পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার দেশটির সেনাবাহিনীকে
‘সর্বোচ্চ সতর্কতায়’রেখেছে। প্রতিবেশী
দেশগুলোর জোট ইকোওয়াসের আক্রমণের আশঙ্কায়ই নেয়া হয়েছে এই সতর্কতা। মূলত সামরিক অভ্যুত্থানের
পর ক্ষমতা দখলে নেওয়ার জেরে নানা ঘটনার ধারাবাহিকতায় দেশটিতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর
জোট ইকোওয়াসের হামলার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গিয়েছে।
রোববার (২৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইজারের নতুন সামরিক শাসকরা প্রতিবেশী দেশগুলোর আক্রমণের ক্রমবর্ধমান হুমকির কথা উল্লেখ করে দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। নাইজারে গত ২৬ জুলাই সেনা অভ্যুত্থানের পর ইকোওয়াস এই সামরিক অভ্যুত্থানের অবসান দাবি করে এবং দেশটির সামরিক জান্তাকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয় ক্ষমতা ছাড়ার উদ্দেশ্যে।
সময়সীমা পার হলেও ইকোওয়াস নাইজারের অভ্যুত্থানকারী
নেতাদের সাথে আলোচনার চেষ্টা করছে। অবশ্য এই জোটটি বলেছে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ
হলে সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে তারা নাইজারে সেনা মোতায়েন করতে প্রস্তুত।
এদিকে আল জাজিরা বলছে,
নাইজারের প্রতিরক্ষা প্রধানের জারি করা একটি অভ্যন্তরীণ
নথি শনিবার ব্যাপকভাবে অনলাইনে শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যেকোনও আত্রমণের
বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি
রাখতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, ‘(নাইজারের)’ জাতীয় ভূখণ্ডে আগ্রাসনের হুমকি ক্রমবর্ধমানভাবে অনুভূত হচ্ছে।
ইকোওয়াস অবশ্য এই ধরনের যেকোনও হুমকিকে উপেক্ষা করেছে এবং শুক্রবার বলেছে, সংকট মিটমাট করার জন্য তারা ‘কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব দিচ্ছে’, যদিও প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়টিও তাদের হাতে অন্যতম বিকল্প হিসেবে থাকবে।
ইকোওয়াস কমিশনের সভাপতি ওমর আলিউ তোরে সাংবাদিকদের
বলেছেন, ‘সন্দেহ এড়ানোর জন্য, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই- ইকোওয়াস নাইজারের জনগণের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেনি, বা দেশটিতে আক্রমণ করার জন্য কোন পরিকল্পনাও (ইকোওয়াসের)
নেই।’
তবে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের
জন্য তথাকথিত স্ট্যান্ডবাই ফোর্স সক্রিয় করার জন্য চলতি আগস্টের শুরুতে এই জোট যে
সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা বিদ্রোহে-বিপর্যস্ত সাহেল অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করতে পারে এমন
আশঙ্কাও বাড়ছে।
এদিকে, গত মাসের অভ্যুত্থানের পেছনে থাকা সামরিক
নেতাদের সমর্থনে শনিবার নাইজারের রাজধানী নিয়ামেতে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশ করেছে।
মাথা থেকে পা পর্যন্ত নাইজেরিয়ান পতাকা পরা রামাতু
ইব্রাহিম বুবাকার নামে একজন মডেল বলছেন, ‘আমাদের অংশীদার কে হবে তা বেছে নেওয়ার অধিকার
আমাদের আছে, ফ্রান্সকে অবশ্যই আমাদের এই পছন্দকে সম্মান করতে হবে।’
তার দাবি, ‘৬০ বছর ধরে, আমরা কখনোই স্বাধীন ছিলাম
না। শুধুমাত্র অভ্যুত্থানের দিন থেকে (আমরা স্বধীন)’। বুবাকার আরও বলেছেন, সারা দেশের
মানুষ ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর দ্য সেফগার্ড অব দ্য হোমল্যান্ড (সিএনএসপি)-কে পুরোপুরি
সমর্থন করছে।
মূলত গত ২৬ জুলাই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের
সরকার উৎখাত হওয়ার পর তারাই ক্ষমতা দখল করে।
আল জাজিরা বলছে, সিএনএসপির নেতৃত্বে আছেন জেনারেল
আব্দুরহামানে তচিয়ানি। তিনি সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সকে তার নতুন লক্ষ্য বানিয়েছেন।
গত শুক্রবার নাইজারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফরাসি রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তেকে দেশ
ছেড়ে যাওয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়।
নাইজারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, ফরাসি এই দূত দেশটির নতুন শাসকদের সাথে দেখা করতে অস্বীকার করেছেন এবং ফরাসি সরকারের পদক্ষেপগুলো ‘নাইজারের স্বার্থের পরিপন্থি’ বলেও উল্লেখ করেছে। প্যারিস অবশ্য এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
সিএনএসপি সদস্য ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ইদ্রিসা হালিদুউ বলছেন, ‘দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরিবর্তে ফরাসি রাষ্ট্রদূত মনে করেন এটি তার পিতামাতার জমি। আমরা যুদ্ধের মানুষ, আমরা (ইকোওয়াসের) বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত।’
আল জাজিরা বলছে, পশ্চিম আফ্রিকান দেশগুলোর এই জোট নাইজারের নতুন শাসকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করেছে এবং নতুন শাসকরা ক্ষমতাচ্যুত বাজুমের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে তাদের অপসারণের জন্য সামরিক পন্থা ব্যবহার করার হুমকি দিয়েছে।
এছাড়া নিয়ামের নতুন শাসকরা ইকোওয়াস জোট ফ্রান্সের
পকেটে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
নাইজারে ফ্রান্সের ১৫০০ সৈন্য রয়েছে এবং তারা বছরের পর বছর ধরে দেশে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাজুমকে সহায়তা করে এসেছে।
আফ্রিকা ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপের মেরি-রজার বিলু বলেছেন, নাইজারের অভ্যুত্থানটি মালি এবং বুরকিনা ফাসোর সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানগুলোর থেকে আলাদা। কারণ ওই দুটি দেশের সেনা অভ্যুত্থান খুব বেশি আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া পায়নি।
তিনি বলছেন, ‘গল্পটা এখনও শেষ হয়নি। দেখা যাক ফরাসি রাষ্ট্রদূত চলে যায় কিনা। আমি মনে করি তারা (সামরিক শাসকরা) তাদের অবস্থান থেকে নড়বে না এবং অপেক্ষা করবে ও দেখবে কী হয়।’
মন্তব্য করুন
মুম্বাইয়ের ধূলিঝড়ে ভেঙে পড়েছে বিশালাকৃতির একটি বিলবোর্ড। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঘাটকোপারে এক জ্বালানি স্টেশনে বিলবোর্ডটি ভেঙে পড়ে। এতে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫৯ জন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়েছিলেন অনেকেই। ৬৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতের জাতীয় দুযোর্গ মোকাবিলা বাহিনী ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) কর্মীদের প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সরানো সম্ভব হয় ধ্বংসস্তূপ।
ধ্বংস্তূপ সরানোর পর মৃত অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের।
সেই সঙ্গে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৬৭ জনকে। এদের সবাই কম-বেশি আহত হয়েছেন। অনেককেই ভর্তি করাতে হয়েছে হাসপাতালে।
মন্তব্য করুন
সারা বিশ্বজুড়ে জমে উঠেছে টি-২০ বিশ্বকাপের আমেজ। আগামী জুন মাসের ২ তারিখ থেকেই ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে গড়াবে খেলা। আর এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই বেশ সরব অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল। এরই মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ দল নিজেদের স্কোয়াডও ঘোষণা করেছে। আর চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়েই দল গঠন করেছে প্রতিটি দল।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার আইসিসির এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। যেখানে দলের নেতৃত্বে রয়েছেন রোহিত শর্মা। এছাড়াও গাড়ি দুর্ঘটনার কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকা ঋষভ পন্থও দলে ফিরেছেন ১৬ মাস পর। সেই সাথে দলে রয়েছেন, বর্তমান টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে ভারতের সেরা খেলোয়াড় সূর্যকুমার যাদবও।
শুধু তাই নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ১৫ জনের দলে আছেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি, তারকা পেসার যশপ্রীত বুমরাহর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। রয়েছেন যশস্বী জয়সওয়ালের মতো তরুণ ওপেনার।
ঘরের মাঠে গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপে শুরু থেকে দারুণ আশা জাগিয়েছিল ভারত। ফাইনালের আগ পর্যন্ত হেরেছিল না একটি ম্যাচ ও। তবে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ধরাশায়ী হয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রফি নিজেদের ঘরে তুলতে পারেনি।
আর ওয়ানডে তে ধাক্কার পর এবার ভারতের চোখ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে। যার জন্য ইতোমধ্যেই চলা ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলে রীতিমত তাণ্ডব চালাচ্ছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। ঋষভ পন্থ থেকে শুরু করে বিরাট কোহলি, যশ্বসী জয়সওয়াল থেকে সঞ্জু স্যামসন- সবাই যেন রয়েছেন নিজেদের সেরা ফর্মে।
এ বারের বিশ্বকাপ দল ঘোষণার পূর্বে গুঞ্জন উঠেছিল যে, বিরাট কোহলি কে হয়তো বাদ দেওয়া হবে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে। তবে অধিনায়ক রোহিতের চাওয়ায় তাকে দলে রাখা হয়েছে। অবশ্য এর প্রতিদানও দিয়েছেন বিরাট। এবার আইপিএলে দারুণ ফর্মে রয়েছেন তিনি। সব থেকে বেশি রান তার ব্যাট থেকেই এসেছে। তবে আইপিএলে এবার বিরাট ওপেনিং করলেও বিশ্বকাপে ওপেনার হিসাবে বিরাটকে দেখা যাবে কি না তা স্পষ্ট নয়। কারণ দলে রোহিত এবং যশস্বী রয়েছেন।
তবে ভারতীয় সব তারকা ব্যাটারদের ভিড়ে সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের র্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা সূর্যকুমার যাদব।
কারণ আইপিএলের গত কয়েক আসরে ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। তবে এবারের আসরে শুরু থেকে তাকে পেয়েছিলনা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। সূর্যের অভাব প্রভাব ফেলেছিল মুম্বাইয়ের ব্যাটিংয়ে। আর পুনর্বাসন শেষে দলে ফিরেই রীতিমত ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন সূর্যকুমার। দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড ও গড়েন তিনি। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে মাত্র ১৭ বলেই দেখা পান অর্ধ শতকের।
আর তাইতো ভারতীয় এই ব্যাটারের প্রতি আস্থা রেখেছেন কিংবদন্তি ব্রায়েন লারাও। তিনি মনে করেন, ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে বিপক্ষ দলের বোলিং আক্রমণকে বিধ্বস্ত করে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন সূর্যকুমার। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং গুঁড়িয়ে দিতে পারে প্রতিপক্ষের মনোবল।
শুধু তাই নয়, হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তী বলেন, “আমার মনে হয় কোহলির পজিশনটা চার নম্বর হওয়া উচিত। সূর্যকুমার যাদবকে তিন নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ দেওয়া উচিত এবং দলের হয়ে খেলা জিততে দেওয়া উচিত। আপনি যদি একটা বোলিং আক্রমণকে এলোমেলো করে দিতে চান এবং তাদের মনোবল গুঁড়িয়ে দিতে চান তাহলে এই মানুষটাকেই (যাদব) সর্বোচ্চ সুযোগটা দেওয়া উচিত।”
২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপে সূর্যকুমার খেলেছেন চার নম্বরে। এখন পর্যন্ত ভারতের হয়ে তিনি খেলেছেন ৫৭ টি-২০ ইনিংস। এর মধ্যে তিন নম্বরে খেলেছেন ১৪ ইনিংস, ১৬০.৭৩ স্ট্রাইক রেট আর ৩৯.৯১ গড়ে করেছেন ৪৭৯ রান।
তবে সম্প্রতি সূর্যকুমারের পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ ক্রিকেটভক্তরা। এজন্যই তাদের প্রত্যাশা নিজের সেরা ফরম্যাটে দারুণ ব্যাটিং করে এবার দলকে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রাখতে হবে সূর্যকুমার যাদবকে। তারা মনে করেন সূর্যের ব্যাটিং তাণ্ডবের মধ্য দিয়েই কাটবে ভারতের শিরোপা খরা। তবে কি ভক্ত-সমর্থকদের এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন সূর্য, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।
ভারতের টি-২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াড:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জসওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ (উইকেটরক্ষক), সাঞ্জু স্যামসন (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া (সহ-অধিনায়ক), শিবম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আরশদীপ সিংহ, যশপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ। রিজার্ভ: শুভমান গিল, রিঙ্কু সিংহ, খলিল আহমেদ ও আবেশ খান।
সূর্যকুমার ব্যাটিং ওয়ানডে টি-২০ বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, নিহত বৃক্ষরোপণ কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মো. নওশের আলী (২৯) নামের ওই কর্মী তার এক সহকর্মীকে নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে হাতির আক্রমণের শিকার হন।
সোমবার দেশটির পুলিশের এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে হাতির আক্রমণের সময় পালিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ পাননি ওই ভুক্তভোগী। মরদেহের পাশেই হাতির পায়ে ছাপ পাওয়া গেছে।
পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু বলেছেন, ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য ওই ব্যক্তির মরদেহ গুয়া মুসাং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া বন্য হাতি বাংলাদেশি মৃত্যু
মন্তব্য করুন
ভোটাধিকার মানুষের অন্যতম রাজনৈতিক অধিকার। প্রথমবার ভোট দেওয়ার দিনটি মানুষের জীবনে স্মরণীয় একটি দিন বটে। তাই তো ভারতের এক যুবক তার প্রথম ভোটের দিনকে স্মরণীয় করতে মহিষের পিঠে চড়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে এলেন। এরই মধ্যে যুবকের এই কাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভারতের বিহার রাজ্যের উজিয়ারপুর এলাকার। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক মহিষে চড়ে ভোট দিতে এসেছেন। কালো শার্ট, ধূসর রঙের প্যান্ট ও মাথায় পাগড়ি পরে আছেন তিনি। মহিষের মাথায়ও সবুজ রঙের কাপড় জড়ানো। তাকে এভাবে আসতে দেখে আশেপাশে লোকজন ভিড় করেছেন। অনেকে ছবি তুলছেন কিংবা ভিডিও করে রেখে দিচ্ছেন তার এই কাণ্ড।
অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবক বলেন, প্রথমবার ভোট দিতে এসে এক ধরনের উদ্দীপনা কাজ করছে। আশা করি, নির্বাচনে যিনি জিতবেন, তিনি আমাদের গ্রামের দারিদ্র্য দূর করবেন, তরুণদের চাকরি ব্যবস্থা করবেন ও মুদ্রাস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করবেন।
বিহারের সমস্তিপুর জেলার উজিয়ারপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ ভোটার। এই আসনে বিভিন্ন দলে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। এবার জিতলে এই আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করবেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরজেডি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলোক মেহতা।
লোকসভা নির্বাচন ভোট ভিডিও ভাইরাল
মন্তব্য করুন
সারা বিশ্বজুড়ে জমে উঠেছে টি-২০ বিশ্বকাপের আমেজ। আগামী জুন মাসের ২ তারিখ থেকেই ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে গড়াবে খেলা। আর এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই বেশ সরব অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল। এরই মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ দল নিজেদের স্কোয়াডও ঘোষণা করেছে। আর চার-ছক্কার এই টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়েই দল গঠন করেছে প্রতিটি দল।
৪০০ পারের স্লোগান দিয়ে ভোট ময়দানে নামা বিজেপি আশা করেছিল দক্ষিণ ভারতে এবার গেরুয়া ঝড় উঠবে। সেই দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ভোট শেষ হয়ে গেল আজ চতুর্থ দফায়। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে ভোট হয়েছে। কেরেলা, কর্নাটকেও মিটেছে ভোট-পর্ব। চতুর্থ দফায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় নির্বাচন। বিজেপির আশা, এই দুই রাজ্যেই আগেরবারের থেকে অনেক ভালো ফল করবে দল।
মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।