পাচার করা টাকা লুকিয়ে রাখার জন্য সিঙ্গাপুর অনেকেরই
পছন্দের জায়গা। সিঙ্গাপুরকে একারণেই এশিয়ার ‘বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট’ বলা হয়। আবার কর ফাঁকির ‘অভয়ারণ্য’ বলেও এর কুখ্যাতি আছে। কিন্তু, এখন আর সিঙ্গাপুরকে কর ফাঁকির
অভয়ারণ্য মনে করা যাচ্ছে না। অনেক অর্থ পাচারকারীই এখন সিঙ্গাপুর থেকে অন্য কোথাও চলে
চাচ্ছেন। অনেকে চলেও গেছেন। অর্থ পাচারকারীদের নতুন গন্তব্য দুবাই ও সাইপ্রাসের মতো
এলাকা, যেখানে অর্থ লুকিয়ে রাখা সম্ভব। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই অর্থ পাচারকারীরা চলে
যাচ্ছেন সিঙ্গাপুর থেকে।
সিঙ্গাপুরে ২০১৬ সালে গঠন করা হয় দ্য ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স। ২০১৮ সালে পাস করা হয় অ্যান্টি–মানি লন্ডারিং অ্যান্ড টেররিজম ফাইন্যান্সিং আইন। তাতেও কাজ হচ্ছিল না। ফলে আরও কঠোর আইনের দিকে যায় দেশটি। এরপর ২০২৩ সালে সিঙ্গাপুর আরও কঠোরভাবে ‘নিউ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং অ্যান্ড টেররিজম ফাইন্যান্সিং’ আইনটি পাস করে। এটি ২০২৩ সালের ২৮ জুন থেকে কার্যকর করা হয়েছে। আর এরপরই ভয় পেয়েছেন সিঙ্গাপুরে থাকা বিভিন্ন দেশের অর্থ পাচারকারীরা, যাঁরা দেশটিতে নামে–বেনামে কোম্পানি খুলেছিলেন বা কিনেছিলেন হোটেল, গাড়ি, বাড়িসহ নানা ধরনের সম্পত্তি।
নতুন আইন অনুযায়ী গত ২৮ জুন থেকে দেশটির রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের নতুন কিছু বিধিমালা মানতে হচ্ছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারকে গ্রাহকের যথাযথ পর্যালোচনা (কাস্টমার ডিউ ডিজিলেন্স-সিডিডি) করতে হবে, সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য জানাতে হবে এবং লেনদেনের রেকর্ড পাঁচ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে। অর্থাৎ অবশ্যই ক্রেতা কে, কোন দেশের নাগরিক এবং অর্থের উৎস যাচাই করতে হবে। যিনি কিনবেন তাঁর প্রকৃত পরিচয় থাকতে হবে। অজ্ঞাত, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বা ছদ্মনামের কারও কাছে কোনো সম্পত্তি বিক্রি করা যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে জরিমানার পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ এক লাখ সিঙ্গাপুর ডলার। আর যদি কেউ স্বেচ্ছায় বা জেনেশুনে এসব কাজে সম্পৃক্ত থাকেন, তাহলে জেল তো হবেই, ব্যবসার লাইসেন্স বাতিল থাকবে সর্বোচ্চ ১২ মাস পর্যন্ত।
সব মিলিয়ে কাজটি কীভাবে হবে, তার একটি গাইডলাইনও
প্রকাশ করা হয়েছে। ৫৩ পৃষ্ঠার গাইডলাইনের নাম হচ্ছে ‘গাইডলাইনস ফর ডেভেলপার অন অ্যান্টি-মানি
লন্ডারিং অ্যান্ড কাউন্টার টেররিজম ফাইন্যান্সিং’। এমনকি এই আইন পাস হওয়ার আগে লেনদেন
হলে সে ক্ষেত্রেও নতুন এই বিধিমালা প্রযোজ্য হবে।
এদিকে, দ্য মনেটরি অথরিটি অব সিঙ্গাপুর (এমএএস) হচ্ছে মূলত দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা আরও ছয়টি বড় ও প্রধান ব্যাংকের সঙ্গে মিলে কসমিক নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। কসমিকের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, ব্যাংকের আর্থিক অপরাধের ঝুঁকি কমানো। মূলত তিনটি কাজ করবে তারা। যেমন বৈধ ব্যক্তির অপব্যবহার বা শেল কোম্পানির অপব্যবহার, অবৈধ কাজে বাণিজ্য অর্থায়নের অপব্যবহার এবং যেকোনো ধরনের গণবিধ্বংসী অস্ত্র (পারমাণবিক, রাসায়নিক) তৈরির উপাদান উৎপাদন, মজুত বা সরবরাহ বন্ধ করতে এর অর্থায়ন বন্ধ করা।
কসমিকের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরস্পরের
মধ্যে তথ্য আদান–প্রদান করবে এবং
আর্থিক অপরাধ ঘটার সুযোগ আছে, এমন বিষয়গুলো চিহ্নিত করবে। কোনো ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক
লেনদেন দেখলে তা তারা জানাবে।
সিঙ্গাপুরের সংসদ গত ৯ মে এ বিষয়ে একটি আইন পাস
করে। আইনের নাম ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস অ্যান্ড মার্কেটস (সংশোধন) বিল ২০২৩। নতুন
আইনে যাঁরা অফশোর বা শেল কোম্পানির আড়ালে নিজেদের লুকিয়ে রাখেন, তাঁদের চিহ্নিত করা
হবে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে এই কসমিক চালু হবে। সুতরাং
যাঁরা অন্যের নামে সেখানে সম্পত্তি করেছেন এবং পাচার করা অর্থ নামে-বেনামে ব্যাংকে
লেনদেন করছেন, তাঁরা বড় বিপাকে পড়বেন কসমিক চালু হলে।
প্রসঙ্গগত, গত মঙ্গলবার বিদেশ থেকে পাচার করে আনা প্রায় ১০০ কোটি ডলারের অর্থসম্পদ জব্দ করেছে সিঙ্গাপুর পুলিশ। সিঙ্গাপুর পুলিশ ফোর্স (এসপিএফ) পরিচালিত এই অভিযানকে দেশটির ইতিহাসে মানি লন্ডারিংবিরোধী সবচেয়ে বড় অভিযানগুলোর একটি বলা হচ্ছে।
