ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফ্রিকায় একের পর এক সামরিক অভ্যুত্থান, কেন এই জনপ্রিয়তা?

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

২০০৯ সাল থেকে মধ্য আফ্রিকার দেশ গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন আলী বঙ্গো। গত বুধবার সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন তিনি। এখন গৃহবন্দী। এ অভ্যুত্থান করেছে মূলত প্রেসিডেন্ট বঙ্গোরই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর বিশেষ শাখা রিপাবলিকান গার্ড।

অভ্যুত্থানের পরপরই প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ক্ষমতাচ্যুত আলী বঙ্গো ভেঙে পড়েছেন। তাঁর পক্ষে ‘আওয়াজ তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আফ্রিকার তেলসমৃদ্ধ দেশটিকে এক যুগের বেশি সময় শাসন করেছেন বঙ্গো। বিপুল বৈভব আর ঐশ্বর্য্যে দিন কাটিয়েছেন। তবে সেদিন তাঁকে দেখে অসহায় লাগছিল।

তথাকথিক পশ্চিমাবিরোধী মনোভাবের বিষয়টি নিয়ে ভাবা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমার মনে হয়, প্রকৃত ঘটনাটা হচ্ছে দেশের বেশির ভাগ মানুষের কথা ভেবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পরিচালিত হয় না, এটা হয় মুষ্টিমেয় মানুষের স্বার্থে। বহু বছর সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নতিই হয়নি।

অবশ্য ক্ষমতাচ্যুত শাসকের আহ্বান যে সাধারণের মনে কোনো প্রতিক্রিয়া তৈরি করেনি, তার প্রমাণ দেখা গেল গ্যাবনের রাজপথে। রাজধানী লিব্রেভিলসহ বিভিন্ন শহরে উল্লাস করছে সাধারণ জনতা। অনেকে সেনাদের সঙ্গে ছবি তুলছেন। ১৯৬৭ সালে বঙ্গোর বাবা ওমর আলীর রাষ্ট্রক্ষমতায় বসার মধ্য দিয়ে পরিবারটির যে আধিপত্য চলছিল দেশটিতে, দৃশ্যত তার অবসান ঘটায় সেনাদের বাহবা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

আফ্রিকার দেশগুলোতে একের পর এক সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটছে। এর বদলে উত্থান হচ্ছে নতুন নতুন সেনাশাসকের। ২০২০ সাল থেকে আফ্রিকায় ১০টি অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটেছে। এসব অভ্যুত্থানের বেশির ভাগই হয়েছে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে।

কিন্তু সামরিক অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে বরং গণতন্ত্রের এ পতনে উল্লাস করতে দেখা গেছে এসব দেশের মানুষকে। রাজপথে অভ্যুত্থানকারীদের পক্ষ নিয়ে স্লোগান দিয়েছেন তাঁরা।

গ্যাবনের আগে আফ্রিকায় সর্বশেষ অভ্যুত্থানটি হয়েছে গত ২৬ জুলাই, নাইজারে। অভ্যুত্থানের পর দেশটির জেনারেলরা রাষ্ট্রক্ষমতার দখল নেন। সেই সামরিক সরকারের সমর্থনে স্টেডিয়ামগুলো ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।

এরও আগে ২০২১ সালে অভ্যুত্থান হয় গিনিতে। জনগণের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও ক্ষমতা আকড়ে রেখেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আলফা কোন্দে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাঁকে ক্ষমতা থেকে অপসারিত করে সামরিক বাহিনী। গিনির সেই অভ্যুত্থানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল দেশটির জনতার বড় অংশ। সেনাদের ক্ষমতা দখল উদ্‌যাপন করেছিল তারা।

অগণতান্ত্রিক পন্থায় ও জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলেও আফ্রিকার মানুষ কেন এভাবে সমর্থন জানাচ্ছে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফ্রিকায় বেসামরিক নেতৃত্ব নিয়ে সাধারণ মানুষ হতাশ। সামরিক নেতৃত্ব নিয়ে তাঁদের এ আশাবাদ সে হতাশারই প্রতিফলন।

লন্ডনভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক চ্যাথাম হাউসের আফ্রিকাবিষয়ক কর্মসূচির সহযোগী ফেলো লীনা কোফি হফম্যান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীর রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে জনগণের এ সমর্থন সরাসরি নয়। অর্থাৎ মানুষ সেনাবাহিনীকে সমর্থন নয়, বরং তারা ক্ষমতার পালাবদল চায়।

হফম্যান আরও বলেন, (সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের) এটা বলার সুযোগ হয়েছে, যে সরকারকে উৎখাত করা হয়েছে, সেটি এমন এক সরকার, যারা জনগণের স্বার্থকে পুরোপুরি তুলে ধরে না।

গ্যাবন হলো আফ্রিকার সর্বশেষ দেশ, যেখানে ‘গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতাকে ক্ষমতা থেকে অপসারিত করলেন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। বঙ্গোর রিপাবলিকান গার্ডের প্রধান জেনারেল ওলিগুই এনগুয়েমার নেতৃত্বে একদল সেনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলেন আলী বঙ্গো।

গ্যাবনের জনসংখ্যা আনুমানিক ২৩ লাখ। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে আট লাখ নিবন্ধিত ভোটার। গত ২৬ আগস্ট দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনার সময় দেশটিতে কারফিউ জারি করা হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। এ ছাড়া ভোটে আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পর্যবেক্ষদেরও নিষিদ্ধ করেছিল বঙ্গোর সরকার।

অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নেওয়া জেনারেলরা বলছেন, বঙ্গোকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করার অন্যতম কারণ নির্বাচনে জালিয়াতি। শুধু গ্যাবন নয়, পুরো আফ্রিকার নির্বাচনী ব্যবস্থাই বিতর্কিত।

গ্যাবনে যেদিন অভ্যুত্থান হয়, সেদিনই আফ্রিকার আরেক দেশ জিম্বাবুয়ের নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট এমারসন এমনানগাগওয়া পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক নির্বাচনী পর্যবেক্ষকেরাও ওই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

সম্প্রতি আফ্রিকার আরেক দেশ নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বোলা তিনুবু। সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারিত নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে ক্ষমতায় ফেরাতে আঞ্চলিক দেশগুলো যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বোলা তিনুবু। গ্যাবনে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এ অভ্যুত্থান এটাই তুলে ধরছে যে আফ্রিকা মহাদেশে ‘স্বৈরাচারের সংক্রমণ ঘটেছে। যদিও গত ফেব্রুয়ারিতে নাইজেরিয়ায় হওয়া জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে বিরোধী দলগুলো আদালত পর্যন্ত গিয়েছিল।

গত বছর আফ্রিকার দেশগুলোতে একটি জরিপ পরিচালনা করে আফ্রিকাভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আফ্রোব্যারোমিটার। তাতে দেখা যায়, মহাদেশটির মাত্র ৪৪ শতাংশ মানুষ মনে করে, ভোট দেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের অপছন্দের প্রার্থীকে ক্ষমতা থেকে অপসারিত করা যায়। চলতি বছর একই প্রতিষ্ঠানের করা আরেকটি জরিপে দেখা যায়, দেশটির মানুষের গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা কমছে। গত দশকে যেখানে ৭৩ শতাংশের গণতন্ত্রে আস্থা ছিল, এ বছর তা কমে হয়েছে ৬৮।

আফ্রিকার দেশগুলোতে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টরা সময় পেরোলে নির্বাচন দেন ঠিকই, যা নিতান্তই নিয়ম রক্ষার। গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গো তার একটি উদাহরণমাত্র। উগান্ডা, রুয়ান্ডা, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি ও ক্যামেরুনের মতো দেশগুলোর প্রেসিডেন্টরাও অন্তত দুই দশক ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জীবনমানের দ্রুত অবনমন হওয়ায় গণতন্ত্রের সুফল সম্পর্কে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন তুলছেন আফ্রিকার মানুষ।

ক্রমাগত নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকায় আফ্রিকার জনজীবনে চরম দুর্দশা দেখা দিয়েছে। এতে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনাও বাড়ছে। বাড়ছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। বিশ্ব্যব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছরের শেষ নাগাদ আফ্রিকার অর্থনীতির আকার তো বাড়বেই না, বরং ৩ দশমিক ১ শতাংশ কমবে। এর আগে গত বছর এ হার ছিল ৩ দশমিক ৬।

অর্থনীতির সামগ্রিক এমন দুরবস্থার কারণে বেসামরিক নেতৃত্বের ওপর জনগণের সমর্থন প্রতিনিয়ত কমছে। যদিও এসব নেতা ‘গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও তাঁদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।

জনগণের মধ্যে সরকার পরিবর্তনের এমন আকাঙ্ক্ষার নেপথ্যে আরও একটি কারণ আছে। সেটি হলো বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীল থাকা।

গত পাঁচ বছরে আফ্রিকার যেসব দেশে সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে, সুদান বাদে বাকি সব দেশই একসময় ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। এসব দেশের সরকারের ওপর প্রভাব, কর্তৃত্ববাদী শাসকদের পক্ষ নেওয়া ও তাদের প্রতি সমর্থন জুগিয়ে যাওয়ায় ফ্রান্সকে দায়ী করে থাকে সাধারণ মানুষ।

জনগণের ফ্রান্সবিরোধী এ মনোভাব কাজে লাগাচ্ছেন অভ্যুত্থানকারী জেনারেলরা। তাঁরা ফ্রান্সবিরোধী বক্তব্য দিয়ে জনগণকে কাছে টানার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ফ্রান্স নিজের স্বার্থেই যে এসব কর্তৃত্ববাদী শাসককে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিল, জনগণের মধ্যে সে বিষয়টি জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে।

তবে আফ্রিকার দেশগুলোতে কর্তৃত্ববাদী সরকার ও তাদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে বিদেশি বিভিন্ন শক্তির সমর্থনের বিপরীতে জেনারেলদের বিকল্প ভাবা নিয়ে সতর্ক করলেন কোফি হফম্যান।

চ্যাথাম হাউসের আফ্রিকাবিষয়ক কর্মসূচির ফেলো হফম্যান বলেন, ‘তথাকথিক পশ্চিমাবিরোধী মনোভাবের বিষয়টি নিয়ে ভাবা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমার মনে হয়, প্রকৃত ঘটনাটা হচ্ছে দেশের বেশির ভাগ মানুষের কথা ভেবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পরিচালিত হয় না, এটা হয় মুষ্টিমেয় মানুষের স্বার্থে। বহু বছর সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নতিই হয়নি।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, আফ্রিকার মানুষ যে সেনা অভ্যুত্থানকে স্বাগত জানাচ্ছেন, তার অন্যতম কারণ সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার না থাকা ও এর সুফল না পাওয়া। তবে তাঁরা এ-ও বলছেন, সুন্দর ভবিষ্যতের যে আশায় সাধারণ মানুষ সামরিক সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে, সেই সরকারও তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজে আসবে না। কারণ, জনগণের সুফল নয়, জেনারেলদেরও লক্ষ্য রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নেওয়া।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যাটলাস নেটওয়ার্কের সেন্টার ফর আফ্রিকান প্রসপারিটির ফেলো ইব্রাহিম আনোবা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা অনেকটা ঘা হওয়ার মতো। ঘা চুলকালে ক্ষণিকের জন্য আরাম পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু চুলকানোর কারণে এর অবস্থা হয় আরও খারাপ। ঠিক এই চুলকানির মতো সাময়িক স্বস্তি হয়ে আসছে সামরিক বাহিনী।‘

বিশ্লেষণ: আল জাজিরা


সামরিক অভ্যুত্থান   আফ্রিকা   গ্যাবন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্ন তারকা স্টর্মিকে ঘুষ দিয়েছি: কোহেন

প্রকাশ: ০৩:৪৩ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়েছেন বলে হাবি করেছেন ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন।

সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার সময় মাইকেল কোহেন এ কথা বলেন।

জবানবন্দি দেওয়ার সময় কৌঁসুলি সুসান হফিংগারের প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, “আমি যা করেছি, ট্রাম্পের নির্দেশনায় এবং তার লাভের জন্যই করেছি।' 

কোহেনের এই বক্তব্য ঘুষের অর্থ প্রদানের নেপথ্যে যে ট্রাম্প ছিলেন, সে বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে কৌঁসুলিদের সুবিধা হবে।

একপর্যায়ে ফোন রেকর্ড বের করেন কৌঁসুলিরা। তারা দেখান যে, ঘুষ দেওয়ার ওই সময় ফোনে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প ও কোহেন। কোহেন ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর ট্রাম্পকে কল দিয়ে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় কথা বলেন। আর ওই দিনই স্টর্মির সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছিল।

কোহেন আরও বলেন, শেষ পর্যন্ত তিনি স্টর্মির আইনজীবীর কাছে ব্যাংকের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার হস্তান্তর করেছিলেন। স্টর্মি সমঝোতা চুক্তি এবং অতিরিক্ত নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন যা তাকে নীরব হতে বাধ্য করেছিল।

বিষয়টি ট্রাম্প জানতেন কি না- কৌঁসুলি সুসানের এমন প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, 'তাৎক্ষণিকই' জেনেছেন। তিনি বিষয়টি ট্রাম্পকে জানিয়েছেন। তাকে দেওয়া কাজটি যে সম্পন্ন হয়েছে তিনি তা জানতেন।

মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন আদালত। এ দিনও জবানবন্দি দেবেন কোহেন। সোমবার যখন কোহেন জবানবন্দি এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, তখন আদালত কক্ষে বসা ট্রাম্পকে চোখ বন্ধ করে সেসব শুনতে দেখা যায়।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল স্টর্মিকে। ব্যবসায়িক রেকর্ডে এ তথ্য গোপন করেছিলেন ট্রাম্প।


মাইকেল কোহেন   পর্ন তারকা   ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গেটস ফাউন্ডেশনে আর থাকছেন না মেলিন্ডা গেটস

প্রকাশ: ১০:১১ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তিনি।  

সোমবার (১৩ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) প্লাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলিন্ডা নিজেই। খবর রয়টার্সের।

ওই পোস্টে মেলিন্ডা গেটস লিখেছেন, বিল ও আমি একসঙ্গে যে ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছিলাম, তার জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত। তবে বিল গেটসের সঙ্গে একটি চুক্তি মোতাবেক আমি ফাউন্ডেশন থেকে সরে যাচ্ছি। আমার হাতে বাড়তি ১২.৫ বিলিয় ডলার থাকবে নারী ও অসহায় পরিবারগুলোকে সহায়তায় কাজ করার জন্য।

মেলিন্ডার এ ঘোষণার পরপরই এক্স পোস্টে বিল গেটস লেখেন, মেলিন্ডার চলে যাওয়াতে আমি দুঃখিত। তবে আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে সে তার জনহিতকর কাজে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।

আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে তার তখনকার স্বামী বিশ্বের অতি ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। এ ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্বে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনাকারী সবচেয়ে বড় সংস্থা এই ফাউন্ডেশন।

২৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। তবে দুজনই তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।

বর্তমানে বিশ্বে জনস্বাস্থ্য নিয়ে যেসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান কাজ করে, সেগুলোর অন্যতম বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এই ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলার ব্যয় করা হয়ে থাকে।

ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বিল ও মেলিন্ডা গেটস দম্পতি নিজেদের অর্থ থেকে এই ফাউন্ডেশনে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছেন।


গেটস ফাউন্ডেশন   মেলিন্ডা গেটস   বিল গেটস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুম্বাইয়ে ভয়াবহ ধূলিঝড়ে ৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:১৬ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাইয়ের ধূলিঝড়ে ভেঙে পড়েছে বিশালাকৃতির একটি বিলবোর্ড। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঘাটকোপারে এক জ্বালানি স্টেশনে বিলবোর্ডটি ভেঙে পড়ে। এতে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫৯ জন। 

পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়েছিলেন অনেকেই। ৬৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

ভারতের জাতীয় দুযোর্গ মোকাবিলা বাহিনী ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) কর্মীদের প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সরানো সম্ভব হয় ধ্বংসস্তূপ।

ধ্বংস্তূপ সরানোর পর মৃত অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের।

সেই সঙ্গে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৬৭ জনকে। এদের সবাই কম-বেশি আহত হয়েছেন। অনেককেই ভর্তি করাতে হয়েছে হাসপাতালে।


মুম্বাই   ধূলিঝড়   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: বিজেপির আসন বাড়ার পরীক্ষা হয়ে গেল

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪০০ পারের স্লোগান দিয়ে ভোট ময়দানে নামা বিজেপি আশা করেছিল দক্ষিণ ভারতে এবার গেরুয়া ঝড় উঠবে। সেই দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ভোট শেষ হয়ে গেল আজ চতুর্থ দফায়। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে ভোট হয়েছে। কেরেলা, কর্নাটকেও মিটেছে ভোট-পর্ব। চতুর্থ দফায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় নির্বাচন। বিজেপির আশা, এই দুই রাজ্যেই আগেরবারের থেকে অনেক ভালো ফল করবে দল।

প্রথম তিন দফায় ভোটারদের মধ্যে সেভাবে উৎসাহ চোখে পড়েনি। তিন দফাতেই ভোটের হার কমেছে। ভোটের হার কমাটা বিজেপির জন্য মোটেই ভালো লক্ষণ নয় বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল। গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও গোবলয় নিয়ে উদ্বেগের আভাস রয়েছে। যদি উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান বা বিহারে আসন খোয়াতে হয়, তাহলে সেটা পুষিয়ে দেয়ার জন্য মূলত অন্ধ্র এবং তেলেঙ্গানাকে টার্গেট করছে গেরুয়া শিবির।

বিজেপির আশার উৎস প্রধানত অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। এই দুই রাজ্যের ৪২ আসনের ভোট আজ সোমবার হয়ে গেল। সেই সঙ্গে হলো অন্ধ্র প্রদেশের ১৭৫ বিধানসভা আসনেরও ভোট। লোকসভার গত দুটি ভোটে অন্ধ্র প্রদেশে বিজেপি একটি আসনেও জিততে পারেনি। তেলেঙ্গানায় পেয়েছিল ৪টি আসন। বিজেপির আশা, এবার দুই রাজ্য মিলিয়ে তারা জোট শরিকদের সঙ্গে নিয়ে ২২ থেকে ২৫টি আসন আদায় করে নেবে। তা হলে তারা তৃতীয়বার ক্ষমতা ধরে রাখার পথে এগিয়ে যাবে অনেকটাই।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নিয়েও আশাবাদী বিজেপি। উত্তরবঙ্গের ঘাঁটি ছেড়ে ভোট এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। এই দফায় ৮ আসনে ভোটের গতিপ্রকৃতি বুঝিয়ে দেবে, গতবার পাওয়া ১৮ আসন তারা এবার ধরে রাখতে পারবে কি না। ৮ আসনের নিরাপত্তা রক্ষায় নির্বাচন কমিশন তৎপর। প্রায় চার হাজার বুথ তাদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর।

পাশের রাজ্য অন্ধ্রে আগের দুই নির্বাচনে খাতা খুলতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তবে এবার টিডিপি (টিডিপি) এবং জন সেনার সঙ্গে জোট রয়েছে বিজেপির। ২৫ আসনের মধ্যে লোকসভায় বিজেপি লড়ছে ৬ আসন। জোটে ভর করে অন্ধ্রেও এবার একাধিক আসন পাওয়ার আশায় গেরুয়া শিবির। জোট হিসাবে সেরাজ্যেও অন্তত ১৫-১৭ আসন পাওয়ার আশা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

উত্তরপ্রদেশে যে ১৩টি আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে ১১টিতে গত বার বিজেপি জেতে। এবার সে রাজ্যে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস জোট ভালো লড়াই দিচ্ছে বিজেপিকে। প্রথম তিন পর্বে মুসলিম, যাদব এবং জাঠ, রাজপুতদের একাংশ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বলেই দাবি বিরোধীদের। এই পর্বেও তেমন হলে চাপে পড়ে যাবে বিজেপি। মহারাষ্ট্র, বিহারেও এবার শক্তিশালী বিরোধী জোট বাধা হতে পারে বিজেপির জন্য। এই রাজ্যগুলিতে বিজেপির কিছু আসন ঘাটতি হবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। দক্ষিণের দুই রাজ্যে বাড়তি আসন পেয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করতে চায় গেরুয়া শিবির।

এই ৯৬ আসনের মধ্যে উনিশে এনডিএ জোট পায় ৪৯ আসন। বিজেপি একা পায় ৪২টি। ৪৭টি আসন ছিল বিরোধী শিবিরের দখলে। গেরুয়া শিবির সার্বিকভাবে এই পর্বেই স্ট্রাইক রেট বাড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি দেখছে। সেটা মূলত তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে।


লোকসভা নির্বাচন   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মালয়েশিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার পোস ব্লাউয়ের কাম্পুং ওম শহরে বন্য হাতির আক্রমণে বাংলাদেশি এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। 

স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে হাতির আক্রমণে ওই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

ব্লাউ কাম্পুং জেলার প্রধান পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কাম্পুং ওম শহরে রোববার বিকেল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, নিহত বৃক্ষরোপণ কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। মো. নওশের আলী (২৯) নামের ওই কর্মী তার এক সহকর্মীকে নিয়ে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে হাতির আক্রমণের শিকার হন। 

সোমবার দেশটির পুলিশের এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে হাতির আক্রমণের সময় পালিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ পাননি ওই ভুক্তভোগী। মরদেহের পাশেই হাতির পায়ে ছাপ পাওয়া গেছে।

পুলিশ সুপার সিক সিক চুন ফু বলেছেন, ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য ওই ব্যক্তির মরদেহ গুয়া মুসাং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


মালয়েশিয়া   বন্য হাতি   বাংলাদেশি   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন