিরস্কি। খারকিভের গভর্নর ওলেহ সাইনোহুবো জানিয়েছেন, খারকিভের আশপাশে রুশ সেনারা ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু করে। তিনি জানান, দুই বছরেরও বেশি সময় আগে যুদ্ধ শুরুর পর খারকিভের শহরতলী ভভচানস্কের জনসংখ্যা ১৭ হাজার থেকে কমে মাত্র কয়েক হাজারে নেমে এসেছে।
রাশিয়া আক্রমণ শুরুর পর সেই কয়েক হাজারের মধ্য থেকে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর খারকিভে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়। পরে গত বছর ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের মুখে রুশরা পিছু হটতে থাকে। অবশেষে রুশ বাহিনী আবারও আক্রমণাত্মকভাবে খারকিভের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করল।
মন্তব্য করুন
নতুন করে অগ্রসর হতে শুরু করেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। রুশ সেনারা ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে সাঁজোয়া বহর নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার আকস্মিক এই অভিযান শুরু করে মস্কো। এর আগেও ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে একবার খারকিভের দখল নিয়েছিল রুশ সৈন্যরা। তবে ইউক্রেনের প্রবল প্রতিরোধের মুখে সেসময় শিহরটি ছেড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় মস্কো।