এ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নারীসহ ১০ জনকে। এ ছাড়া আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। আর আটজন সন্দেহভাজন পলাতক। এই ব্যক্তিরা ধনী এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। বিলাসী জীবন যাপন করতেন। সিঙ্গাপুরের পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবারের অভিযানে ৯৪টি জমি এবং ৫০টি গাড়ির নামে নিষেধাজ্ঞা আদেশ জারি করা হয়েছে। এর অর্থ হলো, মালিকেরা এসব জমি ও গাড়ি বিক্রি করতে পারবেন না। এসব জমি ও গাড়ির মোট মূল্য ৮১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি। এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ মদের বোতল জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে ৩৫টির বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এসব অ্যাকাউন্টে ১১ কোটি ডলারের বেশি অর্থ জমা রয়েছে। এ ছাড়া জব্দের তালিকায় রয়েছে অনলাইনে সম্পদ থাকার ১১টি নথি, ২টি সোনার বার, ২৫০টির বেশি দামি ব্যাগ ও ঘড়ি, ১২০টির বেশি মুঠোফোন ও কম্পিউটার, ২৭০টির বেশি দামি অলংকার। জব্দ করা অর্থের পরিমাণ ২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের বেশি।
এমএএস এই ঘটনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দিয়েছে। সেখানে তারা বলেছে, অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য সিঙ্গাপুরের আর্থিক খাতের অপব্যবহার তারা আর সহ্য করবে না। অভিযানটি পরিচালনা করেছে দেশটির কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স বিভাগ। মূলত তাদের অর্থের লেনদেন যে সন্দেহজনক সেই তথ্য এমএসকে সরবরাহ করেছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি গোয়েন্দা তথ্যও ছিল। মিথ্যা তথ্য ও জাল কাগজ ব্যবহার করে ব্যাংক হিসাব খুলে লেনদেন করা হয়েছিল।
যেহেতু, অবস্থা এমন বেগতিক তাতে সিঙ্গাপুর থেকে যে অনেকেই পালাতে চাইবেন, সেটিই স্বাভাবিক।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'
সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভিয়েনার হফবার্গ প্রাসাদে 'হিউম্যানিটি অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।
মানুষের ওপর অস্ত্রবল প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, যদি রাষ্ট্রবহির্ভূত এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পায় তবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার কী হবে।
স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশ্বব্যাপী নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রাণহানির ক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উভয়ের বিষয়েই উপযুক্ত আন্তর্জাতিক আইন বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় গাজার অনিশ্চিত পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং সংঘাত ও উত্তেজনার নতুন ফ্রন্ট খোলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।
অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ, কোস্টারিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নল্ডো আন্দ্রে টিনোকো, নরওয়েজিয়ান স্টেট সেক্রেটারি ইভিন্ড ভাদ পিটারসন এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি মির্জানা স্পোলজারিক এগার সহ-প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন।
অস্ট্রিয়ার ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সম্মেলনে ১২০টিরও বেশি দেশ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা, অধিকার গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আট শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অস্ত্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
মন্তব্য করুন
স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফ পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
স্কটিশ গ্রিনস পার্টির সঙ্গে জোট করে স্কটল্যান্ডে সরকার গঠন করেছিল হামজার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তবে এই দলের সঙ্গে সম্প্রতি তার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির জোট ভেঙে যায়। এরপর তাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দুটি অনাস্থা ভোটের ডাক দেন বিরোধীরা। একটি ফার্স্ট মিনিস্টার ও আরেকটি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে। এসব অনাস্থা ভোটে হামজা হেরে যেতে পারেন, এটা অনেকটা নিশ্চিত। তাই অনাস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি।
সোমবার এক ভাষণে হামজা বলেছেন, আমি আমার মূল্যবোধ ও নীতি নিয়ে ব্যবসা করতে চাই না। অথবা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যার-তার সঙ্গে চুক্তি করতে চাই না।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে হামজা বলেছিলেন, বিরোধীদের ডাকা অনাস্থা ভোটে তিনি জিততে পারবেন বলে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে সোমবারের মধ্যেই নিজের সংখ্যালঘু সরকারকে শক্তিশালী করতে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
গত বছর স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা নির্বাচিত হন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসেফ। এরপর সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিসেবে ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হয়েছিলেন হামজা।
পদত্যাগ স্কটল্যান্ড ফার্স্ট মিনিস্টার
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খবর এপি ও দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই তথ্যটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়া বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে রাজ্যের চাউক শহরে তাপমাত্রা পারদ ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ৫৬ বছর আগে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর মিয়ানমারের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
একই দিন দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছুঁয়েছে। এছাড়া দেশটির আরেক শহর মান্দালয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের শুষ্ক সমতলে অবস্থিত চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেছেন, 'এখানে অত্যন্ত গরম এবং আমরা সবাই বাড়িতেই ছিলাম।' নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'এই পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারছি না।'
দেশটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে দিনের তাপমাত্রা এপ্রিলের গড়ের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
মন্তব্য করুন
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বিহারের বাগুসারাই এলাকায় সোমবার এক নির্বাচনি র্যালিতে অংশ নেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা অমিত শাহ (৫৯)। র্যালি শেষে সেখানে একটি হেলিকপ্টারে উঠেন তিনি।
উড্ডয়নের সময় সেই হেলিকপ্টার কিছু সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডান দিকে কাত হয়ে পড়ে যাচ্ছিল। মাটিতে আছাড় খাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন পাইলট।
নিতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের সঙ্গে মিলে বিহারে ১৭টি আসনে লড়াই করছে বিজেপি। প্রথম ধাপের নির্বাচনে গত ১৯ এপ্রিল এখানে চার আসনে নির্বাচন হয়। এরপর গত শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন হয় আরও ৫ আসনে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে দেশের তাপমাত্রা এতটাই বাড়ছে যে অনেকে এটি সহ্য করতে পারছেন না। ফলে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থগত ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালিকায় আছে মিয়ানমার, ভারত, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। সব দেশেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবে তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, যা নীরব ঘাতকে পরিণত হচ্ছে।
মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'
স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফ পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার। স্কটিশ গ্রিনস পার্টির সঙ্গে জোট করে স্কটল্যান্ডে সরকার গঠন করেছিল হামজার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তবে এই দলের সঙ্গে সম্প্রতি তার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির জোট ভেঙে যায়।
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খবর এপি ও দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই তথ্যটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ।