ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এখানেই কি শেষ ইমরান খানের রাজনীতি?

প্রকাশ: ০৪:৩৯ পিএম, ০৭ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail এখানেই কি শেষ ইমরান খানের রাজনীতি?

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খান তিন মাসের ব্যবধানে আবার গ্রেপ্তার হলেন। এখন তিনি কারাগারে রয়েছেন। তোশাখানার মামলায় ইসলামাবাদের আদালত গত শনিবার তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার পর লাহোরের জামান পার্ক থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৯ মে ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে তাঁর সমর্থকেরা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। সামাজিক যোগোযাগমাধ্যম থেকে শুরু করে রাজপথ। কোথাও ইমরানের পক্ষে জোরালো অবস্থান কিংবা বিক্ষোভ করতে দেখা যায়নি। কিন্তু কী এমন ঘটেছে যে পাকিস্তানের রাজনীতিতে ইমরান এমন কোণঠাসা হয়ে পড়লেন।

তোশাখানার মামলায় গত মে মাসে ইমরান খান গ্রেপ্তার হওয়ার পর পেশোয়ার থেকে করাচি পর্যন্ত ব্যাপক বিক্ষোভ করেন পিটিআই সমর্থকেরা। সেবার রাজপথে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আগুন দিয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন ইমরানের সমর্থকেরা।

কিন্তু গত শনিবার তাঁকে লাহোরের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর বলার মতো কোনো বিক্ষোভ করেননি তাঁরা। পাকিস্তানে শনিবার রাতটিও অন্যান্য দিনের মতোই ছিল।

দুর্নীতির মামলায় ইমরানকে তিন বছরের কারাভোগ করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না তিনি।

গ্রেপ্তারের আগে সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছিলেন ইমরান। বলেছিলেন, সমর্থকেরা যেন ঘরে বসে না থাকেন। কিন্তু তাঁর সেই অনুরোধ কার্যত সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে পারেনি। কিন্তু কেন এমনটা হয়েছে?

সরকারের একাধিক মন্ত্রীর কাছে কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাঁরা বলছেন, জনগণ এখন আর ইমরান খান কিংবা তাঁর দলকে চান না। তা ছাড়া মে মাসের মতো সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়াতে চান না পিটিআইয়ের সমর্থকেরা।

ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ইমরান খানের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর এক সময় সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু এক বছরেরও কিছু আগে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর সেনাবাহিনীর দুর্নাম করতে শুরু করেন ইমরান। এক সময়ের মধুর সম্পর্ক রূপ নেয় তিক্ততায়।

প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পর থেকেই ইমরান যেন ঠোঁটকাটা হয়ে ওঠেন। পরবর্তী নির্বাচনের জন্য যেন তর সইছিল না তাঁর। প্রতিনিয়ত সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের সমালোচনা করতে থাকেন। মে মাসে ইমরান গ্রেপ্তার হওয়ার পর সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভবনে হামলা চালান তাঁর সমর্থকেরা। এরপর নড়েচড়ে বসে সেনাবাহিনী। হামলাকারীদের প্রতি জিরো টলারেন্স দেখায় তারা।

শুরু হয় ইমরানের সমর্থকদের ধরপাকড়। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তোলা হয় সামরিক আদালতে। সেনাবাহিনীর এমন বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সোচ্চার হয়ে ওঠে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। তারা বলে, বেসামরিক মানুষদের এই কায়দায় বিচার করা যায় না। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।

মে মাসে ইমরান খান গ্রেপ্তার হওয়ার পর সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকেরা। এর পর থেকেই গণমাধ্যমে ইমরান খানের নাম নেওয়া, ছবি দেখানো বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, টেলিভিশনের স্ক্রলেও ইমরানের নাম লেখা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এর আগে ইমরান খান গ্রেপ্তার হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন অনেক সমর্থক। কিন্তু গত শনিবার ইমরান গ্রেপ্তার হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কোনো তৎপরতাও চোখে পড়েনি। কিছু নেতা পোস্ট করলেও পরে সেটি আবার মুছে ফেলেছেন। এমনকি ইমরান খান গ্রেপ্তার হওয়ার সংবাদ টেলিভিশনে তেমন একটা দেখতে দেখা যায়নি। এই ভয়ে যে তাঁদের হয়তো কেউ দেখছেন।

যদিও পাকিস্তান সরকার দাবি করেছে, তারা শান্তিপূর্ণ কোনো আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করেনি। কিন্তু বিবিসি উর্দুর সাংবাদিকেরা দেখেছেন, শনিবার লাহোরে ইমরান খানের বাসভবন জামান পার্কের সামনে অনেক পিটিআই সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের ধরে নিয়ে গেছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


ইমরান খান   রাজনীতি   কারাগার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হোয়াইট হাউসের সামনে চালক নিহত

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

হোয়াইট হাউসের গেটে গাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে চালকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মারাত্মক সংঘর্ষটি ‘কেবল একটি সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে’ তদন্ত করা হচ্ছে এবং এটি প্রেসিডেন্টের বাসভবনের জন্য কোনো হুমকি ছিল না।

মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এক বিবৃতিতে বলেছে, পুরুষ চালককে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার কিছু আগে দুর্ঘটনার পর গাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হোয়াইট হাউস কমপ্লেক্সের বাইরের একটি গেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালককে তাৎক্ষণিকভাবে চিহ্নিত করা যায়নি।

ওয়াশিংটন মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ (এমপিডি) জানিয়েছে, গাড়িটি দুটি রাস্তার সংযোগস্থলে একটি নিরাপত্তা বাধার মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে, এই সময়ে এমপিডির মেজর ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশন ইউনিট ঘটনাটিকে শুধু একটি সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে তদন্ত করছে।

এ ছাড়া নিরাপত্তা প্রোটোকল বাস্তবায়িত হলেও হোয়াইট হাউসের জন্য কোনো হুমকি ছিল না বলে সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে।

তবে সিক্রেট সার্ভিস বিষয়টির তদন্ত চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি মেট্রো পুলিশও কাজ করবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।


হোয়াইট হাউস   চালক   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার নির্বাচন: বড় বিপর্যয়ের মুখে ঋষি সুনাকের দল

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ ১টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ১০৭টি কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানে। সবার চোখ লন্ডন শহরের মেয়র পদের ফলাফলের দিকেও। তবে এই নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কিয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি। অপরদিকে গত চার দশকে নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি। খবর বিবিসি।

এমনকি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিও ফলাফলের বিশ্লেষণে হারিয়ে দিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টিকে। শনিবার (৪ মে) স্থানীয় সময় বেলা ২টা পর্যন্ত ১০৭টি কাউন্সিলের মধ্যে ১০৩টি কাউন্সিলের ফলাফল প্রকাশিত হয়। সবশেষ ফলাফলে দেখা যায়, লেবার পার্টি ১ হাজার ৬১টি কাউন্সিলর পদে জয় লাভ করেছে। ৫০৮টি কাউন্সিলর পদে জয় পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। অপরদিকে ৫০৪টি কাউন্সিলর পদ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি।

লন্ডনের মেয়র পদের দিকেও রয়েছে সবার চোখ। এখানে টানা দুবার নির্বাচিত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান পুনরায় বিজয়ী হলে তিনি হবেন লন্ডন শহরের মেয়র পদে হ্যাটট্রিক করা প্রথম কোনো মেয়র। অপরদিকে কনজারভেটিভ পার্টির সোসান নির্বাচিত হলে তিনি হবেন লন্ডন শহরের প্রথম নারী মেয়র।

নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গণমাধ্যমে বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে লেবার পার্টি বড় জয় পেলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ কনজারভেটিভ পার্টিকেই ভোট দেবে। কারণ, কনজারভেটিভ পার্টি আলোকিত ব্রিটেন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। অপরদিকে স্থানীয় নির্বাচনে ভালো করা লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জনগণ জানিয়ে দিয়েছেন তারা পরিবর্তন চান।

উল্লেখ্য, স্থানীয় নির্বাচনে ভালো ফলাফল করায় ঋষি সুনাককে উদ্দেশ্য করে আগাম জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি।


যুক্তরাজ্য   স্থানীয় সরকার নির্বাচন   বিপর্যয়   ঋষি সুনাক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিজ্জর হত্যা ইস্যুতে মুখ খুললেন জয়শংকর

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

খালিস্তান নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার ঘটনায় ৩ ভারতীয়কে গ্রেফতার করেছে কানাডা পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

তিনি বলেন, তিন ভারতীয়কে গ্রেফতারের বিষয়টি তিনি দেখেছেন। এখন কানাডা তাদের বিষয়ে আমাদের কোনো তথ্য সরবরাহ করবে কিনা তার জন্য অপেক্ষায় আছি। অভিযুক্তরা কোনো গ্যাংয়ের হয়ে কাজ করতে পারে। তবে পুলিশ কী বলে সে বিষয়ের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।

জয়শঙ্কর আরও বলেন, 'আমরা আমাদের অভিমত তাদের (কানাডা) জানিয়েছি। কারণ তারা ভারত থেকে সংগঠিত অপরাধ বিশেষ করে পাঞ্জাবের কর্মকাণ্ডকে কানাডা থেকে পরিচালিত করার সুযোগ দিয়েছে।' 

জয়শঙ্কর বরাবরই বলে আসছেন, কানাডায় শিখ সন্ত্রাসবাদীরা অনেক দিন থেকেই ভারতবিরোধী প্রচার চালিয়ে আসছে। ভারত তাদের আন্দোলনের বিরোধিতায় কানাডা সরকারকে সক্রিয় হতে অনুরোধ করেছে। কিন্তু ট্রুডো সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার দরুন তারা তা করছে না।

ভারতের অভিযোগ, নিজ্জর হত্যা সম্পর্কে কানাডা আজও কোনো তথ্য ভারতকে দেয়নি। অথচ ভারত বারবার তা জানানোর দাবি করে আসছে। কানাডার অভিযোগ, ভারত ওই হত্যায়  হাত থাকার খবর অস্বীকার করে চলেছে। তারা তদন্তে কোনো সহযোগিতাই করতে চাইছে না।

এর আগে, সম্প্রতি কানাডার এডমন্টন শহর থেকে ওই তিন ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন করণ ব্রার (২২), কমলপ্রীত সিং (২২) ও করণপ্রীত সিং (২৮)। আদালতের নথি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তারা তিন থেকে পাঁচ বছর সে দেশে রয়েছে।

তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয় ভার্মা বলেন, তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক তথ্য রাখছি। এটা কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের পুলিশ অবশ্যই স্বচ্ছতার মাধ্যমে তদন্তে সাক্ষেপে প্রতিবেদন তৈরি করবে। 

গত বছরের জুনে শিখ নেতা ৪৫ বছর বয়সী নিজ্জরকে কানাডায় হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ ঘটনায় ভারত সরকারকে দায়ী করেন। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। 


নিজ্জর   হত্যা   এস জয়শঙ্কর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের স্বীকার ফিলিস্তিনি নারী

প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

জার্মানির রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত উন্নয়ন সংস্থার একজন ফিলিস্তিনি নারী কর্মী এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে যে কারাগারে তাকে মারধর ও নির্যাতন করা হচ্ছে। রোববার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মান এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের জন্য কাজ করেন ৩৪ বছর বয়সী বারা ওদেহ। গত ৫ মার্চ কাজ থেকে ছুটি পেয়ে জার্মানি থেকে রামাল্লায় তার বাড়িতে ফেরার সময় ইসরায়েলি সীমান্তরক্ষীরা তাকে আটক করে। এরপর থেকে তাকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই তিন মাসের জন্য কারাগারে আটকে করে রাখা হয়।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন বন্দী অধিকার গোষ্ঠী ইসরায়েলি কারাগারে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, ইসরায়েলের পদ্ধতিগত নির্যাতনের বিষয়ে সতর্কতা বাড়িয়েছে।


ইসরায়েল   কারাগার   নির্যাতন   ফিলিস্তিনি নারী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের গুলি

প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এরই মধ্যে দেশটির ৪৫টি অঙ্গরাজ্যের ১৪০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন প্রশাসনের ব্যাপক ধরপাকড় সত্ত্বেও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। গত ১৭ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভের সূচনা হয়। এরই মধ্যে বিক্ষোভ আমেরিকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপ, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভ চলছে।

এদিকে, আন্দোলনের সূচনা হওয়া কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের একজন সদস্য গুলি ছুড়েছেন। তবে এতে কেউ আহত হননি। ওই সময় সেখান থেকে আরও ১১২ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে গিয়ে ঘটনাচক্রে একজন পুলিশ সদস্য গুলি ছুড়েছেন। গুলিটি পরে পাশের একটি দেয়াল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সার্জেন্ট তারিক শেপার্ড বলেন, “প্রতি বছর গড়ে আটটি দুর্ঘটনাজনিত গুলির ঘটনা ঘটে থাকে। প্রতিটি ঘটনাই তদন্ত করে দেখা হয়।”

এদিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানহাটন ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষ পুলিশের সাহায্য চাওয়ার পর ওই ক্যাম্পাস থেকে ১১২ জন বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হলে শিক্ষার্থীরা বেরিকেড দিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার সময় একজন পুলিশ সদস্য কয়েক ফুট দূর থেকে দেয়ালে গুলি ছুড়েছেন। ওই দেয়ালের আশেপাশে কোনও শিক্ষার্থী ছিল না। তবু ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমাদের ধারণা, গুলি ছোড়ার ঘটনাটি দুর্ঘটনাবশত ঘটেছে।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা হ্যামিলটন হল নামের একটি স্কুলভবন দখল করে নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মিনোচে শফিক নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগকে তলব করেন। এরপর পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে সেখানে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্নাতক চূড়ান্ত সেমিস্টারের পরীক্ষার আর কয়েক সপ্তাহ বাকি রয়েছে। এই সময়ে সীমিত পরিসরে ক্যাম্পাস খোলা থাকবে এবং সকল পরীক্ষা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে নিউইয়র্ক পুলিশ হ্যামিলটন হলে অভিযানের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হ্যামিলটন হলের সিঁড়িতে বিক্ষোভকারীরা চেয়ার ও ডেস্ক ফেলে রেখেছে। সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছে পুলিশ।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিবিসিকে বলেছিলেন, পুলিশ তাদের ওপর আক্রমণাত্মক আচরণ করছে। তবে নিউইয়র্ক পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকার শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ। বিক্ষোভকারীদের হটাতে মারমুখী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতোমধ্যে দুই হাজার চার শতাধিক বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  


ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ   কলাম্বিয়া   বিশ্ববিদ্যাল   পুলিশ   গুলি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন